প্রশ্ন: ঈমান সম্পর্কে…..
লিখেছেন: ' সাপোর্ট টিম [ পিস ইন ইসলাম ]' @ সোমবার, জুন ৬, ২০১১ (৩:১৯ অপরাহ্ণ)
প্রশ্ন: লা মাযহাবীদের মতে ইমাম আবু হানীফা রহ: বলেছেন ঈমান শুধু বিশ্বাস। এটা কি ঠিক?
প্রশ্নকারী: মো: মাসুদ।
উত্তর: ইমাম আবু হানীফা রহ: প্রতি এরুপ ধারণা করা আদৌ ঠিক নয়। যে তার নিকট ঈমান হলো শুধু এক আল্লাহর বিশ্বাস রাখার নাম। বরং তার নিকট ঈমান হলো অন্তরে এক আল্লাহর বিশ্বাস এবং মুখে তা স্বীকার করা উভয়ের নাম।(ইরশাদুস সারী খ:১, পৃ:১২০ উমদাতুল কারী খ:১,পৃ:১৬৪)
আর আমলের মাধ্যমে সে ঈমান বাড়তে থাকে, পরিপূর্ণ হতে থাকে। ফলে এই আমলের দ্বারাই চিরস্থায়ী জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে সরাসরি সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করবে। মূলত মুখে স্বীকার করা এবং আমল উভয়টি ঈমানের মুল অংশ। যদিও অন্তরে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের স্থান সবার উর্ধে।
তার দৃষ্টান্ত হল হাত ও মাথার মত। যেমন হাত ও মাথা উভয়টি মানুষের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে কারও যদি মাথা না থাকে তাহলে তাকে মানুষ বলা যাবেনা। কিন্ত যদি হাত নাও থাকে তাহলেও সে মানুষ। তেমনি ভাবে ঈমানের ক্ষেত্রে (তাছদীক) অন্তরে এক আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস হলো মাথার ন্যায়, যা ছাড়া ঈমানের অস্থিত্ব লাভ করতে পারেনা। আর আমল হলো অন্যান্য অঙ্গের ন্যায়, যা শরীরের সৌন্দর্য ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। তেমনি আমল করার দ্বারা ঈমানের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পায় ও পুর্ণাঙ্গতা লাভ করে।
পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফা রহ: এমন বলার তাৎপর্য হলো যে, তার যুগে সব চেয়ে বড় ফিৎনা ছিল “মুতাযিলা” ও “মুর্জিয়া” দের ফিৎনা। তারা শরিয়তের ব্যাপারে এতবেশি বাড়াবাড়ি করত যে, যদি কোন ব্যক্তি এবাদত ছেড়ে দিত এবং কবিরা গুনাহে লিপ্ত হত, তাহলে তাকে তারা কাফের “জাহান্নামী” বলে দিয়ে বসত। তাদের এ ভূল আকীদা প্রতিহত ও সাধারণ মুসলমানদেরকে তাদের কঠোর অবস্থান ও নীতি থেকে বাচানোর জন্য তিনি উক্ত কথা বলেছিলেন। (আনওয়ারুল বারী খ:১, পৃ:৬৮ ইযাহুল বুখারী খ:১, পৃ: ১৫৮)
উত্তর দাতা:
আবু বকর হামীদী
হাদীস গবেষণা বিভাগ ২য় বর্ষ।
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা।