ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি।
লিখেছেন: ' সালাহউদ্দীন' @ শুক্রবার, মে ১৪, ২০১০ (৮:২২ পূর্বাহ্ণ)
ইসলামী রাষ্ট্র কিভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, এর পথ ও পদ্ধতি কী- এ নিয়ে গবেষনার অন্ত নেই। রাসুল স. এর মদীনা রাষ্ট্র গঠন থেকে হযরত মুয়াবিয়া রযি. -এর খিলাফাতকাল এবং পরবর্তীতে উমার বিন আব্দুল আজিজ রহ. -এর খিলাফাতকালের সময়টুকু ছাড়া আর কখনো কোথাও প্রকৃত অর্থে ইসলামী আইন পুর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর থাকেনি। ১৯২৪ সাল পর্যন্ত নামমাত্র খিলাফাত থাকলেও তা ছিল মুলত: বাদশাহী। সে খিলাফাত খলীফায়ে রাশেদা কতৃক পরিচালিত খিলাফাতের আদলে ছিলনা কিছুতেই।
এই যুগে অনেক ব্যাক্তি ও সংগঠন বিভিন্ন দেশে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ফর্মুলা ভুল থাকার কারনে উত্তর মিলছে না। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র- এইসব মানবরচিত কুফুরি মতবাদের গায়ে অনেকে ইসলামের লেবেল লাগিয়ে তাকে ইসলামীকরন করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানব রচিত মতবাদ দ্বারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার আশা করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, তা সময়ই বলে দেবে।
অনেক ইসলামী নেতাকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন-নির্বাচন করতে দেখে সাধারন মানুষ মনে করে এটাই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যকর পদ্ধতি। বিশেষ করে হকপন্থী আলিম-উলামগণ যখন এই পদ্ধতিকে অবলম্বন করে আন্দোলন করছেন, তখন আমরা যারা সাধারন জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ছি। আমি নিজেও অনেকদিন কনফিউশনে ছিলাম। একটি ইসলামী ছাত্র সংগঠনের তিনটি সাংগঠনিক স্তর অতিক্রম করার সুবাদে এবং হকপন্থী ইসলামী দলগুলোর উপরের সারির নেতাদের সাথে আলাপচারিতায় যা বুঝলাম- গণতন্ত্রকে তারা মানবরচিত কুফুরি মতবাদ হিসাবেই জানেন এবং বিশ্বাসও করেন যে এই পদ্ধতিতে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আদৌ সম্ভব নয়। তবে তারা হিকমতের কারনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন-নির্বাচন করছেন পাশাপাশি তাদের মূল লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে তথাকথিত একটি ইসলামী দলকেই দেখা গেছে ইসলাম আর গণতন্ত্রকে মাখামাখি করে ফেলতে। ‘১০০% হালাল মদ’- এর মত ‘ইসলামী গণতন্ত্র’ পরিভাষাটিও তাদের আবিষ্কার।
সাধারনত চারটি পদ্ধতিতে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তিত হয়। ১. গণতান্ত্রিক নির্বাচন ২. সামরিক অভ্যুত্থান ৩. সসশ্ত্র বিপ্লব ও ৪. গণবিপ্লব।
প্রথমটির মাধ্যমে তো ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার আশা করাই যায়না, দ্বিতীয়টির মাধ্যমে হয়ত কদাচিৎ সম্ভব আর তৃতীয়টি সকল পরিবেশ-পরিস্থতিতে কার্যকর নয়, এটি চরমপন্থা। গণবিপ্লব সংঘটিত হওয়ার জন্য রয়েছে চারটি ধাপ; গণসংযোগ > গণচেতনা > গণদাবী > গণঅভ্যুত্থান। অর্থ্যাৎ গণসংযোগের দ্বারা ইসলামী রাষ্ট্রের সুফল এবং এর প্রয়োজনীয়তা সকলের সামনে তুলে ধরে গণচেতনা তৈরি করতে হবে। একে গণদাবীতে রুপান্তর করার চেষ্টা করতে হবে। যত বেশী গণচেতনা তৈরি করা যাবে তত শীঘ্রই তা গণদাবীতে পরিণত হবে। তবে এখানে অধিকাংশ সাধারন জনগণের দাবী শর্ত নয়; শিক্ষিত মহল, জ্ঞানী-গুণীদের অধিকাংশের সমর্থন থাকাই যথেষ্ট। আর এভাবেই সম্ভব ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সফল গণঅভ্যুত্থান। আশা করা যায় এটিই হবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি।
ধন্যবাদ আপনাকে । আমার যেটা মনে হয় মানুষের আমল-আখলাক আগে পরিবর্তন করতে হবে । দেশের অধিকাংশ মুসলমান যদি শরীয়ত অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালিত না করে , তাহলে খেলাফত এসেও লাভ নেই । কেননা সেই খেলাফত হবে ক্ষনস্হায়ী ।
@হাফিজ,
আপনার প্রথম অংশের সাথে একমত অর্থ্যাৎ-
মানুষের আমল-আখলাক আগে পরিবর্তন করতে হবে ।
কিন্তু দ্বিতীয় অংশের সাথে একমত হতে পারলাম না।
দেশের অধিকাংশ মুসলমান যদি শরীয়ত অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালিত না করে , তাহলে খেলাফত এসেও লাভ নেই । কেননা সেই খেলাফত হবে ক্ষনস্হায়ী ।
দেশের অধিকাংশ মুসলমান শরীয়ত অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালিত করবে, এটা সম্ভব?
