ইসলামের সঠিক রূপ জানার উপায় (নাবী- রাসুলগণের প্রকৃত উত্তরাধিকারী আ’লিম কারা? – ৪)
লিখেছেন: ' taalibul_ilm2011' @ শনিবার, মে ১৯, ২০১২ (৮:০৭ পূর্বাহ্ণ)
ইসলামের সঠিক রুপ জানার একমাত্র উপায় হচ্ছে আল-কোরআন ও সুন্নাহ এবং এই দুই এর ব্যাখ্যায় সাহাবী, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীনগণের (রঃ) উপলব্ধি।
প্রথমতঃ আল-কুরআন ও সুন্নাহ :
আল্লাহ বলেন :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا (سورة النساء 594:)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্র অনুগত হও এবং রসূলের অনুগত হও এবং তোমাদের মধ্যকার কর্তৃস্থানীয় ব্যক্তিগণের; তবে যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সেই বিষয়কে আল্লাহ এবং রসূলের (নির্দেশের) দিকে ফিরিয়ে দাও যদি তোমরা আল্লাহ এবং আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান এনে থাক; (সূরাহ্ আন্-নিসা ৪ : ৫৯)
আল্লাহ আরো বলেন :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ (سورة الحجرات 149:)
ওহে মু’মিনগণ! তোমরা (কোন বিষয়েই) আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আগে বেড়ে যেয়ো না, আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরাহ্ আল-হুজুরাত ৪৯ : ১)
আল্লাহ আরো বলেন :
ثُمَّ جَعَلْنَاكَ عَلَى شَرِيعَةٍ مِنَ الْأَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ (سورة الجاثية 1845:)
অতঃপর (হে নাবী!) আমি তোমাকে দ্বীনের (সঠিক) পথের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি, কাজেই তুমি তারই অনুসরণ কর, আর যারা (দ্বীনের বিধি-বিধান) জানেনা তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করো না। (সূরাহ্ আল-জাসিয়াহ ৪৫ : ১৮)
আল্লাহ আরো বলেন :
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا (سورة النساء 654:)
কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা মু’মিন হবে না, যে পর্যন্ত তারা তাদের বিবাদ-বিসম্বাদের মীমাংসার ভার তোমার উপর ন্যস্ত না করে, অতঃপর তোমার ফয়সালার ব্যাপারে তাদের মনে কিছু মাত্র কুণ্ঠাবোধ না থাকে, আর তারা তার সামনে নিজেদেরকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করে। (সূরাহ্ আন্-নিসা ৪ : ৬৫)
ইমাম মালিক (রঃ) তাঁর হাদিস গ্রন্থ ‘আল মুয়াত্তা’ তে দ্বিতীয় অধ্যায়ের নাম রেখেছেন,
كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة
অর্থাৎ আল-কিতাব (আল-কুরআন) ও সুন্নাহ আঁকড়ে থাকাহ।
বেশীর ভাগ হাদিস গ্রন্থেই এরকম নামে আলাদা অধ্যায় অথবা পরিচ্ছেদ রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে হাদিসের অবতারণা করা বাতুলতা মাত্র। তারপরও মাত্র একটি হাদিস আমরা উল্লেখ করবোঃ
أن رسول الله صلى الله عليه و سلم خطب الناس في حجة الوداع فقال يا أيها الناس أني قد تركت فيكم ما إن اعتصمتم به فلن تضلوا أبدا كتاب الله وسنة نبيه ]أخرجه البيهقى (10/114 ، رقم 20123) . وأخرجه أيضًا : الحاكم (1/171 ، رقم 318)[
রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজ্জের ভাষনে বলেছেনঃ আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি যদি তোমরা তা আকড়েঁ ধরো, তবে কখনো পথভ্রষ্ট হবে নাঃ আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাহ। (সুনান বাইহাকী ২০১২৩, আল হাকিম ৩১৮, ৩১৯, দারাকুতনী ৪/২৪৫; আলবানীর মতে সহীহ, দেখুনঃ সহীহ তারগীব ওয়া তারহীব ৪০)
تركت فيكم شيئين لن تضلوا بعدهما كتاب الله وسنتى ولن يتفرقا حتى يردا على الحوض (الحاكم عن أبى هريرة)
أخرجه الحاكم (1/172 ، رقم 319) . وأخرجه أيضًا : الدارقطنى (4/245) .
