তাসলিমা নাসরিনের মুক্তমনার প্যাকেজ
লিখেছেন: ' Selim Al Din' @ সোমবার, নভেম্বর ১৭, ২০১৪ (৪:৫১ অপরাহ্ণ)
আপনাকে এই প্যাকেজ নিতে হলে যা যা করা লাগবে তা নিন্মরুপঃ
১) আপনাকে অবশ্যই এন্টি ইসলামিক হতে হবে।
২) তাসলিমার কাছে অশ্লিলতার ৩ মাসের কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে।
৩) নিজেকে কট্টর মুক্তমনা দাবি করতে হবে।
৪) যোনাঙ্গের স্বাধীনতা চাইতে হবে।
৫) পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান করতে হবে।
৬) ধর্মের বিরুদ্ধে অশ্লিল বাক্যলাপের স্বাধীনতা চাইতে হবে।
৭) আপনাকে কুরআন-হাদিস (তাদের বিকৃত ব্যাখ্যা) জানা লাগবে।
৮) ফ্রি থিংকার প্রমাণ করার জন্য তাসলিমার মত হাজারটা পুরুষের ফ্লাটে যাওয়া লাগবে।
৯) সমাজের সংষ্কৃতিকে মেনে নিতে হবে এবং তা উৎযাপন করতে হবে।
১০) ইসলামী সংষ্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
১১) প্রতিদিন রেষ্টুরেন্ট-এ ৫০,০০০ মোরগ জবাই হলেও কুরবানীর বিরোধীতা করতে হবে।
১২) নিজেকে প্রগতির সপক্ষের শক্তি হিসেবে আত্নপ্রকাশ কারাতে হবে।
১৩) নিজের মতামত সঠিক বাকি সবার মতবাদ ভুল প্রমাণ করতে হবে।
১৪) ইসলাম পৃথিবীর বুক থেকে মিটে যাক এই আশা অন্তরে লালন করতে হবে।
১৫) নবী-রাসূল, আল্লাহ কে গালিগালাজ করতে হবে।
১৬) ভিন্নমতালম্বীদের ছাগু, ব্রেইন ওয়াস ট্যাগ লাগাতে হবে।
আপনি যদি উক্ত প্যাকেজের সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন করতে পারেন, তবে ইউরোপ-আমেরিকায় পাচ্ছেন আজীবনের জন্য ফ্রি থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা। যদি তা নাও পারেন তবুও আপনার জন্য রয়েছে তাদের আশির্বাদ।
তাসলিমা নাসরিন তার লেখায় বলেছে- মেয়েরা হিজাব করলে তাদের চেনা যায় না। তারা তো সন্ত্রাসীও হতে পারে? তাই চেনার সুবিদার্থে তাদের পর্দা করা যাবে না।
লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/nasreen.taslima/posts/552185778259218
আমার কথা হল- তোমাদের থেকে আমাদের সভ্যতা শিখতে হবে না। সন্ত্রাস কিভাবে দমন করতে হবে এটাও শিখতে হবে না। কারণ আমরা মুসলিমরা বিগত ১৩০০ বছর পৃথিবী শাষণ করেছি। আমরা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে সন্ত্রাস মুক্ত রাখতে হয়। ১৩০০ বছর ধরে মুসলিম মেয়েরা হিজাব করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে। যদি হিজাবে সমস্যা থাকত তবে ১৩০০ বছর এটা চালু রাখা সম্ভব হত না। বর্তমানে সৌদি আরব, ইরানের মেয়েরা হিজাব করে কলেজ-ভার্সিটিতে যাই। তাদের তো সমস্যা হয় না? নাকি সেই দেশে সন্ত্রাস নাই? আচ্ছা যদি হিজাব নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে কি সন্ত্রাস নির্মূল হয়ে যাবে? মেয়েদের টিজ করা বন্ধ হয়ে যাবে? তাহলে আমি তাসলিমা সহ ওদের আদর্শিক গুরুদের চ্যালেঞ্জ করলাম যে, এমন একটা সভ্যতা দেখাক যেখানে হিজাব নিষিদ্ধ এবং সেখানে ধর্ষণের ঘটনা নেই। বরং পৃথিবীতে সবথেকে কম ধর্ষণ হয় যে দেশে সেটা হল সৌদি আরব। কারণ সৌদি আরবের লোকেরা ইসলামের হিজাব কে গ্রহণ করেছে। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা নাস্তিকরা কোন দিনই করতে পারবে না। কারণ তারা যে মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে আছে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে তা শেকড় সহ উপড়ে যাবে।
নাস্তিকরা নিজেদের মুক্তমনা দাবি করলেও আসলে যে তারা হীনমনা তা যেকোন চিন্তাশীল ব্যাক্তি মাত্রই বুঝতে পারবেন। কারণ মুক্তমনা বিষয়টি এরকম যে ১ জনের সিদ্ধান্ত সবার উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া? তারা নিজেদের অন্তরের খায়েস মত হিজাব করেনা। অর্থাৎ তাদের যুক্তিতে এটা করা যাবে না। এটা যদি তাদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা হয়, তাহলে যেসকল মেয়েরা হিজাব করে এটা কেন তাদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা হবে না? যদি নাস্তিকদের হিজাব না করে ব্লু জিন্স পড়ার স্বাধীনতা থাকে তাহলে মুসলিম মেয়েদের কেন হিজাব করার স্বাধীনতা থাকবে না? তারা নিজেদের চিন্তা-চেতনায় টপসকে সঠিক বলে মেনে নিলে যদি সেটা বৈধ হয়, তাহলে মুসলিম মেয়েরা নিজেদের চিন্তা-চেতনায় হিজাব কে মেনে নিলে কেন সেটা বৈধ হবে না?
