পৃথিবীর ধ্বংস The end of earth (2)
লিখেছেন: ' সাজ্জাদ' @ বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১ (১১:১৪ পূর্বাহ্ণ)
প্রথম প্রকার علامات صغري যা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েগিয়েছেঃ-
১। আমদের নবী (স) এর আবির্ভাব।(৫৭০ খ্রিঃ)
২। তাঁর (স) পরলোক গমন।(৬২৩ খ্রিঃ)
৩। চন্দ্রের দ্বিখন্ডন।(এটি হুজুর (স) এর জিবদ্দশায় সম্পন্ন হয়েছে)
৪। সাহাবী কেরামের যোগ সমাপ্তি।(১২০ হিঃ)(কারণ তাঁরা ছিলেন স্রেষ্ট মানব আর বর্ণিত আছে কিয়ামত খারাপ লোকদের উপরই হবে,তাদের চলে যাওয়ার কিয়ামত নিকটে আসা)
৫। বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয় (মুসলমানদের হাতে)।(১২ হিঃ মোঃ-৬৩৭ উমর র. শাসনামলে)
৬। মেষের রোগের মত মানুষ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করবে যাকে আরবীতে (قعاص الغنم এই রোগ অগণীত মেষ মারা যায়)।(এটি ১৮ হিজরীতে সিরিয়ায় এমন রোগ হয়েছে যার দরুন ২৫ হাজার প্রাণের মৃত্যু ঘটেছিল)
৭। বিভিন্ন ধরণের ফিৎনার আবির্ভাব। (এটা তো আমাদের চোখের সামনে)
৮। ডিশ,এন্টিনা,স্যাটলাইটের আত্মপ্রকাশ। (এমন ধুধু মরুভূমিতেই)
৯। সিফফিন সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী এবং তার বাস্তবতা। (এটি সংঘটিত হয় ৩৬ হিঃ সনে)
১০। খারিজীদের আত্মপ্রকাশ (বের হওয়া)।(আলীর (র.) এর শসনামলে ঘটে)
১১। মিথ্যা নবুওয়াত দাবীদার আত্মপ্রকাশ।(ইতিমধ্যে অনেক মিথ্যুক নবুওয়াতের দাবী করেছে)
১২। সাচ্চন্দ,শান্তি ধন-সম্পদ ব্যাপক হয়ে যাওয়া।(যা আমরা এখন দেখছি কারণ এক সময় মক্কাবাসীরা নিরাপত্তার অনিশ্চয়তায় বসবাস করতেন,নবী (স) আগমনের পর মানুষ সুখ-শান্তিতে বসবাস করত হাদিসে এটার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে)
১৩। আরব (হেজায) থেকে ভয়াবহ আগুনের প্রকাশ।(ঐতিহাসিকদের মতে এটি ঘটেছিল ৬৫৪ হিঃ যা তিন মাস স্থায়ী ছিল)
১৪। তুর্কীদের সাথে যুদ্ধ। (উমাইয়্যা শসনামলের প্রথভাগে সংঘটিত হয়েছিল,এবং এতে মুসলমানরা বিজিত হয়েছিল)
১৫। এমন মানুষের আবির্ভাব হবে যারা মানুষদের চাবুক দিয়ে প্রহার করবে।(এর দ্বারা উদ্দেশ্য জুলুম-অত্যাচার বেড়ে যাবে)
১৬। হত্যা বেড়ে যাবে।(এমনকি একজন অপরজনকে কি জন্য হত্য করেছে তা জানবেনা)(১ম হত্যাঃ-১৫ মিলয়ন ও ২য় বিশ্বযুদ্ধে যা বেড়ে হয়েছে ৫৫ মিলয়ন,বিয়েতনাম যুদ্ধ, রাশিয়া যুদ্ধ,ইরাক-ইরান যুদ্ধ এরই সাক্ষ্য বহন করে)
