লগইন রেজিস্ট্রেশন

কবীরা ণ্ডনাহ………….১ম পর্ব

লিখেছেন: ' shahedups' @ মঙ্গলবার, মার্চ ২৯, ২০১১ (১২:২৩ অপরাহ্ণ)

সকল প্রশংসা একমাএ আল্লাহর।আমরা একমাএ তার প্রশংসা করি এবং তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি ও তার নিকট ক্ষমা চাই।আল্লাহ যাকে হেদায়েত দিবেন তাকে কেও গোমরাহ করতে পারবেনা।আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেও পথ দেখাতে পারেনা।
চলুন দেখি আমরা কোথায় আছি……………………….
মহান আল্লাহ বলেন:-
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযধভাবে আল্লাহকে ভয় কর আর সাবধান,মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরন করোনা। - (আলে ইমরান: ১০২)
তিনি আরও বলেন:-
“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক সত্য কথা বল,তিনি তোমাদের আমল সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপ সমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেও আল্লহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে।”
- (আল আযহাব: ৭০-৭১)
নিশ্চয় সবচাইতে উত্তম কথা হল আল্লাহর কিতাব।আর সবচাইতে উত্তম আদর্শ হল রাসূলের আদর্শ। আর সর্ব নিকৃষ্ট বিষয় হল মনগড়া ও নব প্রবর্তিত বিষয় তথা বিদআত,আর প্রতিটি বিদআতই হল গোমরাহী। আর প্রতিটি গোমরাহীর পরিনাম জাহান্নাম।
আল্লাহ বলেন:-
“যে সকল বড় ণ্ডনাহ সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমারা সেসব বড় ণ্ডনাহ থেকে বেচে থাকতে পার, তবে আমি তোমাদের দো্ষ বিচ্যুতিগুলি ক্ষমা করে দিব এবং সম্মানজনক স্হানে তোমাদের প্রবেশ করাব।”
- (নিসা: ৩১)
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা যারা কবীরা ণ্ডনাহ থেকে বেচে থাকবে তাদেরকে দয়া ও অনুগ্রহে জান্নাতে প্রবেশ করানোর দায়ীত্ব নি্য়েছেন, কারন ছগীরা ণ্ডনাহ বিভিন্ন নেক আমল যেমন-সালাত,সওম,জুমুআ, রমজান ইত্যাদির মাধ্যমে মাফ হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন:
“পাচঁ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমুআ থেকে আরেক জুমুআ এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজানের মধবর্তী সময়ের সকল ণ্ডনাহণ্ডলোকে ক্ষমা করিয়ে দেয়, যদি বড় ণ্ডনাহ হতে বেচে থাকা যায়।”
- (মুসলিম)
উল্লেখিত হাদীস দ্বারা স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, কবীরা ণ্ডনাহ থেকে বেচে থাকা অতীব জরুরী।যদিও আপনার তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনার ফলে কোন কবীরা ণ্ডনাহ অবশিষ্ট থাকেনা।আর একই ণ্ডনাহ বারবার করলে তা ছগিরা ণ্ডনাহ থাকেনা।
অতএব কবীরা ণ্ডনাহ থেকে বেচে থাকতে হলে তা সম্পর্কে আমাদের সঠীক ধারনা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।সেসব কবীরা ণ্ডনাহ জানা থাকলে হয়ত এ ণ্ডনাহ ধেকে বেচে থাকাও সম্ভব হবে।

