কোরআন ও হাদীসের আলোকে মুনাফীকের চরিত্র। পর্ব ০২।
লিখেছেন: ' shahedups' @ মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১১ (২:৩৩ অপরাহ্ণ)
৭. মুনাফিকদের মূর্খতা ও মুমিনদের মূর্খ বলে আখ্যায়িত করা:
মুনাফিকরা নিজেরা মূর্খ এ জিনিষটি তাদের চোখে ধরা পড়তো না। কিন্তু তারা মুমিনদের মূর্খ বলে আখ্যায়িত করত। এ কারণেই তাদের যখন মুমিনদের ন্যায় ঈমান আনার জন্য বলা হত, তখন তারা বলত, মুমিনরা-তো বুঝে না, তারা মূর্খ, তাই তারা ঈমান এনেছে। আমরাতো মূর্খ নই, আমরা শিক্ষিত আমরা কেন ঈমান আনব? আল্লাহ তা‘আলা তাদের বিষয়ে বলেন,
“আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ঈমান আন যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে’, তারা বলে, ‘আমরা কি ঈমান আনব যেমন নির্বোধরা ঈমান এনেছে’? জেনে রাখ, নিশ্চয় তারাই নির্বোধ; কিন্তু তারা জানে না”। [সূরা বাকারা: ১৩]
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম রহ. বলেন, যারা কুরআন ও হাদিসের আনুগত্য করে তারা তাদের নিকট নির্বোধ, বোকা। তাদের জ্ঞান বুদ্ধি বলতে কিছুই নাই। আর যারা ইসলামী শরিয়তের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করতে চায় তারা তাদের নিকট সেই গাধার মত যে বোঝা বহন করে। তার কিতাব বা ব্যবসায়ীর মালামাল দ্বারা তার কোন লাভ হয় না। সে নিজে কোন প্রকার উপকার লাভ করতে পারে না। আর যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে এবং তার আদেশের আনুগত্য করে তারা হল, তাদের নিকট নির্বোধ, মূর্খ। তাই তারা তাদের মজলিশে তার উপস্থিতিকে অপছন্দ করত ও তার দ্বারা তারা তাদের অযাত্রা হতো বলে বিশ্বাস করত।[2]
৮. কাফেরদের সাথে তাদের বন্ধুত্ব:
মুনাফিকরা কাফেরদেরকে তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করত। মুমিনদের তারা কখনোই তাদের বন্ধু বানাত না। তারা মনে করত কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করলে তারা ইজ্জত সম্মানের অধিকারী হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“মুনাফিকদের সুসংবাদ দাও যে, নিশ্চয় তাদের জন্যই রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। যারা মুমিনদের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি তাদের কাছে সম্মান চায়? অথচ যাবতীয় সম্মান আল্লাহর”। [সূরা নিসা: ১৩৮, ১৩৯]
আয়াতের ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তা‘আলা তার নবীকে বলেন, হে মুহাম্মদ! بَشِّرِ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ তুমি ঐ সব মুনাফিকদের সুসংবাদ দাও, যে সব মুনাফিকরা আমার দ্বীন অস্বীকারকারী ও বেঈমানদের সাথে বন্ধুত্ব করে অর্থাৎ মুমিনদের বাদ দিয়ে তারা কাফেরদের তাদের সহযোগী ও বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি আমার উপর অবিশ্বাসী বেঈমানদের সাথে বন্ধুত্ব করার মাধ্যমে তাদের নিকট থেকে শক্তি, সামর্থ্য, সম্মান ও সাহায্য তালাশ করে?। তারা কি জানে না? ইজ্জত, সম্মান, শক্তি সামর্থ্য-তো সবই আল্লাহর জন্য। أَيَبۡتَغُونَ عِندَهُمُ ٱلۡعِزَّةَ [তারা কি তাদের কাছে সম্মান চায়?] অর্থাৎ, তারা কি তাদের নিকট ইজ্জত তালাশ করে? আর যারা নিকৃষ্ট ও সংখ্যালঘু কাফেরদের থেকে সম্মান পাওয়ার আশায় তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কেন মুমিনদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করে না? তারা যদি মুমিনদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করত, তাহলে তারা ইজ্জত, সম্মান ও সহযোগিতা আল্লাহর নিকটই তালাশ করত। কারণ, ইজ্জত সম্মানের মালিক তো একমাত্র আল্লাহ। যাবতীয় ইজ্জত সম্মান কেবলই আল্লাহর। আল্লাহ বলেন, فَإِنَّ ٱلۡعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعٗا [যাবতীয় সম্মান আল্লাহর] তিনি যাকে চান ইজ্জত দেন, আর যাকে চান বে-ইজ্জত করেন।[3]
