দয়া করে মুসলমানদের বিভ্রান্তিতে ফেলবেন না
লিখেছেন: ' সাজ্জাদ' @ বুধবার, মার্চ ৯, ২০১১ (৭:২৬ পূর্বাহ্ণ)
রাতদিন ভাই ধন্যবাদ। আসলে আমিই বরং আপনার ছোট হব। ইসলামকে আমি এত বেশী ভালবাসী যে, সত্য-মিথ্যার পরিক্ষায় দাড়ানোর সাহস আমার আছে (আলহামদু লিল্লাহ)। কারণ ইসলাম সেই জন্ম থেকেই মিথ্যার মুকাবেলা করে আসছে। তাই ইসলাম আমাকে শিক্ষা দিয়েছে ভুল স্বীকার করার। অত’এব সত্যিই আমি যদি ভুল হয়ে থাকি,তাহলে তা আমি তা মেনে নিয়েছি। তাই আপনার লেখা পড়ে কষ্ঠ পাব তা কল্পনারও অতীত।
রাতদিন (ভাই/বোন) আপনার পূরো একটা লেখা আমার সম্পর্কে (ভালো)। আমি আমার লেখা কি পূরো পড়েছেন? (পড়ে থাকলে) আপনি কি দেখেননি আমার লেখায় প্রথমে কোরান,হাদিসকে আমি চাবিকাঠি হিসেবে নিয়েছি। তারপর ইতিহাস ও বিজ্ঞানকে স্থান দিয়েছি। অর্থাৎ ধর্ম ঈমান বা বিশ্বাসের উপর নির্ভর,কোরান-হাদিস বিজ্ঞানের সাথে মিলুক আর নাই মিলুক আমাদের তা বিশ্বাস ও মান্য করতে হবে। যদি বিজ্ঞান আমাদের কোরান-হাদিসের সাথে মিলে, তাহলে এটা ইসলামের সততার উপর দলিল। এবং তা আমাদের ঈমানকে আরো শক্ত করে,কারণ তা আল্লাহর নিদর্শনাবলী। আর আল্লাহ বলেনঃ- আর তাদের সামনে যখন আর নিদর্শনাবলী আলোছনা করা হয় তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়। এখন আসা যাক রাতদিন (ভাই/বোন) উক্তির এর জবাবেঃ-
১। কয়েকদিন আগে কে কি করেছে তার উপর আমার আলোচ্ছ বিষয়কে ধারণা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ (ক) এর সপক্ষে কোরান-হাদিসে কোন উল্লেখ নেই যে,এটা আদ জাতি। পক্ষান্তরে চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার ব্যাপারে কোরান-হাদিস ভরপূর। (খ) আমি কিছু লিংক দিচ্ছি তা দেখে বলবেন ওখানে গ্রাফিক্সের কতটুকু ব্যবহার আছে। (আমি মনে করি কেউ যদি বলে হ্যা, এখানে গ্রাফিক্সের ব্যবহার করা হয়েছে,তাহলে তাকে কি বলে তা পরে বলব)
২। “নীল আমস্ট্রং নাকি চাদে গিয়ে আজান শুনতে পেয়েছেন” আপনার দাবির মধ্যেও আপনি দৃড় নই,এটা দিয়ে কিভাবে প্রমাণ পেশ করতে পারেন? অধিকন্তু এব্যাপারে আমি জানিনা তবে সে সফরে তিনি যে কা’বার অলৌকিকতা দেখেছে তা আমি শুনেছি। আপনি তা এই লিংক থেকে ডাউনলোড করুন।
৩। আমার যে কথা আপনি মার্ক করেছেন মূলত তা সংক্ষেপে অনুবাদ করা। লম্বা হয়ে যাবে তাই,আগের কথা সমূহের অনুবাদ করিনি। আপনি তা এই লিংক থেকে ডাউনলোড করুন http://www.ziddu.com/download/14092353/-2_5.flv.html
আর তা (সাক্ষাৎকারের অনুবাদ) হচ্ছেঃ- প্রশ্নঃ- বিজ্ঞান কি প্রমাণ করেছে/জেনেছে এই আয়াত সম্পর্কে(إقتربت الساعة وانشق القمر.القمر:1) ?
উত্তরঃ- আনুমানিক ১ বছর পূর্বে আমি ব্রিটেনের কার্ডিফ মেডিক্যাল ভার্সিটিতে লেকচার দিচ্ছিলাম সেখানে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীও উপস্থিত হয়েছিল। সেই লেকচারে কোরান কারীমের বিজ্ঞানময় দিক সম্পর্কে আলোছনা করছিলাম। আলোচনার মাঝে একজন মুসলমান দাড়িয়ে প্রশ্ন করে,স্যার এই আয়াত কি বিজ্ঞানের সাথে মিলে? তখন আমি বললাম,এর প্রয়োজন নেই। কারণ এগুলো মে’জেযা। আর বিজ্ঞান মে’জেযাকে বিশ্লেষন করার ক্ষমতা রাখেনা। অত’এব এই সমস্ত মে’জেযাসমূহ তাঁর নবুওয়্যাত ও রিসালাতের সাক্ষী হিসেবে সংঘটিত হয়েছে। অনুভবযোগ্য মে’জেযা শুধু মাত্র তাদের জন্য দলিল যারা তা দেখেছে,যদি সে মে’জেযা সমূহ কোরান-সুন্নাহ বর্ণনা না করতেন,তাহলে আমাদেরও (এই যোগের মুসলমানদের) তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা জরুরী নয়। আমরা তা বিশ্বাস করি শুধু মাত্র কোরান-হাদিসে এর বর্ণনা আসার কারণে। (আর হাদিসে আছে যে,নবী (স) এর কাছে হিজরতের ৫ বছর পূর্বে কুরাইশী কাফেরদের এক দল এসে বলল যে, হে মুহাম্মাদ! আপনি সত্য নবী এবং সত্য রাসূল হন তাহলে আমাদের এমন মু’জেযা দেখান যা আপনার নবুওয়্যাত এবং রেসালাতের সাক্ষী বহন করে। তারপর নবী (স) তাদের জিজ্ঞাসা করলেন,তোমরা কি চাও? (তারা এই ধারণা করে বলল যে,মুহাম্মাদ তা পারবেন না) বলল, আমাদের চন্দ্র বিদিরণ করে দেখান? তার নবী (স) আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন যেন তিনি তাঁকে এহেন মুহুর্তে অসম্মানিত না করে। অতপর আল্লাহর তাঁকে জানিয়ে দিলেন যেন চাঁদের দিকে ইশারা/ইঙ্গিত করে। তার চাঁদ দু’খন্ডে বিভক্ত হয়ে গেল। কিছুক্ষন আলাদা থাকার পর আবার জোড়া লেগে যায়। তারপর তারা বলল, মুহাম্মাদ আমাদের জাদু করেছে। তখন কিছু জ্ঞানী ব্যক্তি মনে মনে বললেন,জাদু সব মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেনা। অতপর তারা কাফেলার অপেক্ষায় ছিল। যখন কাফেলা আসল,তাদের জিজ্ঞাসা করা হল তোমরা কি চাঁদ কোন অস্বাভাবিক কিছু দেখছ? তখন তারা উত্তর দিল,হ্যা আমরা দেখেছি যে, অমুক তারিখ,অমুক সময়ে চাঁদকে দ্বিখন্ডিত হয় এবং কিছুক্ষণ পর তা জোড়া লেগে যায়। তারপর যাদের ঈমান আনার তারা ঈমান আনে,আর যাদের অস্বীকার করা ছিল তারা অস্বীকার করে। আর এব্যাপারে আল্লাহ তা’য়ালা এরশাদ করেন,
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ (1) وَإِنْ يَرَوْا آَيَةً يُعْرِضُوا وَيَقُولُوا سِحْرٌ مُسْتَمِرٌّ (2) وَكَذَّبُوا وَاتَّبَعُوا أَهْوَاءَهُمْ وَكُلُّ أَمْرٍ مُسْتَقِرٌّ (3) وَلَقَدْ جَاءَهُمْ مِنَ الْأَنْبَاءِ مَا فِيهِ مُزْدَجَرٌ (4) حِكْمَةٌ بَالِغَةٌ فَمَا تُغْنِ النُّذُرُ (5) فَتَوَلَّ عَنْهُمْ يَوْمَ يَدْعُ الدَّاعِ إِلَى شَيْءٍ نُكُرٍ
এই হাদিসটি রেওয়াত করেন কিবারে সাহাবাদের অন্যতম হযরত ইবনে মাসউদ (র)। এমন কি ঐতিহাসিকগণ ভারতের ইতিহাসেও তা উল্লেখ করেন।
