পৃথিবীর ধ্বংস The end of earth (৭)
লিখেছেন: ' সাজ্জাদ' @ শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১১ (৩:৫৭ পূর্বাহ্ণ)
৬। মহামারিতে গণমৃত্যু
এটাও কিয়ামতের অন্যতম আলামত। এই ব্যাপারে موت এর শব্দ موتان ব্যহার করা হয়েছে মৃত্যুর আধিক্য বুঝানোর জন্য। এটাকে তিনি উপমা দিয়েছেন ঐ রোগের সাথে যেটা দলে দলে মানুষকে হত্যা করবে। বলা হয়েছে –আমওয়াচ (عمواس) নামক গ্রামে যে মহামারি হয়েছিল এটি সেটাই। এই রোগের আরবী শব্দ الطاعون। যার অর্থঃ- শরীরে ফোড়া বা ফোলা হওয়া যা খবই ব্যাথা ও কষ্ঠদায়ক। এটা খুবাই ধ্বংসকারী ছোয়াছে রোগ। আমওয়াচ (عمواس) হচ্ছে ফিলিস্তিনে বায়তুল মুকাদ্দাসের পার্শ্বে অবস্থিত একটি গ্রাম।
আর আউফ বিন মালেক (র) থেকে বর্ণিত,রাসূল (স) বলেছেনঃ- কিয়ামতের ছয়টি নিদর্শন গুনো রেখো”। আর অন্যতম হচ্ছে এমন মহামারি হবে যাতে অনেক মৃত্যু ঘটবে যেমন মেষের হয়ে থাকে। আর এটা নিদর্শনটা সংঘটিত হয়ে গিয়েছিল হযরত উমরের (র) শাসনামলে বায়তুল মুকাদ্দাসের বিজয়ের পর (১৬ হিঃ)। এটা তখন খুবই প্রসারিত হয়েছিল (অর্থাৎ ১৮হিঃ) সিরিয়ায়। আর তাতে অনেক মুসলমান মারা গিয়েছিল যাদের সংখ্যা ২৫ হাজার। আর তারই কারণে অনেক বড় বড় সাহাবাও ইন্তেকাল করেছেন। যেমন;মুয়াজ বিন জাবাল,আবু ওবায়দা,শুরাহবিল বিন হাসানাহ,আল ফাজল বিন আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব ইত্যাদি (رضي الله عنهم اجمعين)। قعاص الغنم বলা হয় এমন এক রোগ যা সাধারণত পশুদের হয়ে থাকে, ফলে তাদের নাক এক প্রকার জিনিস বের হয়ে হঠাৎ মারা যায়। আর নবী (স) মৃত্যুকে উক্ত রোগের সাথে তুলনা করেছেন। এজন্য যে, এই মহামারিটা শরীরে এমন ফোড়া জন্ম দিবা যা সবখানে ছড়িয়ে পড়বে। অতএব এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যায়।
এটা খুবাই ধ্বংসকারী ছোয়াছে রোগ। ধন্যবাদ আপনাকে। আমি শুনেছি হাদিছে নাকি রয়েছে “ছোয়াছে কোন রোগ নেই” এ ব্যাপারে একটু বিস্তারিত বলবেন কি?
@rasel ahmed,
ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর প্রশ্ন। আসলে আয়াত নাযিলের যেমন প্রেক্ষাপট থাকে যা আমরা شان نزول বলি। তেমনিভাবে হাদিস অবতারণের প্রেক্ষাপট থাকে যাকে ورود حديث বলে থাকি। অত’এব (মুসলিম শরীফের) হাদিসে রয়েছে যে, “لا عدوى ولا طيرة” ছোয়াছে বলতে কিছু নেই। এই হাদিস জাহেলী যুগের লোকদের ভ্রান্ত ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য বলা হয়েছে। অর্থাৎ কোন রোগ স্বাভাবিকভাবে নিজে থেকে অন্যজনের কাছে ছড়াতে পারেনা,বরং তা আল্লাহর হুকুমেই হয়ে থাকে।