সুতরাং ইসলামের সঠিক রূপ আল-কুরআন ও রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ হতে জানতে হবে। অন্য কোন গল্প-কেচ্ছা-কাহিনি, স্বপ্নের বর্ণনা, বুজুর্গের কাহিনি, পীরের কেরামতি ইত্যাদি কোন কিছুই সঠিক ইসলাম জানার উৎস নয়।
দ্বিতীয়তঃ আল-কুরআনের আয়াত ও সুন্নাহর ব্যাখ্যায় সাহাবী, তথা পূর্ববর্তী নেককারদের সৎকর্মশীলদের উপলব্ধি (understanding). আল্লাহ বলেন :
فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا وَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ (سورة البقرة 1372:)
সুতরাং এরা যদি তেমন ঈমান আনে, যেমন তোমরা ঈমান এনেছো, তাহলে তারা সঠিক পথ পাবে আর যদি অস্বীকার করে, তবে তারা ভেদাভেদে লিপ্ত, সে অবস্থায় তোমার জন্য তাদের (অনিষ্ট হতে বাঁচার জন্য) আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞাতা। (সূরাহ্ আল-বাক্বারাহ্ ২: ১৩৭)
এখানে ‘তোমরা’ অর্থ সাহাবা (রা.)গণ।
রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :
قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ليأتين على أمتي ما أتى على بني إسرائيل حذو النعل بالنعل حتى إن كان منهم من أتى أمه علانية لكان في أمتي من يصنع ذلك وإن بني إسرائيل تفرقت على ثنتين وسبعين ملة وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة كلهم في النار إلا ملة واحدة قالوا ومن هي يا رسول الله قال ما أنا عليه وأصحابي (الترمذى - حسن غريب - والطبرانى عن ابن عمرو) قال الشيخ الألباني : حسن
‘আমার উম্মাহ ঐসব অবস্থার সম্মুখীন হবে, যা বাণী-ইসরাইল সম্মুখীন হয়েছিলো, ঠিক একজোড়া জুতার একটি-অপরটির মতো। এমনভাবে যে, যদি তাদের কেউ নিজের মায়ের সাথে জ্বিনা করে থাকে, তবে আমার উম্মাতের মধ্যেও লোক থাকবে, যে নিজের মায়ের সাথে জ্বিনা করে। আর বাণী ইসরাইল বাহাত্তরটি ভাগে ভাগ হয়েছিলো, আমার উম্মাহ তিয়াত্তর ভাগে ভাগ হবে। তাদের প্রত্যেকে জাহান্নামী হবে, শুধুমাত্র একটি ভাগ (মিল্লাত) ছাড়া।’ সাহাবীগণ (রা.) জিজ্ঞেস করলেন, ‘তারা কারা, হে আল্লাহর রসুল?’ তিনি বললেন, ‘যারা আমি যে পথে আছি এবং আমার সাহাবাগণ যে পথে আছে (সে পথ অনুসরণ করবে)। (সুনান তিরমিযী-২৬৪১, অন্য সাহাবীর বর্ণনায় একই হাদিস বর্ণিত হয়েছে; আলবানীর মতে হাসান, দেখুন সিলসিলা আস্ সাহীহা - ১৩৪৮)
সুতরাং যে কোন ব্যাপারে আল-কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা বুঝার ক্ষেত্রে সাহাবীদের ব্যাখ্যাই গ্রহণযোগ্য হবে।
রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন :
لا تسبوا أصحابي فلو أن أحدكم أنفق مثل أحد ذهبا ما بلغ مد أحدهم ولا نصيفه ] أخرجه الطيالسى (ص 290 ، رقم 2183) ، وأحمد (3/54 ، رقم 11534) ، وابن أبى شيبة (6/404 ، رقم 32404) ، وعبد بن حميد (ص 287 ، رقم 918) ، والبخارى (3/1343 ، رقم 3470) ، ومسلم (4/1967 ، رقم 2541) ، وأبو داود (4/214 ، رقم 4658) ، والترمذى (5/695 ، رقم 3861) وقال : حسن . وابن حبان (16/238 ، رقم 7253) [