আমি তাকে বললাম আমরা এই মু’জেযাকে এজন্য বিশ্বাস করি কারণ তা কোরান-হাদিসে রয়েছ। সাথে সাথে আমরা বিশ্বাস হচ্ছে অনুভবযোগ্য মে’জেযা শুধু মাত্র তাদের জন্য দলিল যা তা দেখেছে। আমার কথা শেষ করার পর ব্রিটেনের একজন মুসলিম দাড়াল এবং নিজের পরিচায় দিতে গিয়ে বলে,আমি দাউদ মুসা,ব্রিটেন মুসলিম দলের নেতা/ সভাপতি। আমি কি আপনার সাথে কিছু যোগ করব? আমি (নাজ্জার সাহেব) বললাম,হ্যাঁ বলুন। আমি তখন বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলাম। একজন মুসলমান সাথী থেকে কোরানের অনুবাদ নিলাম। তারপর নিয়ে যখন পড়ছিলাম,সর্বপ্রথম এই সূরা সম্পর্কে পড়ি এবং জানি। আমি যখন পড়লাম,কিয়ামত আসন্ন ও চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়েছে”। আমি মনে মনে বললাম,এটা কোন ধরণের কথা যে চন্দ্র একবার খন্ডিত হয়ে যাওয়ার পর আবার জোড়া লেগে যায়। এবং কোন পরাশক্তি এটা করতে পারে? এর পর আমি আমার কাজে ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আল্লাহ জানতেন আমি কতটুকু সত্য সন্ধানী ছিলাম। হঠাৎ একদিন টিভিতে সাক্ষাৎকার চলছে একজন সাংবাদিক ও তিনজন নবোযাত্রীদের মাঝে। সাংবাদিক তাদের প্রশ্ন করছিল, এই করুন মুহুর্তে আপনারা এত অর্থ ব্যয় করছেন কেন?এই অর্থগুলো যদি মানুষের সাহায্যে ব্যয় করতেন তাহলে কতি না ভাল হত? তখন(এস্ট্রোনাররা)বললেন যে,আমরা যদি এই প্রজেক্টে সফল হয় তাহলে এর দ্বারা মানব জিবনে অনেক উপকার সাধিত হবে যেমন,ডক্তারিতে,কারিগরীতে,কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষাতে। সাংবাদিক তাদের এই প্রজেক্টে কত খরছ হয়েছে তা জানতে চাইলে তারা উত্তর দেয় ১০ কোটি মিলিয়ন ডলার। তখন সাংবাদিক বলল,নিজ দেশের পতাকা ইড্ডিয়ন করার জন্য এত অর্থ ব্যয় করার কোন কি মানে হয়। অথচ সারা পৃথিবী এখন অনাহারে মরছে। তখন তারা উত্তার দিল,আমরা এত অর্থ ব্যয় করার পরও মানুষকে বাস্তবতা বিশ্বাস করানোর জন্য এর চেয়েও বেশী অর্থ ব্যয় করতে হতে পারে। তখন সাংবাদিক বলল, সে সত্যটা কি? তারা বলল,আমরা সেখানে গিয়ে এমন কিছু নিদর্শন দেখতে পেলাম যা দ্বারা প্রমাণিত হয় এই চাঁদটি একবার ফেটে ছিল,তারপর আবার জোড়া লাগে।
আমি আশ্চর্য হলাম এবং মনে মনে এটা তো ঐ মু’জেযা যা মুহাম্মাদের হাতে সংঘটিত হয়েছিল ১৪০০ বছর পূর্বে। আমেরিকানরা এত বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করছে মুসলমানদের ধর্মকে সত্য প্রমাণ করার জন্য। আমি আবার কোরান নিয়ে সুরাটি পড়ি এবং তা আমার ইসলাম গ্রহণের কারণ হয়”।
*** লেখার রেফারেন্স
১। কথাগুলো মুসা দাউদ নাজ্জার সাহেবকে ও উপস্থিত সভায় বলছেন।
২। নৌ-মুসলিমটা হচ্ছেন ব্রিটেন মুসলিম দলের সভাপতি মুসা দাউদ। (بيتكوك দিয়ে সার্চ দিলে আরো বিস্তারিত জানবেন)