৯. তারা মুমিনদের পরিণতি দেখার অপেক্ষায় থাকে:
মুনাফিকরা সব সময় পিছনে থাকত, কারণ, তারা অপেক্ষা করত, যদি বিজয় মুমিনদের হয়, তাহলে তারা মুমিনদের সাথে মিলে যায় আর যদি বিজয় কাফেরদের হয়, তখন কাফিরদের পক্ষে চলে যায়। তাদের এ ধরনের অপকর্মের বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“ যারা তোমাদের ব্যাপারে (অকল্যাণের) অপেক্ষায় থাকে, অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে যদি তোমাদের বিজয় হয়, তবে তারা বলে, ‘আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না’? আর যদি কাফিরদের আংশিক বিজয় হয়, তবে তারা বলে, ‘আমরা কি তোমাদের উপর কর্তৃত্ব করিনি এবং মুমিনদের কবল থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করিনি’? সুতরাং আল্লাহ কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে বিচার করবেন। আর আল্লাহ কখনো মুমিনদের বিপক্ষে কাফিরদের জন্য পথ রাখবেন না”। [নিসা: ১৪১]
আয়াতের ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে মুমিনগণ! ٱلَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمۡ যারা তোমাদের পরিণতি জানার জন্য অপেক্ষা করে। فَإِن كَانَ لَكُمۡ فَتۡحٞ مِّنَ ٱللَّهِ [যদি আল্লাহর পক্ষ হতে তোমাদের বিজয় হয়।] অর্থাৎ, আল্লাহ তা‘আলা যদি তোমাদের দুশমনদের উপর তোমাদের বিজয় দান করে এবং তোমরা গণিমতের মাল লাভ কর, তখন তারা তোমাদের বলবে, أَلَمۡ نَكُن مَّعَكُمۡ আমরা কি তোমাদের সাথে যুদ্ধ করিনি এবং তোমাদের সাথে লড়াই করিনি? তোমরা আমাদেরকে গণিমতের মাল হতে আমাদের ভাগ দিয়ে দাও! কারণ, আমরা তোমাদের সাথে যুদ্ধে শরিক ছিলাম।
অথচ তারা তাদের সাথে যুদ্ধে শরিক ছিল না তারা জান প্রাণ চেষ্টা করত পরাজয় যাতে মুমিনদের ললাটে থাকে। وَإِن كَانَ لِلۡكَٰفِرِينَ نَصِيبٞ আর যদি বিজয় তোমাদের কাফের দুশমনদের হয়ে থাকে এবং তারা তোমাদের থেকে ধন-সম্পদ লাভ করে, তখন এসব মুনাফিকরা কাফেরদের গিয়ে বলবে, أَلَمۡ نَسۡتَحۡوِذۡ عَلَيۡكُمۡ আমরা কি তোমাদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করিনি? যার ফলে তোমরা মুমিনদের উপর বিজয় লাভ করছ! তাদেরকে আমরা তোমাদের উপর আক্রমণ করা হতে বাধা দিতাম। আর তাদের আমরা বিভিন্নভাবে অপমান, অপদস্থ করতাম। যার ফলে তারা তোমাদের আক্রমণ করা হতে বিরত থাকে এবং যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করে। আর এ সুযোগে তোমরা তোমাদের দুশমনদের উপর বিজয় লাভ কর।
فَٱللَّهُ يَحۡكُمُ بَيۡنَكُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۗ আল্লাহ তা‘আলাই তোমাদের মাঝে ও মুনাফিকদের মাঝে কিয়ামতের দিন ফায়সালা করবে। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ও মুনাফিকদের মাঝে কিয়ামতের দিন ফায়সালা করবেন। যারা ঈমানদার তাদের আল্লাহ তা‘আলা জান্নাত দান করবেন, আর যারা মুনাফিক তাদের তিনি কাফের বন্ধুদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।[4]
১০. মুনাফিকদের চরিত্র হল, আল্লাহকে ধোঁকা দেয়া ও ইবাদতে অলসতা করা:
