“ArmaGadon-হারমাজিদ্দুন” বা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইহুদী-নাসারা পরিকল্পনা এবং খেলাফাহ ব্যাবস্থার পূনপ্রতিষ্ঠা।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ মঙ্গলবার, নভেম্বর ১০, ২০০৯ (১:১১ পূর্বাহ্ণ)
অনেকদিন আগে সৌদি থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের কথা মনে পড়েগেল ” আরমাগ্যাডন” হারমাজিদ্দুন। এবং মুসলিম বিশ্বের আয়ূ – প্রকাশকাল: ২০০১/১১/১১ইং এবং লেখক আমীন মুহাম্মদ ইকবাল উদ্দীন।
বইয়ের বিষয়বস্তুটি ছিল বর্তমান বিশ্বের বহুল আলোচিত রাজনৈতিক কুটচাল, ও ইসলামী শাষণ ব্যবস্থার স্বরুপ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা। লেখক তার বইয়ের দ্বীতিয় সংস্করনে একটি বিষয় অবগত করেছেন যে, তার বইটি সামরিক, রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা ও কুটনৈতিক মহলে ব্যাপকভাবে পাঠিত হয়েছে, তিনি বর্তমান পৃথীবির সমূহ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু কারণ এবং ইহুদী নাসারাদের ক্রুসেড এবং আরমাগ্যাডন ওয়ারের ঘোষণার বিষয়টি বইটিতে পরিস্কার ভাবে তুলে ধরেছেন। মুসলিম বিশ্বে আরম্যাডন গবেষণায় তার লেখাই প্রথম। আমার এক বন্ধুর অনুরোধে বইটির বাংলা অনুবাদ করেদিয়েছিলাম কিন্তু ছেপেছিলো বলে মনে হয় না। বইটির অনলাইন সংগ্রহ কিংবা অনুবাদ কপি আছে কিনা কারো জানা থাকলে উপকৃত হবো। আমার যতটুকু মনেপড়বে তার ভিত্তিতে এবং অনলাইন সার্চের সাহায্যে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করবো …..। ইনশাআল্লাহ
হার মাজিদুন এখানে দুটি শব্দ যা মুলত হিব্রু । হার অর্থ পাহাড় মাজিদুন হল ফিলিস্তিন। আর নাসারা ও ইহুদীদের বিশ্বাস ইসরাইল বর্তমান ফিলিস্তিনে যে যুদ্ধ চলছে তা ধীরে ধীরে সেই আরমাগ্যাডনের ফাইনাল রুপ ধারণ করবে। তাদের ধারনামতে এটাই হবে পৃথীবির সবচাইতে বড় মহাযুদ্ধ এবং এটাতে জয়ের মাধ্যমেই তারা সারা পৃথীবিতে দাজ্জালের শাষিত একটি মাত্র দাজ্জাল-রাজ্যের পুরো পৃথীবির শাষণ কায়েম করতে পারবে।
আমরা কোরানের ইয়াজুজ মাজুজ সম্পৃক্ত আয়াত এবং দাজ্জাল সম্পৃক্ত হাদীস এবং د روى أحمد وأبو داود وابن ماجه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: “ستصالحون الروم صلحاً آمناً، فتغزون أنتم، وهم عدوا من ورائهم فتسلمون وتغنمون، ثم تنزلون بمرج ذي تلول، فيقوم رجل من الروم فيرفع الصليب ويقول: غلب الصليب، فيقوم إليه رجل من المسلمين فيقتله، فيغدر الروم وتكون الملاحم، فيجتمعون لكم في ثمانين غاية، مع كل غاية اثنا عشر ألفاً”. এর আলোকে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছি। উল্লেখিত হাদীসে বলা হচ্ছে ‘তোমরা রোমের সাথে একটি শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ হবে, তারপরো তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে, অতপর তোমাদের পিছথেকে একদল শত্রুবাহীনি তোমাদের পরাস্ত করবে এবং একটি পাহাড়ের নিকটই তোমাদের পরাজয় হবে, এরপর ক্রুসেড বাহিনী নাসারাদের পতাকা তুলে একজন খৃস্টান বলবে ক্রুসেডের জয়, এবং একজন মুসলিমও পতাকা নিয়ে দাড়াতে গেলে তাকে হত্যা করা হবে, এবং প্রচন্ড লড়াই হবে, তারা তোমাদের জন্য অনেক বড় বড় বাহীনি নিয়ে মোকাবেলা শুরা করবে, তাদের মোট আশিটি বাহীনি হবে এবং প্রত্যেক বাহীনিতে দশহাজার ক্রুসেডর লড়াই করবে” আহমদ, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ ।
বিষয়টি বর্তমান ইরাক-ইরান এবং আফগানিস্তানের অবস্থানরত ক্রুসেড সোলজারদের ব্যাপারে আমাদের ভাবিয়ে তুলছে, এমনটিই সম্ভাবনা করেছেন লেখক ডক্টর আমীন ইকবাল। পোপ বেনডিক্ট একবার তার একটি রেডিও ব্রিফিং এ উল্লেখিত বইয়ের সূত্র ধরে আরমাগ্যাডোন প্রতিরোধে মুসলিম পরিকল্পনা নিয়ে বলছিলেন। তাছাড়া বর্তমান ইউরোপীয় মিডিয়া লবিং যা ইসলাম-মুসলমানদেরকে সন্ত্রাস এবং যুদ্ধাংদেহীবলে পৃথিবীর সামনে পরিচয় করিয়ে দেয়, মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় যারা যুদ্ধ করে, সালাহ উদ্দীনআইয়্যুবী, মুহাম্মদ বিন কাশেম, এ যূগের মুজাহীদিন এবং সর্বপোরি আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ স: কে সন্ত্রাসী বলে অপপ্রচার চালায়। অথচ তাদের মধ্যপ্রাচ্যনীতির জন্যই আজ এবং সুপরিকল্পিত ভাবে তাদের ইস্পিত দাজ্জাল রাজ্য কায়েম করতেই পৃথীবি সম্মুখীন হবে এক ভয়ংঙ্কর যুদ্ধের। বক্ষমান নিবন্ধে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত চলবে ইনশা আল্লহ আলাইহে তাওয়াক্বালতু ওয়াইলাইহি আনীব وما توفيقي إلا بالله عليه توكلت وإليه أنيب
কাতারভিত্তিক ইসলাম অনলাইনে সেদেশের ফতোয়া বোর্ডের কাছে বইয়টির ব্যাপরে একটি ফতোয়া চাওয়া হলে বিষয়টি সঠিক ও গ্রহণযোগ্য বলে ফতোয়া আসে লিংক
চেষ্টা করবো, তবে বইটির কোন কপি আমার হাতে নেই বলে সমস্যা। অনলাইনে পাওয়া যায় কিনা ট্রাই করছি।
দোয়া করবেন যাতে বইটির কোন কপি পেয়ে যাই, যাকে অনুবাদ করে দিয়েছিলাম তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই, তবে পেয়ে যাব ইনশাআল্লাহ
[...] অনেক আগে আরমাগ্যাডন নিয় লিখেছিলাম, মূল আরবী বটির অনুবাদ [...]