আপনার দাবি আপনি এব্যাপারে অনেক অন্বেষন করেছেন কিন্তু পাননি। আমি তো জানিনা কিন্তু সত্য সন্ধানী হলে অবশ্যয় পেতেন। আর NASA এর অফিসিয়্যাল ওয়েব সাইটেও এই তথ্যগুলো প্রকাশিত হয়েছিল কিন্তু ২১ দিনের মাথায় তা তারা অপসারণ করে পেলে যেমন এই ভিডিওটি দেখলে জানতে পারবেন।
http://www.ziddu.com/download/14107290/.flv.html আর আপনি বলছেন আমি আপনাকে অপবাদ দিচ্ছি,আপনি কি এ প্রবাদ শুনেন নি,
كل إناء يترشح بما فيه অর্থাৎ পাত্রে যা থাকে তাই পড়ে। আপনার কথা দ্বারা কথা আমি বুঝতে পেরেই বলেছি। (বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখা যাওয়া সত্বেও) বাস্তবে যদি তা না হয় তাহলে,আমি দুঃখিত। সে ব্যাপারে আপনি আর খোদাই ভাল জানেন। আপনি স্বতন্ত্রভাবে একটি কলাম লিখে কি পরিচয় দিলেন? আমি আজ এমন বিষয়ে লিখতে চেয়েছিলাম যা সবার জন্য অপরিহার্য। তা আরো একদিন পিছিয়ে গেল। আপনার তাতে কি আসে যায়? প্রবাদ আছে,সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে প্রশ্ন করা। একটি স্পষ্ট,সংঘটিত,বাস্তব,সর্বোপরি ধর্মীয় একটি বিশ্বাস। এ ব্যাপারে আপনার এত মতানৈক্য কেন?
আমার রেফেরেন্সগুলো গ্রহণ নয় বলে উড়িয়ে দিলেন। আরবী কিংবা উর্দু পড়তে না পারলে যারা বুঝে তাদের কাছে যান। আল্লাহ নিজেই বলছেন, যদি তোমরা না জান,তাহলে যারা জানে তাদের প্রশ্ন কর। আপনি আরবী ও উর্দু ছাড়া কিভাবে ধর্মের গভীরে যেতে পারবেন? আরবী হওক বা ইংরেজীতে হওক তা বানাওয়াট প্রমাণিত হলে তা অগ্রহণযোগ্য। আমি আপনাকে (পরোক্ষভাবে সকলকে) انشقاق القمر serach করলে অনেক তথ্য পাবেন। (জাকির নায়েক কেন) হ্যাঁ, আমিই নিজেই শুনেছি NASA এর একজন সদস্যের কাছে। আপনি ড. সাহেবের এমন উক্তি দ্বারা যদি আপনার ভূল মত প্রমাণ করতে পারেন। তাহলে আমি একটি সত্য,প্রমাণিত (তাফসীর,হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থস দ্রষ্টব্য) এর সপক্ষে কোরান,হাদিস,বিজ্ঞান (জরুরী হিসেবে নয়) প্রমাণ পেশ করে প্রমাণ করতে পারবনা। এখন চিন্তা করুন আমার কথা দ্বারা মুসলমানরা কষ্ট পাবে না আপনার কথা দ্বারা? শেষ আপনি ইংরেজীতে হাদিস (হাদিস তো আরো ভাষায়) আবার কিজন্য এনেছেন কি জানে? আমি হাদিস দ্বারা প্রমাণ করেছি।
আপনার বক্তব্য তখন যথাযথ হত যখন আমি বললতাম বিজ্ঞান দ্বারা প্রামানিত চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়েছে। (কোরান হাদিসে এ ব্যাপারে কিছু নেই যেমন সেদিন উড়ন্ত গম্বুজ লেগে যায়। এটা বানাওয়াট যে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবেনা।)
অত’এব আপনার (পরোক্ষভাবে সকলের) প্রতি উদাত্ব আহবান যে,প্রথমে লেখককে বুঝুন তারপর (প্রশের আদব মেনে) প্রশ্ন করুন। নয়তো মুসলমান দিশেহারা হয়ে যাবে। এবং তাদের মঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হব।
এব্যাপারে পড়ুন
১। http://quraaninurdu.blogspot.com/2010/04/blog-post_07.html
২। http://www.freewebs.com/islamic-site/miracles/moon-split.html
