ইসলাম ও গণতন্ত্রের সরাসরি সংঘর্ষ : ‘ইসলামী গণতন্ত্র’ ধারনাটি একটি ধোঁকা বৈ কিছু নয়!
লিখেছেন: ' সালাহউদ্দীন' @ শুক্রবার, মে ৭, ২০১০ (১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ)
গণতন্ত্র একটি মতবাদ। অন্যসব মতবাদের ন্যায় গণতন্ত্রও মানব সভ্যতাকে অর্থবহ করতে চায়। মুসলমান হিসাবে মানবতার স্বার্থে আমরা এ মতবাদকে স্বাগত জানাব কিনা ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। সমাজতন্ত্রের অপমৃত্যুর পর বিশ্ব আজ গণতন্ত্র ও ইসলাম এ দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় ইসলামের শত্রুরা ইসলামের বিরুদ্ধে যে হাতিয়ারগুলো ব্যবহার করছে তার মধ্যে গণতন্ত্র একটি সুদূর প্রসারী ও স্বয়ংক্রিয় হাতিয়ার। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মুসলমান ধাপে ধাপে গনতান্ত্রিক আদর্শে উজ্জীবিত হয় এবং কুরআন-সুন্নাহর সিদ্ধান্ত বিসর্জন দেয়। এমতাবস্থায় কেউ যদি ইসলামের অনুকূলে গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করেন তাহলে ব্যাপারটি হবে হাস্যকর।
* গণতন্ত্রের সমর্থনে কুরআন ও হাদীসে কোন দলিল নেই। বরং বিপক্ষে অনেক আয়াত ও হাদীস রয়েছে। দেখুনঃ সুরা আন-আমঃ ১১৬, সুরা ইউসুফঃ ১০৩, ৩২, ৪৫, সুরা বাক্বারাঃ ২৪৯, সুরা নিসাঃ ৫৯, সুরা মায়েদাঃ ৪৪ এছাড়াও অসংখ্য হাদীস।
* গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা স্বপ্ন মাত্র।
* “ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সই মাপকাঠি, হোক সে অশিক্ষিত বা মানসিক রোগী কিম্বা অপরাধী” – ইসলাম এটি সমর্থন করেনা। ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে ইসলাম শুধু জ্ঞানকেই মাপকাঠি নির্ধারন করেছে। এখানেই গণতন্ত্রের সাথে ইসলামের বড় অমিল।
* নিজের জন্য ভোট প্রার্থনা করা ইসলাম সমর্থন করেনা।
* গণতান্ত্রিক সরকার নিজ খেয়ালখুশি মত আইন প্রনয়ন, পরিবর্তন, সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন সবই করতে পারে। যা জাতির জন্য ভয়াবহ রকমের অকল্যান বয়ে আনে।
* নৈতিকতার কোন বালাই নেই গণতন্ত্রে। জরায়ুর স্বাধীনতা, সমকামিতা কোন মতামতকেই বর্জন করতে বাধ্য নয় গনতন্ত্র।
* গনতান্ত্রিক বিশ্বাসে ধর্ম অবশ্যই রাজনীতি বিবর্জিত।
* গণতন্ত্রে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটে ।
* সমাজে জ্ঞানী ব্যাক্তির চেয়ে মূর্খ ব্যাক্তি সংখ্যায় বেশী, তাই ঢালাওভাবে সকলের মত গ্রহন করলে অযোগ্য লোকের ক্ষমতায় অধিষ্ঠত হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ তে ৯৯।
* অধিকাংশ ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার হতে পারেনা, যদিও প্রচার করা হয় “গনতান্ত্রিক সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার। ধরুন আমার দেশে ১০০ জন মানুষ। তিন জন প্রার্থী । নির্বাচনের ফলাফল হল একজন পেয়েছে ৪০ ভোট, দ্বিতীয় জন ৩৫ ভোট, তৃতীয়জন ২৫ ভোট। তাহলে গনতন্ত্রের বিচারে ৪০ ভোট যিনি পেয়েছে সেই নির্বাচিত। তাহলে সংখা গরিষ্ঠতা কোথায় ? ৪০ এর বিপরীতে যে ৬০। কাজেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্বয়ং গণতন্ত্রের বাস্তবতাও নেই।
ইসলাম ও গণতন্ত্র বিপরীতমুখী জীবনাদর্শ। গণতন্ত্র যেহেতু অধিক প্রচলিত এবং বর্তমান পৃথিবীর পরিচালকরা এটি পরিচালনা করেন, তাই এটির সাথে ইসলাম মেশালে ইসলামও শক্তিশালী হবে, অধিক প্রচলিত হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে-এই চিন্তা এবং কর্মকে বলা হচ্ছে হিকমত বা কৌশল। আমার প্রশ্ন ইসলাম কি এতই ফকির যে গণতন্ত্রের কাছে হাত পাততে হবে ?
