কাফিরদের সাথে মিত্রতার বন্ধন প্রমান করে এমন ২০ টি নিদর্শন শেষ পর্ব
লিখেছেন: ' shahedups' @ বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১ (৩:২৭ অপরাহ্ণ)
১৪. কাফিরদের ভ্রষ্টতার কাজে কোন কিছু দিয়ে সহযোগিতা করা
তাদের ভ্রষ্টতায় সাহায্য করা কিংবা সাহায্য যুগিয়ে তাদের উত্সাহিত করার অর্থ হল নিজেকে তাদের মিত্রে পরিণত করা৷ কুরআন দুটিদৃষ্টান্তের মাধ্যমে এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছে, একটি হল লূত (আঃ) এর স্ত্রী সংক্রান্ত এবং অপরটি নূহ্ (আঃ) এর স্ত্রী সম্পর্কিত৷ লূত(আঃ) এর স্ত্রী তার শহরের লোকদের লূত (আঃ) এর বিরূদ্ধে সমর্থন যুগিয়েছিল এবং লূত (আঃ) এর লোকদের দুর্দশায় উৎফুল্ল হয়েছিল;এমনকি লূত (আঃ) এর অতিথিদের সম্পর্কে গোপনীয় তথ্য সরবরাহ করেছিল৷ অনুরূপ ঘটনা নূহ্ (আঃ) এর স্ত্রীর ক্ষেত্রেও সংঘটিতহয়েছিল৷ (তাফসীর ইবনে কাছীর)
১৫. কাফিরদের উপদেশ-পরামর্শ চাওয়া
কাফিরদের উপদেশ পরামর্শ শ্রবণ করা, তাদের উচ্চ আসনে আসীন করা কিংবা তাদের বন্দনা করা (মুজমু’আত তাওহীদ) তাদের সঙ্গেমিত্রতার কতিপয় নিদর্শন যা বর্তমান সময়ে বেশি করে পরিলক্ষি হচ্ছে৷ ইতোমধ্যে আমরা প্রাচ্যবাদী দার্শনিকদের উত্থান লক্ষ করেছি৷এরা অতি চাতুর্যের সঙ্গে অনুসন্ধিৎস ও গবেষণার এক নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের দাবী করেছে৷ এই তত্ত্বের অনুসরণে এরা ইসলাম ওমুসলমানদের প্রতিক্রিয়াশীল, পুরনো যুগের ফসিল ও পুরাতাত্তিক নিদর্শনের লেবেল এঁটে দিয়ে তথাকথিত প্রগতি ও সভ্যতার নতুনযুগের ঘোষণা দিয়েছে৷ আর এভাবে অতি চাতুর্যের সঙ্গে ইসলাম ও মুসলমানদের এরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে৷
১৬. কাফিরদের সম্মান করা
কাফিরদের বেশি বেশি সম্মানিত করা এবং নির্বোধের মত বিশাল বিশাল টাইটেলে ভূষিত করা তাদের প্রতি মিত্রতা প্রর্দশনেরই নামান্তর৷আমরা লক্ষ্য করি, কিছু লোক তাদের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রকাশের ভঙ্গি হিসাবে তাদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাদের সিনায় হাত রাখে;কেউবা আনুগত্যের নমুনা স্বরপ তাদের মাথার হ্যাট নামিয়ে রাখে৷ সব কাফিরদের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ তো দূরের কথা তাদের হৃদয়েএদের (কাফিরদের)সম্পর্কে ভীতির সঞ্চার হওয়া উচিত ছিল৷(হামুদ আত তাবিজরি) আল্লাহ (সুবঃ) বলেন : “যারা মু’মিনদের পরিবর্তেকাফিরদের আউলিয়া (রক্ষাকারী,সাহায্যকারী,বন্ধু)হিসাবে গ্রহণ করবে, তারা কি তাদের কাছে ইজ্জাত অন্বেষণ করে ?নিঃসন্দেহে সকল ইজ্জাত আল্লাহরই”৷ (৪:১৩৯)
প্রকৃতপক্ষে এই কাফিররা মুসলিমদের থেকে যা প্রাপ্য তা হল ভয়াবহ সমালোচনা এবং তাচ্ছিল্য৷ এটা বর্ণিত আছে যে,নবী (সাঃ)আমাদেরকে তাদের সংবর্ধিত করার উদ্যোগ নিতেও নিষেধ করেছেন৷ তিনি বলেন: “তোমরা তাদের সালাম দিয়ো না (ইহুদী ওখৃষ্টানদের) এবং যখন তোমরা তাদের সঙ্গে রাসায় সাক্ষাৎ কর, তাদেরকে রাস্তার সংকীর্ণ পাশ দিয়ে যেতে বাধ্য কর”৷ (মুসলিম )