তাহলে বুঝা গেল যে, নাস্তিকরা মুক্তচিন্তা করে ব্লু জিন্স আর টপস পড়লে সেটা ব্যাক্তি স্বাধীনতা কিন্তু মুসলিম মেয়েরা মুক্তচিন্তা করে হিজাব করলে সেখানে ব্যাক্তি স্বাধীনতার অবকাশ নেই। নাস্তিকেরা যে কতটা নিচু মানষিকতার ও কতটা বদ্ধমতা তা স্পষ্ট হল।
ব্যাক্তি স্বাধীনতা মানে এই নয় যে, ১ জন চোর বলবে আমার চুরি করার স্বাধীনতা থাকা উচিত! ব্যাক্তি স্বাধীনতা মানে এই নয় যে, একজন ধর্ষক বলুক আমার ধর্ষণ করার অধিকার থাকা উচিত! ব্যাক্তি স্বাধীনতা মানে এই নয় যে, একজন তাসলিমা বলুক আমার যৌনাঙ্গের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
তাসলিমা এখানে যা করছে তা হল- লেজকাটা শেয়ালের গল্পের মত। নিজে যখন নিজের সমস্ত সম্মান, ইজ্জত ও আত্নমর্যাদা সবকিছু বিকিয়েছে তখন সে চাচ্ছে তার মত অন্য সবাই যেন নিজেদের সম্মান, ইজ্জত ও আত্নমর্যাদা বিকিয়ে দিক।
তাসলিমা নাসরিন এতটাই বিকৃত চিন্তার অধিকারিনী যে, সে বিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তার মতে গোটা পৃথিবীটা হল একটা পতিতালয় আর যার যখন প্রয়োজন তখন পছুন্দের পার্টনারের সাথে নির্জনবাস করবে। তার মতে সমকামিতাও বৈধ। যদি পৃথিবীতে পরিবার সিস্টেম ভেঙ্গে পড়ে তবে গোটা পৃথিবীটা জারজ সন্তানে ভরে যাবে। পৃথিবীতে জারজের জয় জয়কার হবে। যে পৃথিবীতে পিতার ভালবাসা বলে কিছু থাকবে না। মা যদি গরিব হয় তবে সন্তান প্রসবের পর আপনার দেখাশোনার জন্য কেউ থাকলো না। আর তার মতে সন্তান নেওয়ারই বা কি দরকার। পশুর মত জীবন পেলেই খুশি। মানুষ যদি পশু না হয় তবে কেন তার পশু জীবন পছুন্দ হবে? এরা কারা যে সভ্য মানুষকে পশু বানাতে চাই? অথচ প্রত্যেক দেশের গভর্ণমেন্ট এদের প্রটেকশন দিচ্ছে। অথচ তাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাতেও এমন আইন নেই।
এরা এতটাই উষ্কানীমূলক কথা বলে থাকে যে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। আদর্শিক মতপার্থক্যের কারণে মানুষ খুন হচ্ছে। অথচ সরকার এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরকারের উচিত এদের অপকর্মের উপর হস্তক্ষেপ করা। কারণ সমাজের সভ্যতা-সংষ্কৃতি আমাদের হাজার বছরের চলে আসা জীবনীচারণ কে ওরা হেয় করছে। ওরা কারা? কিছু মস্তিষ্ক বিকৃত নাস্তিক। ধর্ম পালন মানুষের ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু তাই বলে আপনি মানুষের অনুভুতিতে আঘাত করতে পারেন না। আপনি যদি মনে করেন ধর্ম ভুল তবে আপনাদের নাস্তিক গুরুকে নিয়ে আসুন আর আমরাও আমাদের স্কলারদের কে নিয়ে আসি। প্রমাণ হয়ে যাক কাদের সংষ্কৃতি মানব সভ্যতার জন্য আর কাদের সংষ্কৃতি জন্তু-জানোয়ারদের জন্য।
কোরবানীর ঈদ আসলে তাদের হতাশার শেষ নেই। তখন তারা অটোমেটিক তৃণভোজী প্রাণী হয়ে যায়। তখন পশুদের মানবাধিকার নষ্ট হয়। কিন্তু প্রতিদিন বিভিন্ন হোটেলে শুধু বাংলাদেশে ৫০,০০০ হাজার মুরগী জবাই হচ্ছে তাতে মানবাধিকার নষ্ট হচ্ছে না। কি আজিব! আর এই সকল নাস্তিকেরা নির্লজ্জের মত চিকেন ফ্রাই খাচ্ছে।
শেষকথা বলতে কি নাস্তিকেরা হল ডাস্টবিনের মত। যা সমাজ কে নোংড়া করে। আর তাসলিমার মত কিছু ভাগাড়ীরা এই সমাজকে নোংড়া করতে উদ্ভুদ্ধ করছে। সভ্য সমাজকে সচেতন হওয়া উচিত। আপনারা জেগে উঠুন! সমাজকে ভাগাড়ীদের হাত থেকে রক্ষা করুন।