### দাঁড়িওয়ালা মানেই জঙ্গী!!!
লিখেছেন: ' দ্য মুসলিম' @ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০, ২০১০ (৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
অনার্স শেষ হয়নি, তাই চাকরীর জন্য কোথাও এপ্লাই করাও যাচ্ছিলো না। চাকরী করাটা এতটা জরুরীও না। সমস্যা হলো আম্মুর। ছোট বোন নানার বাড়ীতে থেকে লিখাপড়া করে আর আমরা দুইভাই ঢাকায় থাকি। বাসায় শুধু আম্মু আর আব্বু। বাসায় উনার একা একা সময় কাটেনা, বড় ভাই একটু বাউন্ডুলে স্বভাবের তাই আমাকে ধরলেন; বিয়ে করতে হবে। প্রথমে একটু আইগুঁই করলেও পরে রাজী হয়ে গেলাম তবে শর্ত সাপেক্ষেঃ আগে একটি চাকরী যোগাড় করি তারপর দেখা যাবে।
যাই হোক তিনি নিয়মিত দোয়া করতে লাগলেন যেন চাকরী হয়ে যায়। আমিও বিভিন্ন জায়াগায় এপ্লাই করলাম। সবই ঠিক থাকে শুধু দুটো ব্যাপারে আটকে যাই। ১. অভিজ্ঞতা ২. অনার্স শেষ হয়নি। অবশ্য এর চেয়ে বেশী কিছু আমি আশাও করিনি। প্রায় ৩-৪ মাস অপেক্ষা করার পর তিনি অধৈর্য হয়ে উঠলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে, তার মামার সাথে যোগাযোগ করবেন কিনা। প্রসঙ্গতঃ উনার মামার উপরের লেভেলের সরকারী কর্মকর্তা, কেউ পত্রিকার সম্পাদক ইত্যাদি। প্রথমে নিষেধ করলাম, কারণ উনারা যে ধরণের প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সেখানে একজন মুসলমানের চাকরী করা সম্ভব নয়। কিন্তু পরে রাজী হয়ে গেলাম কারণ এ ক্ষেত্রেও আমি কিছু শর্ত দিয়ে দিলাম, যেমনঃ সুদি কোম্পনী হলে চলবেনা, ইত্যাদি।
আম্মু যোগাযোগ করলেন উনার এক মামাতো ভাইয়ের সাথে, বললেন যদি কোন পোষ্ট খালি থাকে তাহলে যেন আমার ব্যপারটা একটু দেথেন। ঐ মামা বললেন উনার জানা মতে কম্পিউটার অপারেটরের একটি পোষ্ট খালি আছে। তিনি কথা বলে জানাবেন। আমি অবশ্য আগেই আম্মুকে বলে দিয়েছিলাম যে, আমার শুধু অভিজ্ঞতা দরকার, তাই কম্পিউটার অপারেটর বা কম্পিউটার রিলেটেড কোন পোষ্ট হলে ভালো হয় কারন কম্পউটরের এসব কাজে শুধুমাত্র দক্ষতা প্রয়োজন।
তারপর কয়েকদিনের একটি গ্যাপ।
একদিন হটাৎকরে আব্বু আমাকে ফোন করে প্রশ্ন করলেনঃ তোর আম্মুকি তোকে কিছু বলেছে?
বললামঃ না।
তিনি বললেনঃ তোর মামা চাকরীর ব্যপারে ফোন করেছিলো চাকরী প্রায় কনফার্ম ছিলো কিন্তু তুই করতে পারবিনা।
বললামঃ কেন?