তাই যারা ইসলামের সাথে গণতন্ত্রের সমন্বয় করতে চান তাদেরকে কিছু চিন্তার খোরাক দিলাম।
আপনার লেখাটি পীস-ইন-ইসলামের “ব্যবহারের শর্তাবলীর” বিরূদ্ব বিধায় লেখাটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়া হল। নিম্নে শর্তাবলীর কতিপয় অংশ তুলে দেয়া হল। ধন্যবাদ।
২.৪। লোকাল পলিটিক্স কিংবা ইলেকটেড গভর্মেন্ট বিষয়ে কোনো লেখা ।
২.৫। দেশের সার্বভৌমত্বের বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্হি কোনো লেখা ।
@| মডারেটর – পিস ইন ইসলাম ডট কম |,
এই লেখাটিতে “লোকাল পলিটিক্স কিংবা ইলেকটেড গভর্মেন্ট বিষয়ে” কোন কিছু তো পেলাম না। আর এটি
“দেশের সার্বভৌমত্বের বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্হি” কিভাবে হলো?
এখানে ইসলাম ও গণতন্ত্রের ব্যপারে generic আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো আমাদের জানা দরকার বলে মনে করি।
@রাশেদ, এখানে ইসলাম ও গণতন্ত্রের ব্যপারে generic আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো আমাদের জানা দরকার বলে মনে করি।
সহমত।
@রাশেদ,
সহমত।
আমারও মনে হয়না এখানে রাষ্ট্রের পরিপন্হি কিছু লিখা হয়েছে।
@| মডারেটর – পিস ইন ইসলাম ডট কম |, আমি আপনাদের শর্তাবলী মেনেই পোষ্টটি দিয়েছি। এখানে ইসলামের সাথে একটি মতবাদের সাংঘর্ষিকতা দেখিয়েছি মাত্র। বিবর্তনবাদ, ডারউইন তত্ত্ব এগুলোও তো মতবাদ, এর সাথে যদি ইসলামের সংঘর্ষ হয় তাহলে সেটা কি বলা যাবে না?
@| মডারেটর – পিস ইন ইসলাম ডট কম |,
আমার পোষ্টটি আবার প্রথম পাতায় দেওয়ায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জাযাকাল্লাহ খাইরান।
গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা স্বপ্ন মাত্র।
কথাটি ভাবনার বিষয়, আজ পর্যন্ত গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, এমন কোন নজীর তো দেখি না।
@মাহমুদ, Anonymous বলেছেন- আলজেরিয়াতে ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট ব্যাপক পপুলার ভোটে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও অগনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে এবং ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মিশরেও ইখওয়ানের রাজনীতি অগনতান্ত্রিক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গাযাতে ইসলামিক দল কে ভোট দেয়ার অপরাধে সেখানকার জনগনকে ৩ বছর ধরে অবরূদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এখানে কেউ মানবাধিকারের গল্প শুনায় না। কেউ জনগনের অধিকারের গল্পও শুনায় না।
@ রাশেদ, মাহমুদ ও সালাউদ্দিন, আমার মনে হয় ব্লগে পোস্টের আগে কমেন্টের আগে ভাল ভাবে চিন্তা করে নিবেন যা বলছেন বা পোস্ট করছেন তা আপনার নিজস্ব উপলব্দী গত কিনা? ধরে নিচ্ছি যেহেতু আপনারা বাংলায় ব্লগীং করছেন সেহেতু আপনারা বাংলাদেশী নাগরিক। আর প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিককে অবশ্যই বাংলাদেশের সংবিধানকে মান্য করে চলতে হবে নতুবা সে সংবিধান বিরোধীতার অপরাধে অপরাধী বলে গন্য হবে। আমাদের সংবিধানের চার রাষ্ট্রিয় মূলনীতির এক নীতি হলো গণতন্ত্র। কাজেই এই দেশের নাগরিক হওয়ার কারণে গণতন্ত্রকে অপ্রয়োজনী বলে সমালোচনা করার অধিকার নাই।
একটি কথা গণতন্ত্র মানব রচিত হলেও এটি এযাবৎ কালের প্রচলিত সব নীতির মধ্যে এটিই উত্তম। আপনাদের কাছে প্রশ্ন ইসলাম কি প্রগতিশীলতার অন্তরায় কোন পথ? জ্ঞান বিজ্ঞানের নব আবস্কারকে অস্বীকার করে? আপনাদের কাছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোনটি গ্রহণ যোগ্য ১, রাসুলের আমলের তপ্ত লোহার দাগ দেওয়া /বেদেদের দ্বারা সিংগা লাগানো না ২। বর্তমান সময়ের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি?
@মুনিম, “গণতন্ত্র মানব রচিত হলেও এটি এযাবৎ কালের প্রচলিত সব নীতির মধ্যে এটিই উত্তম।”
ভাই, আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। এযাবৎ কালের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নীতিটি ছিল ইসলামী খিলাফাত ব্যবস্থা এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যও সেটাই সবচেয়ে উত্তম। এটা প্রমানিত সত্য।
@সালাহউদ্দীন,
সহমত।
@সালাহউদ্দীন, সহমত।
@সালাহউদ্দীন,এযাবৎ কালের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নীতিটি ছিল ইসলামী খিলাফাত ব্যবস্থা এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যও সেটাই সবচেয়ে উত্তম। এটা প্রমানিত সত্য।
শুধু শুধু মূখে রাজা উজির মারলে কি আর কিছু হয় ? পারলে প্রমাণ সহ বিশদ ভাবে উল্লেখ করেন।
@মুনিম,
আচ্ছা আপনি যেহেতু আগে উল্লেখ করেছেন-
গণতন্ত্র মানব রচিত হলেও এটি এযাবৎ কালের প্রচলিত সব নীতির মধ্যে এটিই উত্তম।
এটি প্রমান করার দায়িত্ব আপনার, আর তারপর আমি ইনশাআল্লাহ প্রমান করবো -
এযাবৎ কালের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নীতিটি ছিল ইসলামী খিলাফাত ব্যবস্থা এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যও সেটাই সবচেয়ে উত্তম।
তাহলে আসুন শুরু করি…..