‘আমার সাহাবীদের ব্যাপারে কেউ কটূক্তি করবে না। তোমাদের কেউ ওহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় দান করলেও তাদের (সাহাবীদের) মতো হতে পারবে না-তাঁদের অর্ধেকও না।’ (সহীহ বুখারী- ৩৪৭০, সহীহ মুসলিম ২৫৪১, সুনান আবু দাউদ ৪৬৫৮, সুনান তিরমিযী ৩৮৬১, মুসনাদে আহমাদ - ১১৫৩৪, মুসনাদে ইবনে আবি শাইবাহ -৩২৪০৪ ইত্যাদি)
রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন :
خير الناس قرني ثم الذين يلونهم ثم الذين يلونهم ثم يجيء من بعدهم قوم تسبق شهادتهم أيمانهم وأيمانهم شهادتهم ] أخرجه ابن أبى شيبة (6/404 ، رقم 32407) ، وأحمد (1/434 ، رقم 4130) ، والبخارى (2/938 ، رقم 2509) ، ومسلم (4/1962 ، رقم 2533) ، والترمذى (5/695 ، رقم 3859) وقال : حسن صحيح . وابن ماجه (2/791 ، رقم 2362) . وأخرجه أيضًا : النسائى فى الكبرى (3/494 ، رقم 6031) ، وأبو يعلى (9/40 ، رقم 5103) ، وابن حبان (16/205 ، رقم 7222) ، والبيهقى (10/45 ، رقم 19696) ، والطبرانى (10/165 ، رقم 10338) [
সর্বোত্তম যুগ হলো আমার যুগ, অতঃপর যারা আসবে তাদের যুগ, অতঃপর যারা আসবে তাদের যুগ। (সহীহ বুখারী – ২৫০৯; সহীহ মুসলিম – ২৫৩৩, সুনান তিরমিযী – ৩৮৫৯, সুনান ইবনে মাজাহ – ২৩৬২, সহীহ ইবনে হিব্বান – ৭২২২, সুনান বাইহাকী – ১৯৬৯৬, তাবরানী – ১০৩৩৮)
قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ” مَنْ كَانَ مِنْكُمْ مُسْتَنًّا فَلْيَسْتَنَّ بِمَنْ قَدْ مَاتَ . فَإِنَّ الْحَيَّ لَا تُؤْمَنُ عَلَيْهِ الْفِتْنَةُ أُولَئِكَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ : أَبَرُّ هَذِهِ الْأُمَّةِ قُلُوبًا وَأَعْمَقُهَا عِلْمًا وَأَقَلُّهَا تَكَلُّفًا قَوْمٌ اخْتَارَهُمْ اللَّهُ لِصُحْبَةِ نَبِيِّهِ وَإِقَامَةِ دِينِهِ فَاعْرِفُوا لَهُمْ حَقَّهُمْ وَتَمَسَّكُوا بِهَدْيِهِمْ فَإِنَّهُمْ كَانُوا عَلَى الْهُدَى الْمُسْتَقِيمِ “) مجموع الفتاوى لابن تيمية)
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন : ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ অন্যকে উদাহরণ হিসেবে নিতে চায়, সে যেন যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, তাদের থেকে উদাহরণ নেয়, কারণ যে জীবিত, সে ভুলভ্রান্তি থেকে নিরাপদ থাকার নিশ্চয়তা নেই। তাঁরা হচ্ছেন মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবী (রা.)গণ। এই উম্মাতের মধ্যে তারা সবচেয়ে খোদাভীরু, সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী, বাড়াবাড়ি ও অলসতা হতে সবচেয়ে দূরে। তাঁদেরকে আল্লাহ তাঁর রসুলের (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গী হওয়ার জন্য এবং তাঁদের মাধ্যমে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নির্বাচিত করেছেন। তাই তাঁদের সম্মান ও অধিকারের স্বীকৃতি দাও এবং তাদের পথ অাঁকড়ে ধরো। কারণ তাঁরা সঠিক পথের উপর ছিলেন।’ (মাজমু আল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া ৩/১২৬, ৪/১৩৭)