৩। http://uiforum.uaeforum.org/showthread.php?6849-Splitting-of-the-moon
৫। http://www.facebook.com/topic.php?uid=171640304128&topic=12537
১। http://quraaninurdu.blogspot.com/2010/04/blog-post_07.html
২। http://www.freewebs.com/islamic-site/miracles/moon-split.html
৩। http://uiforum.uaeforum.org/showthread.php?6849-Splitting-of-the-moon
৫। http://www.facebook.com/topic.php?uid=171640304128&topic=1253
আপনার রেফারেন্স গুলিতে ছোখ বুলান। দেখুন কি ? ফেইচ বুক, ব্লগ স্পট আর ফ্রি ওয়েব এর রেফারেন্স। এগুলো সত্য হলে আপনি মুস্লিম রেসপন্স ডট কম কিংবা আন্সারিং খ্রিস্টানিটি (ইসলাম’স আনসার), এরা ছেড়ে কথা বলত না। আমি নিজেও এ ব্যাপারে নাস্তিকদের ছেড়ে কথা বলতাম না। একদম হাতে নাতে ধরিয়ে দিতাম। এই ব্লগে যারে বিজ্ঞানী কিংবা বিজ্ঞানের সাথে জরিত তাদের আহব্বান করব, এ ব্যাপারটি আপনাকে বুঝাতে।
যাইহোক, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলেছি, আমরা বিশ্বাস করি চাঁদ খন্ডিত হয়ে ছিল, এবং আমরা এ জন্য ই বিশ্বাস করি কারন আমরা দলিল দস্তাবেজে তা পাই। এর পক্ষে বই গুলি থেকে অনেক চাক্ষুশ সাক্ষী পাই।
এখন, আপনি বিজ্ঞানের নাম তুলেছেন। কিন্তু বিজ্ঞান থেকে কোন প্রমান ও দিতে পারেন নি। যে প্রমান দিয়েছেন, এতে বিজ্ঞানের কিছু আসে যায় না। তবে আগের চেয়ে ভাল হয়েছে যে একজনের নাম দিয়েছেন। মুসা দাউদ। তাও কিছুই হয় নি, কোন বিজ্ঞানীক কথা বার্তা কিছুই আসে নি। যাইহোক, বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যদি সরাসরি প্রমান থাকত, তাহলে ডাঃ জাকির নায়েক সহ, শক্তিশালী ইসলাম বিষয়ক জবাব মূলক সাইট গুলি ছেড়ে কথা বলত না।
আপনাকে একটি জিনিস বলি, একটি কৌশল আছে। কৌশল টি এ রকম, আগে মুসলিম সমাজে কিছু কুসংষ্কার চালিয়ে দিবে। ধরুন, নীল আমস্ট্রং এর কাহিনী। নীল আমস্ট্রং মুসলিম হয়েছে, এই মর্মে বিশ্বের হাজার হাজার ব্যাক্তিকে বিশ্বাস করানু। এর সাথে এও বিশ্বাস করানু যে সে চাদে আজান শুনতে পেয়েছে।
এখন ধরুন একটি শিশু, বড় হল এই বিশ্বাস নিয়ে যে নীল আমস্ট্রং মুসলিম হয়েছেন। হঠাত করে যানতে পারলো, আসলে তা মিথ্যা। সাথে সাথেই তার ইমান দুর্বল হয়ে যাবে। দুর্বল হতে হতে, কে জানে নাস্তিক ও হয়ে যেতে পারে।
এ সব ব্যাপার নিয়ে যদি কিছু ভুই ফুর সাইটের রেফারেন্স দিয়ে তর্ক করতে চান, আপনি পারবেন। আমাকে মিথ্যা অপবাদ ও দিতে পারবেন। ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ক্ষেপতেও পারবেন। কিন্তু একটু বুঝার চেষ্টা করুন, আপনার একটুকু ভুলের জন্য হাজার হাজার মানুষের ঈমান বিপদের মুখে পরবে।
আমি একদিন এই ব্যাপারটিই একটি ফোরামে তুলেছিলাম, সাইটের প্রমান সহ যে আজান শুনতে পেরেছে, তখন যারা ইসলাম বিষয়ক ব্যাপক জবাব দিহিতা করে, তারাই, বলেছিল, মানুষের দান খাবার জন্য কিছু ভুই ফুর সাইট ইসলামের নামে এ সব ছড়িয়েছে। আস্তে আস্তে ইসলাম বিদ্দেষী সম্প্রদায়ের সাথে যুক্তি করতে করতে বুঝতে পারলাম। শক্তিশালী রেফারেন্স ছাড়া এ সব দ্বাবী নিতান্তই ভয়ংকর। মানুষের ঈমান রিস্কে পরে যায়। ডাঃ জাকির ও এক বার বলেছিলেন, বিজ্ঞানের সাথে ইসলাম মিলাতে হলে অবশ্যই অবশ্যি সাইন্টিফিক ফ্যাক্টের সাথে মিলাবেন। আরশাফ আলী তানবী হুজুরের ও বড় ধরনের কথা ছিল এ ব্যাপারে।
কারনঃ বিজ্ঞান আজকে এই কথা বলে, কালকে আরেক কথা বলে
আজকের কথার সাথে ইসলামকে মিলালেন, কিন্তু কালকেই বিজ্ঞান তা ভুল বলে উঠল।
সাথে সাথে কিছু মানুষের ঈমান এই মর্মে আহত হবে যে তাহলে কি আল কুরানের আয়াত ভুল। তাই এ সব ব্যাপারে চরম সাবধান হতে হয়।
আপনি নিজেই দেখুন, ডাঃ নাজ্জি বা মুসা সাহেব উপযুক্ত রেফারেন্স দেখাতে পুরো পুরি ব্যর্থ হয়েছেন। ইভেন নভচারির নাম ও বলতে পারেন নি। তাই নির্ভর যোগ্য বক্তব্য ছাড়া আমি কিছুই বলতে পারতে ছি না। আমার চোখের সামনে অনেকেই নাস্তিক হল, তাই মানুষের এই ভুল গুলো আমাকে পুরায়। আমি বোধ হয়, ব্যাপার গুলি আপনাকে বুঝাতে পারবো না।
আমি পাঠকদের মধ্যে যারা বুঝেছেন, তাদের অনুরোধ করব, যেন সাজ্জাত ভাই কে তা বুঝিয়ে দেন। তিনি আমাকে প্রতি পক্ষ হিসাবে নিয়েছেন। তাই, আমি কিছু বুঝালেও তিনি বুঝবেন না।
ভাল থাকুন
রায়হান ভাই,
আপনার একটি লেখা ছিল মনে হয়, এ সব প্রপোগান্ডা নিয়ে। থাকলে উনাকে একটু লিংক দিবেন ?
@রাতদিন, পরস্পর আলোচনা চালিয়ে যান তাতে করে আমাদের অনেক উপকার হবে। তবে এক্ষেত্রে কাহারও প্রতি বিদ্ধেষ রাখা যাবেনা। কারণ আমরা সবাই মুসলিম ভাই ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
@রাতদিন,
রাতদিন এটাই তো সমস্যা নাস্তিকদের। ধর্মের স্বপক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক বা চাক্ষুশ প্রমাণ দেখালেই তাদের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। কারণ এখন তাদের তো ধর্ম গ্রহণে আর বাধা থাকেনা। এবং বাস্তবতা হল তারা ধর্মকেই বিশ্বাস করেনা। এত দূর কেন আসতে হচ্ছে, আরে যাদের এ চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করে দেখানো হয়েছে স্বয়ং তাদের অধিকাংশ ঈমান আনেনি। আর আমরা স্বপক্ষে (১০০% প্রমাণিত) কোন চাক্ষুশ প্রমাণ পাই তা দূর্বল হলেও গ্রহন করে ঈমান শক্ত করি। তার এ অর্থ না যে,সেই প্রমাণ ভূল ঈমান কমে যাবে,বরং তখন ঈমান আরো বাড়বে যদি প্রথমে সত্যিকার অর্থে বেড়েছিল। ঈমান এমন একটা বিষয় যা একবার বাড়ার পর তাতে উন্নতিই হতে থাকে। আর কোন কারণে কারো ঈমান যদি চলে যায় কিংবা দূর্বল হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন প্রথম দিকেই এর সে ঈমান গড়তে পারেনি। খেয়াল করুন,নবী (স) এর তিরোধানের পর মুরতাদ তারা হয়েছিল যারা প্রথম থেকে দূর্বল ঈমানদার ছিল। গ্রহনযোগ্য সাহাবাদের মধ্য থেকে কেঊ হননি?
