কিছু প্রচলিত ও বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের উত্তর-৫
লিখেছেন: ' দ্য মুসলিম' @ শুক্রবার, এপ্রিল ১৬, ২০১০ (১০:৫৬ অপরাহ্ণ)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
সুত্রঃ আশরাফুল জাওয়াব।
মুলঃ আশরাফ আলী থানভী (রঃ)
বিদআতের পরিচয় ও এর স্বরূপ কি?
উত্তর;
ক)
বিদআতের এক পরিচয় হলো- কুরআন-হাদীস, ইজমা ও কিয়াস – এ চার দলীলের ভিত্তিতে যা প্রমাণিত নয় অথচ দীনী কাজ মনে করে তার ওপর আমল করা হয় সেটাই বিদআত। বিদআতের এ পরিচয় জানার পর উরস করা, ফাতিহা দেয়া, দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে ইসালে সওয়াব অনুষ্ঠান পালন ইত্যাদি কোনটাই বিশুদ্ধ দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয় অথচ দীন মনে করেই এসব আচার-অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে কিনা লক্ষ করুন।
কেউ যদি যোহরের ফরজ নামায চার রাকাতের স্হলে পাঁচ রাকাত আদায় করে এমতবস্হায় তার পাঁচ তো পাঁচ, চার রাকাতও আদায় হবে না। হয়তো সে যুক্তির আশ্রয় নিতে পারে- এমন কি মন্দ কাজটা করলাম? নামাযই তো পড়েছি, তাও এক রাকাত বেশি। কিন্তু কথা তো সেটা নয়। আসল ব্যপার হলো, সে শরীয়তের বিধান লংঘন করেছে। যেমন দুই পয়সার ডাক টিকেটের স্হলে খামের ওপর কেউ আট আনার কোর্ট ফি সেঁটে দিলে চিঠি বিয়ারিং হয়ে যায়। এখানেও সে যুক্তি খাড়া করতে পারে, দুই পয়সার স্হলে আট আনা ব্যয় করলাম তাতেও বিয়ারিং? কিন্তু এখানেও একই কথা, সরকারের আইনের বরখেলাফ বিপথে ব্যবহারের দরুন তার টিকিট বাতিল বলে গন্য হবে। একই টিকিট সে যথাস্হলে আদালতে ব্যবহার করলে কাজে আসতো। উক্তি পাঁচ রাকাত তদ্রুপই মনে করুন। মজার ব্যপার হলো, উক্ত পাঁচ বাতিল হওয়াতে কারো দ্বিধা নাই যে, সে তো সৎ কাজই করছে? তাহলে বাতিল হবে কেন? অথচ বিদআতের ক্ষেত্রে ব্যাপার অন্যরকম। এর অবৈধতার প্রতি কোন গুরুত্বই দেয়া হয় না।
এক ব্যক্তি বিবরণ দিল যে, মাওলানা গাংগুহী রঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-র সাথে “মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” বলতে নিষেধ করেছেন। সন্ধানের পর প্রকৃত ঘটনা জানা গেল যে, আযানের শেষ বাক্য মুয়াযযিনের “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-র সাথে জবাবে কোন কোন অজ্ঞ লোক “মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” বলে দেয়। অথচ আযানের জবাবে শব্দ উচ্চারণ করাই হাদীসের নির্দেশ। সুতরাং শেষ বাক্য- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-র পর যেহেতু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বলার নির্দেশ নেই এজন্য কেবল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেই জবাব শেষ করতে হবে। এই মাওলানার গাংগুহীর নিষেধের তাতপর্য। এটাকেই এমন ভাবে বিকৃতির রং চড়ানো হয়েছে যে, তিনি কালিমার মধ্যে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বলতে নিষেধ করেন। (আল্লাহ মাফ করুন) আযান শরীয়তের অংশ, এটা স্পষ্ট। এর মধ্যে অতিরিক্ত সংযোজন বিদআত। তদ্রূপ শরীয়তের নিষিদ্ধ অন্যান্য বিদআতের অবস্হা একই ধরণের, প্রার্থক্যের কোন কারণ থাকতে পারেনা