@সালাহউদ্দীন,আমি হার মানলাম। গণতন্ত্রকে এযাবৎ কালের প্রচলিত সব নীতির মধ্যে এটিই উত্তম প্রমাণ করতে পারলামনা। এবার বল আপনার কোর্টে জনাব সালাহ উদ্দিন। গাজী সালাহ উদ্দিনের মত জবাব পাবো এই আশায় রইলাম।
@মুনিম,
কিছু না লিখে, চেষ্টা না করে এত সহজেই হার মানলেন? আপনি যেহেতু প্রমান করতে ব্যর্থ হয়েছেন- গণতন্ত্র মানব রচিত হলেও এটি এযাবৎ কালের প্রচলিত সব নীতির মধ্যে এটিই উত্তম।
আপনি তাহলে অন্তত প্রমান করুন- ইসলামী খিলাফাত ব্যবস্থা অনুত্তম।
নাহলে আমি ধরে নেব- এযাবৎ কালের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নীতিটি ছিল ইসলামী খিলাফাত ব্যবস্থা এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যও সেটাই সবচেয়ে উত্তম।
@মুনিম, যেহেতু প্রশ্নগুলো রাশেদ, সালাউদ্দিন এবং আমাকে করা হয়েছে তাই আমার উত্তরটুকু দিচ্ছি-
আপনাদের কাছে প্রশ্ন ইসলাম কি প্রগতিশীলতার অন্তরায় কোন পথ?
না, কখনোই নয়। বরং ‘ইসলাম’-ই সবচাইতে প্রগতিশীল। এই জীবনব্যবস্থা সর্বকালের সর্বাধুনিক। ইসলামে কোন কিছুর ঘাটতি নেই যে মানব রচিত কিছু দিয়ে তা পুরণ করতে হবে।
জ্ঞান বিজ্ঞানের নব আবস্কারকে অস্বীকার করে?
না, তাতো করেই না, বরং ইসলাম জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করে। আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের ভিত্তি মুসলিমদের দ্বারাই রচিত।
আপনাদের কাছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোনটি গ্রহণ যোগ্য ১, রাসুলের আমলের তপ্ত লোহার দাগ দেওয়া /বেদেদের দ্বারা সিংগা লাগানো না ২। বর্তমান সময়ের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি?
আপনার মত জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে এরকম ছেলেমী প্রশ্ন আশা করিনি। আপনাকে প্রশ্ন করি, বর্তমান সময়ের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির বিপক্ষে ইসলাম কিছু বলেছে? আপনি কিসের সাথে কী তুলনা করলেন?
@মাহমুদ, না, কখনোই নয়। বরং ‘ইসলাম’-ই সবচাইতে প্রগতিশীল। এই জীবনব্যবস্থা সর্বকালের সর্বাধুনিক। ইসলামে কোন কিছুর ঘাটতি নেই যে মানব রচিত কিছু দিয়ে তা পুরণ করতে হবে।
আচ্ছা ভাই আপনি আমাকে একটি সমস্যার সমাধাণ ইসলামের আলোকে দেন। আমার এক বন্ধু ৫ বছর হলো বিবাহিত। উনার কোন সন্তান হয় নাই। ডাক্তারও বলে দিয়েছে যে উনার স্পার্ম মৃত। উনি পিতা হবার সম্ভবনা নাই। এদিকে ভাবী একটি বাচ্চার জন্য ব্যাকুল। আমাদের দেশের সামাজিক সমস্যার কারণে ভাবীরও বয়স ৩৩ পার হবার পর বিয়ে হয়েছিল। এখন ভাবীর বয়স ৩৮ বছর। সমাজ ও বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এখন ডিভোর্স নিতে রাজী নন। এখন মর্ডান সাইন্সের কল্যাণে ভাবীর ইচ্ছা যে অন্য কোন পুরুষের কাছ থেকে স্পার্ম নিয়ে মা হতে। এতে আমার বন্ধু মোটেই অরাজী নন। কিন্তু সমাজের অন্যরা এটি ইসলাম সম্মত নয় বলে মনে করছেন।
এখন তাদের এই অবস্থার একটি ইসলাম সম্মত সমাধাণ আপনার কাছ থেকে আশা করছি।
না, তাতো করেই না, বরং ইসলাম জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করে। আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের ভিত্তি মুসলিমদের দ্বারাই রচিত।
কথায় নয়। প্রমাণ করুন।
আপনার মত জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে এরকম ছেলেমী প্রশ্ন আশা করিনি। আপনাকে প্রশ্ন করি, বর্তমান সময়ের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির বিপক্ষে ইসলাম কিছু বলেছে? আপনি কিসের সাথে কী তুলনা করলেন?
প্রশ্ন না বুঝলে আবার প্রশ্ন করুন। এখানে এটি আপনার কাছে ছেলেমী মনে হলেও আমার কাছে সিরিয়াস বিষয়। এটি একটি ব্যাপক প্রশ্ন।
সেই সময়ে মানব প্রয়োজনের সর্বদিকে মানবের লব্ধজ্ঞান যে স্তরে ছিল আজ আর সে স্তরে নয়। রসুল স। যে জুতা পরতেন সেই জুতা বানানোর প্রযুক্তি আর এখনকার প্রযুক্তি যেমন সমান নয় বিধায় আমরা এখন আর সেই প্রযুক্তির জুতা পরিনা। ঠিক সেই ভাবে সেই সময়কার মানুষের জ্ঞানও পরিবেশ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রাসুল স। এর সময়ের রাষ্ট্র ব্যবস্থা এখন আর এই যুগে ইমপ্লিমেন্ট করা যাবেনা। এখন যুগের প্রয়োজনে যুগউপযোগী কিছু ইমপ্লিমেন্ট করতে তো হবেই।
একটি পয়েন্টে খেয়ালে রাখুন যেমন সে যুগের জুতা পরার যে উদ্দেশ্য ছিল এখনও প্রধাণত সেই উদ্দেশ্যে জুতা পরা হচ্ছে। তাহলে আমরা এই ঐতিহাসিক সত্য অনুভব করতে পারি যে, উদ্দেশ্য ঠিক রেখে পরিবর্তিত প্রযুক্তিকে মেনে নেওয়াই হচ্ছে জীবনের ধর্ম।
যে উদ্দেশ্যকে খেলাফত লালন করত। সেই উদ্দেশ্যকে বজায় রেখে খেলাফততন্ত্রকেও যুগ উপোযোগী করতে গণতন্ত্র নামক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া অনৈস্লামিক হতে পারে কি?
@মুনিম,
স্বাগতম। অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে।
মন্তব্য দেখে কিছু বুঝতে পারছি না। আসলে কি প্রমাণ করতে চাইছেন আপনি?
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্হা নয় কি?
@দ্য মুসলিম, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্হা নয় কি?
পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলতে কি বুঝেন দয়া করে বলবেন কি?
@মুনিম,
পুরোন একটা কৌশল।
যদি কারো প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগ হও বা উত্তর দিতে না চাও তখন আবার প্রশ্ন কর।
পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্হা বলতে আপনি যা বুঝেন সে বুঝের ভিত্তিতে বলুন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্হা এটা স্বীকার করেন কিনা?
উত্তর পেলে আমি উত্তর দেব।
@দ্য মুসলিম,অপরাগ নয়। আপনি আমার উত্তর গ্রহণ করতে পারবেন কিনা তা বুঝতে পারছিনা। আর সেটি বুঝার জনই জানতে চাই পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলতে কি বুঝেন?
@মুনিম,
খেলাফততন্ত্রকেও যুগ উপোযোগী করতে গণতন্ত্র নামক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া অনৈস্লামিক হতে পারে কি?
প্রথম কথা, গণতন্ত্র নির্দোষ প্রযুক্তি নয়।
দ্বিতীয় কথা, খেলাফতকে যুগ উপোযোগী করতে গণতন্ত্র নামক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজনই পড়ে না বরং গণতন্ত্রকে যুগ উপোযোগী করতে খেলাফতের সাহায্য নেওয়ার দরকার আছে। খেলাফত ব্যাবস্থা এমনিতেই সর্বাধুনিক। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে প্লেটো অ্যারিষ্টটলের হাত ধরে গণতন্ত্রের জন্ম। এইসব বস্তাপচা তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে আর যাই হোক ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
আপনি তো দেখছি ইসলামকে সেকেলে মনে করেন।
কেউ একজন দেশ ও গনতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন তাই বলতে হয়। আমাদের দেশে তো মদের লাইসেন্স আছে, প্রস্টিটিউটদের লাইসেন্স আছে, সংবিধানে এসব পাশের গেজেট আছে, তাই বলে এগুলোকে হালাল ভাবার কোন ছুরত ইসলামে আছে নাকি জানি না।
গনতান্ত্রিক ইসলামের বাস্তব রুপরেখা হল বর্তমান ইরান । একটি ভিডিও দেখেন এই ইরানের গনতান্ত্রিক সিস্টেমে পৃথীবির সবচাইতে বড় কনডম ফ্যাক্টরি তৈরি হয়েছে, আর তা শুধু মুতা বা লিভটুগেদারের বড় কদরের কারনেই।
এগুলোও তো সভ্য বিশ্বের ফসল, এবং কথিত ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সংবিধান ও রাস্ট্রিয় ব্যবস্থাপনা। রাস্ট্র মেনে চলতে হবে, তবে ” لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ করে নয়। আমি বলছি না যে তাই রাস্ট্রের সবাইকে মুরতাদ বলে হালাক করতে বোমা ফাটাবেন, কিংবা টুইন টাওয়ার হামলার মতো হামলে পরবেন। তবে রাস্ট্র যখন খোদাবিদ্রোহী আইন পাশ করায় তখন তা অন্যায় অবশ্যই বলতে হবে।
@বাংলা মৌলà¦à§€, à¦à¦¿à¦¡à¦¿à¦“ দেখà§à¦¨ à¦à¦–ানে
@????? ?????, Broken Font الحروف غير واضحة ـপড়া যাচ্ছে না । দয়া করে পুনরায় লিখুন