@সালাহউদ্দীন,
দেশের অধিকাংশ মুসলমান যদি শরীয়ত অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালিত না করে , তাহলে খেলাফত এসেও লাভ নেই । কেননা সেই খেলাফত হবে ক্ষনস্হায়ী ।
দেশের অধিকাংশ মুসলমান শরীয়ত অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালিত করবে, এটা সম্ভব?
দেশের অধিকাংশ মুসলমানগন যদি খেলাফত না চায়, তখন খলীফার পক্ষে ক্ষমতা পাওয়া সত্বেও দেশ চালানো কঠিন , সেই দৃষ্টিকোন থেকে বলা।
আচ্ছা, কোন নবী -রাসুল কি কখনো গণ-বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী খিলাফত কায়েম করেছিলেন? গণ-দাবী বলতে কত ভাগ জনগণের দাবী বুঝানো হয়?
@deshibhai007,
হ্যা, রাসূল স. গণ-বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন। গণ-দাবী বলতে আমি বুঝি অধিকাংশ সাধারন জনগণের দাবীও হতে পারে আবার অর্ধেকের কম জনগণের দাবীও হতে পারে তবে শিক্ষিত মহল, জ্ঞানী-গুণীদের অধিকাংশের দাবী থাকতে হবে।
@সালাহউদ্দীন,
হ্যা, রাসূল স. গণ-বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন।
ভাই একথাটা বুঝতে পারলাম না । মদীনা শরীফে কোনো বিপ্লবের মাধ্যমে “খেলাফত” কায়েম হয়েছিল একটু বুঝিয়ে বলবেন কি ?
@হাফিজ,
মদীনা রাষ্ট্র গঠনের ইতিহাসটা আমরা একটু দেখি-
১. রাসুল স. নবুয়ত লাভের পর তিন বছর গোপনে নিজ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মাঝে ইসলামের বাণী প্রচার শুরু করেন।
২. ইসলামের বাণী পৌঁছে দেয়ার জন্য রাসুল স. নিজ বংশীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সভা করেন; এই সভায় কেউই তাঁর আদর্শ মেনে নেয়নি, এ সভাতে একজনই ইসলাম গ্রহণ করে, তিনি হলেন আলী রযি.। ইসলাম গ্রহণকারী তৃতীয় ব্যক্তি ছিল নবীর অন্তরঙ্গ বন্ধূ আবু বকর রযি.। এভাবেই প্রথম পর্যায়ে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজ শুরু করেন। এই প্রচার ছিল সম্পূর্ণ গোপনে।
৩. তিন বছর গোপনে দাওয়াত দেয়ার পর রাসুল স. প্রকাশ্যে ইসলামের প্রচার শুরু করেন।
৪. এরপর যে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটে তা হল উমার ইবনুল খাত্তাবের ইসলাম গ্রহণ। আরব সমাজে উমার রযি.-এর বিশেষ প্রভাব থাকায় তার ইসলাম গ্রহণ ইসলাম প্রচারকে খানিকটা সহজ করে।
৫. এরপর একসময় নবীর চাচা হামযা রযি.ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণে আরবে মুসলিমদের আধিপত্য কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠিত হয়। মক্কায় মুসলিমদের উপর শুরু হয় কোরাইশ মুশরিকদের নির্যাতন।
৬. রাসুল স. মক্কায় ইসলামের প্রসারের ব্যাপরে অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েন। হতাশ হয়ে তিনি মক্কা বাদ দিয়ে এবার ইসলাম প্রচারের জন্য তায়েফ যান । কিন্তু সেখানে ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে তিনি চূড়ান্ত অপমান, ক্রোধ ও উপহাসের শিকার হন।
৭. ইতোমধ্যে মদীনার বেশকিছু লোক ইসলামের প্রতি উৎসাহী হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে। তারা মূলত হজ্জ্ব করতে এসে ইসলামে দাওয়াত পেয়েছিল।