বিদআত অবৈধ হওয়ার তাৎপর্য এখানেই, এতে গভীর চিন্তা করা হলে এর অবৈধতায় অবাক হওয়ার কিছু নেই। নিত্যকার ঘটনাবলী লক্ষ করুন। সরকারী আইন গন্হ ছাপতে গিয়ে কোন ছাপাখানা যদি শেষের দিকে একটি দফা যোগ করে দেয়, রাষ্ট্রের জন্য তা যতই কল্যানকর হোক এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অতএব দুনিয়ার আইন বইয়ে এক দফা যোগ করা যদি অপরাধ হয়, তবে শরীয়তের আইনে বিদআত নামক দফা যোগ করাটা অপরাধ হবে না কেন? তাই এ দৃষ্টিকোন থেকে কেউ গোশত খাওয়া বর্জন করলে অবশ্যই সেটা অপরাধ হবে। আল্লাহওয়ালাদের কেউ কেউ ব্যাধিজনিত কারণে গোশত খাওয়া বর্জন করেছিলেন কেবল চিকিৎসাকল্পে শরীয়তের বিধান লঙ্ঘনের দৃষ্টিতে নয়। পক্ষান্তরে অজ্ঞ-মুর্খরা দীন, ইবাদত ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় হিসেবে বিদআত আশ্রয় নিয়ে থাকে।
জানা দরকার-সর্বোত্তম যুগের পরবর্তীকালে আবিষ্কৃত বিষয় দু-ধরণের।
এক. যার আবিষ্কারের কারণ বা উপলক্ষ নতুন কিন্তু অন্যান্য আদিষ্ট বিষয়ের বাস্তবায়ন সেটার উপর নির্ভরশীল। যেমন ধর্মীয় গ্রন্হাবলী রচনা ও সংকলন, মাদ্রসা-খানকা নির্মাণ ইত্যাদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে ছিলো না। কিন্তু পরবর্তিকালে এ সবের প্রয়োজন তীব্র হয়ে ওঠে। কথাটা একটু বিশ্লেষণসাপেক্ষ। তা এই যে, দীনের হিফাযত করা সবার দায়িত্ব এটা জানা কথা। তাহলে বুঝুন যে, উত্তম যুগে এর জন্য পরবর্তীতে উদ্ভাবিত পন্হা ও উপায়সমূহের আদৌ প্রয়োজন ছিল না। কেননা আল্লঅহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সবার জন্য নবুয়তের সাহচর্যে প্রভাবই যথেষ্ট ছিল। তাদের স্মরণশক্তি এত তীব্র ছিল যে, যা কিছু শুনতেন শিলাখন্ডের ন্যায় হৃদয় সে সব অংকিত হয়ে যেত। অনুভূতি ও মেধা এত উন্নতমানের ছিল যে, তাঁদেরকে সবক আকারে পাঠদানের প্রয়োজন ছিল না। সবার মধ্যে তাকওয়া-পরহেযগারী ও আল্লাহভীতি প্রবল ছিল। এর পরবর্তী যুগে অলসতা বেড়ে যায়, স্মরণশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। অপরদিকে ভোগবাদী ও জ্ঞানপুজারীদের প্রভাবে দীনদারী আচ্ছন্ন হতে থাকে। এমবস্হায় সমকালীন আলিম সমাজ ইসলাম বিলুপ্ত হওয়ার আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েন। আর দীনী বিষয়াদি সামগ্রিকভাবে সংকলন ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তীব্র ভাবে অনুভূত হয়। সুতরাং এই প্রেক্ষাপটে হাদীস, উসূলে হাদীস, ফিকাহ, উসূলে ফিকাহ, আকাঈদ ইত্যাদি বিষয়ে দীনী প্রন্হাবলী রচিত হয় এবং বিভিন্ন দীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কায়েম করা হয়। একইভাবে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সাধারণের অনীহা দৃষ্টে পীর-মাশায়েখগণ খানকা প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ এ ছাড়া দীনের হিফাজতের কোন উপায় ছিলো না। অতএব উত্তম যুগে প্রয়োজন ছিল না বিধায় এসব উপায় ও পন্হা পরবর্তী যুগের অনিবার্য আবিষ্কার বটে, কিন্তু দীনের সংরক্ষণ এসবের উপর নির্ভরশীল। তাই এ কর্মপন্হা দৃশ্যত যদিও বিদআত পরিলক্ষিত হয় কিন্তু মুলত নীতির প্রেক্ষাপটে এর অনিবার্যতা অনস্বীকার্য।
দুই. দ্বিতীয়ত সেসব কাজ, যেগুলোর কারণ বা উপাদান পুরাতন ও প্রাচীন। যেমন প্রচলিত মিলাদ, দশমী, তীজা, চল্লিশা ইত্যাদি বিদআত। এগুলোর উপাদান পুর্বেই বর্তমান ছিল। যথা মিলাদ অনুষ্ঠানের কারণ ও মূল উদ্দেশ্য হলো, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মের দরুন আনন্দ প্রকাশ করা। এটা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে বিদ্যমান ছিলো। কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা সাহাবীগণ কেউই এ অনুষ্ঠান পালন করেন নি। তাহলে (আল্লাহ না করুন) সাহাবীগণের অনুভূতি কি এ পর্যায়ের ছিল না? নবুয়তী যুগে এর কারণ উপস্হিত না থাকলে হয়তো একটা কথা ছিল। কিন্তু এর হেতু ও ভিত্তি মৌজুদ থাকা সত্তেয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা সাহাবীগণ কি কারণে একটি বারও মিলাদ অনুষ্ঠান পালন করলেন না? এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। উপযুক্ত কারণ বর্তমান থাকা সত্ত্বেয় যে কাজ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবীগণ কর্তৃক সম্পন্ন হয়নি সে কাজ আকৃতিগত ও অর্থগত উভয়দিক থেকে নিশ্চিত বিদআত যা বর্জনীয়।
মিলাদ শরীফের আবিষ্কারক ছিলেন জনৈক বাদশাহ, যিনি অনালিম সাধারণ বৈ নন। উপরন্তু সাধারণ লোকেরাই এতে যোগদানে অধিক মাত্রায় উৎসাহ প্রদর্শন করে।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
বিদআতের এক পরিচয় হলো- কুরআন-হাদীস, ইজমা ও কিয়াস – এ চার দলীলের ভিত্তিতে যা প্রমাণিত হয় অথচ দীনী কাজ মনে করে তার ওপর আমল করা হয় সেটাই বিদআত।
হয় এর জায়গায় সম্ভবত নয় হবে ?
@হাফিজ,
জি হ্যাঁ। নয় হবে। ধন্যবাদ।
আপনার জানা থাকলে বলবেন প্লিজ। বিদআতে সাইয়্যা বা হাসনা, এরুপ প্রকারভেদ আছে কি? মনে হয় এরকম একটি হাদীসে পড়েছি- সকল বিদআত-ই ভ্রষ্টতা।
@মাহমুদ,
বিদআতে হাসানা বা সাইয়্যেআ, বিদআতকে দুইভাগে বিভক্ত করে এমন কোন হাদীস আমি আজ পর্যন্ত শুনিনি।
তবে বিদআতকে দুইভাগে বিভক্ত না করলেও এমন কিছু বিষয় বা বিদআত আছে যেগুলোর বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন অভিযোগ শুনিনি। সরাসরি বিদআতে হাসানা বলে মার্ক না করা হলেও ওগুলো আসলেই প্রয়োজনীয় বিদআত। এই দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করে অনেক আলেম বিদআতকে দুইভাগে বিভক্ত করেছেন। যদিও এভাবে ভাগ করার বিরুদ্ধে কথা বলার মতো আলেমেরও অভাব ছিলো না। মোটকথা হলো বিদআতকে দুই ভাগ করে এমন কোন হাদীস নেই, কিন্তু বিদআত অটোমেটিক দুই ভাগ হয়ে গেছে।
হযরত ওমর রাঃ তারাবীহর নামাজ বিশ রাকাত জামাতের সাথে আদায় করার নিয়ম চালু করেছিলেন, যেটাকে তিনি নিজেই ভালো বিদআত বলে অভিহিত করেছিলেন (আপাতত রেফারেন্স জানা নেই)।
@দ্য মুসলিম,
আস সালামু ‘আলাইকা!