কবীরা ণ্ডনাহ কি?
অনেকেই মনে করেন,কবীরা ণ্ডনাহ মাএ সাতটি যার বর্ণনা একটি হাদিসে এসেছে।মূলত কথাটি ঠিক নয়।কারন,হাদিসে বলা হয়েছে, উল্লেখিত সাতটি ণ্ডনাহ কবীরা ণ্ডনাহের অন্তর্ভূক্ত।এ কথা উল্লেখ করা হ্য়নি যে, কেবল এ সাতটি ণ্ডনাহই কবীরা ণ্ডনাহ, আর কোন কবীরা ণ্ডনাহ নেই।
এ কারনেই আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন-কবীরা ণ্ডনাহ সাত হতে সওর পর্যন্ত (তাবারি বিণ্ডদ্ধ সনদে)।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা বলেন,কবীরা ণ্ডনাহ হল: যে সব ণ্ডনাহের কারনে দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক শাশ্তির বিধান আছে এবং আখেরাতে শাস্তির ধমক দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যে সব ণ্ডনাহের কারনে কুরআন ও হাদীসে ঈমান চলে যাওয়ার বর্ননা এসেছে তাকেও কবীরা ণ্ডনাহ বলে।
ওলামায়ে কেরাম বলেন, তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনার ফলে কোন কবীরা ণ্ডনাহ অবশিষ্ট থাকেনা (যদি সেই পাপ আপনাকে দিয়ে আর কোনদিনো না হয়) আবার একই ছগীরা ণ্ডনাহ বার বার করলে তা আর ছগীরা ণ্ডনাহ থাকেনা, কবীরা ণ্ডনাহে পরিণত হয়।
নিচে কবীরা ণ্ডনাহ সমূহ লিপিবদ্ব করা হল:–
(১) আল্লাহর সাথে কাওকে শরীক করা/শিরক করা।
শীরক দুই প্রকার:- বড় শীরক
ছোট শীরক (লোক দেখানো ইবাদত)।
দলীল:
“নিশ্চই আল্লাহ তাআলা তার সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না। তবে শিরক ছারা অন্যান্য ণ্ডনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন।”
-(নিসা:৪৮)
“অতএব দূ্র্ভোগ সে সব মুসল্লির যারা সালাত সম্পর্কে বে-খবর যারা তা লোক দেখানোর জন্য করে।”
-(মাউন ৪-৬)
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেন:
“আমি অংশিদারিত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন কাজ করে আর ঐ কাজে আমার সাথে অন্য কাওকে শরিক করে, আমি ঐ ব্যক্তিকে তার শিরকে ছেরে দেই।”
-(মুসলিম: ৫৩০০)
(২) মানু্ষ হত্যা করা (বিনা কারনে)
দলিল:
আল্লহ তাআলা বলেন:-
“এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করেনা,আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন সঙ্গত কারন ব্যতিত তাকে হত্যা করেনা এবং ব্যভিচার করেনা। আর যারা এসব কাজ করে তারা শাস্তির সম্মুখিন হবে। কিয়ামত দিবসে তাদের শাস্তি দ্বিণ্ডন হবে এবং লাঞ্চিচ অবস্থায় সেথায় তারা চিরকাল অবস্থান করবে। কিন্ত তারা নয়, যারা তওবা করে বিশ্বাস স্হাপন করে এবং সৎকর্ম করে।”
-(সুরা আল-ফোরকান: ৬৮-৭০)
উল্লেখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা হত্যা করা নিষেধ করেছেন। আর যারা হত্যা করে তাদের জন্য কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন। সুতরাং শরিয়ত অনুমদিত কারণ ছারা মানু্ষ হত্যা করা কবীরা ণ্ডনাহ।
(৩) যাদু করা
দলিল:
আল্লাহ বলেন:
“কিন্ত শয়তানেরা কুফরী করে মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত।”
-(বাকারা: ১০২)
আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসুলে আকরাম (সা:) এরশাদ করেন:
“তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্নক বিষয় থেকে বেচে থাকবে।সাহাবা্য়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ ঐ ধ্বংসাত্নক বিষয় ণ্ডলি কি?তিনি জবাবে বলেন– ১)আল্লাহর সাথে কাওকে শরীক করা ২)যাদু করা ৩)অন্যায়ভাবে কাওকে হত্যা করা, যা আল্লাহ তাআলা হারাম করে দিয়েছেন ৪)সুদ খাওয়া ৫)এতিমের সম্পদ আত্নসাৎ করা ৬)জিআদের ময়দান হতে পলায়ন করা এবং ৭)সতী সাব্ধী মুমেন মহিলাকে অপবাদ দেয়া।”
- (বোখারী: ২৫৬)

(৪) সালাত বা নামায ত্যাগ করা
দলিল:
আল্লাহ তাআলা পবিএ কুরআনে ইরশাদ করেন:
“তাদের পর আসল অপদার্থ বংশধর।তারা সালাত নষ্ট করল ও লালসার বশবর্তী হল, সুতরাং তারা অচিরেই কু-কর্মের শস্তি প্রত্যক্ষ করবে। কিন্ত তারা নয় যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে।”
- (মরিয়াম: ৫৯-৬০)
হাদিসে বর্নিত রাসুল (সা:) এরশাদ করেন-
“কোন মুমিন ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরির মধ্যে পার্থক্য হল সালাত ত্যাগ করা।”
-(মুসলিম)
রাসুল (সা:) এরশাদ করেন-
“আমাদের ও তাদের মধ্যে পার্থক্য হল সালাত, যে তা পরিত্যাগ করল সে কফের হয়ে গেল।”
-(আহমদ: ২১৮৫৯)
(৫)জাকাত আদায় না করা
দলিল:
আল্লাহ তাআলা বলেন-
“আর আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের যা দান করেছেন, তাতে যারা কৃপণতা না করে। এই কার্পণ্য তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে তারা যেন ধারনা না করে। বরং এতা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর ্বে। যাতে তারা কার্পণ্য করবে সে সকল ধন সম্পদ কিয়ামতের দিনে তাদের গলায় বেড়ী বানিয়ে পড়ানো হবে।”
- (আল ইমরান: ১৮০)

