মুসলিম নারীদের ক্ষমতায়নে পশ্চাত্যের দৃষ্টিভংঙ্গী ও আমাদের লিবারেল সমাজ।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ রবিবার, মে ৩০, ২০১০ (১১:০১ পূর্বাহ্ণ)
ইসলাম নারীদের কতুটুকো কি ক্ষমতা দিলো না দিলো সে প্রসংঙ্গটায় আপতত আর বাড়বো না। আমারব্লগ.কমে ফারুক নামীয় ব্লগারের যুক্তিখন্ডনেও মুসাফির নামিয় ব্লগার লিখেছেন অনেক কিছু সুন্দর পোষ্টও এসেছে। আজ পাশ্চাত্যে মুসলিম ক্ষমতায়ন বিশেষত নারী সমাজের ক্ষমতায়নে পাশ্চাত্যের গন্তব্য কি ও তার একটি আপেক্ষিক বিশ্লেষণ করবো:
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মুসলিম রিলেশন- বা মুসলিম ঔরষজাত হ্ওয়া- নিয়ে ইহুদীরা অনেক কথা তুলেছিল, কিন্তু সেই ইহুদীরা যখন ওবামার জবান মোবারাকে স্পষ্ট ঘোষণা পেল যে,”আমি মুসলিম নই” তখনই তারা তাকে আশির্বাদ করলেন, মনোনীত করলেন প্রথম কথিত মুসলিম প্রেসিডেন্ট,বা “উই নিড চেন্জ” এর প্রথম খলিফা, ধারাবাহিকতায় মহিলা ইমাম ও খতীব নিয়োগ ও অতিসম্প্রতি মিস ইউ,এস এ নির্ধারনে মিস রীমা ফাকিহ ।
রীমার ভাষায় ” আমি যখন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে নির্বাচিত হতে দেখলাম তখন এমেরিকা যে আমার বিউটি প্রতিযোগীতায় মুসলিম দিকটা বিবেচনা করবে না তাতে নিশ্চিত হই” ” আমি দেখলাম নাইন এলেভেনের পর এমেরিকায় মুসলিমদের প্রতি যে, বিরুপ ধারণা তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য এমেরিকার কালচারে আমাদের বিশেষত আরব বংশোদ্ভত এমেরিকান মেয়েদের সংশ্লিষ্ট হওয়া প্রয়োজন” সূত্র বেশ! মারহাবা বলছে এমেরিকাও। বলছে আমরা এ ধরনের মুসলিমই আশা করি,আমাদের সাথে দ্বন্দ কেবল কট্টরপন্থীদের।
জনৈকা ব্লগার ও বলছেন আমাদের খারাপ নয় ভালো দিকগুলো গ্রহন করা উচিত, কিন্তু পাশ্চাত্য গুটিকয়েক আদব লেহাজ যা শিখেছে তার মুয়াল্লিম বা ওসতাদ কারা তাও আলোচনার বিষয়। যে ভাল আমরা আজ তাদের কাছ থেকে পেয়েছি তা হলো স্যাটেলাইট সভ্যতা! :
*
ইলেকট্রিক উপকরণ আর ধ্বংষাত্মক যুদ্ধপ্রযুক্তি , এর বাইরে সামাজিক শৃংঙ্খলা-মানবীয় সভ্যতা, শিক্ষা বা বাস্তবিক কল্যানকর কোন অবদান পাশ্চাত্য আমাদের উপহার দিয়েছে বলে সে নিজেও দাবী করে না। আসাযাক পাশ্চাত্যের নারী র্দশনের কথায়, যেখানে নারীর রয়েচে অবাধ র্কমসংস্থান, স্বাধীনতার নামে নগ্নতা, উশৃংঙ্খল জীবনের সকল আঞ্জাম – প্রাচ্যের বিশেষত রক্ষনশীল মুসলিম রাস্ট্রগুলোতে যা কল্পনা করা যায় না এমনসব কথিত স্বাধীনতা