কবীরা ণ্ডনাহ………….পর্ব ০২
লিখেছেন: ' shahedups' @ সোমবার, মার্চ ২৮, ২০১১ (২:৩৪ অপরাহ্ণ)
(৬) কোন কারন ছারা রমযানের রোজা না রাখা বা রোজা ভেঙ্গে ফেলা।
দলিল:
রাসূল (সা:) বলেন-
“ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিচ হয়েছে। ১) এ কথার সাক্ষ্য দেও্য়া যে, আল্লাহ ছারা আর কোন সত্যিকার উপা্স্য নাই এবং মুহাম্মদ (সা:) আল্লাহর রাসূল। ২) সালাত প্রতিষ্ঠা করা ৩)যাকাত দেওয়া ৪)হজ্জ করা ৫)রমযান মাসের রোজা রাখা।”
(বুখারী: ৭)
(৭)সামর্থ্য থাকা সত্তেও হজ্জ না করা।
দলিল:
আল্লাহ তাআলা বলেন-
“আর এ ঘরের হজ্জ করা যে সকল মানুষের জন্য অবশ্য কর্তব্য যারা সেথায় যাওয়ার সামর্থ্য রাখে। আর যে প্রত্যাখ্যান করবে সে জেনে রাখুক আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুর মুখাপেক্ষি নয়।”
(আল-ইমরান:৯৭)
(৮) মাতা পিতার অবাধ্য হওয়া
দলিল:
রাসূল (সা:) বলেন-
“আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় ণ্ডনাহ কি তা বলে দিব না? আর তা হল আল্লাহর সাথে শরীক করা, মাতা পিতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা কথা বলা।”
(বুখারী: ৬৪৬)
(৯)আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং নিকট আত্মীয়দের পরিত্যাগ করা।
দলিল:
আল্লাহ বলেন-
“ক্ষমতা লাভের পর স্মভবত: তোমরা পৃথিবীতে ফাসাদ করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, অত:পর তাদেরকে বধীর ও দৃষ্টিহীন করেন।”
(মুহাম্মদ: ২২-২৩)
রাসূলে আকরাম (সা:) বলেন-
“আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবেনা।”
(মুসলিম: ৪৬৩৩)
(১০) ব্যভিচার করা।
দলিল:
আল্লাহ তাআলা বলেন-
“তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেওনা। নিশ্চই এটা অশ্লিল কাজ ও অতি মন্দ পথ।”
(ইসরা: ৩২)
রাসূলে আকরাম (সা:) বলেন-
“যখন কোন মানুষ ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়, তখন তার থেকে ঈমান বের হয়ে যায়। ঈমান তার মাথার ওপর ছায়ার মত শবস্থান করে যখন সে বিরত থাকে ঈমান আবার ফিবে আসে।”
(তিরমিযি: ২৫৪৯)
রাসূলে আকরাম (সা:) বলেন-
“আদম সন্তানের ওপর ব্যিভিচারের কিছু অংশ লিপিবদ্ধ হয়েছে সে অবশ্যই তার মধ্যে লিপ্ত হবে। দুই চোখের ব্যভিচার হল দৃষ্টি এবং তার দুই কানের ব্যভিচার শ্রবন, মুখের ব্যভিচার হল কথাবার্তা, হাতের ব্যভিচার হল স্পর্শ করা ও পায়ের ব্যভিচার হল পদক্ষেপ আর অন্তরে ব্যভিচারের আশা ও ইচ্ছার সঞ্চার হয়, অবশেষে লজ্জাস্হান একে সত্যে অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।”
(মুসলিম: ৪৮০২)
চলবে………………….
উপকারী লেখা ধন্যবাদ আপনাকে। জাযাকাল্লাহ
চালিয়ে যান।
সামর্থ্য থাকা সত্তেও হজ্জ না করা।
সামর্থ্য বলতে এখানে কি বুঝানো হচ্ছে ? কতটুকু হলে সামর্থবান বা হজ্ব ফরজ হয় ?
@হাফিজ,
ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে সবচেয়ে ভাল হয় আপনি যদি কোন বড় ভাল আলেমের নিকত গিয়ে এই কথাটি বলেন। ইনসাআল্লাহ তিনি আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন।
কিছু বানান সঠিক হয়নি একটু লক্ষ্য রাখলেই ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
@হুমাইদ,
ইনসাআল্লাহ দোয়া করবেন যেন এরাকম ভুল আর না হয়। আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব।