নিজ দেশের লোকদের সাথে রোজা রাখবেন না চাঁদ দেখা যে কোনো দেশের সাথে?
লিখেছেন: ' shahedups' @ সোমবার, অগাষ্ট ১, ২০১১ (৩:০৪ অপরাহ্ণ)
প্রশ্ন: যদি ইসলমি রাষ্ট্রে চাঁদ দেখা যায়, আর আমি যে দেশে বসবাস করি, সেখানে শাবান ও রমজান মাস ত্রিশ দিনে পুরো করা হয়, তাহলে আমি কি করব? রমজান প্রসঙ্গে মানুষের মতপার্থক্যের কারন কি?
জবাব:
আল-হামদুলিল্লাহ
আপনার জন্য রোজা আপনার দেশের লোকদের সাথে থাকাই আবশ্যক। তারা যদি রোজা রাখে তাদের সাথে রোজা রাখবেন; আর তারা যদি ইফতার করে আপনি ও তাদের সাথে ইফতার করবেন। করাণ, রাসূল (সা:) বলেছেন: “তোমরা যেদিন রোজা রাখবে সেদিনই রোজা, যেদিন ইফতার করবে সেদিনই ইফতার, আর তোমরা যেদিন কোরবানি করবে, সেদিনই কোরবানি।”
দ্বিতীয়ত: ইখতিলাফ ভাল জিনিস নয়, তাই আপনার দেশের সাথে থাকাই আপনার জন্য জরুরি ও সঙ্গত। আপনার দেশের মুসলিমগন যখন ইফতার করবে, আপনি তাদের সাথে ইফতার করবেন। আর যখন তারা রোজা রাখবে আপনি তাদের সাথে রোজা রাখবেন।
আর মত পার্থক্যের কারন হচ্ছে, কেউ চাঁদ দেখে, কেউ চাঁদ দেখেনা। অত:পর যারা চাঁদ দেখে, অন্যরা তাদের উপর ভরসা করে, তাদেরকে বিশ্বাস এবং তাদের দেখা অনুযায়ি আমল করে। আবার কখনও তাদের বিশ্বাস কিংবা তাদের দেখা অনুযায়ী আমল করা হয় না, ফলে ইখতিলাফ সংগঠিত হয়। কোন দেশ চাঁদ দেখে এবং চাঁদ দেখার ফয়সালা দেয়, ফলে দেশবাসি রোজা রাখে অথবা ইফতার করে। আর অন্য দেশ এ দেখার উপর ভরসা কিংবা বিশ্বাস করেনা, -ভৌগলিক কিংবা রাজনৈতিক ইত্যাদি কারণে।
সকল মুসলিমের জন্য আবশ্যিক হল চাঁদ দেখে ইফতার করবে। কেননা রাসূল (সা:) এর হাদীস ব্যাপক: “যখন তোমরা চাঁদ দেখবে রোজা রাখবে, আবার যখন চাঁদ দেখবে ইফতার করবেল আর আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে সংখ্যা ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।
যদি সকলে চাঁদ দেখা বিশ্বাস করে এবং মনে করে যে, বাস্তবিকই তা দেখা গেছে, তবে সে হিসেবে রোজা রাকা ও ইফতার করা ওয়াজিব। হ্যাঁ, যদি বাস্তবতার ব্যাপারে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়, আর কেউ কাউকে বিশ্বাস না করে, তখন আপনার জন্য সংগত হবে আপনার দেশের মুসলমানদের সাথে রোজা রাখা এবং তাদের সাথে ইফতার করা। কারন রাসূল (সা:) বলেছেন: “তোমরা যেদিন রোজা রাখবে সেদিনই রোজা, যেদিন ইফতার করবে সেদিনই ইফতার, আর তোমরা যেদিন কোরবানি করবে, সেদিনই কোরবানি।”
ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে প্রমানিত, কুরাইব তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, শাম দেশের লোকেরা জু’মুআর দিন রোজা রেখেছে। ইবনে আব্বাস (রা:) বললেন: আমরা চাঁদ দেখেছি শনিবার, আমরা যতক্ষন না চাঁদ দেখব রোজা রাখব না, অথবা ত্রিশ দিন পূর্ণ করব। তিনি শামবাসির চাঁদ দেখার উপর আমল করেননি, যেহেতু উভয় দেশের মাঝে দুরত্ব অনেক বেশি, এবং উভয়ের উদয়স্হল ও ভিন্ন। তার দৃষ্টিতে এটা ইজতেহাদের বিষয়। ইবনে আব্বাস এবং তার অনুসরন করে যারা বলেছেন, নিজ দেশের সাথে রোজা এবং নিজ দেশের সাথে ইফতার করার জন্য, তাদের মধ্যে আপনার জন্য আদর্শ রয়েছে।
শায়খ আব্দুল আজীজ বিন বাজ-রাহিমাহুল্লাহ
মজমু ফাতওয়া ওয়া মাকালাত মুতানাওয়েয়াহ
আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্য।
@রাসেল আহমেদ,আপনাকে ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ।