মজলিসে দাওয়াতুল হক : দ্বীনী শিক্ষা বিস্তারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি।
লিখেছেন: ' সালাহউদ্দীন' @ বৃহস্পতিবার, মে ২০, ২০১০ (৪:৪০ অপরাহ্ণ)
বর্তমান ফিৎনার যুগে বৈষয়িক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সমাজ ও জগতের ব্যাপারে সচেতন ব্যক্তিদের জন্য দ্বীনিয়াতের প্রাথমিক কিছু জ্ঞান মোটেও যথেষ্ট নয়। হযরত থানভী রহ.এর ভাষায়, “তাদেরকে আকায়েদ ও আহ্কামের ইলম মোটামুটি বুঝে-শুনে অর্জন করতে হবে এবং ইসলামের সৌন্দর্য, নিগুঢ় তত্ত্ব ও রহস্য এবং ইসলামী শিক্ষা ও নির্দেশনার সার্বজনীনতা ও চিরন্তনতার মজবুত ইলম অর্জন করতে হবে। যাতে শরীয়তের মাহাত্ম্য অন্তরে বদ্ধমূল হয়ে যায় এবং ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস মনমস্তিষ্কে এমনভাবে দৃঢ়মূল হয় যে, শত্রুদের নানামুখী অপপ্রচারের মুখেও তা বিপর্যস্ত হওয়ার আশংকা না থাকে।”
এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় যে, সাধারণ মানুষ ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত ভাইয়েরা দ্বীনিয়াতের উপরোক্ত জ্ঞান কীভাবে এবং কোথায় অর্জন করবেন এবং দ্বীনী দাওয়াতের মত দ্বীনী শিক্ষাকে ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর করার উপায় কী? অনেকের ধারণা, দ্বীনী ইলম শুধু বিশেষ সিলেবাস ও বিশেষ শিক্ষকদের অধীনে আরবী মাদ্রাসার গণ্ডির ভেতরে অবস্থান করে সুদীর্ঘ সময়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেই হাসিল করা যায়। আর যেহেতু সকলের পক্ষে মাদ্রাসার তালিবে ইলম হওয়া বা মাদ্রাসার চারদেয়ালের ভিতর আট দশ বছর সময় দেওয়া সম্ভব নয়, তাই তারা স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ইলমে দ্বীন তাদের কিসমতে নেই। আর বাকি জীবনটুকু জাহালতের মধ্যে কাটানোর ব্যাপারেও তারা সন্তুষ্ট হয়ে গেছেন।
এই ধারণা ও সিদ্ধান্ত দু’টোই ভুল। দ্বীনের প্রয়োজনীয় ইলম (যার প্রতি উপরে ইঙ্গিত করা হয়েছে) প্রত্যেক মুসলমান চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং দুনিয়াবী অন্যান্য ব্যস্ততার মধ্যেও অর্জন করতে পারে। ইসলামের প্রথম যুগের মুসলমানদের ইতিহাস এর জ্বলন্ত প্রমাণ।
আরবী মাদ্রাসার বিশেষ সিলেবাসভুক্ত পড়াশোনা হয়ে থাকে মুলত: দ্বীনী বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ও চূড়ান্ত পর্যায়ের ইলম অর্জনের জন্য এবং ‘আলেম’, ‘ফকীহ’, ‘মুহাদ্দিস’, ‘মুফাস্সির’ এবং শরীয়তের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরির উদ্দেশ্যে। কিন্তু সর্বসাধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ইলমে দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি কী হবে সে বিষয়ে আমাদের পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরাম এবং বুযুর্গানে দ্বীন উদাসীন ছিলেন না। প্রত্যেক মুসলিম কীভাবে দ্বীনের প্রয়োজনীয় ইলম অর্জন করতে পারে এবং কীভাবে দ্বীনী শিক্ষাকে ব্যাপকতর করা যায়- এ প্রসঙ্গে তাঁরা অনেক প্রস্তাব রেখে গেছেন।
আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগে হযরত হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রাহ. ‘হায়াতুল মুসলিমীন’, ‘ইসলাহে ইনকিলাবে উম্মত’ গ্রন্থে’ এবং দাওয়াত-তাবলীগ-তালীম বিষয়ে তাঁর বিভিন্ন ওয়াজ-বক্তৃতায় বেশ কিছু পন্থা ও কর্মসূচি উল্লেখ করেছেন। হযরতের শেষ জীবনে ‘মজলিসে দাওয়াতুল হক’ প্রতিষ্ঠিত হয় সেই খসড়া অনুযায়ী যা তিনি তাঁর বিভিন্ন পুস্তিকায় এবং তাঁর খলীফা হযরত মুহিউস্ সুন্নাহ মাওলানা আবরারুল হক হারদূঈ রাহ. ‘আশরাফুন নিযাম লিল-ইসলাহিল ‘আমি ওয়াত-তাম’ পুস্তিকায় উল্লেখ করেছেন। হযরত থানভী রহ. এর ইন্তিকালের পর তার খলিফাগণ ‘মজলিসে দাওয়াতুল হক’-এর কর্মসূচি চালু রাখেন।
হযরত মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. ১৯৮০ সন থেকে বাংলাদেশে কাজ শুরু করেন এবং আজ অবধি তা দ্বীনী শিক্ষা বিস্তারের একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। বর্তমান ‘মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ’-এর আমীর মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান (দা: বা:)।
‘মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ’ -এর ওয়েবসাইট www.dawatul-haq.com/
তাবলীগি জামাত এবং দাওয়াতুল হক্ব এর মধ্যে প্রার্থক্য কি?
উভয়ে কি একই পন্হায় কাজ করে?
@দ্য মুসলিম, উভয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রায় অভিন্ন তবে পদ্ধতিগত কিছু পার্থ্ক্য আছে।
আবরারুল হক(রহ.) এর জীবদ্দশায় দাওয়াতুল হকের কাজে কিছুটা গতি পরিলক্ষিত হচ্ছিল। বিশেষ করে অনেক মসজিদেই ‘এক মিনিটের মাদ্রাসা’ চালু হচ্ছিল। কিন্তু এখন কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
http://www.dawatul-haq.com/
সাইটটার মনে হয় সবে কাজ শুরু হয়েছে।
আল্লাহপাক সাইটটাকে সফল করুন, হেদায়েতের জরিয়া করুন। আ-মি–ন।
@সাদাত, হ্যা সাইটটার কাজ সবে শুরু হয়েছে।
ভাই আপনার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করতে পারি?
masrurdhaq@gmail.com