বাংলায় দিতে পারলাম না – ইংরেজিতেই দিতে হলো। কষ্ট করে নীচের দলিলটি পড়ুন, ইনশাআল্লাহ্ সব পরিষ্কার হয়ে যাবে (যা সরাসরি নীচের লিংক থেকেও দেখতে পারেন):
http://www.islam-qa.com/en/ref/864/bid%27ah
—————————-
Fatwa No.864
Bid’ah Hasanah (”Good Innovations”)
Question:
As Salaam Alaikum Wa Rahmat Allah wa Barakatu
I have a question in the area of what is and isn’t Bidaa. Over and over again I hear people terming certain actions as Bidaa. I am however confused. Correct me if I am wrong, but isn’t there a hadith by Prophet Muhammed (SAW) that says that anyone who introduces a new helpful hadith will be rewarded. If this is true, then why are all new inovations frowned upon. Jazak Allah Khul Khayer.
Answer:
Praise be to Allaah.
Firstly, we should know what “bid’ah” means according to Islamic teaching.
It is defined as: any invented way in religion that is aimed at worshipping or drawing closer to Allaah. This means anything that is not referred to specifically in Sharee’ah, and for which there is no evidence (daleel) in the Qur’aan or Sunnah, and which was not known at the time of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) and his Companions. At the same time, it is quite obvious that this definition of religious inventions or innovations, which are condemned, does not include worldly inventions [such as cars and washing machines, etc. - Translator].
If your confusion has to do with an apparent contradiction between the hadeeth narrated by Abu Hurayrah and the hadeeth narrated by Jareer ibn ‘Abdullaah, then let us examine these two reports and find out what they mean:
Jareer ibn ‘Abdullaah al-Bajali (may Allaah be pleased with him) said: “The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: ‘Whoever starts a good thing and is followed by others, will have his own reward and a reward equal to that of those who follow him, without it detracting from their reward in any way. Whoever starts a bad thing and is followed by others, will bear the burden of his own sin and a burden equal to that of those who follow him, without it detracting from their burden in any way.’” (Reported by al-Tirmidhi, no. 2675. He said, This is a saheeh hasan hadeeth)
There is a story behind this hadeeth, which will explain what “whoever starts a good thing” means. Imaam Muslim reported this story from Jareer ibn ‘Abdullaah, who also narrated the hadeeth itself. He said: “Some people from the Bedouin came to the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him), wearing woollen garments. He saw that they were in bad shape and in desperate need, so he urged the people to give them charity. They people were very slow to respond, and it could be seen in his face (that he was upset). Then a man of the Ansaar brought a package of silver, then another came, and another and another, and his face was filled with joy. The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: ‘Whoever starts a good thing in Islam, and others do likewise after him, there will be written for him a reward like that of those who followed him, without it detracting in the least from their reward. Whoever starts a bad thing in Islam, and others do likewise after him, there will be written for him a burden of sin like that of those who followed him, without it detracting in the least from their burden.’” (Reported by Muslim, no. 1017)
Further explanation may be found in a report recorded by al-Nisaa’i, also from Jareer ibn ‘Abdullah, may Allaah be pleased with him, who said: “We were with the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) early one day, when some people who were almost naked (not dressed properly) and barefoot, with their swords by their sides, came to him. Most, if not all of them, were of (the tribe of) Mudar. The Messenger’s face changed when he saw how poor they were (i.e., he became upset). He went into (his house), then he came out and ordered Bilaal to give the call to prayer. He led the people in prayer, then he addressed them, saying: ‘O people, “be dutiful to your Lord, Who created you from a single person, and from him He created his wife, and from them both he created many men and women, and fear Allaah through Whom you demand your mutual (rights), and (do not cut the relations of) the wombs (kinship)” [al-Nisaa' 4:1].
“Fear Allaah, and keep your duty to Him. And let every person look to what he has sent forth for the morrow…” [al-Hashr 59:18].
Let a man give charity from his dinars, his dirhams, his clothing, his wheat or his dates – even if it is only half a date.’ A man from the Ansaar brought a package which he could hardly carry in his hand, then another and another came, until there were two piles, of food and clothing, and I saw the face of the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) beaming with joy. The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: ‘Whoever starts a good thing in Islam will have his own reward and a reward equal to that of those who follow him, without it detracting in the least from their reward, and whoever starts a bad thing in Islam will have to bear the burden of his own sin and a burden equal to that of those who followed him, without it detracting in the least from their burden. (Reported by al-Nisaa’i in al-Mujtaba: Kitaab al-Zakaat, Bab al-Tahreed ‘ala al-Sadaqah).
From the context of the story, it is clear that what is meant by the words “whoever starts a good thing (sunnah hasanah) in Islam” means: Whoever revives a part of the Sunnah of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him), or teaches it to others, or commands others to follow it, or acts according to it so that others see him or hear about it and follow his example. This is also indicated by the hadeeth narrated by Abu Hurayrah, may Allaah be pleased with him, who said: “A man came to the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him), and he urged the people to give him charity. A man said: ‘I have such-and-such,’ and there was no person left in the gathering who did not give something in charity to him, whether it was a large amount or a little. The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: ‘Whoever starts something good, and others follow his lead, will have a complete reward and a reward like that of those who followed him, without it detracting in the least from their reward. Whoever starts something bad, and others follow his lead, will bear a complete burden of sin, and a burden like that of those who followed him, without it detracting in the least from their burden. (Reported by Ibn Maaajah in al-Sunan, no. 204)
It should be clear from the above, with no room for doubt, that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) was not allowing innovation in matters of deen (religion), nor was he opening the door to what some people call “bid’ah hasanah,” for the following reasons:
The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) stated repeatedly that: “Every newly-invented thing is a bid’ah (innovation), every bid’ah is a going astray, and every going astray will be in the Fire.” (Reported by al-Nisaa’i in al-Sunan, Salaat al-’Eedayn, Baab kayfa al-Khutbah). Reports with the same meaning were narrated via Jaabir (may Allaah be pleased with him) by Ahmad, via al-’Irbaad ibn Saariyah by Abu Dawud and via Ibn Mas’ood (may Allaah be pleased with him) by Ibn Maajah.
The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) used to say, when beginning a khutbah (sermon): “… The best of speech is the Book of Allaah and the best of guidance is the guidance of Muhammad. The worst of things are those which are newly-invented, and every innovation is a going astray…” (reported by Muslim, no. 867)
If every bid’ah is a going astray, how can some people then say that there is such a thing in Islam as “bid’ah hasanah”? By Allaah, this is an obvious contradiction of the statement and warning of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him).
The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) stated that whoever innovates something new in the deen (religion) will have his deed rejected, and Allaah will not accept it, as is stated in the hadeeth narrated by ‘Aa’ishah (may Allaah be pleased with her), who said: “The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: ‘Whoever innovates something in this matter of ours that is not a part of it will have it rejected.’” (Reported by al-Bukhaari, Fath al-Baari, no. 2697). How can anybody then say that bid’ah is acceptable and it is permitted to follow it?
When a person innovates something and adds to the deen something that does not belong to it, he is implying a number of bad things, each worse than the last, for example: That the religion is lacking, that Allaah did not complete and perfect it, and that there is room for improvement. This clearly contradicts the statement in the Qur’aan (interpretation of the meaning): “… This day, I have perfected your religion for you, completed My favour upon you, and have chosen for you Islam as your religion…” [al-Maa'idah 5:3]
That the religion remained imperfect from the time of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) until the time when this innovator came along and completed it with his own ideas.
That the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) was “guilty” of either of two things: either he was ignorant of this “good innovation,” or he knew about it but concealed it, thus letting his ummah down by not conveying it.