যাহোক সে এক দীর্ঘ কথা।
আমি এখন বুঝতে পারছি আপনি কেন আমার বিপক্ষে গিয়েছেন (যদিও আমি আপনাকে বিপক্ষ মনে করিনা,আবার আপনি পরোক্ষভাবে না হলেও পত্যক্ষভাবে আমার বিরুদ্ধে তাই বিপক্ষ বলছি) নাস্তিকদের অপবাদমূলক দাবি থেকে বাচার জন্য। আপনাকে পরামর্শ দিই,আপনি তাদেরকে দাওয়াত দেওয়ার কাজ চেড়ে দিন বরং একজন আস্তিককেই বুঝান সে আপনার কথা না মানলেও অবশ্যই চিন্তা করবে। আর নাস্তিক সে চিন্তা তো দূরের কথা সে তার মতবাদ ছাড়া আর কারো কথা কানেও নেইনা। কারণ আল্লাহ ختم الله علي قلوبهم وعلي سمعهم وعلي أبصارهم غشاوة।
“হাজার হাজার মানুষের ঈমান বিপদের মুখে পরবে” এ ব্যাপারে বলব, আসলে সমস্যা হচ্ছে আমি এরকম মুসলমানের এখনো সামনা হয়নি যারা শুধু ঈমান আনে ইসলাম বিজ্ঞানের সাথে মিলে সেজন্য। তাই আমার এই লেখা। এখন আপনার কথা দ্বারা বুঝলাম এরকম “হাজার হাজার” ঈমানদার রয়েছে। তাদের জন্য কিন্তু আমার লেখা না। যদি এটা সত্যি হয় এব্যাপারে আমি আর লেখবনা। আসলে এদের ঈমান তো ভয়ংকর। কারণ ইসলামের অনেক মূলনীতি যাদের বিজ্ঞান তো দুরের কথা আক্বলেরও বিরধিতা করে। তখন সে যদি বিজ্ঞান খুজে আমি বলব “তুর মত সুবিধাবাজ মুসলমানের দরকার নাই”। ইসলাম অর্থ মানা তা জ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য হোক আর নাই হোক। হযরত আলী (র) ইসলাম যদি জ্ঞানের অনুকুলে হয়ে থাকত তাহলে মোজাতে মুসাহ করার সময় তার উপরিভাগ না করে নিম্ন ভগ মুসাহ করত।
“আজকের কথার সাথে ইসলামকে মিলালেন, কিন্তু কালকেই বিজ্ঞান তা ভুল বলে উঠল।” এব্যপারে বলব,সূর্য ও পৃথীবি ঘোরা নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছিল। তখন প্রথমে কোরানের মিল মতবাদের কথা বলা হয়েছে,পরে আবার তার বিপরীত মতবাদ এবং পরে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান কোরানেরই পক্ষ মতবাদ প্রমাণ করে। এখন লক্ষ করুন, যখন মতবাদটা কোরানের পক্ষে ছিল তখন তা কোরানে উল্লেখিত মতবাদের জন্য দলিল এবং প্লাস পয়েন্ট ছিল। আবার যখন বিপরীতটা হয় তখন মুফাসসির কেরামগণ এর জবাব প্রধান করতেন। সর্বোপরি বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিতভাবে কোরানের মতবাদকেই জুরালোভাবে প্রমাণ করে। এবার আমার ব্যাপারও এর সাথে মিলান। যে,আমরা কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য পেয়েছি (যা কেউ মানে আর কেউ মানে না)। তা এখন আমাদের পক্ষে। তাই তা আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট এবং দলিল। কিন্তু এর পূর্বে কারো মত ছিল,এটা তো হতে পারে যে,চন্দ্র খন্ডিত হয়ে,জোড়া লাগে। তখন আমাদের মুফাসসিরগণ তাদের শক্ত হস্তে তাড়িয়েছেন (তাফসিরে কাবির দ্রষ্টব্য)। এবং আমার ঈমান আর বিশ্বাস বিজ্ঞান অবশ্যই এ সত্যটা প্রতিষ্ঠিতভাবে প্রমাণ করে ছাড়বে। আর আমরা জানি প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান পরিবর্তন করেনা। আপনি যদি চিন্তা করেন য বিশ্বাস করেন,তাহলে দেখবেন এখন পর্যন্ত যে ইসলামের সত্যগুলো বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিতভাবে প্রমাণ করেছে,সেগুলো প্রথম থেকেই বলে আসছে। অর্থাৎ বাস্তবিকপক্ষে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের সাথে মিলে। কিন্তু কখনো তা প্রমাণ পেতে দেরী হয়।