৮. আকাবার শপথ অনুষ্ঠিত হয়।এর ফলেই মদীনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং একসময় মদীনার ১২ টি গোত্রের নেতারা একটি প্রতিনিধিদল প্রেরণের মাধ্যমে মুহাম্মাদ স. কে মদীনায় আসার আমন্ত্রণ জানায়।
৯. এই আমন্ত্রণে মুসলিমরা মক্কা থেকে হিজরত করে মদীনায় চলে যায়। সবশেষে মুহাম্মাদ স. ও আবু বকর রযি. ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদীনায় হিজরত করেন।
১০. হযরত স. এর আগমনের পর মুসলমানেরা ক্রমান্বয়ে চারদিক থেকে এসে মদীনায় জমায়েত হচ্ছিল। পূর্বের মতোই দাওয়াত বা গণসংযোগের কাজ জোরদার গতিতে চলতে থাকে।
১১. মক্কা থেকে যারা হিজরত করেছিল এবং মদিনার মুসলিমগণের মধ্যে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেতনা সৃষ্টি হয়।
১২. রাসুল স. কে রাষ্ট্রনায়ক করে মদীনায় একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবী ওঠে।
১৩. অত:পর মদীনার আনসার এবং মুহাজিরদের সমন্বয়ে একটি ক্ষুদ্রাকৃতির ইসলামী রাষ্ট্র গঠিত হয়। আর এটাকেই আমি ঐ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির বিপ্লব বলতে চেয়েছি।
অবশ্য চুড়ান্ত বিজয় আসে মক্কা বিজয়ের ফলে। হুদাইবিয়ার সন্ধির ফলেই প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছিল। কোরাইশগণ কতৃক হুদাইবিয়ার সন্ধি ভঙ্গ করার পর মক্কা আক্রমন মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।
@সালাহউদ্দীন, ভাই , কিছু মনে করবেন না , আপনি কি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ? দলের নাম না বললেও হবে ।
@হাফিজ, জ্বী সম্পৃক্ত, পোষ্টটিতেই তো উল্লেখ করেছি।
@সালাহউদ্দীন,
অবশ্য চুড়ান্ত বিজয় আসে মক্কা বিজয়ের ফলে।
সেটা মক্কা বিজয়ের ক্ষেত্রে সম্পর্কিত । মদিনা শরীফে ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠা হয়েছলি মক্কা শরীফ বিজয়ের আগে। সুতরাং এটা বলা যাবে না যে মক্কা শরীফ বিজয়ের আগে “মদিনা” শরীফের হুকুমত অসম্পূর্ন ছিল । ( আপনি এটা বলেননি, তবে অন্যরা যাতে ভুল না বুঝে তাই এটা উল্লেখ করলাম )
@হাফিজ, সহমত।
//গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র- এইসব মানবরচিত কুফুরি মতবাদের গায়ে অনেকে ইসলামের লেবেল লাগিয়ে তাকে ইসলামীকরন করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।//
গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র মানবরচিত তাতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু রাজতন্ত্রও কি মানবরচিত, আপনার ভাষায় কুফরী মতবাদ! এভাবে ঢালাওভাবে বিভ্রান্ত করবেন না দয়া করে।
أَمْ يَحْسُدُونَ النَّاسَ عَلَى مَا آتَاهُمُ اللّهُ مِن فَضْلِهِ فَقَدْ آتَيْنَآ آلَ إِبْرَاهِيمَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَآتَيْنَاهُم مُّلْكًا عَظِيمًا
নাকি যাকিছু আল্লাহ তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে দান করেছেন সে বিষয়ের জন্য মানুষকে হিংসা করে। অবশ্যই আমি ইব্রাহীমের বংশধরদেরকে কিতাব ও হেকমত দান করেছিলাম আর তাদেরকে দান করেছিলাম বিশাল রাজ্য। (সূরা নিসাঃ ৫৪)
দাউদ (আ) কে কি আল্লাহ রাজত্ব দান করেন নি? তারপুত্র সুলায়মান (আ) কি বিশাল রাজত্বের অধিকারী ছিলেন না? তাদের এই রাজতন্ত্র কি কুফরী মতবাদ?
وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ اللّهَ قَدْ بَعَثَ لَكُمْ طَالُوتَ مَلِكًا قَالُوَاْ أَنَّى يَكُونُ لَهُ الْمُلْكُ عَلَيْنَا وَنَحْنُ أَحَقُّ بِالْمُلْكِ مِنْهُ وَلَمْ يُؤْتَ سَعَةً مِّنَ الْمَالِ قَالَ إِنَّ اللّهَ اصْطَفَاهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُ بَسْطَةً فِي الْعِلْمِ وَالْجِسْمِ وَاللّهُ يُؤْتِي مُلْكَهُ مَن يَشَاء وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
আর তাদেরকে তাদের নবী বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তালূতকে তোমাদের জন্য বাদশাহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা বলতে লাগল তা কেমন করে হয় যে, তার শাসন চলবে আমাদের উপর। অথচ রাষ্ট্রক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তার চেয়ে আমাদেরই অধিকার বেশী। আর সে সম্পদের দিক দিয়েও সচ্ছল নয়। নবী বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তাকে পছন্দ করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও জ্ঞানের দিক দিয়ে প্রাচুর্য দান করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তাকেই রাজ্য দান করেন, যাকে ইচ্ছা। আর আল্লাহ হলেন অনুগ্রহ দানকারী এবং সব বিষয়ে অবগত। (সূরা বাকারাঃ ২৪৭)
আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেছেন তিনি যাকে খুশি রাজত্ব দান করেন। সুতরাং ইসলাম বিরোধী বা ইসলাম বিদ্বেষীদের প্ররোচনায় পরে রাজতন্ত্রকে কুফরী মতবাদ বলবেন না। রাজা যদি কুরআন এবং সুন্নাহ’র বিরোধীতা না করে, কুরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করে তাহলে সেই রাজতন্ত্রে কোনই সমস্যা নেই।
গণসংযোগ > গণচেতনা > গণদাবী > গণঅভ্যুত্থান = এই বিষয়ে ইসলামী শরীয়াহ থেকে উদাহরণ দিন। প্রমাণ করুন দলীল সহকারে যে এই পদ্ধতী কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী। শুধু আপনার মুখের কথায় কাজ হবে না। দলীল নিয়ে আসুন কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে তবে তাভীল করে আবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে বিকৃত ব্যাখ্যা দিবেন না যেন। ধন্যবাদ।
@manwithamission, আল্লাহতাআলার কোনো নবীকে রাজ্য দান করা আর “রাজতন্ত্র” দুটো কিন্তু এক নয় । “রাজতন্ত্র” বলতে বুঝায় “রাজা” মারা গেলে তার সন্তানের যোগ্যতা না থাকলেও সে রাজা হবে । অথচ ইসলামিক খেলাফত সিস্টেম হোলো যার যোগ্যতা থাকবে সেই খলীফা হবে , সে রাজার ছেলে হতেও পারে আবার নাও পারে ।
@manwithamission,
কিন্তু রাজতন্ত্রও কি মানবরচিত
অবশ্যই মানবরচিত।
@manwithamission,
…..আর তাদেরকে দান করেছিলাম বিশাল রাজ্য।
দাউদ (আ) কে কি আল্লাহ রাজত্ব দান করেন নি? তারপুত্র সুলায়মান (আ) কি বিশাল রাজত্বের অধিকারী ছিলেন না?
‘রাজতন্ত্র’ কি জিনিস? রাজার সন্তানের যোগ্যতা না থাকলেও সে রাজা হবে, রাজার আইনেই রাজ্য চলবে, কোনপ্রকার জবাবদিহীতা থাকবেনা, কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না, মোট কথা রাজা যা খুশি তাই করতে পারবে- এটাই রাজতন্ত্র। রাজা যদি শরিয়ত মোতাবেক চলেন ও রাজ্য চালান তখন সেটা খিলাফাতে রুপান্তরিত হয়ে যায়। তাই দাউদ (আ) ও সুলায়মান (আ)কে রাজা না বলে খলিফা বলা উচিত।
@manwithamission,
তাদের এই রাজতন্ত্র কি কুফরী মতবাদ?
