লিবিয়ায় যা চলছে।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ মঙ্গলবার, মার্চ ৮, ২০১১ (৫:৫৩ অপরাহ্ণ)
মুয়াম্মার কাযাফী কখনোই পশ্চিমাদের খুব কাছের নয় যেমনটি গতানুগতিক অন্য আরব শাষকরা, কিন্তু যখনই বিদ্রোহ শুরু হলো তখন শুনাগেল নুতন রব। ঠিক কি যে চলছে লিবিয়াতে তা মিডিয়া হয়তো পরিষ্কার বলছে না নয়তো বলার সুযোগ পাচ্ছে না। হতাহত ও নিহতের সঠিক সংখ্যা কারো জানা নেই, কে শত্রু কে মিত্র তাও অস্পষ্ট। মধ্য থেকে যুদ্ধবাজ এমেরিকা যুদ্ধজাহাজ ও বহুজাতিক সৈন্য মোতায়ন করতে যাচ্ছে, খেল ভালই জমবে তাতে। কারন কাযাফি যেমনটি ট্রয়াল করতে চেয়েছিলেন ওয়েস্টার্নদের সেভাবে তারা কুপোকাত হয়নি, বরং হৈচৈ ফেলে লিবিয়ার বিরুদ্ধে ডজনখানেক অবরোধ দিয়ে বসল। বাহ আর যায় কোথায় এবার উল্টো আলকায়দার নাম দিয়ে গাদাফী বাহিনীও পূর্বচরিত্র প্রকাশ করবে নিশ্চিত।
মুয়াম্মার গাদাফী এমন এক ব্যক্তি যে একদিকে আগুনে তেল ঢালতে বলে অপরদিকে দমকল বাহিনী পাঠায়!! ইতিপূর্বে এমেরিকা ও পশ্চিমাদের অনেক ক্ষতিকর অনেকগুলো পরিকল্পিত হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা প্রমান পাওয়ায় পশ্চিমারা প্রথমে তার কথায় ভড়কায়নি, কিন্তু যুদ্ধের নামে ধোয়াটা সৃষ্টি হওয়ায় এবার শিক্ষাদেবার আরো অনুকুল পরিবেশ পেয়েগেল দুই সতীনের লিবিয়া। একদিকে মুজাহিদদের হামলা অপরদিকে সরকারী লিব্বী গোস্ঠী । বেশ জমুক খেলা দেখি কি হয় শেষ।
“যুদ্ধ হলো প্রতারণা” এখানে সত্য বলা মহাপাপ বা বোকামী, তাই সুন্দর মোক্ষম পরিবেশই সৃষ্টি হলো মধ্য আফ্রিকায়, চামে তেল পিপাষুরা আসছে তেল পান করতে, আসে আসতে দিন। তবে তেলটাই কিন্তু কখনোই তাদের আসল সোর্স না, ক্রুসেড যুদ্ধ হলো তাদের তেল দখলের আরেক নাম। খনিজজাতের জন্যই তাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিশণ নয়, বরং এতে তারা ক্রুসেডের বিশাল ষোড় মিশন নিয়ে নামে। কাটা দিয়ে কাটা তোলার চেষ্টা করে, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, দূর্ভিক্ষ, ও ভীতিসৃষ্টি করে মানুষকে আবার অভয় দেবার নামে ধর্মান্তরিত করাই এই মিশনগুলোর মৌলিক উদ্দেশ্য। কিন্তু বারবারই নাম পরবে মুসলমানরাই কেবল তলোয়ার চাপিয়ে কালেমা পড়ায়।
**রেড ক্রস ইতিমধ্যে মিশন শুরু করেছে। এর সাথেসাথে ইসলামী এনজিওগুলোও ইতিমধ্যে এলার্ট হয়েছে, সৌদিয়া থেকে বিশেষ টীম কাজে যাচ্ছে লিবিয়ায়, অংশগ্রহনে ইচ্ছুকদের নিম্নোক্ত সাইটে ভিজিট করার অনুরোধ রইল। http://raf-thani.com/index.php?group=view&rid=505
আল জাজিরার খবরের ব্লগে দেখলাম গাদ্দাফি মিশন পাঠিয়েছেন বিদ্রোহীদের কাছে এই মর্মে যে যদি তারা গাদ্দাফির সম্পত্তি এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে (ইউ এন সহ) তাহলে তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দিবেন। কিন্তু বেনগাজির বিদ্রোহী কমান্ড তা মানতে অস্বীকার করে। সমস্যা ভয়াবহ। শত্র মিত্র ভাল মন্দ কিছুই বুঝা যাচ্ছে না।
@রাতদিন,
ঘটনা যাই হোক, প্রেসিদেন্ড ওবামা কে অনেক ভাল মানুষ মনে হচ্ছে। তিনি একই সংগে আন্তর্জাতিক আবার আন্ত-রাজনিতিক চাপ মোকাবেলা করে, মানুষের ভালর জন্য কিছু করতে চাচ্ছেন। তার সাথে অনেক নিতি নির্ধারকদের বিরোধ প্রায় প্রকাশ্য রূপ।
আল্লাহ পাক ওবামার ভাল করুন।
@রাতদিন, ওবামার হিডেন ইসলামপ্রীতি কতটুকো কাজ দেবে আমি জানি না, আমার এক বন্ধু বলতেন ওবামা হলো “বারাক হোসাইন ওবামা” বারাক ইহুদী ধর্মের হোসাইন মুসলিম ধর্মের আর ওবামা খৃস্টান ধর্মের সব মিলিয়ে!! কিন্তু কথা হলো সে তার রক্তের ইসলামপ্রীতি থেকে কিছুই করতে পারবে না কারন ওয়াইট হাউজের সে একজন মূখ্যলোক এর অন্তরালে যারা তার নীতিনির্ধারক তারা কখনোই বৃহত্তর এমেরিকার কথাও বিবেচনা করবে না বরং কেবল জায়নবাদের স্বার্থই চিন্তা করবে এটাই বাস্তবতা । গুয়েন্তানামোকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া ছিল তার একটি প্রতিশ্রুতি কিন্তু কাল কি শুনলেন? গুয়েন্তানামোর সবাইকে এমেরিকা এনে বিচার করা হবে!! সব ক্ষেত্রেই একই কথা। ইরাক আফগানিস্তান থেকে ব্যটাল ফিরিয়ে আনার কথা আরো কয়েকমাস আগের তা না করে ঘটা করে লিবিয়া-সামনে মিশর ও তিউনিসেও ব্যাটল পাঠাতে হবে।
যাই হোক সবকিছুরই একটা শেষ আছে, রাশিয়ার ইতিহাস যদি এমেরিকা একটু ভেবে দেখতে তবে শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই ছিল কিন্তু যার জন্য ধ্বংষ অনিবার্য হয়ে যায় সে উম্মাদ হয়ে ঐ ধ্বংষের পেছনে ছুটে তাই হয়তো এমেরিকার এই উম্মাদনা।
@আল মুরতাহিল, সহমত।