ধূমপানের কারণে এ বছর মৃত্যুবরণ করবে ৬০ লাখ মানুষ’
লিখেছেন: ' sayedalihasan' @ শুক্রবার, জুলাই ৮, ২০১১ (২:২৩ অপরাহ্ণ)
ধূমপানের কারণে চলতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করবে। আর এরমধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মারা যাবে প্রায় ৬ লাখ মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
এত মানুষের মৃত্যুর জন্য ডব্লিউএইচও বিশ্বের সরকারগুলোকে দায়ী করেছে। সংস্থাটি দাবি করছে, কোনো দেশের সরকারই জনগণকে ধূমপানবিমুখ করতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। একই সাথে পরোক্ষ ধূমপান ঠেকাতেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
যদিও ধূমপান শুরু করার অনেক বছর পর এর স্বাস্থ্যগত ক্ষতির দিক প্রকাশ পেতে থাকে তারপরও ধূমপানজনিত রোগ ও এরফলে মৃত্যু এখন মহামারীর রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
২০৩০ সাল নাগাদ ধূমপানের ফলে মৃতের সংখ্যা প্রতি বছরে ৮০ লাখে গিয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বিশ্বের আরও বেশি সংখ্যক দেশের সরকারকে এর তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে তা প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭২টি দেশ ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব টোবাকো কন্ট্রোল’ (এফসিটিসি) তে স্বাক্ষর করেছে।
ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে চলতি একবিংশ শতাব্দীতে তামাকের কারণে ১শ’ কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে যা বিগত শতাব্দীর দশগুণ।
বিংশ শতাব্দীতে তামাকজনিত কারণে দশ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ডব্লিউএইচও ধূমপান নিরোধে কয়েকটি রাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। এরমধ্যে উগান্ডা নিয়ম করেছে তামাকজাত দ্রব্যাদির প্যাকেটের আশিভাগ জুড়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা নির্দেশ করার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।
গত মাসে চীন জনসমাগমের স্থানগুলো যেমন হোটেল, রেস্তোরাঁ, বার ইত্যাদিতে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে।
এ পদক্ষেপগুলোকে উৎসাহজনক বললেও ডব্লিউএইচও-এর মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান এগুলোকে যথেষ্ট বলে স্বীকৃতি দেননি। তিনি বলেছেন, “রাষ্ট্রগুলোকে ধূমপান নিরোধে প্রয়োজনীয় আইন জারি করতে হবে এবং সেগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে”।
ডব্লিউএইচও ধূমপানকে ‘সভ্যতার ইতিহাসে জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি’ বলে চিহ্নিত করেছে।
ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হয়, এছাড়া অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগেরও কারণ ঘটায় ধূমপান। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগ রক্তসংবহনজনিত রোগ (স্ট্রোক) ও হৃদরোগের প্রধান কারণ ধূমপান।
প্রসঙ্গত, ৩১ মে ছিল বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস।
ধুমপান করার চেয়ে বিষ পান কর, ধুকে ধুকে মরার চেয়ে একেবারে মর। আসুন ধুমপান থেকে সবাই বিরত থাকি। আপনাকে ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ।
আপনাকে ধন্যবাদ।