রজব মাসের রোযা রাখার ফযীলত
লিখেছেন: ' sayedalihasan' @ রবিবার, জুলাই ১৭, ২০১১ (১২:৫৩ অপরাহ্ণ)
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হারাম মাসে (যিলক্বদ, যিলহজ্জ, মুহররম ও রজব) তিন দিন রোযা রাখবে, তার জন্য নয় বৎসর ইবাদতের ছওয়াব লিখা হবে। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আরো বলেন, বর্ণনাটি আমি নিজ কানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি। বর্ণিত আছে, যারা রজব মাসে রোযা রাখে, তাদের গুনাহ মাফের জন্য ফেরেশতাকুল রজবের প্রথম জুমুয়ার রাত্রির শেষ তৃতীয়াংশে দোয়ায় মশগুল থাকেন। উল্লেখ্য, মাহে রমাদ্বান শরীফ ব্যতীত অন্যান্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সংখ্যক রোযা রাখা খাছ সুন্নত। শাওয়াল মাসে ৬টি, যিলহজ্জ মাসে ৯টি এবং অন্যান্য প্রতি মাসে ৩টি। সুতরাং, এ মাসে রোযার সুন্নতটি আদায় করতে হলে উত্তম ও আফযল হলো, পহেলা তারিখ, পহেলা জুমুয়ার তারিখ এবং সাতাশ তারিখের দিন রোযা রাখা। কারণ উক্ত দিন তিনটি অন্যান্য দিন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। যেমন বর্ণিত রয়েছে যে, রজবের পহেলা রাতটি দোয়া কবুলের খাছ রাত্রি, পহেলা জুমুয়ার রাতটি হচ্ছে রগায়িবের রাত্রি অর্থাৎ যে রাত্রিতে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মা আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফ-এ তাশরীফ নেন এবং সাতাশ তারিখের রাতটি হচ্ছে মিরাজ শরীফ-এর রাত্রি।