নাস্তিকরাও কি বিশ্বাসী ?
লিখেছেন: ' শামীম' @ বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১৪, ২০১০ (৩:৪১ অপরাহ্ণ)
আমার মতে নাস্তিকরাও বিশ্বাসী। তারা বিশ্বাস করে যে “ঈশ্বর নেই”। কিন্তু “ঈশ্বর নেই” এটি প্রমানিত সত্য নয়। শুধু যুক্তি দিয়ে বুঝানো সম্ভব “ঈশ্বর নেই” বিবৃতিটি আসলে ফাকিবাজি।
১) ধরা যাক “ঈশ্বর নেই” এটি সত্য, কিন্তু একে প্রমান করতে হবে। যা নেই তা প্রমান / অপ্রমান করা যায় না। যেমন বিশ্বজগতে অনেক কিছু নেই, যা নেই তাকে কিভাবে অপ্রমান করা যাবে । এমন একটি জিনিশ কল্পনা করুন যা জগত সংসারে নেই এখন তাকে অপ্রমান করার চেষ্টা করুন। মজার ব্যাপার হলো যে মূহুর্তে আপনি এমন কিছু চিন্তা করবেন সেটি আর ‘নেই’ থাকবেনা ‘আছে’ হয়ে যাবে। তর্কের খাতিরে ধরুন চিন্তা করলাম ‘ংংং’ জগত সংসারে নেই। এখন একে অপ্রমান করতে হলে ‘ংংং’ কে আমাকে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। কিন্তু যা নেই তাকে সংজ্ঞায়িত করব কিভাবে? আবার সংজ্ঞায়িত করা গেলে সেটির অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়।
২) ধরা যাক ঈশ্বরকে সংজ্ঞায়িত করার দায়িত্ব আস্তিকদের। নাস্তিকদের কাজ তাকে অপ্রমান করা। এক্ষেত্রে নাস্তিকরা আস্তিকদের মুখাপেক্ষি। যেমন একজন আস্তিক বললঃ ‘ক’ হলো ইশ্বর। নাস্তিকরা প্রমান করল ‘ক’ নাই এখন আরেকজন আস্তিক বলল ‘খ’ হলো ইশ্বর সুতরাং নাস্তিকদের প্রমান করতে হবে ‘খ’ নাই, ধরা যাক তা তারা করল। এখন আরেকজন বলল ‘চরম সত্য’ হলো ঈশ্বর। এখন নাস্তিকদের দায়িত্ব হলো ‘চরম সত্য নাই’ এটি প্রমান করা (অনেক নাস্তিক যেটা সরাসরী দাবী করে)।
কিন্তু ‘চরম সত্য নাই’ এটি একটি প্যারাডক্স। ধরাযাক চরম সত্য নাই- এই কথাই সত্য প্রমানিত হলো , কিন্তু এই কথা প্রকৃত সত্য হতে পারেনা যেহেতু চরম সত্য নাই।
সুতরাং যুক্তি অনুসারে নাস্তিকদের পক্ষে “ঈশ্বর নেই” এটি প্রমান সম্ভব নয়। তার পরও যদি কোন নাস্তিক যদি দাবী করে তবে “ঈশ্বর নেই”-সত্য তবে একে বিশ্বাস ছাড়া আর কি বলা যাবে কারন, Faith is in general the persuasion of the mind that a certain statement is true।
এখক পাঠক কি মনে করেন?
আপনার এই পোষ্ট খুব জ্ঞানি। এটি আমার ব্লগে পোষ্ট করেন না কেন তাহলে তো যাদের বিরুদ্ধে আপনার এই পোষ্ট তারা পড়ে আপনার পোষ্টের জবাব দিতেন আর আমরা ঐ গুলো শুনে জ্ঞান বর্ধন করতাম।
আচ্ছা ভাই আপনি আস্তিক এবং আপনা সংজ্ঞানুযায়ী যা আছে তারে প্রমাণ করা যায়। তো আপনি আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বর আছেন তো প্লিজ ঈশ্বরকে প্রমাণ করে দেখান না। অপেক্ষায় থাকছি। ধন্যবাদ।
@মুনিম,
দেখুন ‘ঈশ্বর বা আল্লাহ আছে’ এটাও প্রমান করা যাবেনা। এটাকে প্রমান করতে পারলে সব নাস্তিক, আস্তিক হয়ে যেত এবং ঈমানদারের বিশ্বাসের কোন মুল্য থাকতো না। প্রমানিত বিষয় বিশ্বাস করতে হয় না। পানিকে সবাই চোখের সামনেই দেখে তাই পানির উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় না। শুন্য ডিগ্রী তাপমাত্রায় পানি বরফে পরিনত হয়, এটি পরিক্ষিত সত্য, এটি বিশ্বাসের বিষয় নয়।
@শামীম আপনি যেমন বিশ্বাসে মুসলমান ঐ যে নারায়ন বাবু ও বিশ্বাসে হিন্দু তাহলে আপনার আর নারায়ন বাবুর মধ্যে কি ব্যবধাণ?