মুনাফিকরা তাদের ধারণা অনুযায়ী আল্লাহকে ধোঁকা দেয় এবং সালাতে তারা অলসতা করে। তাদের সালাত হল, লোক দেখানো। তারা আল্লাহর ভয়ে ইবাদত করে না। তারা ইবাদত করে মানুষের ভয়ে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“নিশ্চয় মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়। অথচ তিনি তাদের ধোঁকা (-এর জবাব) দান কারী। আর যখন তারা সালাতে দাঁড়ায় তখন অলস-ভাবে দাঁড়ায়, তারা লোকদেরকে দেখায় এবং তারা আল্লাহকে কমই স্মরণ করে”। [সূরা নিসা: ১৪২]
আয়াতের ব্যাখ্যা:
মুনাফিকরা তাদের ধারণা অনুযায়ী আল্লাহ তা‘আলাকে ধোঁকা দেয়। কারণ, তাদের নিফাকই তাদের জান-মাল ও ধন-সম্পদকে মুমিনদের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। মুখে ইসলাম ও ঈমান প্রকাশ করার কারণে, আল্লাহর পক্ষ হতে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নিষেধ করা হয়। অথচ, আল্লাহ তা‘আলা তাদের অন্তরে তারা যে কুফরকে লুকিয়ে রাখছেন তা জানেন। তা সত্ত্বেও তিনি তাদের সাথে যুদ্ধ করতে না করেন। এর দ্বারা তিনি দুনিয়াতে তাদের সুযোগ দেন। আর যখন কিয়ামতের দিন আসবে, তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদের থেকে এর বদলা নিবেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে তারা অন্তরে যে কুফরকে গোপন করত তার বিনিময়ে তাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে।
আর আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿وَإِذَا قَامُوٓاْ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ قَامُواْ كُسَالَىٰ يُرَآءُونَ ٱلنَّاسَ﴾ [আর যখন তারা সালাতে দাঁড়ায় তখন অলস-ভাবে দাঁড়ায়, তারা লোকদেরকে দেখায়]
মুনাফিকরা আল্লাহ তা‘আলা যে সব নেক আমল ও ইবাদত বন্দেগী মুমিনদের উপর ফরয করেছেন, তার কোন একটি নেক আমল মুনাফিকরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করে না। কারণ, কীভাবে করবে তারা তো আখিরাত, পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম কোন কিছুই বিশ্বাস করে না। তারা প্রকাশ্যে যে সব আমল করে থাকে তা কেবলই নিজেদের রক্ষা করার জন্যই করে থাকে অথবা মুমিনদের থেকে বাঁচার জন্য করে থাকে। যাতে তারা তাদের সাথে যুদ্ধ করতে না পারে এবং তাদের ধন-সম্পদ ছিনিয়ে নিতে না পারে। তাই তারা যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন অলসতা করে দাঁড়ায়। সালাতে দাঁড়িয়ে তারা এদিক সেদিক তাকায় এবং নড়াচড়া করে। সালাতে উপস্থিত হয়ে তারা মুমিনদের দেখায় যে, আমরা তোমাদের অন্তর্ভুক্ত অথচ তারা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ, তারা সালাত আদায় করা যে ফরয বা ওয়াজিব তাতে বিশ্বাস করে না। তাই তাদের সালাত হল, লোক দেখানো সালাত, আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার সালাত নয়।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী- ﴿وَلَا يَذۡكُرُونَ ٱللَّهَ إِلَّا قَلِيلٗا﴾ [এবং তারা আল্লাহকে কমই স্মরণ করে।]