@বাংলা মৌলভী, আমাদের দেশে তো মদের লাইসেন্স আছে, প্রস্টিটিউটদের লাইসেন্স আছে, সংবিধানে এসব পাশের গেজেট আছে, তাই বলে এগুলোকে হালাল ভাবার কোন ছুরত ইসলামে আছে নাকি জানি না।
আমাদের মুনিম ভাই কি বলবেন যে- এই দেশের নাগরিক হওয়ার কারণে এগুলোকে অপ্রয়োজনী বলে সমালোচনা করার অধিকার নাই।
@সালাহউদ্দীন, মদের সাথে গণতন্ত্র!!!!! চমৎকার যুক্তি!!!! গণতন্ত্রের একটি মৌল নর্ম হলো সে কাউকে কোন কিছু তার অনিচ্ছাতে গ্রহণ করতে বাধ্য করেনা। যার ফ্রুটস আমরা মুসলমানরা নন মুসলিম দেশে ভাল নিচ্ছি ।সে মদ ও অন্য সব ব্যক্তিক ইচ্ছার উপর নির্ভর।
@মুনিম ভাই ,মদের সাথে গনতন্ত্র ! হ্যা তাই, কারণ শরীয়া যখন গনতন্ত্রকে হারাম বলবে এবং মদকেও হারাম বলবে তখন হারাম হওয়ার দিকথেকে এ দুয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না।
আমরা ননমুসলিম দেশে গনতান্ত্রিক ফায়দা নিচ্ছি বলা ভুল, বরং যে ফায়দা আমরা নিচ্ছি তার বেশী আমাদের গনতান্ত্রিক দেশগুলোতো তারা নিচ্ছে, আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তান আর আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মিশর সহ প্রভৃতি গনতান্ত্রিক দেশে ইসলামের সবচাইতে বড় অন্তরায় হল গনতন্ত্র। এবং গনতান্ত্রিক সিস্টেমটি এমন হওয়াতেই আমাদের লোকাল বিষয়গুলোর সমেঝতা আমরা করিনা বরং সাধারণ কোন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়েও কাফেরদের দরবারে হাজির হই। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইতে আমেরিকার হুকুম কি তা দেখতে হয়, ইরাকে সাদ্দামের ফাসিঁতেও তাই ছিল, আরো হাজারো উদহারন। নিজের বিকিয়ে দেয়াটা না দেখে আপনি কি পেলেন তা দেখতে যাওয়া ক্যামন ব্যাবসা তা বুঝে আসেনা।
আমরা যা পাচ্ছি তাও বা কতটুকো বলেন তো? এমেরিকায় কি কোন ইসলামিক রাজনৈতিক পার্টি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারে, না কোন সত্যিকার ধর্মীয় সংগঠন এখনো মিথ্যা সন্ত্রাসবাদের অপবাদ বহন করতে বাকি আছে? এমেরিকা কেন ইউরোপের কোন দেশটায় এমন আছে।
অনেক কথা রয়েগেল, (পাছে লোকে কি বলে এই ভয়ে!)
@বাংলা মৌলভী, আপনার আর আমার চিন্তা চেতনাগত আকাশ আর জমিনের মত ব্যবধাণ। আমরা কোন আলোচনায় এক হতে পারবোনা। অতএব আপনার মত আপনি ব্লগিং করতে থাকুন আর আমাকে আমার মত চলতে দিন। সালাম/শান্তি!
@মুনিম,ইয়া সালাম! লোকমা তো আমি প্রথমে দেই না, তাই সালামটা প্রথমে আমার দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ব্লগিং এর একটি ভাষ্য এমন যে, এর দ্বার দুই ধারাণার মানুষের মাঝে একটি সুন্দর পরিবেশে আলোচনা হতে পারে। তা না হলে তো যে যার পরিসরে নিজের চেতনা নিয়ে বাস করে তা নুতন কিছু নয়।
@বাংলা মৌলভী,
আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তান আর আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মিশর সহ প্রভৃতি গনতান্ত্রিক দেশে ইসলামের সবচাইতে বড় অন্তরায় হল গনতন্ত্র। এবং গনতান্ত্রিক সিস্টেমটি এমন হওয়াতেই আমাদের লোকাল বিষয়গুলোর সমেঝতা আমরা করিনা বরং সাধারণ কোন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়েও কাফেরদের দরবারে হাজির হই।
=> মিশর, আলজেরিয়ায় গনতনত্র, হাসবো না কাদবো বুঝতে পারতেছি না। আগে রাজনিতি বিজ্ঞান নিয়ে কিছু পড়াশুনা করুন। আমার প্রতি রাগ করবেন না। এরা সবাই একনায়ক তন্ত্রী ফ্যাসীবাদী সরকার। পাকিস্থাননেও গনতন্ত্র নেই, এটি বাংলাদেশের মানুষ হিসাবেই ভালই জানেন।
শুধু শুধু ঘৃনা করে লাভ নেই। নুতুন ঘৃনা বাড়াইবেন।
@ফুয়াদ, ইনফরমেশনাল মিসটেক বলতে চাইছেন না রিয়াল্লি ডেমোক্রাট চর্চা হয়না বলতে চাইছেন? আপনার সন্দেহের পরে তো আমি ওয়ান বাই ওয়ান আবারো দেখলাম এগুলোর সংঙ্গায় তো বলছে الجهورية বা রিপাবলিক বা প্রজাতান্ত্রিক দেশ এগুলো। মানে কথিত নির্বাচনও হয় তারপরো কেন সন্দেহ হচ্ছে তা বুঝতে পারলাম না।
আর যদি বলেন এগুলো নামে মাত্র গনতান্ত্রিক Reality of of The Democracy থেকে অনেক দূরে তবে আমার প্রশ্ন হলো এমেরিকা, ইন্ল্যান্ড তো সত্যিকার গনতন্ত্র কায়েম করেছে কিন্তু কই যারা যুদ্ধবিরোধী হয়ে ওবামাকে জিতালো তাদের চাওয়াকে গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকার কি পূরণ করতে পারলো?!
আপনার প্রথম পয়েন্টে আমিও একমত যে গনতন্ত্র হলো একটি আইওয়াশ মাত্র, যার কলকব্জা চালায় আমলারা এবং ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশিপের উপর নির্ভর করে একটি দেশের আমলারা কখনো গভমেন্ট নির্বাচিত করে, কিংবা নির্বাচিত গভ: এর উপর আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী বিলপাশ করায় যেমনটি কথিত গনতান্ত্রিক সকল দেশেই হ্চ্ছে।
@বাংলা মৌলভী,
গনতন্ত্র সকল সমস্যার সমাধান না। আর সরকার তার ভাল মন্দ দিক বিবেচনা করেই চলে। আর সরকারের কাজ যে জনগনের ইচ্চার প্রতিফলন না, সেটা আপনাকে কে বলল। গিয়ে দেখুন তারা এটিই চায়। মুখে যাই বলুক। সৃতিতে ভুল না হলে, যতদূর মনে পরে মাহথির মুহাম্মদ ও এর নিকট বর্তী কথাই একবার বলেছিলেন।
@মুনিম,
“গণতন্ত্রের একটি মৌল নর্ম হলো সে কাউকে কোন কিছু তার অনিচ্ছাতে গ্রহণ করতে বাধ্য করেনা।”
তার মানে মদ থাকবে, পতিতা থাকবে, প্রকাশ্যে পর্ণো ফিল্ম প্রদর্শিত হবে, সুদ থাকবে, জুয়া থাকবে…. কেউ ইচ্ছা হলে গ্রহন করবে, না হলে করবে না- গণতন্ত্র তো আর কাউকে বাধ্য করছেনা !
সে মদ ও অন্য সব ব্যক্তিক ইচ্ছার উপর নির্ভর।
তাইতো বলি- এই না হলে গণতন্ত্র !!!
@সালাহউদ্দীন, গনতন্ত্রের স্বাধীনতা কথিত ও আলীক। পৃথীবির সবচাইতে বড় গনতান্ত্রিক দেশ এমেরিকার সাধারণ জনগন মুসলিম বিরোধী যুদ্ধের পক্ষ হয়েই মুসলিম দরদী ওবামাকে ভোট দেয়, কিন্তু লাভের কি হল?
আবারো প্রমানিত হলো যে, গনতন্ত্র হলো ইহুদীদের এমন এক ফাদঁ যার মাধ্যমে তারা তাদের উদ্দেশ্য আদায় করে নেয় আর সাধারণ মানুষকে বোকা বানায়।
@বাংলা মৌলভী,
গনতন্ত্র হলো ইহুদীদের এমন এক ফাদঁ যার মাধ্যমে তারা তাদের উদ্দেশ্য আদায় করে নেয় আর সাধারণ মানুষকে বোকা বানায়।
১০০% সহমত।
@সালাহউদ্দীন, ভাই মুসলমানরা কি খুব দূর্বল? তারা হাতের নাগালে মদ মেয়ে দেখলে বিভ্রান্ত হয়ে যাবে বলে ঐগুলো থেক রক্ষা পাবার জন্য রাষ্ট্রিয় আইনের সহযোগীতার দরকার?
মুসলমানরা তো বিশ্বাস করে এই দুনিয়া একটি পরীক্ষার স্থান। তাহলে ঐসব জিনিস হাতের কাছে রেখেই পরীক্ষায় দিতে অসুবিধা কোথায়?
আর আপনিতো আমার উপরের প্রশ্নের উত্তর দিলেন না। যাই হোক এই কথা চালাচালির আগে আপনার সম্পর্কে একটু ধারণা দিবেন কি?