পাশ্চাত্যে অবশ্য -ই আছে, এক বন্ধুর মুখে শুনেছিলাম একজন ইরুপের মেয়ে বিয়ে ছাড়াও সাড়াটি জীবন কাটিয়ে দিতে তাতে তার যৌন চাহিদার কোন ঘাটতি দেখা দিবে না, আর গড়ে প্রতিটি মেয় বিয়ের আগ কমপক্ষে আটজন পুরুষের সাথে দৈহিক মিলনের অভিজ্ঞতা রাখে; এসব স্বাধীনতা অবশ্য কোন রক্ষনশীল মুসলিম দেশে নেই। কিন্তু মুসলিম দেশগুলোতে তাদের মত পারিবারিক কলহ, জামাই বদল, লিভটুগেদার, পর্নোবিজনেস আর এসবের জের ধরে বিভিন্ন ভার্সটিতে কদিন বাদে বাদেই মারামারি আপনি দেখবেন না । পাশ্চাত্য দেখলো এত ঐর্শ্চয্য আর প্রভাবের পরেও মুসলিম জাতির মত সামাজিক সুখ তাদেরনেই, তাই যারা হেদায়াত পাবার তারা ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করেছে, আর যারা হেদয়াত পাবার নয় তারা মুসলিমদের এই সামাজিক বলয় ভেংঙ্গে দেবার যারপর নাই চেষ্টা শুরু করেছে। মেয়েদের প্রথাগত পেশায় সংযুক্ত হ্ওয়ার বিকল্প না ভেবে উলটো পাশ্চাত্যের কোয়ালাইটেড-কালাচার, অবাধ মেলামেশা, অহরহ প্রদর্শনী, বেহায়পনার প্রতিযোগীতায় বিশেষ কি ভাল দিক আছে তা নারীবাদিরাও জানেন না, যে কারনে লিবারেল পাশ্চাত্যের সমাজে এখনো নারীবাদী সংগঠণ ও নারী অধিকার বাস্তবায়নের দিশাহীন আন্দোলন সবচাইতে বেশী চলে।
পাশ্চাত্য তো নারীকে সবধরনের কথিত স্বাধীনতা ও লিবারেশন দিয়েছে, বিলিয়ন ডলারের সুন্দরি প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করেছে, চাকরী বাকরী এবং আইন আদালতে পুরুষের সাথে সমানভাবে অংশগ্রহন করে নিজেদের অধিকার রক্ষার সুযোগ দিচ্ছে, কিন্তু আমি খুব সাধারন ও বাস্তব এক প্রশ্ন আজকের মিডিয়া ও বিশ্বের কাছে করবো, সত্যিকরে বলুন তো দেখি কোন রাস্ট্রগুলোতে নারীরা বেশী ধর্ষিতা, কোন রাস্ট্রগুলোতে ইভটিজিং সবচাইতে বেশী, কোন রাস্ট্রগুলোতে সবাচাইতে বেশী আত্নহত্যা করছে মেয়েরা? আপনি সত্যিকার বর্ননা যদি উপস্থাপন করেন, বাস্তবতাকে যদি স্বীকার করে নেন তবে অবশ্যই বলতে বাধ্য যে, পশ্চিমের দেশগুলোতেই এসব বেশী, অন্তত রক্ষনশীল মুসলিম দেশগুলোর তুলুনায়। এর কারণ হলো নারীকে যখন আপনি সহজলোভ্য করে দিবেন তখন পুরুষ তার যৌনচেতনাকে কন্ট্রল করতে পারবে না সৃষ্টিগত করনেই, আইন করে র্যাপ আর টিজিং এর শাস্তির বিধান করে আপনি পুরুষের সেই লোভ ও চাহিদাকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না, কারন কলেজ-ভারসিটি,অফিস, আদালত সবজায়গাতেই নারী আপনাকে প্রলুব্ধ করছে সহজাত সৃষ্টিগত দিক থেকেই। */
