লগইন রেজিস্ট্রেশন

উপহাস (Tease) করা গোনাহ

লিখেছেন: ' তালহা তিতুমির' @ শনিবার, জানুয়ারি ৩০, ২০১০ (১১:০০ পূর্বাহ্ণ)

মুমিনগণ কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পার। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না । বিশ্বাস স্থাপন করার পর কাউকে মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এরূপ কাজ থেকে বিরত না থাকে তারাই যালেম।
(আল-হুজুরাত, আয়াত- ১১)

ব্যাখ্যা: উপহাস হলো কোন ব্যাক্তিকে হেয় ও অপমান করার জন্যে তার কোন দোষ এমনভাবে উল্লেখ করা যাতে শ্রোতারা হাসতে থাকে। এটা যেমন মুখে সম্পন্ন হয়, তেমনি হস্ত-পদ ইত্যাদি দ্বারা ব্যাঙ্গ অথবা ইংগিতের মাধ্যমেও সম্পন্ন হয়ে থাকে। ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সকল ধরনের উপহাস নিষিদ্ধ করেছে। এ আয়াতের সারমর্ম হলো এই যে, কোন ব্যাক্তির দেহ, আকার-আকৃতি বা আচার-আচরণে কোন দোষ দৃষ্টিগোচর হলে তা নিয়ে কারো হাসাহাসি বা উপহাস করা উচিত নয়। কেননা তার জানা নেই ঐ ব্যাক্তি হয়তো সততা, আন্তরিকতা ইত্যাদির কারণে আল্লাহর কাছে তার চাইতে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ। কোন দোষ থাকলে তা সমাধানের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এ আয়াত পূর্ববর্তী বুযুর্গ ও মনীষীদের অন্তরে অসাধারণ প্রভাব বিস্তার করেছিল।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১০৬ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৩ টি মন্তব্য

  1. কোন ব্যাক্তির দেহ, আকার-আকৃতি বা আচার-আচরণে কোন দোষ দৃষ্টিগোচর হলে তা নিয়ে কারো হাসাহাসি বা উপহাস করা উচিত নয়। কেননা তার জানা নেই ঐ ব্যাক্তি হয়তো সততা, আন্তরিকতা ইত্যাদির কারণে আল্লাহর কাছে তার চাইতে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।

    একমত। ধন্যবাদ।

  2. তালহা ভাই, সুন্দর পোষ্ট। আল-কুরানে আরেক জায়গায় এই বিষয়টি আছে, আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

    প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ,
    ১০৪) সূরা হুমাযাহ ,আয়াত সংখাঃ১।