তিনি বললেনঃ তুই এই ছাত্র বয়সে দাঁড়ি কেন রাখলি এটা জিজ্ঞেস করেছে। আর ওদের কোম্পানী জঙ্গীবাদের সমস্যার কারণে কোন দাঁড়িওয়ালা ছেলেকে চাকরী দেবেনা।
আব্বু গলা নামিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুই কি মনে কষ্ট পেয়েছিস? কেমন যেন মনে হয় এক ধরণের অপরাধ বোধে ভুগছিলেন হয়তোবা। ছোট থাকতে আব্বুই সবসময় নামাজ পড়ার কথা আর শরীয়াতের বিধিবিধান মেনে চলার কথা বলতেন। সবসময় চাইতেন তাঁর পরিবার যেন ইসলামীক ভাবধারায় বেড়ে ওঠে। উনার পরিশ্রম আংশিক সফল হয়েছে আংশিক হয়নি। তাই আমার ব্যপারে তিনি একটু বেশি খেয়াল করতেন এবং মুল্যও দিতেন যে কোন মতামতের।
আমি উনাকে আশ্বস্ত করলামঃ মনে কষ্ট পাইনি। তাছাড়া এর চাইতে বেশী কিছু আশাও করিনি।
আরো কিছু সান্তনাবানী দিয়ে তিনি ফোন রাখলেন।
আম্মুকে নিষেধ করে দিয়েছি, উনার মামাদের যেন আমার ব্যপারে আর কিছু না বলে। ছেলেকে বিয়ে করাতে পারলেন না এই দুঃখে তিনি এখনো আমাকে মাঝে মাঝে একটু মিষ্টি খোঁচা মারেন। আমিও স্বান্তনা দেই আর আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করতে বলি।
আব্বু আজও ফোন করে আমাকে মনযোগ দিয়ে পড়ালিখা করার ব্যপারে বলেন। আর ছোট্ট করে চাকরীর কথা জিজ্ঞেস করেন। শুনে আমি শুধু হাসি, তিনিও হাসেন। মাঝে মাঝে ফোনেই আমরা শুরু করে দেই আলোচনা আর এ আলোচনা কখনো মোবাইল ফোনেই প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা স্হায়ী হয়… … … রাষ্ট্র, তাসাউফ, মাজহাব, সালাফী ইত্যাদি।
এটা কি আপনার নিজের জীবনের ঘটনা ? হ্যা বাংলাদেশ আস্তে আস্তে জংগী নামক রোগে ভুগছে । বাইরের মেনুফেস্টো বাস্তবায়ন করতে গেলে এমন অনেক কিছুই প্রয়োজন হয় ।
যদিও স্বাধীনের পর থেকে এ পর্যন্ত যত বড় বড় হত্যা , কু , বোমাবাজী , গুপ্তহত্যা হয়েছে সেগুলোর কোনটার সাথেই জংগীবাদ জড়িত প্রমান করা যায় নাই ।
শেখ মুজিব হত্যাকান্ড, জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ড , ৪ নেতার হত্যাকান্ড , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত ছাত্রহত্যা কোনোটার সাথেই কোনো কালে জংগী জড়িত ছিল না ।
@হাফিজ,
এটা কি আপনার নিজের জীবনের ঘটনা ?
জ্বী। তাও বেশী দেরী হয়নি, মাস খানেক আগের ঘটনা।
@হাফিজ,
আজ পর্যন্ত যত জঙ্গী গ্রেফতার হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৭০%-৮০% এরই দাঁড়ি ছিলোনা। সুতরাং দাঁড়ির সাথে জঙ্গীবাদের সম্পর্ক খোঁজার কোন সুযোগ নেই।
আসসালামু আলাইকুম ভাই,
আপনার বাস্তব ঘটনা পড়ে ভাল লাগল। আল্লাহ তাআলা আপনাকে এবং আমাদেরকে হিফাজত করুন। আমীন।
দাড়ির ব্যাপাড়ে একটুও মন খারাপ করবেন না। বরং যারা দাড়ির ব্যাপাড়ে কটু মন্তব্য করে তাদের বিচার আল্লাহ তাআলা করবেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ আকড়ে ধরলে যাদের গা জ্বালা করে আল্লাহ তাদের বিচার করবেন। ইনশাল্লাহ, আল্লাহ তাআলা আপনার জন্যে উত্তম রিযিকের ব্যবস্থা করে দিবেন।
@manwithamission,
ধন্যবাদ, ভাই।
আব্বুকে বলেছিলাম, যে কোম্পানীতে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রবেশাধীকার নেই, সেখানে আমি কিভাবে ঢুকি?
আল্লাহ তায়ালার কাছে হাজারো শুকরিয়া ঐ ধরণের চাকরী থেকে বিরত থাকার তৌফিক দিয়েছেন।
@manwithamission,
ধন্যবাদ, ভাই।
আব্বুকে বলেছিলাম, যে কোম্পানীতে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতের প্রবেশাধীকার নেই, সেখানে আমি কিভাবে ঢুকি?
আল্লাহ তায়ালার কাছে হাজারো শুকরিয়া ঐ ধরণের চাকরী থেকে বিরত থাকার তৌফিক দিয়েছেন।
হায় আল্লাহ, এ কি শুনলাম। এই হল দেশের অবস্থা। কিছু বলার নেই। কি আর বলব বলেন।
ভয় করবেন না, কিছু না কিছু ইনশা-আল্লাহ হবেই।
আচ্চা বাংলাদেশের মানুষের কবে ব্যাক্তিগত বিষয়ে নাক গলানো কমবে? কে কি করল, কে দাড়ি রাখল, কে রাখল না, এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কোন মাথা ব্যাথা কেন থাকবে? এভাবে দেশের উন্নতি হবে না। তবে দেশ চাইমচামি উন্নতি করতেছে, এভাবে কি নিজেদের সম্মান পৃথিবীর বুকে আমরা প্রতিষ্টিত করতে পারব !
শুনে কষ্ট পেলাম।
@ফুয়াদ,
আমি শুধু একটি ঘটনা বললাম। এমন হাজারো ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিফাজত করুন। আমিন।
আপনার মতো আমারও একই অবস্থারে ভাই…
তবে এ নিয়ে কোন দুঃখ নেই।
@মাহমুদ,
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দিন। আমিন।
ইনশাল্লাহ আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই আপনার ভাল কাজ এবং রাসলুল্লাহের দেখানো পথে চলার চেষ্টার জন্য বারাকাহ দিবেন।
@ফরগিভনেস_সিকার,
আমিন।
ইনশাল্লাহ আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই আপনার ভাল কাজ এবং রাসলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পথে চলার চেষ্টার জন্য বারাকাহ দিবেন।
কাদব না হাসব বুঝতে পারছি না। আল্লাহ সুবহানাল্লাহতায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
@তামীম,
হাসুন ভাই। দোয়া করার জন্য ধন্যবাদ।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
@মুসলিম,
ধন্যবাদ, ভাই।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের মঙ্গল করুন।
এর উল্টা ব্যাপারও আছে – হয়তো %টা কম। আমি এমন ডজনখানেক মেয়ের গল্প জানি, যারা দাড়ি নেই বলে – অথবা – পশ্চিমের অবিশ্বাসীদের দেশে থাকে বলে, “সোনার টুকরা” ছেলেদেরও বিয়ে করতে রাজী হয় নি!
@মেরিনার,
ঠিক বলেছেন।
দেশ থেকে ইসলামী ভাবধারার মানুষ এখনো বিলুপ্ত হয়নি। তবে এর সংখ্যা অনেক কম।
আল্লহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং দোয়া করি আরও ভাল কোন প্রতিষ্ঠানে, আরও ভাল কোন পদে আপনার চাকরি হোক।
@ মেরিনার এরকম কিছু ঘটনা কি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন?
বিভিন্ন ব্যস্ততার কারনে পত্রিকা পড়া সম্ভব হয়নি।তাই মুসলিম ভাইর লেখাটি পড়তে দেরি হলো।দাজ্জালী শক্তি বাংলাদেশে ভর করেছে অনেক দিন আগে থেকেই।কয়েক(সম্ভবত ৫) বৎসর পুর্বে গুলশানস্হ ইটালি দুতাবাসে গিয়েছিলাম ।লক্ষ্য করলাম অফিসে প্রবেশের পু্র্বে মহিলাদের বোরখা খোলতে বাধ্য করা হচ্ছিল। ।যা নাকি ইটালিতেও অসম্ভব।বিধায় গুলশান থানায় ফোনে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। যাই হোক দাজ্জালি পরিক্ষায় আমাদের মুসলিম ভাই উত্তীর্ন হয়েছেন শুনে খুশি হলাম।আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের মঙ্গল করুন ও দাজ্জালি বিপদ থেকে হেফাজত করুন।
আমিন।
@দেশী৪৩২,
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের মঙ্গল করুন ও দাজ্জালি বিপদ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।