That the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him), his Companions and the righteous salaf (early generations) missed out on the reward of this “good innovation” – until this innovator came along and earned it for himself, despite the fact that he should say to himself, “If it was truly good, they would have been the first to do it.”
Opening the door to bid’ah leads to changing the deen (religion) and opens the way for personal whims and opinions, because every innovator implies that what he is introducing is something good, so whose opinion are we supposed to follow, and which of them should we take as a leader?
Following bid’ah leads to the cancelling out of sunnah practices and the ways of the salaf. Real life bears witness that whenever a bid’ah is followed, a sunnah practice dies out; the reverse is also true.
We ask Allaah to save us from the misguidance of personal whims and from all trials whether they are open or secret. And Allaah knows best.
Islam Q&A
Sheikh Muhammed Salih Al-Munajjid
@মেরিনার,
পড়লাম। এসব বিষয়ে আসলে আমার কোন দ্বিমত নেই আর কখনো ছিলোনা।
একটা প্রশ্ন করিঃ হযরত ওমরা রাঃ এর তারাবিহর নামাজ জামাতে আদায় করার যে নিয়ম প্রচলন করেছিলেন, সেটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা হয়?
@দ্য মুসলিম, ইসলামী পরিভাষায় এমন অনেক শব্দ যেগুলোর আভিধানিক অর্থ ভিন্ন। যেমন ধরুন “কাফারা” শব্দের আভিধানিক অর্থ হবে “সে ঢেকে দিয়েছিল” – কিন্তু পারিভাষিক অর্থ হবে “সে অবিশ্বাস করেছিল”। এরকমই “সালাত”-এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে “প্রার্থনা”/”দোয়া” – পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে: আমরা যেটাকে “নামাজ” বলি সেই বিশেষ ritual act of worship। একইভাবে “বিদ’আত” হচ্ছে কোন মডেল বা উদাহরণ ছাড়া নতুন কোন আবিষ্কার (যেমন ধরুন প্রথম যখন ঘড়ি আবিষ্কৃত হয়েছিল) – এটা হচ্ছে শব্দটির আভিধানিক অর্থ – আর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে “দ্বীনের ব্যাপারে নতুন কোন পন্থা বা প্রথা আবিষ্কার” (যেমন, মিলাদ)।
আল্লাহর একটা নাম হচ্ছে “আল বাদী” – অর্থাৎ সূচনাকারী। যেমন নীচের আয়াতে আল্লাহকে আসমান সমূহ ও জমিনের/পৃথিবীর সূচনাকারী বলা হয়েছে – বিনা নমুনায় যিনি এসবকে “নাই” থেকে সৃষ্টি করেছেন:
(২:১১৭) ……… بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
যাহোক, হযরত উমরের (রা.)-এঁর তারাবী পুনঃপ্রচলনের ব্যাপারে সংশয়ের অবসানকল্পে নীচের দলিলখানি একটু কষ্ট করে পড়ুন:
Fatwa No.65572
Question:
Should Taraweeh prayer be offered individually or in congregation? Is completing the Qur’aan in Ramadaan bid’ah?
I have heard from some people that it is recommended to pray taraweeh indivually as the prophet preyed it individually except 3 times, is this true? I also heard that it is a bid’ah to recite the whole Quran during taraweeh in ramadan as the prophet never did this, is this true.
Answer:
Praise be to Allaah.
Firstly:
It is prescribed to offer the night prayers in Ramadaan in congregation or individually, but it is better to do it in congregation than to do it individually. The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) led his companions in offering these prayers in congregation on several nights.
It is proven in al-Saheehayn that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) led his companions in prayer (Taraweeh) for several nights, then on the third or fourth night he did not come out to them. When morning came he said: “Nothing prevented me from coming out to you except the fact that I feared that it would be made obligatory for you.”
Narrated by al-Bukhaari, 1129. According to the version narrated by Muslim (761): “But I feared that night prayers would be made obligatory for you and you would not be able to do them.”