১৭. কাফিরদের সঙ্গে বসবাস করা
কাফিরদের আবাসস্থলকে বসবাসের জন্য সাব্যস্ত করা এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটানোও তাদের মিত্রে পরিণত হওয়ার শামিল৷ নবী (সঃ)বলেন, “যে-ই কাফিরদের সাথে যোগ দেয় এবং তাদের মাঝে বসবাস করে সে তাদেরই একজন৷” (আবু দাউদ) এবং”কাফিরদের সঙ্গে বসবাস করনা কিংবা তাদের সঙ্গে যোগ দিও না : যে-ই তাদের সঙ্গে বসবাস করে কিংবা তাদেরমাঝে বাস করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়৷” (আল-হাকিম)
১৮. কাফিরদের সঙ্গে জোগসাজস করা
কাফিরদের সঙ্গে জোগসাজস করা, তাদেরকে বিভিন্ন স্কীমে সাহায্য করা, তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া, তাদের পক্ষ হয়ে গোয়েন্দাগিরিকরা, মুসলিমদের সম্পর্কে তাদের তথ্য দেয়া কিংবা তাদের কোন পদে অধিষ্ঠিত থেকে যুদ্ধ করা এগুলো সবই তাদের মিত্রদের কাজ৷বর্তমান মুসলিম বিশ্ব এখন সব থেকে নিকৃষ্ট যে অসুখে ভুগছে এটি সেগুলোর অন্যতম৷ এটি পুরো প্রজন্মকে নষ্ট করেছে, এবং শিক্ষাথেকে শুরু করে রাজনীতিসহ সরকারের সকল পর্যায়কে কলুষিত করেছে৷
মিশরে ইংরেজ দখলদারির শেষে মুহাম্মদ কুতুব বলেছিলেন, “সাদা ইংরেজরা চলে গেছে কিন্তু বাদামী ইংরেজরাএখনো আমাদের সঙ্গে বিদ্যমান৷ মুসলমানদের পশ্চাত্যীকৃত সন্তানেরা আজ মুসলিম বিশ্বের প্লীহায় রূপ নিয়েছে৷ তারাতা-ই সম্ভব করেছে যা আল্লাহর শত্রুরা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেনি যে তারা সম্ভব করতে পারবে৷ কিন্তু এতে তারাসফলকাম হবে না৷”
আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বলেন,” আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এই বাক্য পূর্বেই স্থির হয়েছে যে, অবশ্যই তারাসাহায্যপ্রাপ্ত হবে এবং আমার বাহিনীই বিজয়ী হবে”৷ (৩৭:১৭১-১৭৩)
১৯.মুসলিমদের ঘৃণা এবং কাফিরদের ভালবাসা
যারা ইসলামের পবিত্রভূমি থেকে কাফিরদের ভুমিতে পলায়ন করে, তাদের চিন্তাধারা-ধ্যানধারণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে, তারামূলতঃ তাদেরই বন্ধু যাদের কাছে তারা গিয়েছে৷ ( আর রিদ্দাহ বাইনা আল-আমস ওয়াল ইয়াওম)
২০.কাফিরদের মতাদর্শকে সমর্থন করা
যারা সেক্যুলার রাজনীতি, কমিউনিজম, সোশালিজম, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি মতাদর্শের পিছে দৌড়ায় এবং এই মতাদর্শগুলোর সঙ্গেএকাত্মতা প্রকাশ করে, তারাও মূলতঃ তাদেরই বন্ধু যাদের শরণাপন্ন তারা হয়েছে৷ (আর রিদ্দাহ বাইনা আল-আমস ওয়াল ইয়াওম)
কাফেরদের থেকে টেকনিকাল হেল্প নেয়া যাবে কিনা?
@ম্যালকম এক্স,জি ভাই সেটা পারবেন । কিন্তু যদি এক ফলে আপনার ঈমানের কোন ক্ষতি হয় বা ইসলামের কোন রকম ক্ষতি হওয়ার আসংকা থাকে তাহলে সেটা মনে হয় না ঠিক বে। তাদের সাথে আমাদের দুনিয়াবী সম্পর্ক বজায় রাখব, কিন্তু দ্বীনি কোন সম্পর্ক রাখা যাবে না।