কবিরা গুনাহ-২২ (গনীমত তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাত করা। )
লিখেছেন: ' দ্য মুসলিম' @ সোমবার, এপ্রিল ১২, ২০১০ (৮:৫৫ অপরাহ্ণ)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,
পবিত্র কোরআন এর দলিলঃ
- নিশ্চয়ই আল্লাহ আমানত আত্মসাতকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সুরা আনফাল -৫৮)
- কোন বিষয় গোপন করা (গনীমতের মাল আত্মসাত করা) কোন নবীর কাজ নয়। আর যে ব্যক্তি গোপন করবে, হাশরের দিন সে গোপন বস্তু নিয়ে উপস্হিত হবে। (সুরা আলে ইমরান-১৬১)
পবিত্র হাদিস এর দলিলঃ
- এক সফরে করকরাহ নামক এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাল-সামানার দায়িত্বে নিয়োজত ছিল। তার মৃত্যুর পর রাসুল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ “সে জাহান্নামী”। সবাই গিয়ে দেখতে পেল, সে আলখাল্লা জাতীয় একটি পোশাক অবৈধভাবে দখল করেছিলো। (মালেক, আহমত, আবু দাউদ)
- আল্লাহ পাক পবিত্রতা ছাড়া নামাঙ গ্রহণ করেন না, এবং আত্মসাৎকৃত সম্পদের সদকাও কবুল করেন না। (মুসলিম)
- সরকারী কর্মচারীদের প্রাপ্ত উপঢৌকন সামগ্রী আত্মসাতের অন্তর্ভুক্ত। (আহমদ, ইবনে মাজা)
- ইমাম আহমদ রঃ বলেনঃ আমার জানা নেই, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আত্মসাতকারী ও আত্মহত্যাকারী ছাড়া আর কারো জানাযার নামায থেকে বিরত থেকেছেন কিনা।)
- হযরত যায়েদ বিন খালেদ জুহানী রাঃ বর্ণনা করেনঃ এক লোক খায়বর যুদ্ধের সময় গোপনে কিছু আত্মসাত করেছিলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জানাযা পড়া থেকে বিরত থাকেন এবং বলেনঃ “তোমাদের এ সাথীটি আল্লাহর পথে জিহাদের কিছু অংশ নিয়ে কিছু একটা লুকিয়ে ফেলেছিলো।” বর্ণনাকারী বলেনঃ অনন্তর আমরা তার মাল সামান তালাশ করে দু’দিরহাম মুল্যমানের একটি রেশমী কাপড় পেলাম, যা ছিল ইহুদীর।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তোফিক দিন।
আল্লাহ হাফেজ।
৪৭ বার পঠিত