*
তাই নারী ছাড়া চলবেই না এমন কাজ ছাড়া অবাধে সকল জায়গায় নারীর বিচরণ ও সংস্থাপন ইসলাম সমর্থন করে না, যেহেতু নারীর গঠনগত দিকথেকে দুর্বলতা রয়েছে এবং পুরুষের দ্বারা সে আক্রান্ত হবে এবং নিষ্পেষিত হবে এটাই স্বাভাবিক, তাই বাহিরের কাজগুলো পুরুষকে করতেই বাধ্য করা হয়েছে, এবং নারীদের হেফাজতের জন্যই ঘরমুখো করা হয়েছে। এর অর্থ এটা নয় যে নারীকে শিক্ষা-দীক্ষা ও আধুনিকতা থেকে বঞ্ছিত করবেন, কঠোর সৌদি রক্ষনশীল দেশেও নারীদের জন্য আলাদা কলেজ ভার্সিটি, ও আলাদা পরিবেশ ও কোটা সংরক্ষিত। ইসলামের সবচাইতে বেশী হাদীস বর্ননাকারী মহিলা, রসুলের স্ত্রী হযরত আয়েশা, প্রথম ইসলাম গ্রহনকারিনী মহিলা, প্রথম শহিদা মহিলা, অনেক মহিলারা ও যুদ্ধ বিগ্রহে সরাসরি লড়াই ও করতেন, অনেক পুরুষের চাইতে তারা বেশী সাফল্য দেখিয়েছেন। নারীকে পাশ্চাত্য যে দুর্বিসহ অবস্থানে ফেলে রেখেছে ইসলাম ও রক্ষনশীল মুসলিম সমাজ তার চাইতে অনেক বেশী হেফাজত ও অধিকার নিশ্চিত করেছে। */
গত দুই দশক ধরে পাশ্চাত্যের সাষ্কৃতিক জোয়ারে আমদেরর মুসলিম নারীরা ভাসতে শুরু তখন পাশ্চাত্য তাদের মাথায় এই মেকি ধারণা ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হলো যে, ইসলাম ও রক্ষনশীল মুসলিমরা নারীকে খুবই হীন ও সামাজিক ভাবে কোনঠাসা করে ফেলেছে।
তাসলীমা, রীমা, এবাদী, হাইফা সহ হাজারো লিবারেল ফ্যামেলীর মেয়েরা এসে এই পশ্চিমা থিওরীকে আমাদের সমাজে এডভাটাইস করে বেরাচ্ছে, আমাদের সাথে এখন রীতিমতো র্তক ও বাক বিতন্ডার আরম্ভ হয়েছে যে, ইসলামের নারী নীতিকে কাটসাট করা প্রয়োজন।
ক্রসেডররা যখন স্পেনের আন্দালুস-প্যারিস আর স্পেনের শহরগুলো দখল করতো তখন ফরাও আর কিবতিদের সেই যঘন্যতম ব্যবহারের পুনুরাবৃত্তি ঘটাতো, পুরুষদের হত্যা করে, আবলা নারী, তরুনীদের, ছোট শিশুদের যৌন নিপীড়ন আর বেহায়াপনায় বাধ্য করতো। তাতো ছিল জোর জবস্তির র্নিমম ইতিহাস, কিন্তু আজ তারা সমর যুদ্ধ নয় বরং স্যাটেলাইট যুদ্ধের মাধ্যমে লিবারেল মুসলিম সমাজের এক বিশাল অংশকে এসব কাজে সেল্ফ রিপলেসড করতে পেরেছে, এমেচার-পর্নোগ্যাফি থেকে শুরু করে ডিসকো প্রতিযোগীতা আর নীল সাহিত্য লিখায় এখন তারাই আমাদের কাছে সবক নেয়। লা হ্ওলা ওলা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ
“সত্যিকরে বলুন তো দেখি কোন রাস্ট্রগুলোতে নারীরা বেশী ধর্ষিতা, কোন রাস্ট্রগুলোতে ইভটিজিং সবচাইতে বেশী, কোন রাস্ট্রগুলোতে সবাচাইতে বেশী আত্নহত্যা করছে মেয়েরা? আপনি সত্যিকার বর্ননা যদি উপস্থাপন করেন, বাস্তবতাকে যদি স্বীকার করে নেন তবে অবশ্যই বলতে বাধ্য যে, পশ্চিমের দেশগুলোতেই এসব বেশী, অন্তত রক্ষনশীল মুসলিম দেশগুলোর তুলুনায়। এর কারণ হলো নারীকে যখন আপনি সহজলোভ্য করে দিবেন তখন পুরুষ তার যৌনচেতনাকে কন্ট্রল করতে পারবে না সৃষ্টিগত করনেই, আইন করে র্যাপ আর টিজিং এর শাস্তির বিধান করে আপনি পুরুষের সেই লোভ ও চাহিদাকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না, কারন কলেজ-ভারসিটি,অফিস, আদালত সবজায়গাতেই নারী আপনাকে প্রলুব্ধ করছে সহজাত সৃষ্টিগত দিক থেকেই। ”
আমি তো মনে করি আমাদের পুরুষদের তাকওয়ার অভাবই এর মূল কারণ। পাশ্চাত্যের জন্য এটা তো আরো যৌক্তিক যে তারা তাদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে অনেক দূরে, তাই শুধু আইন দিয়ে কিছু হয়না। আমাদের দেশেও তেমনি শুধু আইন দিয়ে কিছু হবে না। আমাদের দেশের ছেলেদের তাকওয়ার লেভেল মারাত্মক পর্যায়ে কমে যাচ্ছে। এটা নিয়ে মাওলানাদের তেমন কোন মাথা ব্যাথাই নেই। খুব কম লেখাই আমি দেখি যেখানে পুরুষদের তাকওয়া বাড়ানোর ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হচ্ছে। বরং পুরুষের গায়ে শক্তি বেশী, তাই তারা আক্রমণ করবেই, এ ধারণাকে আরো পোক্ত করে প্রচার করে আমাদের মাওলানারা। তারা বলে না যে এ অন্যায় কাজের জন্য পুরুষদের আল্লাহ্র সামনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। অতএব, তোমরা পুরুষেরা সাবধান হও। শুধু নারীদের ঘরে আটকিয়ে রেখেই পুরুষেরা নিজেদের ঈমান রক্ষা করে, এটা কেমনতর কথা?
@নাজনীন, তাকওয়া টা কী? আমার সামনে একজন সর্ট কাপড় পড়ে হেটে যাবে, সুযোগ পেয়ে অফিস, কলেজ, বা বাসায় আমাকে কু প্রস্তাব দিবে আমি এভয়েট করবো এটা অবশ্যই আমার আপনার তাকওয়া কিন্তু যিনি এসব করবেন তার কী তাকওয়ার ব্যাপার নেই? তার কি পরিচ্ছন্ন ইসলামী নিয়ম মেনে চলার বাধ্য বাধকতা নেই? আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে তা নিভানোর চেষ্টা করার চাইতে না জ্বালানোই কি উত্তম নয়? ইসলাম বলছে তোমরা পর্দা করে চলো, চোখের হেফাজত করো, ঢেকে ঘুরে চলো, যেখানে সেখানে চলো না, এসব তোমাদের স্বতীত্ব ও সম্ভ্রমের হেফাজতের জন্য বলা হচ্ছে আর আমরা বলছি না, না না আমাদেরকে যেমন খুশী তেমন পড়তে দিন, চলতে দিন ঘেষাঘেষি করতে দিন কেউ যেন তারপরো আমাদের উত্যক্ত না করে ? কেমন বেমানান না একটু?!!