@বাংলা মৌলভী,
তবে রাস্ট্র যখন খোদাবিদ্রোহী আইন পাশ করায় তখন তা অন্যায় অবশ্যই বলতে হবে।
সহমত।
@বাংলা মৌলভী, ইরানে অবস্থিত পৃথিবীর সবচাইতে বড় কনডম ফ্যাক্টরি এই লিংকে-
http://www.youtube.com/watch?v=kCuCmrJhnTo&feature=PlayList&p=50B553EFB38DE7DF&playnext_from=PL&playnext=1&index=36
আসসালামু আলাইকুম,
খুব কষ্ট পেলাম মুনিম ভাইয়ের কথায়। এইখানে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেনি। যা করেছে তা হল নিচের হাদীসটি অনুযায়ী আমল।
We must obey the Muslim rulers in everything that does not entail disobedience to Allah, and we must refrain from rising up against them even if they fall short of what is expected from them. The Prophet (peace be upon him) said: “There will be rulers over you. You will agree with some of what they come with and reject some of it. Whoever rejects what must be rejected will maintain his innocence and whoever hates it will maintain his innocence. However, those who accept (what should be denied) and follow the ruler will be sinners.”
The Companions said: “O Messenger of Allah, shall we fight these rulers?”
He said: “No, as long as they pray.” [Sunan al-Tirmidhî]
আমাদের নিজেদের আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচাতে সালাহউদ্দিন ভাই গনতন্ত্রের সমালোচনা করেছেন মনে করি। উনি তো অস্ত্র নিয়ে নামতে বলেছেন বলে মনে হয়না। উপরের হাদীস থেকে পরিষ্কার না হলে বলবেন। চেষ্টা করব একটি লিখা দিতে।
আর হ্যা,শিয়াদের লিখাগুলো এখোনো প্রথম পাতায় দেখতে পাচ্ছি।বুঝতে পারলামনা। এরা কি এখন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছে?
এরা এমন যা তা লিখে পাড় পেয়ে যাচ্ছে আর আমরা কিছু বলছিনা।
ফি আমানিল্লাহ।
@আবু আয়শা,
আর হ্যা,শিয়াদের লিখাগুলো এখোনো প্রথম পাতায় দেখতে পাচ্ছি।বুঝতে পারলামনা। এরা কি এখন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছে?
এরা এমন যা তা লিখে পাড় পেয়ে যাচ্ছে আর আমরা কিছু বলছিনা।
চিন্তার বিষয়। কর্তৃপক্ষ রুলস পরিবর্তন করেছেন কিন কে জানে!
@আবু আয়শা, আপনাকে কষ্ট দেবার ইচ্ছায় এই কমেন্ট করিনাই। তদূপরি কষ্ট পেয়েছেন জেনে খুবই দূঃখিত!
পোস্টের মূল বিষয়বস্তুর সাথে একমত।
@সাদাত,
তবে সত্য কথাগুলোও সাবধানে, সতর্কতার সাথে বলতে হবে, যাতে কর্তৃপক্ষ কোন ঝামেলায় না পড়ে।
@সাদাত, আরে সাদাত ভাই আপনি ভালতো?
@সাদাত, জ্বী পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
আজকাল ব্লগিয় সূযোগ সুবিধায় মানুষ জন অনেক অনেক বিষয়ে আলোচনা করে থাকেন। এর মধ্যে গণতন্ত্র ও ইসলাম বিষয়ক আলোচনা হয়। তবে বেশীর ভাগ আলোচকের আলোচনা থেকে বুঝা যায় ঐ সব আলোচকের বর্তমান যুগ সম্পর্কে কোন বিজ্ঞান ভিত্তিক ধারণা লালন করেন না। বরং এক ধরণের অস্বাভাবিক মানসিকতায় আচ্ছন্নে ডুবে আছেন।
এ ধরণের একটি তাত্ত্বিক বিষয়ে সঠিক ধারণা লাভের পাঠকদের জন্য এ লেখটি দেয়া হল। লিখেছেন শাহ আব্দুল হান্নান, চিন্তাবিদ ও সাবেক সচিব। যারা গভীরভাবে বিষয়টি বুঝতে চান লেখাটি তাদের কাজে লাগবে আশা করি। ইসলামের প্রেক্ষিতে গণতন্ত্র
শাহ আব্দুল হান্নান
সুন্দর একটা লেখার জন্য সালাহউদ্দীন ভাইকে ধন্যবাদ।আপনার লেখার সমর্থনে আরো একটি তথ্য যুক্ত করতে চা্চ্ছি।
তা হচ্ছে, ভোট কিন্তু এক প্রকার সাক্ষ্য প্রদান।আর ইসলামে একজন পুরুষের সাক্ষ্য দুইজন মহিলার সাক্ষীর সমান। কিন্তু গনতন্ত্রে মহিলা পুরুষ উভয়ের সাক্ষী(ভোট) সমান।
ইটালিতে দুইবার নির্বাচন হয়।যে সকল প্রার্থী ৫০% এর উপর ভোট না পেয়ে বিজিত হয় সালাহউদ্দীন ভাইএর উদাহরনের মত।সে ক্ষেত্রে প্রথম ও ২য় স্হানএর নির্বাচিতদের মধ্যে পরবর্তী সপ্তাহে আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
@দেশী৪৩২,
গনতন্ত্রে মহিলা পুরুষ উভয়ের সাক্ষী(ভোট) সমান।
শুধু কি তাই, গণতন্ত্রে জ্ঞানী ও মূর্খের ভোট সমান সমান।
@সালাহউদ্দীন,
গণতন্ত্রে জ্ঞানী ও মূর্খের ভোট সমান সমান।
জ্বী জনাব, ইহাই গণতন্ত্র !
