ষড়যন্ত্রের স্বীকার হওয়া থেকে মুক্তির উপায়
লিখেছেন: ' shiamusalman' @ সোমবার, জুলাই ১৯, ২০১০ (৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ)
আজ আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের স্বীকার হচ্ছি। এক দিকে যেমন শয়তান তার চক্রান্ত চালিয়ে আমাদেরকে তার অনুসারী বানাচ্ছে অপর দিকে আমরাও অনেক কিছুকে ভালভাবে বিবেচনা না করেই সেটাকে গ্রহণ করছি। আর এর ফলে আমরা হয়ে যাচ্ছি শয়তানের হাতের পুতুল। যেখানে আমাদের উচিত কারো কোন কথার সত্যতা যাচাই করার পর গ্রহণ করা। অথচ তাদের ধুম্রজালের মধ্যে অনায়াসে যাচ্ছি ফেসে। আমাদের কি একটুও বোধশক্তি নেই যে, আগে ভেবে দেখি তারপর সেটাকে গ্রহণ করি! আজ মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য বৈদেশিক ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলো সবাই একজোট হয়ে ইসলামের নামে ইসলামের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে আর আমরা মুসলমান কতখানি বোকা যে তাদের এই সাজানো নাটকে অভিনয় করে যাচ্ছি। আমরা মুসলমান কতটা নির্বোধ যে তাদের পাতানো ফাদে নিজ ইচ্ছায় পা দিচ্ছি। আমাদেরও কি উচিত নয় তারা যেমন ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তেমনি বা তার চেয়ে অতি উত্তমভাবে মুসলমানরা ঐক্য গড়ে তুলি! আর কতদিন তাদের পা চাটা গোলাম হয়ে থাকবো। আর কতদিন তাদের অনৈতিকতাকে মেনে নেব। আর কতকাল তাদের অত্যাচারকে সহ্য করব! হে মুসলিম জনগণ! সজাগ হওয়ার কি এখনও সময় আসেনি? জেগে উঠার কি এখনও সময় হয়নি? ইসলামের মর্যাদাকে ফিরিয়ে আনার সময় কি এখনও আসেনি? আমরা কি পারি না ঐক্যবদ্ধ হতে? আমরা কি পারি না ইসলামের শত্রুদেরকে পরাজিত করতে? ভয় কর কেন? আল্লাহ কি আমাদেরকে ওয়াদা দেয়নি যে, বিজয় মুসলমানদের জন্য? আল্লাহ কি অঙ্গীকার করেনি যে যারা অত্যাচারী তারা ধ্বংস হবে? তাহলে আর কতকাল বসে বসে অত্যাচারকে সহ্য করব? রাসূল (সা) কি বলেনি যে মুসলমানরা হচ্ছে একটি শরীরের মত যদি শরীরের কোন অংশে যদি আঘাত লাগে তাহলে সে ব্যাথ্যা পায় হে মুসলিম জাতি আজ ফিলিস্তিনে কোটি কোটি মুসলমান নির্যাতিত একবারও কি তোমার ব্যাথ্যা অনূভব হয়েছে? একবারও কি এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছো? একবারও অত্যাচারীদের ধ্বংস করার জন্য দোয়া করেছ? একবারও কি মুসলমানদের মুক্তির জন্য আরাধনা করেছ? আমি জানি এর উত্তর কি হতে পারে। হায় আপসোস! আমরা মুসলমান হয়ে মুখে কালেমার বাণী নিয়ে কোন পথে এগিয়ে চলেছি! আজ যখন এত বড় বড় বিষয় আমাদের সামনে ঝলমল করছে তখন আমরা কি করছি? শুধুমাত্র এ যে শিয়ারা কি বলল সুন্নি কি বলল, কে কাকে কাফের বলল, কে কাকে মুশরিক বলল। আপনারা জানেন এসব বলার ও এসব কাহিনীর পিছনে সময় ব্যয় করার অর্থ কি? এর অর্থ হচ্ছে এটাই যে তোমরা মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যস্ত থাক আর আমরা তোমাদের একটা একটা করে মাথা কাটতে থাকি এবং জমি দখল করতে থাকি তোমরা এদিকে মাথা ঘামাইও না। আর আমরা মুসলমান গাধার মত কিছু না বুঝে তাদের দেওয়া বস্তা পচা বাণীগুলোকে মহামূল্যবান মনে করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করে বেড়ানোর চেষ্টা করছি। হায় রে মহা জ্ঞানী মুসলমান! আজ আমরা ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার পাঠাতে চাচ্ছি অথচ একজন মুসলিম শাসক হয়ে বাধা দিচ্ছি। আমরা কেমন মুসলমান যে আমাদের গায়ে আঘাত হানছে আর আমরাও আঘাতকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে একযোগে কাজ করছি। এটাকে কি একজন মুসলমানের ব্যবহার বলা যেতে পারে না-কি মুসলিম নামধারী ইসরাঈলী এজেন্ট বলা যেতে পারে। সুপ্রিয় পাঠকমন্ডলী আপনারা ভেবে দেখুন।
ইসরাঈলের বিরুদ্ধে কথা বলা ইরানী শিয়াদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। আহমদিনেজাদ যখন হুগো শ্যাভেজকে “আমার সাহসী ভাই” বলে সম্বোধন করেন তখন কোথায় থাকে আপনাদের এই বুলীগুলো? কোনদিন তো দেখলাম না আহমদিনেজাদকে বলতে বাংলার মুসলমানরা আমার ভাই! বরং সামুতে দেখলাম, শিয়াদের লেখাতে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমদের কাফির সাব্যস্ত করতে। এই হচ্ছে মুসলিমদের সাথে আপনাদের ঐক্যের নমুনা! কি চমৎকার তাই না?
“We are here to welcome you, brother Ahmadinejad. Leader. Brother. Comrade,” Chavez said.
Ahmadinejad, in return, called Chavez “my valiant brother.”
Afterward, the two men shook hands and hugged.
হ্যা অবশ্যই সকল মুসমানদেরকে, ইসলামের শত্রুর বিরুদ্ধে এক হতে হবে। কিন্তু তাদের সংগে নিয়ে নয়, যারা ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়েছে- যারা আল্লাহ (সোবহানআল্লাহতালা) এর সংগে কারও শরীক করে। রাছুলুললাহ (সাঃ) কে যারা শেষ নবী মনে করে না বা অন্য কাউকে তাঁহার উপর প্রাধান্য দেয়। আললাহ সকলকে আলকুরআন ও সুননাহ মোতাবেক খাঁটি মুসলিম হওয়ার তাওফিক দিন এবং সকল মুসমানদেরকে একত্রিত হয়ে ইসলামের শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর তাওফিক দিন -আমীন।