এখন কথা হল আমি কি আপনার কথা বুঝিনি? ভাই আমি আপনার না বুঝলে কিভাবে এত দিন (যুদ্ধের মাধ্যমে) সম্পর্ক ছিল। আমি আপনার উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারেনি যা আজ বুঝতে পেরেছি। আমি জানিনা আপনি কোন কথাটি বুঝিনি বলছেন,(ক) আপনার কথা। না (খ) ইসলামকে বিজ্ঞান দিয়ে ব্যঝা যায়না এটা। উভয়টা সম্ভব নয়। কারন প্রথমটার ব্যাপারে উপরে বলেছি। আর (খ) এজন্য হতে পারে যে,এটাই তো আমার কথা। আর আমি কিভাবে আমার কথা বুঝবনা? এই ক্ষেত্রে আপনি কি বলছেন তা আপনি বুঝলেই হয়। (আদবের সাথে বলছি)।
ধন্যবাদ।
সাজ্জাদ ভাই,
রাগ করিয়েন না। আশা করি ভাল আছেন। আল্লাহ পাক আপনার ভাল করুন।
আপনাকে লাল গোলাপ, আপনার চেষ্টার জন্য।
এগিয়ে যান ইসলামের জন্য ।
@রাতদিন,
রাগ,হিংসা,ভয়
এ তিন থাকলে নয়।
আপনাকেও।
আমার লড়ায় ইসলামের জন্য এটা বুঝার জন্য আবারো আপনার লাল গোলাপ। আহ! আল্লাহ আপনি যদি দেখতেন।
আপনি কি আমাকে একটা সাহায্য করতে পারবেন? peace in islam এ কাওমী মাদ্রাসা পড়ুয়া (আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদা পূষণকারী) কত জন আছে তা জোগাড় করে দিতে পারবেন? কারণ তাদের নিয়ে একটি আন্দোলনে নামার ইচ্ছা আছে। দোয়া করবেন।
আসলে বিজ্ঞান সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানিনা, তবে কিছু কিছু বই লেকচার থেকে জানার চেষ্টা করতেছি। আপনাদের এধরনের লেখা আমাদেরকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
@মুসাফির,
ইসলাম আপনাকে যা দায়িত্ব অর্পন করেছে তা জানেন তো? এটাই যতেষ্ট। আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত তো?
সুন্দর তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ। সত্যস্বীকারে রাতদিন ভাই এর উদারতা দেখেও খুশী হলাম, তবে আমারও দুঃখ সময়ের অপচয়ের। রসুল পাক সাঃ এর একটা হাদিস মনে পড়ে গেল।”অপচয়কারী শয়তানের ভাই,যদিও তা অজুর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পানি হয়।”আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।আমিন।
@দেশী৪৩২,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
@সাজ্জাদ, thankyou very much.
Vhi ami anduloner jonno prostut. Vhi please forgive me ! Cause I have no personal Computer. I read “peaceinislam”website by Nokia 7610 mobile phone and send comment to English language.
@hafes_alamin,
বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ,আপনি এত কষ্ট করে আমাদের সঙ্গ দিচ্ছেন। আর আল্লাহ আপনাকে ভাল কাজ করার জন্য একটি কম্পিউটারের মালিক বানাক। আমীন
চমৎকার, অসাধারণ লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
@humaid,
ধন্যবাদ।