তাদের ওটা রাজতন্ত্রই ছিলনা। তবে রাজতন্ত্র কুফরী মতবাদ।
@manwithamission,
রাজা যদি কুরআন এবং সুন্নাহ’র বিরোধীতা না করে, কুরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করে তাহলে সেই রাজতন্ত্রে কোনই সমস্যা নেই।
রাজা রাজা যদি কুরআন এবং সুন্নাহ’র বিরোধীতা না করে, কুরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করেন তখন সেটা রাজতন্ত্র থাকেনা, খিলাফাতে রুপান্তরিত হয়ে যায়।
@manwithamission,
গণসংযোগ > গণচেতনা > গণদাবী > গণঅভ্যুত্থান = এই বিষয়ে ইসলামী শরীয়াহ থেকে উদাহরণ দিন।
এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ রাসূল স. এর মদীনা রাষ্ট্র গঠন ও মক্কা বিজয়।
রাসুল স. এর মদীনা রাষ্ট্র গঠন থেকে হযরত মুয়াবিয়া রযি. -এর খিলাফাতকাল এবং পরবর্তীতে উমার বিন আব্দুল আজিজ রহ. -এর খিলাফাতকালের সময়টুকু ছাড়া আর কখনো কোথাও প্রকৃত অর্থে ইসলামী আইন পুর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর থাকেনি। ১৯২৪ সাল পর্যন্ত নামমাত্র খিলাফাত থাকলেও তা ছিল মুলত: বাদশাহী। সে খিলাফাত খলীফায়ে রাশেদা কতৃক পরিচালিত খিলাফাতের আদলে ছিলনা কিছুতেই।
একটা প্রশ্ন খোলাফায়ে রাশেদার বিরুদ্ধে যদি কেউ অস্ত্র ধরে তবে তাকে কি “(রা.)” বলা যায়। আপনাদের মত ইসলাম বিশেষজ্ঞ আমি নই। কিন্তু কিছু কিছু পড়াশুনা করি।
আমার মনে হয় সিফ্ফিনের যুদ্ধে মুয়াবিয়া হযরত আলী (ক.) এর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। খলিফার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার হুকুম কি?
আর তাছাড়া আপনার তো জানা উচিত যে, মুয়াবিয়াই খেলাফতকে রাজতন্ত্রে পরিণত করেছিল নিজের অযোগ্য মদখোর পুত্র ইয়াজিদকে খেলাফতে বসানোর মাধ্যমে।
উল্টা পাল্টা কথা লিখে ব্লগারদের মাথা খাবার চেষ্টা করেন না। এখন মানুষের চিন্তাধারায় পরিবর্তন এসেছে আগে ইসলামের কথা শুনলেই মাথা নত করতো কিন্তু এখন মানুষ আগে সে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে তার পর সেটা মেনে নেয়। অতএব, পোষ্ট দেয়ার আগে একবার ভেবে নিন। ধন্যবাদ
বাট শেষাংশের কথাগুলো ভাল লেগেছে। আইডিয়া খারাপ না। নিজেদেরকে সংশোধন করে আমরা যদি চেষ্টা করি তবে সম্ভব।
@parag,
আমার মনে হয় সিফ্ফিনের যুদ্ধে মুয়াবিয়া হযরত আলী (ক.) এর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। খলিফার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার হুকুম কি?
আর তাছাড়া আপনার তো জানা উচিত যে, মুয়াবিয়াই খেলাফতকে রাজতন্ত্রে পরিণত করেছিল নিজের অযোগ্য মদখোর পুত্র ইয়াজিদকে খেলাফতে বসানোর মাধ্যমে।
সাহাবীদের সম্বন্ধে কিছু বলার আগে “আকীদা” জেনে নিন এবং আল্লাহকে ভয় করুন । হযরত মোয়াবিয়া (রা:) ছিলেন কাতেবে ওহী , রসুলুল্লাহ ( সা:) যার জন্য দোয়া করেছিলেন । এত সহজেই সঠিক ইতিহাস না জেনে আপনি সমালোচনা করে ফেললেন ।
আপনি যেগুলো বলেছেন সেসব অভিযোগ শিয়ারা করে থাকে । নীচের বইগুলো পড়লে ইনশাল্লাহ আপনি সঠিক ইতিহাস জানতে পারবেন ।
১। ভুল সংশোধন – শামসুল হক ফরীদপুরী (রহ:)
২। ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মোয়াবিয়া (রা:) – তকী ওসমানি
৩। হযরত আমীর মোয়াবিয়া (রা:) – মুফতি আহমদ ইয়ার খান ।
