লগইন রেজিস্ট্রেশন

বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের প্রতিবাদ

লিখেছেন: ' sajiblobon' @ মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২ (৪:০৪ অপরাহ্ণ)

চরমোনাই পীরের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ বিভিন্ন পত্রিকায় বিশেষ করে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত “আহলে হাদিসের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে” শীর্ষক সংবাদে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতির বিরুদ্ধে চরমোনাইয়ের পীর যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস। জমঈয়তের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী এবং সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মীর আব্দুল ওয়াহ্হাব লাবীব গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, উল্লিখিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং আমরা অত্যন্ত বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি। কারণ সংবাদে জমঈয়ত সভাপতির বিরুদ্ধে “মাযহাব মানা শিরক, চার মাযহাবের অনুসারীরা মুশরিক…” ইত্যাদি বলার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, সর্বৈব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। ৩ জানুয়ারি ২০১২, আইন্তা আহলে হাদীস জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনে জমঈয়ত সভাপতি এরকম কোন কথা সরাসরি কিংবা ইঙ্গিতমূলক কোন ভাবেই বলেননি। কারণ বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস কোন আক্রমণাত্মক ও বিভেদমূলক প্রচারণা চালায় না এবং ফতোয়াবাজিও করে না; বরং কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য সুসংহত করার জন্য ১৯৪৬ সাল থেকেই এদেশে সক্রিয় রয়েছে।
জমঈয়ত এ পর্যন্ত দেশে ৮টি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করেছে, যেখানে পবিত্র কাবা শরীফের ইমামসহ বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইসলামী চিন্তাবিদগণ অংশগ্রহণ করে বিশ্বমুসলিমের ঐক্য বৃদ্ধির প্রয়াসকেই ত্বরান্বিত করেছেন।
প্রকৃত ঘটনা হলো, সংবাদে উল্লিখিত আইন্তার ইসলামী সম্মেলনটি বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস নয়, স্থানীয় আইন্তা আহলে হাদীস মসজিদের কর্তৃপক্ষ আয়োজন করেছেন। ২৮ তারিখের বাহাসের বিষয়টি বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস নেতৃবৃন্দ জানেনই না। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের প্রশ্নই আসে না। উপরন্তু পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর জমঈয়ত নেতৃবৃন্দ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন যে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা চরমোনাই গ্র“পের প্রধান আলহাজ্জ মোহাম্মদ হোসাইনের প্রস্তাবমতে আইন্তা পূর্বপাড়া আহলে হাদীস জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম শান্তিপূর্ণ বাহাস আয়োজনে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের বিচার শাখার সহকারী কমিশনার জনাব মোঃ লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে (স্মারক নং ০৫. ৪১. ২৬০০. ০১১. ০৪. ০১৭. ১১-১০৭/২ তারিখ ২৬/০১/১২) আইন্তা খেলার মাঠে উল্লিখিত বাহাস অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ কারণে উক্ত বাহাস বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধজ্ঞা অমান্য করে চরমোনাইপন্থীরা পার্শ্ববর্তী হাসনাবাদ এলাকায় তাদের দলীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে পথসভা করে আহলে হাদীসদের বিরুদ্ধে উল্লিখিত ভিত্তিহীন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে আমরা চরমোনাই গ্র“পের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সকল মুসলমানকে সবরকম দলাদলি ও মতভেদ বর্জন করে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঐক্যবদ্ধ জীবন যাপনের আহ্বান জানাচ্ছি।
ধন্যবাদান্তে
মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম
সাংগঠনিক সেক্রেটারী

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
২০০ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৩ টি মন্তব্য

  1. বরং কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য সুসংহত করার জন্য ১৯৪৬ সাল থেকেই এদেশে সক্রিয় রয়েছে

    আপনার আরো অনেক কিছু জানার বাকি আছে…………..

    আহলে হাদিসের আলেম মাওলানা সিদ্দিক হাসান খান তার রচিত কিতাব তরজমানে ওহহাবিয়ায় লিখেন-
    আমাদের নতুন মাযহাবে আযাদী অর্থাত্‍ তাকলীদ না করা বৃটিশ সরকারী আইনেরই চাহিদা মোতাবেক ৷ (পৃষ্ঠা নং-২-৩)

    আহলে হাদীস দলের একাংশের নাম “গুরাবা আহলে হাদীস” এ অংশের নেতা মুহাম্মদ মুবারকের উক্তি হল ঃ গুরাবা আহলে হাদীসের ভিত্তি হযরতে মুহাদ্দিসিনদের সঙ্গে মতানৈক্য করার জন্যেই রাখা হয়েছে ৷ (ঊলামায়ে আহনাফ আওর তাহরীকে মুজাহিদিন পৃষ্ঠা নং-৪৮ )

    আরেক আহলে হাদিস মাঃ লিখেন-
    হিন্দুস্থানে ইংরেজী শাষন আমরা মুসলমানদের জন্য খোদার রহমত ৷ (আল-হায়াত বা’দাল মামাত পৃষ্ঠা -৯৩)

    ইতিহাস কথা বলে……………

  2. বিখ্যাত লা-মাযহাবী আলীম মাওলানা আব্দুর রহীম আযীমাবাদী আদ-দুরুসুল মানসুর ফি তারাজিমে আহলে সাদিক পুর কিতাবে লিখেছন বিশেষত বৃটিশ সম্রাজ্যের ছায়াতলে আহলে হাদীস যে পর্যন্ত ধর্মীয় স্বাধীনতা লাভ করেছে তা কোন ইসলামী সম্রাজ্যে ও সম্ভবপর ছিলনা এ অনেক বক্তব্য আহলে হাদীসের কিতাবে ছড়িয়ে ছটিয়ে রয়েছে। আহলে হাদীস যে প্রত্যক্ষ বৃটিশের মদদে সৃষ্টি হয়েছে এবং ওরা যে বেনিয়াদের পা চাটা গোলাম ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই ভারত বর্ষে বিশ্বাসঘাতকতা {বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন} এর যুগে আমাদের ছোট বড় সকলেই ইংরেজ সরকারের বিশেষ হিতাকাংক্ষী ছিল। আহলে হাদীস পরিবারের বিশেষ পার্সন মাওলানা আলততুফ হোসাইন বলেন ইংরেজ শাসন ভারতীয় মুসলমানদের জন্য ছিল খোদার রহমত স্বরূত। {প্রমান আল-হায়ত বা দাল মামাত পৃষ্টা নং ১৩ দেখন

  3. কারণ সংবাদে জমঈয়ত সভাপতির বিরুদ্ধে “মাযহাব মানা শিরক, চার মাযহাবের অনুসারীরা মুশরিক…” ইত্যাদি বলার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, সর্বৈব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

    অবাক হতে হয় এই রকম মিথ্যাচার দেখে…………..