এখানে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে কি তারা আল্লাহর যিকির কম করে বেশি করে না? উত্তরে বলা হবে, এখানে তুমি আয়াতের অর্থ যা বুঝেছ, তা বাস্তবতার সম্পূর্ণ বিপরীত। আয়াতের অর্থ হল, তারা একমাত্র লোক দেখানোর জন্যই আল্লাহর যিকির করে, যাতে তারা তাদের নিজেদের থেকে হত্যা, জেল ও মালামাল ক্রোক করাকে প্রতিহত করতে পারে। তাদের যিকির আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করা বা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য নয়। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাকে কম বলে আখ্যায়িত করেন। কারণ, তারা তাদের যিকির দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য, ও সাওয়াব লাভ করাকে উদ্দেশ্য বানায়নি। সুতরাং তাদের আমল যতই বেশি হোক না কেন তা বাস্তবে মরীচিকার মতই। যা বাহ্যিক দিক দিয়ে দেখতে পানি বলে মনে হয় কিন্তু বাস্তবে তা পানি নয়।[5]
১১. দ্বিমুখী নীতি ও সিদ্ধান্ত হীনতা:
মুনাফিকরা দ্বৈতনীতির হয়ে থাকে। তাদের বাহ্যিক এক রকম আবার ভিতর আরেক রকম। তারা যখন মুমিনদের সাথে মিলে তখন তারা যেন পাক্কা ঈমানদার, আবার যখন কাফেরদের সাথে মিলিত হয় তখন তারা কাট্টা কাফের। তাদের এ দ্বি-মুখী নীতির কারণে তাদের কেউ বিশ্বাস করে না। সবার কাছেই তারা ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়। আল্লাহ তা‘আলা তাদের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করে
“ তারা এর মধ্যে দোদুল্যমান, না এদের দিকে আর না ওদের দিকে। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি কখনো তার জন্য কোন পথ পাবে না”। [সূরা নিসা: ১৪৩]
অর্থাৎ, মুনাফিকরা তাদের দ্বীনের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে। তারা সঠিকভাবে কোন কিছুকেই বিশ্বাস করতে পারে না। তারা বুঝে শুনে মুমিনদের সাথেও নয় আবার না বুঝে কাফেরদের সাথেও নয়। বরং তারা উভয়ের মাঝে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে।[6]
আব্দুল্লাহ ওমর রা. হতে বর্ণিত, রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেন, মুনাফিকদের উপমা ছাগলের পালের মাঝে দড়ি ছাড়া বকরীর মত। একবার এটিকে গুঁতা দেয় আবার এটিকে গুঁতা দেয়।[7]
ইমাম নববী রহ. বলেন, العائرة শব্দের অর্থ, সিদ্ধান্তহীন লোক, সে জানেনা দুটির কোনটির পিছু নিবে। আর تعير অর্থ, ঘুরাঘুরি করা, ছুটাছুটি করা।[8] মুনাফিকরাও অনুরূপ। তারা সর্বদা সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগতে থাকে। তাদের চিন্তা ও পেরেশানির কোন অন্ত নাই। দুনিয়াতে এটি তাদের জন্য বড় ধরনের আযাব। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের এ ধরনের আযাব থেকে হেফাযত করুন।
১২. মুমিনদের ধোঁকা দেয়া:
মুনাফিকরা মনে করে তারা আল্লাহ তা‘আলা ও মুমিনদের ধোঁকা দিয়ে থাকে, প্রকৃত পক্ষে তারা কাউকেই ধোঁকা দেয় না। তারা নিজেরাই তাদের নিজেদের ধোঁকা দেয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তারা আল্লাহকে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে (বলে মনে করে)। অথচ তারা নিজদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা তা অনুধাবন করে না”। [সূরা বাকারাহ: ৯]
আয়াতের ব্যাখ্যা:
মুনাফিকরা তাদের রব ও মুমিনদের ধোঁকা দিত। তারা তাদের মুখে প্রকাশ করত যে, আমরা আল্লাহতে বিশ্বাস করি, কিন্তু তাদের অন্তরে তারা অবিশ্বাস, অস্বীকার ও সন্দেহ-সংশয়কে গোপন করত, যাতে তারা তাদের জন্য অবধারিত শাস্তি- হত্যা, বন্দি করা ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযান ইত্যাদি হতে মুক্তি পায়। তারা মুখের ঈমান ও স্বীকার করাকে নিজেদের বাঁচার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যথায় তাদের উপর ঐ শাস্তি বর্তাত যা অস্বীকারকারী কাফেরদের উপর বর্তায়। আর এটাই হল, মুমিনদের ও তাদের রবকে ধোঁকা দেয়া।
চলবে…………ইনশাল্লাহ……………