ইহুদী নাসারা তথা আমেরিকা ও ইউরোপ এর লজ্জা কবে হবে?
লিখেছেন: ' sbbd' @ মঙ্গলবার, জুলাই ২৬, ২০১১ (১২:০৬ অপরাহ্ণ)
আমেরিকা কোথায় না মাথা ঘামায়? যদি তা বিশেষ করে মুসলমানদের বিষয়ে বা দেশে হয়। আমাদের দেশে নারীদের মিরাছ এর ব্যাপারে তারা ও তাদের অনুচরেরা যে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে তা অনুধাবন করতে কোন মুসলমান এর বুজতে বাকি নাই। ইহা তো মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক ইহুদীর কাজেরই অনুসরনই মাত্র।
সম্প্রতি তাজিকাস্তানে সে দেশের নাস্তিক মার্কা সরকার এক নতুন নিয়ম চালু করেছে যে, আঠারো বছর বয়সের নিছে কোন শিশু বা যুবক দ্বীনি ইলম অর্জন করলে, বা মাসজিদে ইবাদতের জন্য গেলে তা সম্পুর্ন অন্যায় হিসাবে বিবেচিত হবে। এবং এর দ্বায় দ্বায়িত্ব সম্পুর্ন তার পিতা মাতার উপর বরতাও হবে। আমেরিকা এ কানুন এর সাথে একমত পোষন করে বলেছে যে, এই কানুন বাস্তবায়ন হওয়া সমিচিন এবং দরকার ও বটে। সব ব্যাপারে তাদের অবস্তান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্বে। মুসলমান কি ভাবে ইসলাম থেকে দূরে সরে যায় সেই চক্রান্ত। অন্য কিছু নয়। এজন্য যারা ইসলাম অনুযায়ী জীবন যাপন করেন, ইসলাম এর জন্য কথা বলেন, ইসলাম এর জন্য বাচেন, ইসলাম এর জন্য শাহাদাত বরণ করেন সবাই তাদের নজরে জংগী, সন্ত্রাস, বা (terorist) হিসাবে পরিচিত। ইসলাম তাদের কাছে অনুন্যয়ন,পশ্চাতধাবন এর মূল কারন। এ ব্যাপারে তারা মুসলমানদেরকে বিভিন্ন উপায়ে, অগনিত ভয়াবহ পদ্বতিতে বুঝানোর চেষ্টা করে যে, ধর্মের এরিয়া পেরুতে পারলেই আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন এর এরিয়া শুরু। আশ্চার্যজনক হলেও সত্য এবং দুঃখজনক হলেও বাস্তব যে তাদের এই বিষাক্ত ধোকায় অনেক মুসলমান পিতা মাতার সন্তানও ফেঁসে গেছে। এর থেকেও আশ্চার্যের বিষয় হলো বর্তমান সময়ের অনেক শিক্ষিত যুবকও এ ফাঁদে ফেঁসে গেছে। কারন তাদের কাছে উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ইসলামের অবদানের ইতিহাস অজানা।
ধর্মের এরিয়া থেকে পার হওয়াই যদি সফলতার চাবিকাঠি হয়। এবং এটাই যদি আমেরিকার স্লোগান হয় এবং তা মুসলমান সংখাগরিষ্ঠ দেশে বাস্তবায়নের জন্য মাতা ব্যাথা হয় আমেরিকার তাহলে সে দেশের এক শহরের কথা বলি। শহরের নাম আমিশ (amish) খ্রিষ্টান অধ্যূষিত এলাকা। প্রতিনিয়ত তারা ধর্মের সকল রীতিনীতি পালন করছে।তাদের নামাজ আদায় করছে। তাদের আরো যতো বিশ্বাস আছে সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে আমেরিকা নিজের দেশ হওয়া সত্বেও কোনরুপ হস্তক্ষেপ করছেনা।যার দ্বারা প্রমানিত হয় যে আমেরিকা ও তাদের নামধারী মুসলমান ও অমুসলমান অনুচরদের উদ্দেশ্য হলো শুধুমাত্র ইসলাম থেকে মুসলমানদেরকে দূরে সরানো।
তাদের আরো কিছু বিশ্বাস ও কাজের কথা নিচে দেওয়া হলো বিষয় স্পষ্ট হওয়ার জন্য।
১)বিদ্যুতকে বিশ্বাস করে না।
২)কোনরূপ এলকোহোল পান করে না।
৩)বিবাহের পূর্বে নারী ভোগ বৈধ নয়।
৪)নারীদের জন্য পর্দা করা ও শালীন পোষাক পরিধান করা ও মাথায় সাদা উড়না বাধা বিবাহিতাদের জন্য ও অবিবাহিতাদের জন্য কালো উড়না বাধ্যতা মূলক। তাদের চুল কাটা হারাম।
৫)কোনরুপ বীমা কে বিশ্বাস করে না।
৬)গাড়ী ব্যাবহার করে না,মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ নিষেধ।
৭)টেলিফোন,মোবাইল ব্যাবহার করে না।
৮)গান মিউজিক হারাম
৯)ছবি তোলা হারাম
১০)পুরূষদের দাড়ী কাটা হারাম। ইত্যাদি
সব থেকে বড় কথা হলো, যে এই সমস্ত নিয়মনীতি না মানবে তার জন্য বড় কঠিন ব্যাবস্তা আছে। এমন কি স্বামী স্ত্রী মাঝে কথা বলা ও নিষেধ।
এরপর ও যদি মুসলমানগন তাদের চক্রান্ত থেকে সচেতন না হন বা না করেন তবে নিজের ক্ষতি নিজেই করলেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক পথ চিনে তার কাছে পৌছানোর তৌফিক দান করুন। আমীন।
সরল মনে টেম্পু চালায়, আমরা বললেই হরতাল।
@রাসেল আহমেদ,جزاك الله خيراً على متابعة موقع المراجع،شكراً لك أخي الحبيب
পড়ে খুব ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ।
@habib008, جزاك الله خيراً على إعطاء خير الأرى، ونريد منكم الدعاء على حسن الكتابة وإستمرار ها
++