@মুনিম,
প্রতিটা ধর্মের একটা দর্শন আছে। যেমন ইসলামী দর্শন, হিন্দু দর্শন ইত্যাদি। উন্নত দর্শন, অনুন্নত দর্শনকে পরাভূত করে। আল্লাহকে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমান করা না গেলেও ইসলামী দর্শনে বলা হয়েছেঃ উনি নিরাকার, সর্বব্যাপি, অদ্বীতিয় ইত্যাদি, যা অন্যান্য দর্শন থেকে ভিন্ন। যেমন হিন্দুদের ঈশ্বর সাকার, খৃষ্টানদের ঈশ্বরের পুত্র আছে ইত্যাদি। এখন এই অনুসারীদের এই সমস্ত দর্শন দিয়ে যুক্তি দিয়ে ও পালটা যুক্তি খন্ডন করেই ব্যাবধানটি বুঝাতে হবে। এছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। কেউ যদি প্রমান দাবী করেই বসে তবে তাকে বুঝানো যাবেনা। শুধু এতটুকুই বলতে পারেন “ঈশ্বর নেই” এটা প্রমান করতে, আমি বলে দেই তারা এটা প্রমান করতে পারবেনা।
বিজ্ঞান ঈশ্বর প্রমান/অপ্রমানে অক্ষম (পরবর্তিতে আমি বিজ্ঞান দিয়েই বুঝাতে চেষ্টা করব কেন বিজ্ঞান চুড়ান্ত সত্য আবিস্কারে অক্ষম)। শুধু বিশ্বাস দিয়েই এর মোকাবেলা করতে হবে।
আপনার সাথে কথা বলে আনন্দ পেয়েছি। আজ এই পর্যন্ত ভবিষ্যতে কথা বলব। ভাল থাকুন।
ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
নাস্তিকতার স্বপক্ষের প্রচলিত যুক্তি খণ্ড
লিংক : http://shodalap.com/2010/01/14/refuting-atheists-arguments/
আস্তিকতা বনাম নাস্তিকতা: একটি বিশ্লেষণ
লিংক: http://shodalap.com/2010/01/02/theism-vs-atheism-an-analysis/
উপরের লিখাগুলি ভাল লাগবে ।
তারপর, সদালাপে রায়হান ভাইয়ের লেখা গুলি ভাল । আপনি কি মুক্তমনায় কমেন্ট করেন ? তাহলে সদালাপে আসেন । http://www.shodalap.com
আসসালামু আলাইকুম!
আপনাকে এখানে নতুন মনে হচ্ছে, তাই আপনাকে স্বাগতম এই শান্তির জগতে, আশা করি আপনার কাছ থেকে কিছু শিখতে পারবো।
আজ বিজ্ঞান উন্নত হয়েছে এবং হচ্ছে। এখন বিজ্ঞানিরা যেটা করছে সেটা হচ্ছে, তারা ঈশ্বরকে বাতিল করছেনা, বরং তারা ঈশ্বরের ধারনাকে বাতিল করছে। যেমনঃ ঈশ্বর সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ, বিশ্বাস ইত্যাদি । আর নাস্তিকরাযে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, এটার সাথে বিজ্ঞানও একমত নয়, আর নাস্তিকদের যুক্তি আমার কাছে খাম খেয়ালি ছারা আর কিছু মনে হয় না।
এজন্যেই বলা হয়, যখন কেউ কম বুঝে তখন সে হয় অবিশ্বাসি , আর যখন সঠিক ভাবে বুঝে তখন সে হয় বিশ্বাসি।
আপনার লিখাটি সুন্দর, তবে আগামীতে আরো যথাযত যুক্তি দেখাবেন বলে আশা রাখি, ধন্যবাদ।
সামহোয়ার-ইনে দেখলাম এক নব্য দার্শনিক আইছে। হে নাকি আস্তিকও না আবার নাস্তিকও না !!!!! আবার বিশাল পোষ্টও দিছে। এহেন বিচিত্র কর্মকান্ড দেখিয়া আমি না দেখিবার ভান করিয়া চলিয়া আসিলাম।
@মালেক_০০১,
আমি ঐ দার্শনিক রে চিনেছি , একজায় গায় প্রশ্ন করেছে আপেক্ষিক তত্ত কি ? তার ধারনা আমরা মুস্লিমরা আপেক্ষিক তত্ত বুঝি না ।
@মালেক_০০১, প্লিস লিঙ্কটা দিন, আমরাও উপকৃত হই।
@শামীম, http://www.somewhereinblog.net/blog/stparvez