@parag, আপনাকে আমি মনে হয় চিনে ফেলেছি। সামহয়্যার ব্লগে আলী-পরাগ নামের ব্যাক্তিটি যদি আপনি হন, যে কিনা শীয়া ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাড. দেয় তাহলে আপনাকে বলছি- এই বিভ্রান্ত শীয়ারা আবু বকর রযি. ও উমার রযি. কেও কাফির-মুরতাদ পর্যন্ত বলে তাকে। আর মুয়াবিয়া রযি. -কে তো তারা চরম শত্রু হিসেবেই মনে করে। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের হিদায়াত করুন।
@parag,
মুয়াবিয়াই খেলাফতকে রাজতন্ত্রে পরিণত করেছিল
এই গাজাখুরি ইতিহাস পেলেন কোথায়? অবশ্য আপনাদের ইতিহাসগ্রন্থে তো চটকদার সব জিনিস পাওয়া যায়। যার উপর ভিত্তি করে উপমহাদেশের এক ইসলামী চিন্তাবিদ(!) যিনি একটি তথাকথিত একটি ইসলামী দলের প্রতিষ্ঠাতা তার রচিত “খেলাফাত ওয়া মুলুকিয়াত” নামক বইতে হযরত উসমান রযি. ও হযরত মুয়াবিয়া রযি. কে চরম অপদস্ত করেছেন।
@সালাহউদ্দীন, সহমত ।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বিদা মতে- হযরত আলী রযি. এবং হযরত মুয়াবিয়া রযি. উভয়েই সঠিক পথে ছিলেন। সিফফীনের যুদ্ধে হযরত মুয়াবিয়া রযি.-এর পক্ষে আশারায়ে মুবাশশারা অর্থ্যাৎ সরাসরি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবাদের দুইজন ছিলেন এবং হযরত আলী রযি.-এর পক্ষে একজন ছিলেন। হযরত মুয়াবিয়া রযি. যদি সঠিক পথে নাই থাকতেন তবে উক্ত দুইজন তার পক্ষে থাকার কারনে তো তাদের জাহান্নামী হওয়ার কথা।
হযরত মুয়াবিয়া রযি. ছিলেন কাতেবে ওহী। তার ব্যাপারে নেতিবাচক ধারনা করলে পুরো কোরআনই সন্দেহযুক্ত হয়ে পড়ে। মুসলিম উম্মাহর প্রথম নৌ অভিযানের আমির হিসাবে তিনিও ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। তদুপরি রাসুল স. তার জন্য অনেক দোয়া করেছেন। রাসুল স.-এর দোয়া অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা কবুল করে থাকেন।
@সালাহউদ্দীন,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বিদা মতে- হযরত আলী রযি. এবং হযরত মুয়াবিয়া রযি. উভয়েই সঠিক পথে ছিলেন। সিফফীনের যুদ্ধে হযরত মুয়াবিয়া রযি.-এর পক্ষে আশারায়ে মুবাশশারা অর্থ্যাৎ সরাসরি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবাদের দুইজন ছিলেন এবং হযরত আলী রযি.-এর পক্ষে একজন ছিলেন। হযরত মুয়াবিয়া রযি. যদি সঠিক পথে নাই থাকতেন তবে উক্ত দুইজন তার পক্ষে থাকার কারনে তো তাদের জাহান্নামী হওয়ার কথা।
হযরত মুয়াবিয়া রযি. ছিলেন কাতেবে ওহী। তার ব্যাপারে নেতিবাচক ধারনা করলে পুরো কোরআনই সন্দেহযুক্ত হয়ে পড়ে। মুসলিম উম্মাহর প্রথম নৌ অভিযানের আমির হিসাবে তিনিও ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। তদুপরি রাসুল স. তার জন্য অনেক দোয়া করেছেন। রাসুল স.-এর দোয়া অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা কবুল করে থাকেন।
১০০% সহমত। সাহাবীদের প্রতি সুধারনা পোষন করা ইমানের অংগ ।
@সালাউডডিন ভাই – এখানে Steps in Preparing an Islamic State – বিসটারিটো লিখুন। ছোটো ছোটো পারা লিখুন। ওনেকেই সিরিআসলি সিরিআল মোনে রাখেন না।
@Fiqriyatu Fiddin,
জ্বী, Steps in Preparing an Islamic State-বিস্তারিত অচিরেই পোষ্ট আকারে দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
এই পোষ্টটি সহ কয়েকটি পোষ্ট হঠাৎ করেই প্রথম পৃষ্ঠা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কতৃপক্ষ বিনা নোটিশেই কেন এমনটি করলেন বুঝলাম না।