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১৪৭ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৭ টি মন্তব্য

  1. আর সর্ব নিকৃষ্ট বিষয় হল মনগড়া ও নব প্রবর্তিত বিষয় তথা বিদআত,আর প্রতিটি বিদআতই হল গোমরাহী। আর প্রতিটি গোমরাহীর পরিনাম জাহান্নাম। সব নব প্রবর্তিতই কি বিদাআত একটু ব্যাখ্যা দিবেন কি? ধন্যবাদ আপনাকে।

    shahedups

    @মুসাফির,
    হা ভাই, সব নব প্রবর্তিতই বিদাআত। তবে হা যদি সেটা সহিহ হাদীস জানে এমন আলেমগনদের দ্বারা ইজমা-কিয়াসের মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা হয় তাহলে সেটা জায়েজ হবে।কারন আমাদের দেশে এমন অনেক আলেম পাবেন যারা সহীহ হাদীস সম্পর্কে অবহিত নয়, বা ধবুন এমন কোন একটা বিষয় যা সম্পর্কে দ্বী-মত রয়েছে, সে ক্ষেত্রে আমার মত হল যদি সেটা আপনার জন্য জরুরী না হয় তাহলে সেটা পরিত্যাগ করুন। কারন নবী (সা:) বলেছেন:-”তোমাদের মধ্যে যদি কোন বিষয়ে মতানৈক্য বা সন্দেহ হয় তাহলে সেটা আল্লাহর উপর ছেরে দাও ও তা পরিহার কর।” তাই প্রথমে আপনি একটা নতুন বিষয় পেলে আগে দেখবেন সেটা আপনার জন্য কতটা জরুরি, তারপর আপনি সেটা মানার জন্য চেষ্টা করবেন।

    rasel ahmed

    @shahedups, হাদীস মোট কত প্রকার?
    সহীহ হাদীস কাকে বলে?
    সহীহ হাদীস ব্যতিত অন্য হাদীস গুলি কি রাসূলের (সা:) এর হাদীস নয়?
    সহীহ হাদীস ব্যতিত অন্য হাদীস গুলি কি শরিয়তের দলীল নয়?
    উত্তর গুলি দিলে খুশি হব। ধন্যবাদ আপনাকে (F)

    shahedups

    @rasel ahmed,
    সহীহ হাদীস হল সেই সকল হাদীস যেগোলুর বেপারে সহীহ সনদ আছে। এটা সম্পূর্ন আমার মত। আপনি আলেমদের শরনাপন্ন হতে পারেন।
    *হা অবশ্যই সহীহ হাদীস ব্যতিত অন্য হাদীস গুলি কি রাসূলের (সা:) এর হাদীস।
    * হা সহীহ হাদীস ব্যতিত অন্য হাদীস গুলি ও শরিয়তের দলীল। তবে কথা হল বিদআত সেসব বিষয় যে সম্পর্কে কোন দলিল নেই কুরআন ও হাদীসের আলোকে।যা মানুষের ফতোয়ার দ্বারা নতুন আবিষ্কৃত।

    ?????? ??????? ???%

    @shahedups,হা সহীহ হাদীস ব্যতিত অন্য হাদীস গুলি ও শরিয়তের দলীল। যদি সহিহ হাদীস ব্যতিত অন্য হাদীস গুলিও শরিয়তের দলীল হয় তাহলে যারা শুধু মাত্র সহীহ হাদীস, সহীহ হাদীস বলে থাকেন উনাদের উদ্দেশ্য কি? আর আমি যতটুকু জানি সব আলেমগণই (যারা হাদীস নিয়ে পড়াশুনা করে থাকেন) সহীহ হাদীস আর যয়ীফ হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। উনারাও তো সহীহ হাদীসকে প্রধান্য দিয়ে থাকেন। তাহলে একথা বলার উদ্দেশ্য কি যে “যে আলেমগণ সহীহ হাদীস জানেন” “যে তাবলীগ সহীহ হাদীস অনুযায়ি হয়” ।
    যারা ইজতিহাদ করার যোগ্যতা রাখেন না তাদের উপর কি মাজহাব মানা জরুরী? জানালে উপকৃত হব।
    ধন্যবাদ আপনাকে। (F)

  2. কি ভাই ২য় পর্ব আগে আর প্রথম পর্ব পরে কারনটা কি?

    shahedups

    @হুমাইদ,
    ভাই প্রকাশনায় ভুল হয়ে গেছে। আশা করি এমনটি আর হবেনা। দোয়া করবেন যেন এমনটি না হয়।