ইমাম শাফিই (র.) বলেন : ‘তাঁরা (সাহাবী এবং পরবর্তী দুই প্রজন্ম) জ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রে, বুদ্ধিমত্তা, আমল, গুণাগুণ এবং জ্ঞান-অর্জনের পথে সহায়ক প্রতিটি ব্যাপারে আমাদের থেকে অগ্রগামী। আমাদের নিজস্ব মতামতের চেয়ে, তাঁদের মতামত আমাদের জন্য কল্যাণকর।’ (আর্-রিসালাহ)
وَمِنْ الْمَعْلُومِ بِالضَّرُورَةِ لِمَنْ تَدَبَّرَ الْكِتَابَ وَالسُّنَّةَ وَمَا اتَّفَقَ عَلَيْهِ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ مِنْ جَمِيعِ الطَّوَائِفِ : أَنَّ خَيْرَ قُرُونِ هَذِهِ الْأُمَّةِ – فِي الْأَعْمَالِ وَالْأَقْوَالِ وَالِاعْتِقَادِ وَغَيْرِهَا مِنْ كُلِّ فَضِيلَةٍ أَنَّ خَيْرَهَا – : الْقَرْنُ الْأَوَّلُ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ كَمَا ثَبَتَ ذَلِكَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ) مجموع الفتاوى لابن تيمية)
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (র.) বলেন : ‘ইসলামে অত্যাবশ্যকীয় জ্ঞানের মধ্যে এটাও একটা বিষয় এবং যে কেউ আল-কুরআন ও সুন্নাহ সঠিকভাবে অনুধাবন করে সে জানে এবং আহলুল সুন্নাহ ওয়াল জামাহ এর সকল দল-মত এ ব্যাপারে একমত যে, কথা, কাজ, আক্বীদার (বিশ্বাসসমূহ) এবং সকল গুণাবলীর দিক থেকে ইসলামে উত্তম প্রজন্ম হচ্ছে প্রথম প্রজন্ম, তারপর যারা তাঁদের পরে এসেছেন (তাবেয়ীন) তাঁরা, তারপর যারা তাঁদেরও পরে এসেছেন। এটা নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বিভিন্নভাবে নিশ্চিত হয়েছে।’(মাজমু আল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া ৪/১৫৭)
এছাড়াও আল-কুরআন তাঁদের মাঝেই অবতীর্ণ হয়েছিলো, তাঁরা বিভিন্ন আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট পরবর্তী প্রজন্মসমূহ হতে উত্তমভাবে জানতেন, তৎকালীন আরবী ভাষার জ্ঞানেও তাঁরা পরবর্তী প্রজন্ম থেকে উন্নত, রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা তাঁরা নিজেরা শুনেছেন এবং পালন করেছেন, তাই আল-কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যায় মত পার্থক্য হলে, সাহাবী, তাবেয়ীন ও তাবে-তাবেয়ীনগণের ব্যাখ্যাই গ্রহণযোগ্য হবে এবং অগ্রাধিকার পাবে।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
সুন্দর হয়েছে, চালিয়ে যান।
আস্সালামু আলাইকুম।
উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমার ধারণা এই ব্লগে বেশ কিছু আলিম ও তালিবে ইলম ভাই আছেন। তাদের মতামত, পরামর্শ ও সংশোধনী নেয়ার জন্যই লেখটি এই ব্লগে শেয়ার করা।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।