সালাত বা নামাজ……………..পর্ব ০২
লিখেছেন: ' shahedups' @ রবিবার, এপ্রিল ৩, ২০১১ (৩:২৫ অপরাহ্ণ)
সালাতের মর্যাদা:
রাসূল (সা:) বলেন, ‘সব কিছুর মূল হচ্ছে ইসলাম, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে সালাত আর তার শীর্ষ পীঠ হল জিহাদ।’ (তিবমিজি: ৩৫৪১)
সালাত আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও সর্বোত্তম আমল। রাসূল (সা:) বলেন, ‘তোমরা অবিচল থাক, গণনা করোনা। তোমরা কাজ কর। মনে রাখবে তোমাদের সর্বোত্তম আমল হল সালাত, আর মুমিন ব্যতিত অন্য কেও ওযুর যত্ন নেয়না।’ (ঈবনে মাযাহ: ২৭৩)
কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব নেওয়া হবে।
নবী করীম (সা:) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম বান্দার সালাতের হিসাব হবে। যদি তার সালাত ঠিক হয় তবে তার সব আমলি ঠিক হবে। আর তার সালাত বিনষ্ট হলে, সব আমলি বিনষ্ট হবে।’ (তিরমিজি: ২৭৮)
কোরাআনে কারীমের দিএ লক্ষ করলে দেখা যায়, আল্লাহ তাআলা বিভিন্নভাবে বিবিধ পদ্ধতিতে সালাতের নির্দেশ দিয়েছেন। কখনো সালাতের নির্দেশ দিয়েছেন জাকাতের সাথে। যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সালাত কায়েম কর ও জাকাত প্রদান কর।’ (বাকারা: ১১০)
কখনো জিকিরের সাথে। যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘ অবশ্যি সাফল্য লাভ করবে যে আত্মশুদ্ধি লাভ করবে আর তার রবের নাম স্মরণ করবে অত:পর সালাত আদায় করবে। (আলা: ১৪-১৫) অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, ‘এবং আমার স্মরনার্থে সালাত আদায় কর।’ (ত্বহা: ১৪)
কখনও সবরের সাথে।যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন।’ (বাকারা: ৪৫)
কখনও কুরবানির সাথে।যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘অতএব তোমরা রবের উদ্দেশ্যে সালাত পড় ও কুরবানি কর।’ (কাওসার: ০২) অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, ‘বল, নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও মরন আল্লাহর জন্য, যিনি সকল সৃষ্টির রব। তার কোন শরীক নেই এবং আমাকে এরি নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আর আমি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম।’ (আনআম: ১৬৪-১৬৫)
সালতের ফজিলত:
সালাত নূর। রাসূল (সা:) বলেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক আর আলহামদুলিল্লাহ পাল্লাকে সম্পুর্ন করে, সুবাহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তি স্হানকে পূর্ণ করে, সালাত নূরম সদকা দলিল ও ধৈর্য হচ্ছে দীপ্তি এবং কোরআন তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে প্রমান স্বরূপ।’ (মুসলিম: ৪৯৭)
সালাত কবীরা গোনাহ ব্যতিত সকল পাপ মোচন করে দেয়। রাসূল (সা:) বলেন, ‘পাঁচ সালাত হল এক জুমা থেকে আরেক জুমার মধ্যবর্তি সময়ে কৃত গোনাহসমুহের কাফফারা। যাবৎ সে কবীরা গোনাহে লিপ্ত না হয়।’ (মুসলিম: ৩৪৪)
রাসূল (সা:) একটি দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন, ‘যদি তোমাদের কারো বাড়ির সামনে একতা নহর বা নদী থাকে আর সে দৈনিক পাঁচবার তাতে গোসল করে, তবে কি তার শরীরে ময়লা থাকতে পারে? সাহাবিরা বললেন, না।রাসূল (সা:) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের দৃষ্টান্ত ও তদ্রুপ। আল্লাহ তাআলা এর দ্বারা গোনাহ মোচন করে দেন।’ (মুসলিম: ৪৯৭)
তিনি আরও একতি দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন, ‘মুসলিম বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করে তখন তার গোনাহ সমুহ এমনভাবে ঝরে পড়ে, যেমন পড়ে যাচ্ছে গাছের পাতাসমূহ।’ (আহমদ: ২০৫৭৬)
সালাতের গুনগত মানের ভিত্তিতেই পরকালের সফলতা ও জান্নাতের সম্মানিত স্হান নির্ধারিত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই মুমিনগন সফল হয়েছে, যারা নিজেদের সালাতে বিনয়াবনত।’ (আল-মুমিন: ০১-০২) অত:পর বলেন, ‘আর যারা নিজেদের সালাত হেফাজত করে তারাই হবে ওয়ারিশ-যারা ফেরদাউসের অধিকারি হবে। তারা সেখানে স্হায়ী হবে।’ (আল-মুমিন: ০৯-১১)
এ সালাতের মাধ্যমেই জনৈক সাহাবি আর অপর সহীদ ভাইয়ের আগে জান্নাতে প্রবেশ করার তাওফিক লাভ করেছেন।সালাতের মাধ্যমেই মুমিন ব্যক্তি কখনো কখনো সিদ্দিক ও শহিদদের স্হানে পৌছতে সক্ষম হয়।
চলবে…………………………………………..
সালাতের মাধ্যমেই মুমিন ব্যক্তি কখনো কখনো সিদ্দিক ও শহিদদের স্হানে পৌছতে সক্ষম হয়। কথাটির দলীল দিলে খুশি হতাম। ধন্যবাদ আপনাকে
গুরুত্ব পূর্ন লেখা ধন্যবাদ।