প্রত্যেক মুসলমান পুরুষদের জন্য দাড়ি রাখা ফরয ॥ কাটা হারাম
লিখেছেন: ' twaheer' @ মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০ (২:০৯ অপরাহ্ণ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “ওই সকল পুরুষের প্রতি অভিসমপাত (লা’নত), যারা মেয়ে লোকের আকৃতি ধারণ করে।” (বোখারী শরীফ)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ থেকে সুসপষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, পুরুষের জন্য তার ‘দাড়ি’ চেঁছে ফেলা হারাম যা মেয়ে লোকের আকৃতি ধারণ করার নামান্তর, যা ইসলামী শরীয়তে সুসপষ্টভাবে হারাম। অতএব, এমন হারাম থেকে বেচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য। আর এ থেকে বেঁচে না থাকা বা অমান্য করা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে খালেছ গযব তথা লা’নত প্রাপ্তির কারণ।
অতএব, দেশের শতকরা ৯৫ ভাগেরও বেশি মুসলমানগণের দেশের প্রত্যেক পুরুষের জন্য দাড়ি কাটা থেকে বিরত হয়ে তা ফরয আমল মনে করে রাখা দায়িত্ব-কর্তব্য।
হাদিসের পরবর্তী অংশটুকু এরকম, “ওই সকল মেয়ে লোকের প্রতি অভিসমপাত (লা’নত), যারা পুরুষের আকৃতি ধারণ করে।” লেখকের ব্যখ্যা অনুযায়ী দাড়ি চেছে ফেলা হারাম কারন এভাবে পুরুষেরা নারীর বেশ ধারণ করে। পুরুষেরা ইচ্ছা করলেই দাড়ি চেছে নারীর বেশ ধারণ করতে পারবে। কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে ব্যখ্যাটা কি হবে। কারন নারীরা যদি তীব্র ইচ্ছাও প্রকাশ করে পুরুষের বেশ ধারন করার, তবুও তারা দাড়ি রেখে পুরুষের বেশ ধারন করতে পারবে না। কারন নারীদের প্রাকৃতিকভাবেই দাড়ি গজায় না। আমার মতে এ হাদিসে পোশাকের কথা বুঝানো হয়েছে।