১৭। আমনতের খেয়ানত করবে ও অন্তর থেকে তার গুরুত্ব চলে যাবে। (সবাই এটা প্রত্যক্ষ্য করছেন, দূর্নীতি ইত্যাদির মত দুরারোগ্যব্যাধি এর প্রমাণ)
১৮। পূর্বকালের (ইহুদী-খ্রিষ্টান্দের) সম্প্রদায়ের অন্ধ অনুসরণ করবে।(জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর পরিলক্ষিত হচ্ছে,আমরা এখন প্রাশ্চাত্য সভ্যতাকে অনুসরণ করার মধ্যে মজা পাই)
১৯। দাসী তার মালিকাকে জন্ম দেওয়া (বিস্তারিত আসবে)
২০। কাপড় পরিধানকারী উলঙ্গ মহিলা বেড়ে যাওয়া। (অর্থাৎ তারা এমন কাপড় পরিধান করবে যে, তাদের অঙ্গ –প্রতঙ্গ দেখা যাবে ফলে দৃশ্যত তারা কাপড় পরিধান করলেও মুলত তারা উলঙ্গ)
২১। গরীবরা সুউচ্চ দালান তৈরী করা। (গরীবরা ধনী হবে এবং চাইবে কিভাবে অপরের বিল্ডিং থেকে নিজ দালান লম্বা করা যেতে পারে)
২২। বাছাইকৃতভাবে সালাম করা হবে।(অথচ হাদীসে বলা হয়েছে;পরিচিত,অপরিচিত সবাইকে সালাম কর)
২৩। ব্যবসা-বানিজ্য বেড়ে যাবে। (তার উপকরণ সহজবোধ্য হওয়ার কারণে)।
২৪। স্ত্রী ব্যবসায় তার স্বামীর সাথে অংশ গ্রহন করবে। (শুধু তাই নয় এখন তো তার (নারী কর্ম সংস্থানের) জন্য আন্দোলন করা হচ্ছে)
২৫। বাজারে কিছু ব্যবসার ঢল। (বাজার ব্যস্ত থাকবে বর্তমানে শেয়ার ব্যবসা ধরুন)
২৬। মিথ্যা সাক্ষী।
২৭। সত্য সাক্ষ্য গোপন করা। (মিথ্যা সাক্ষী দিলেই তো সত্য গোপন হয়ে যাবে)
২৮। মূর্খতার প্রকাশ (ইলম চলে যাবে)।
২৯। কৃপণতা ও লোভ বৃদ্ধ পাবে।
৩০। আত্মীয়তার বন্ধন বিচ্চিন্ন করবে।
৩১। প্রতিবেশীদের সাথে খারাপ আচরণ করবে।
৩২। বেহায়াপনা বেড়ে যাবে।(পোষাক-আশাক,কথা-বার্তা সবক্ষেত্রে)
৩৩। আনানত রক্ষাকারীকে খিয়ানতকারী বলা ও খিয়ানতকারীকে আমানত রক্ষাকারী মনে করা।
৩৪। জ্ঞানী হ্রাস ও মূর্খ বৃদ্ধি পাবে।
৩৫। income source(উপর্জনের উৎস) এর পরওয়া করবেনা এটা কি হালাল পন্থা নাকি হারাম।
৩৬। গণীমতকে নিজ সম্পত্তি মনে করবে। (অথচ তার নির্দিষ্ট একটি অংশ আল্লাহর পথে করছ করতে হয়)
৩৭। আমনাতকে গণীমত মনে করবে।(যার মাল তাকে পিরিয়ে না দিয়ে নিজের মাল মনে করে খরছ করবে)
৩৮। মানুষ আনন্দে যাকাত দিতে চাইবেনা।
৩৯। ইলম আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অর্জন করবেনা। (বরং দুনিয়া কামানোর জন্য)
৪০। মা’র অবাধ্যতা ও স্ত্রীর বাধ্যতা পোষণ করবে।
৪১। মা-বাবাকে দূরে টেলে বন্ধু-বান্ধবকে কাছে টেনে নিবে।
৪২। মাসজিদ সমূহে সুউচ্চ স্বরে আওয়াজ করবে।
৪৩। গোত্রের পাপিষ্ট বক্তিরা তাদের নেত্রিত্ব দিবে।
৪৪। গোত্রের লিডার হবে তাদের নিকৃষ্টাটাই।
৪৫। মানুষ অপরকে সালাম করবে তার হাত থেকে বাচার জন্য।
