লগইন রেজিস্ট্রেশন

মুসলমানদের শত্রু কে বা কারা, ১০০ জন মুসলমানের মধ্যে ১০০ জনই তা জানে না

লিখেছেন: ' sayedalihasan' @ বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৪, ২০১১ (৯:১৫ পূর্বাহ্ণ)

আমরা মুসলমান। কে বা কারা আমাদের শত্রু তা আমরা জানিনা। আমরা তা জানার জন্য চেষ্টাও করিনা। আমাদের মাতা-পিতারাও আমাদেরকে শিখান না কে বা কারা আমাদের শত্রু। অথচ ইয়াহুদী নাছারা, কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীনেরা তাদের সন্তানদেরকে জন্মের পরেই শিক্ষা দেয় তোমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে মুসলমানেরা। তাদের ব্যাপারে তোমরা সচেতন থাকবে। তাদের বিরোধিতায় সদা মশগুল থাকবে। তাদের মতের সাথে কখনো মত মিলাবে না। তাদের রসম রেওয়াজ কখনো পালন করবে না। তাদের ছিরত ছুরত গ্রহণ করবেনা। (নাঊযুবিল্লাহ)
প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ছিল তাদের সন্তান জন্ম নেয়ার পর তাদের শত্রুর পরিচয় বলে দেয়া। পৃথিবীর প্রায় ৩শ কোটি মুসলমানদের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান- আপনারা আজকেই আপনাদের সন্তানদেরকে বলে দিবেন, জানিয়ে দিবেন মুসলমানদের শত্রু কে বা কারা। মুসলমানদের সর্বপ্রথম শত্রু হচ্ছে ইবলিস। মহান আল্লাহ পাক সূরা বাক্বারা-এর ২০৮ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ তোমরা ইসলাম-এর মধ্যে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হও। আর তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।”
এরপর মুসলমানদের শত্রু হচ্ছে ইয়াহুদী ও মুশরিকেরা তথা বিধর্মীরা। এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এর সূরা মায়িদাহ-এর ৮২ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “আপনি অবশ্যই ইয়াহুদী ও মুশরিকদেরকে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন।”
অতএব প্রত্যেক মুসলমানদের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- তাদের সন্তানদের জানিয়ে দেয়া যে তোমরা কখনো ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশরিকদেরকে অনুসরণ করবে না। তাদের মতে মত, পথে পথ হবে না। তাদের ছিরত, ছুরত ধারণ করবেনা। তাদের রসম রেওয়াজ পালন করবে না। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এর উপর দৃঢ়চিত্ত বা ইস্তিকামত থাকবে। আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে আমাদের শত্রুদেরকে চিনা ও জানার তাওফীক দান করুন। আমীন।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১৭২ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৫.০০)

৩ টি মন্তব্য

  1. ভাই, তারা আমাদের শত্রু হবে কেন? এভাবে ভাবছেন না কেন যে তারা একটা বাগান যেখানে আপনি দাওয়াতের মাধ্যমে সুশোভিত করতে পারেন? রসুল (স) দাওয়াতের আগে কোন যুদ্ধ করেননি।

    sayedalihasan

    @Saifullah Mujaheed, হা ভাইজান, তাদেরকে দাওয়াত দিতে হবে। কিন্তু উল্ট তাদের যদি আমরা গ্রহণ করি তাহলে কি হবে ? তাই তাদের কে শত্রু ভেবে তাদের হেদায়েতের জন্য দোয়া করা এবং দাওয়াত দিতে থাকা। আর যদি তাদেরকে শত্রু না ভাবা হয় তাহলে তো তারা আমাদেরকে বিপথে পরিচালনা করবে। যেমন এখন বর্তমান চলছে। আপনি দাওয়াত দিবেন কি ? আমাদেরকেই উল্ট তাদের পোশাক, অভ্যাস, সর্বক্ষেত্রেই আমরা তাদের মুখাপেক্ষি। তাইনা ?

  2. ডালাও ভাবে এভাবে বলা আমার মনে হয় ঠিক না। এ ব্যাপারে আমার লেখা অমুসলিমদের সাথে মুসলিমদের মুসলিমদের কিরুপ আচরণ হওয়া চাই? তে আলোচনা করেছি। সূত্র