মুনিম ভাই, আপনি বললেন-
আচ্ছা ভাই আপনি আমাকে একটি সমস্যার সমাধাণ ইসলামের আলোকে দেন। আমার এক বন্ধু ৫ বছর হলো বিবাহিত। উনার কোন সন্তান হয় নাই। ডাক্তারও বলে দিয়েছে যে উনার স্পার্ম মৃত। উনি পিতা হবার সম্ভবনা নাই। এদিকে ভাবী একটি বাচ্চার জন্য ব্যাকুল। আমাদের দেশের সামাজিক সমস্যার কারণে ভাবীরও বয়স ৩৩ পার হবার পর বিয়ে হয়েছিল। এখন ভাবীর বয়স ৩৮ বছর। সমাজ ও বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এখন ডিভোর্স নিতে রাজী নন। এখন মর্ডান সাইন্সের কল্যাণে ভাবীর ইচ্ছা যে অন্য কোন পুরুষের কাছ থেকে স্পার্ম নিয়ে মা হতে। এতে আমার বন্ধু মোটেই অরাজী নন। কিন্তু সমাজের অন্যরা এটি ইসলাম সম্মত নয় বলে মনে করছেন।
এখন তাদের এই অবস্থার একটি ইসলাম সম্মত সমাধাণ আপনার কাছ থেকে আশা করছি।
যদিও এক্ষেত্রে আপনার বন্ধুর স্ত্রীর ডিভোর্স নেয়ার অধিকার ইসলাম দিয়েছে। আর স্পার্ম নেয়ার ক্ষেত্রে যেটি ইসলাম সম্মত নয় তার আবার ইসলাম সম্মত সমাধাণ কি করে আশা করেন?
আপনার প্রশ্নটি এরকম হল- আমি মদ খেতে ইচ্ছুক কিন্তু সমাজের অন্যরা এটি ইসলাম সম্মত নয় বলে মনে করছেন। এখন তাদের এই অবস্থার একটি ইসলাম সম্মত সমাধাণ আপনার কাছ থেকে আশা করছি।
@মাহমুদ, আপনার প্রশ্নটি এরকম হল- আমি মদ খেতে ইচ্ছুক কিন্তু সমাজের অন্যরা এটি ইসলাম সম্মত নয় বলে মনে করছেন। এখন তাদের এই অবস্থার একটি ইসলাম সম্মত সমাধাণ আপনার কাছ থেকে আশা করছি। সহমত
আর এটাই মুলত সমস্যা যে, আমরা হারামকে হালাল বানানোর সুরত খুজিঁ, “যারা না জেনে অন্যায় করে ফেলে এবং আল্লাহর নিকট থেকে ক্ষমা ভিক্ষা করে ” তাদের জন্য সেই পাপ মোচন হওয়ার সুযোগ আছে কিন্তু ” যারা অনবরত অন্যায় করতে থাকে” এবং অন্যায়কে ইসতেহলাল বা বা হালাল করার ঘৃন্য মানসিকতা রাখে তাদের জন্য তওবা নয়। আল্লাহ সবাইকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।
ইসলামকে তার নিজের জায়গা থেকে দেখতে হবে, ” আল্লাহ অন্যায়ের আদেশ দেন না” তবে কেউ পারিপার্শিকতা, অজ্ঞতা, বা ভূলক্রমে দৈবাত তাতে লিপ্ত হয়ে গেলে এবং সেটাকে অন্যায় ও ঘৃন্য যেনে মাফ চাইলে তবে তা মাফের সুযোগ আছে, কিন্তু মুসলিম হয়ে অন্যায়কে হালাল (তাও আবার কোরান-হাদীসের অপব্যাখা করে ) বানানোর অপপ্রয়াশ নিশ্চয় অত্যন্ত জঘন্য। শিয়া-রাফেজী ও সুন্নীদের মাঝে মুলত এই মৌলিক পার্থক্যটাই । সুন্নীদেরকেও দেখবেন ইরানী পতিতা ভাড়া করে মিডলইস্টের হোটেল-মোটেলে অবাধ … কিন্তু তাই বলে শিয়া সুচরিত্রের মানুষ কিন্তু ধর্মীয় ডকট্রিন দিয়ে অন্যায়কে হালাল বলার ও শরীয়তে জায়েজ আছে বলার ঘৃন্য মানসিকতা পাবেন না।
প্রসংঙ্গক্রমে বলতে হয় :
আমি ইরানী কালচারাল সেন্টারের একজন সম্মানিত অতিথির সাথে একরাত সময় যাপন করেছিলাম ওনার নাম হলো শেখ তক্বী, ইরানের একটি প্রখ্যাত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত অধ্যাপক এবং খোমেনীদের পরের সারির আলেম । আমাকে বল্লেন তুমি এখনো বিবাহ করোনি ? আমি বল্লাম না, তিনি বল্লেন আমাদের অবশ্যই রসূলের সুন্নাহ জীবিত করা উচিত, তিনি বহু-বিবাহ করেছেন, সাময়িক বিবাহের সুযোগ দিয়েছেন, এসব এখন আমাদের সমাজে মৃত সুন্নত আমাদেরকে এসব অবশ্যই জিন্দা করা উচিত………!