৪৬। কে হালাল মনে করবে।
৪৭। পুরুষদের জন্য রেশমি পড়া হালাল বলবে (অথচ তা পরিধান করা হারাম)।
৪৮। মদ্যপান হালাল মনে করা হবে।
৪৯। বাদ্য-বাজনা হালাল মনে করা হবে।
৫০। মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করবে।
৫১। এমন সময় আসবে যখন মানুষ দিনে মুমিন হবে আর রাত্রে কাফির হবে।
৫২। মসজিদ সাজানো বেড়ে যাবে এবং তা (মসজিদ) দিয়ে গর্ব করবে।
৫৩। ঘরের সুন্দর করার প্রতি মনোনিবেশ করবে।
৫৪। অধিক হারে ব্জ্রাঘাত হবে।
৫৫। লেখা-লেখির প্রচার-প্রসার ঘটবে।
৫৬। মুখ (ওয়াজ-বক্তৃতা) দিয়ে জীবিকা উপারর্জন ও তা দিয়ে গর্ব করা।
৫৭। কোরআন ব্যতিত অন্যান্য বই-পত্র বৃদ্ধি পাবে।
৫৮। কারী (পড়ুয়া) বেড়ে যাবে কিন্তু ফক্বীহ আর আলেম (বোঝ সম্পন্ন ব্যক্তি) কমে যাবে।
৫৯। ছোটদের (সম্মানের দিক থেকে) কাছে ইলমের আশা (চাওয়া) করা হবে।
৬০। হঠাৎ মৃত্যু হবে।
৬১। বেকুপরা (বোকারা) নেতৃত্ব দিবে।
৬২। কাল (সময়) চোট হয়ে যাবে।
৬৩। যে কোন কাজে বোকারা কথা বলবে,(অথচ যে কোন কাজে ক্তহা বলেন,যিনি আমাদের মধ্যে জ্ঞানী)।
৬৪। পাপিষ্ট ও তার বংশধররা পৃথিবীতে খুব সুখ ও স্বাচ্ছন্দে বসবাস করবে।
৬৫। মসজিদকে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
৬৬। মোহরের মূল্য বৃদ্ধি পাবে তারপর সস্তা হয়ে যাবে অর্থাৎ মোটা অংকের মোহর ধরা হবে কিন্তু দেওয়ার বেলায় শুণ্য।
৬৭। ঘোড়ার দাম (অর্থা তার চর্চা) বৃদ্ধি পাবে,কিন্তু পরে কমে যাবে।
৬৮। বাজার স্থানসমূহ নিকট হয়ে যাবে।
৬৯। অন্যান্য ধর্মাব্লম্বীরা মুসলমানদের বিরোদ্ধে জড়ো হবে।
৭০। জামাতে ইমামতীর জন্য একে অন্যকে পেশ করবে।
৭১। মুমীনদের স্বপ্ন সত্য হবে।
৭২। মিথ্যা বৃদ্ধি পাবে।
৭৩। মানুষের মাঝে ঘৃণা বেড়ে যাবে।
৭৪। ভুমিকম্প বেড়ে যাবে।
৭৫। মেয়ে বেড়ে যাবে (এমন কি এক জন পুরুষের জন্য ৫০ মহিলা হবে)
৭৬। পুরুষ হ্রাস পাবে।
৭৮। নগ্নতা বেড়ে যাবে এবং তা প্রকাশ্যে করবে।
৭৯। কুরআন শিক্ষার উপর বিনিময় নেওয়া হবে।
৮০। এমন গোত্র আসবে যারা সাক্ষী দেবে সাক্ষ চাওয়া ব্যতিত।
৮১। এমন গোত্র আসবে যারা ভয় প্রদর্শন করবে কিন্তু ওয়াদা পূরণ করবেনা।
৮২। সবল দূর্বলকে শোষণ করবে।
৮৩। আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ফয়সালা চেড়ে দিবে।
৮৪। রুমীরা বেড়ে যাবে এবং আরব্রা কমে যাবে।
জাযাকাল্লাহ আহসানাল জাযা।
জাযাকাল্লাহ্ ,
Ar besher bag bani shotto hoya gase. Allah amader kiamoter shasti hoty mukti din.