Offering Taraweeh prayer in congregation is something that is established by the Sunnah of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him). The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) stated the reason why he did not persist in offering this prayer in congregation, which is that he feared that it might be made obligatory. This reason cased to be applicable after the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) died, because when he (peace and blessings of Allaah be upon him) died, the wahy (revelation) ceased and there was no longer any worry that it might be made obligatory. Once the reason, which was the fear of it being made obligatory, disappeared with the cessation of the wahy, then the fact that it is Sunnah to offer this prayer in congregation resumed.
See al-Sharh al-Mumti’ by Shaykh Ibn ‘Uthaymeen, 4/78.
Imam Ibn ‘Abd al-Barr (may Allaah have mercy on him) said:
This indicates that praying qiyaam in Ramadaan is one of the Sunnahs of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) and is recommended and encouraged. It was not introduced by ‘Umar ibn al-Khattaab, rather he revived something that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) loved and approved of. Nothing stopped him from doing it regularly except the fear that it might be made obligatory upon his ummah. He (peace and blessings of Allaah be upon him) was kind and compassionate towards his ummah. ‘Umar knew from the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) that the obligatory duties would not be increased or decreased after his death (peace and blessings of Allaah be upon him), so he revived this practice and enjoined it upon the people. That happened in 14 AH, and ‘Umar has the honour of being the one who revived this Sunnah.
Al-Tamheed, 8/108, 109
After the death of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him), the Sahaabah (may Allaah be pleased with them) prayed Taraweeh in small groups and individually, until ‘Umar (may Allaah be pleased with him) united them behind a single imam.
It was narrated that ‘Abd al-Rahmaan ibn ‘Abd al-Qaari’ said: I went out with ‘Umar ibn al-Khattaab (may Allaah be pleased with him) one night in Ramadaan to the mosque, and the people were scattered, with one man praying by himself and another with a group of men following his prayer. ‘Umar said: “I think that if I gather them behind one reader, it will be better.” Then he decided to unite them behind Ubayy ibn Ka’b. Then I went out with him on another night, and the people were praying behind their reader. ‘Umar said: “What a good innovation this is. But the prayer that they forget about and sleep is better than the one they are offering.” Narrated by al-Bukhaari, 1906.
Shaykh al-Islam Ibn Taymiyah said, when refuting the view of those who quoted ‘Umar’s words “What a good innovation this is” as meaning that innovation (bid’ah) is permissible:
With regard to qiyaam in Ramadaan, the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) introduced this to his ummah, and he led them in prayer for a number of nights, because at his time they used to pray in congregation and individually. But he did not persist in leading them in one congregation, lest that be made obligatory for them. When the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) died, sharee’ah was established (and would not change after that). When ‘Umar (may Allaah be pleased with him) became caliph, he united them behind one imam, Ubayy ibn Ka’b, who united the people in one congregation on the orders of ‘Umar ibn al-Khattaab (may Allaah be pleased with him). ‘Umar (may Allaah be pleased with him) was one of the Rightly-Guided Caliphs, of whom the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “I urge you to adhere to my Sunnah and the way of the Rightly-Guided Caliphs after me; cling tightly to it.” So what he did was Sunnah but he said, “What a good innovation this is,” because it was an innovation in the linguistic sense, as they were doing something that they had not done during the life of the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him), i.e., gathering to do this, but it is Sunnah in the shar’i sense.”
Majmoo’ al-Fataawa, 22/234, 235
For more information, please see question no. 21740 and 45781
Secondly:
Completing the Qur’aan in Ramadaan, whether during prayer or outside prayer, is something that is praiseworthy. Jibreel (peace be upon him) used to review the Qur’aan with the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) every Ramadaan, and in the Prophet’s last year he reviewed it with him twice.
We have discussed this in the answer to question no. 66504.
And Allaah knows best.
Islam Q&A
@দ্য মুসলিম,
নীচের লিংকটি দেখুন । এই লেখাটি ভালোভাবে পড়ে বুঝতে পারলে আপনার এ যাবৎ যত Confusion আছে সব পরিস্কার হয়ে যাবে ।
http://www.masud.co.uk/ISLAM/nuh/bida.htm