পৃথিবীর ধ্বংস The end of earth (৮)
লিখেছেন: ' সাজ্জাদ' @ বৃহস্পতিবার, মার্চ ১০, ২০১১ (৩:২০ পূর্বাহ্ণ)
৭। অধিক মাত্রায় ফিৎনা বেড়ে যাওয়া
এটাও কিয়ামতের অন্যতম নিদর্শন যেটি বর্তমানে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে এবং মানুষ বিভিন্ন ধরণের ফিৎনা বন্ধি হচ্ছে। তা হচ্ছে,
(ক) অবৈধ দৃষ্টির ফিৎনা যা বিভিন্ন স্যাটলাইট টিভি,চ্যানেল,পত্র-পত্রিকায়,ইন্টারনেটে,এবং মোবাইলে। অত’এব এগুলো এমন ফিৎনা যে ব্যক্তি এ ফিৎনাসমূহ থেকে বিরত থাকে আল্লাহর ভয়ে ও তাঁর সম্মানার্থে, আল্লাহ তাদের ঈমান দান করেন যার দ্বারা তারা হৃদয়ে প্রশান্তি পায়।
(খ) হারাম মাল-সম্পদের ফিৎনা, যেমনঃ- সুদের মাল,ঘোষের মাল,অবৈধ মাল তথা,মদ,অবৈধ পোষাক ইত্যাদি বিক্রির অর্থ।
অবৈধ ভক্ষনকারীর দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না বরং তাকে শাস্তির অঙ্গিকার করেছেন।
(গ) অবৈধ পোষাকের ফিৎনা চাই তা পুরুষের হওক বা মহিলার।
মানুষ অধিক হারে ফিৎনায় পতিত হবে এমন কি আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তিও তাদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
এখানে শব্দটি হচ্ছে,الفتن যা الفتنة এর বহুবচন। এর অর্থ পরিক্ষা এবং বিপদ-মসিবত। আর তা প্রত্যেক খারাপ বিষয় বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। আর নবী (স) ভবিষ্যত বাণী করেছেন অনেক বড় ফিৎনার আগম্ন সম্পর্কে যা দ্বারা পকৃত মুসলমানদের পরিক্ষা করা হবে। আর যখনই কোন ফিৎনা প্রকাশ পায় তখন মুমিন বলেনঃ- এটা আমাকে ধ্বংশ করে দিবে। তারপর তা থেকে রেহায় পায় এবং অন্য আরেকটি ফিৎনা প্রকাশ পায়।
بَادِرُوا بِالأَعْمَالِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يُصْبِحُ الرَّجُلُ مُؤْمِنًا وَيُمْسِى كَافِرًا أَوْ يُمْسِى مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كَافِرًا يَبِيعُ دِينَهُ بِعَرَضٍ مِنَ الدُّنْيَا
আবু হুরাইরা (র) থেকে বর্ণিত,নবী (স) এরশাদ করেন, ঐ ফিৎনা সমুহ প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে তোমরা তাড়াতাড়ি সৎ কাজ করে নাও,যা অন্ধাকার রাতের মত ছেয়ে ফেলবে। সকালে মানুষ ঈমানদার হবে আর বিকেলে কাফের, বিকেলে মু’মিন হবে সকালে কাফের। তারা দুনয়ার জন্য দ্বীনকে বিক্রি করবে।
হাদিসের অর্থঃ- উক্তি হাদিসে জলদি সৎ কাজসমূহ অপারগতা এবং তা থেকে বিরত থাকার পূর্বেই করে ফেলার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। যা এমন বেশী হবে যে,তা মানুষদের সৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে এবং তা রাতের চেয়েও অন্ধকার হবে।
সে ফিৎনাসমূহের এক ধরণের কঠোরতা বর্ণনা করে বলেন,দিনে মানুষ মু’মিন হবে আর রাত্রে কাফের অথবা তার বিপরীত। আর ফিৎনা বড় হওয়ার কারণেই এই ধরণের হয়ে থাকবে।
মূলতঃ তখন এমন হবে যে,দ্বীনের উপর ঠিকে থাকা এমন কষ্ঠ যেমন আগুনের টুকরা হাতে নিলে হয়।
আমীন। হ্যা। আবার সূরা কাহাফের শুরুর ১০ আয়াত নিয়মিত পড়লে দাজ্জালের ফিৎনা (যেটা সমস্ত ফিৎনার বস) থেকে আল্লাহ মুক্ত রাখবেন।
جزاك الله أحسن الجزا
@মুসাফির,
وجزاك الله أيضا
আপনাকে ধন্যবাদ চালিয়ে যান।