“ফারুক” নিক ব্যান ও Allow প্রসংগে
লিখেছেন: ' কর্তৃপক্ষ [ পিস-ইন-ইসলাম ]' @ মঙ্গলবার, নভেম্বর ১০, ২০০৯ (৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ)
আস-সালামু আলাইকুম,
ফারুক নিক-কে ব্যান করার পর বিভিন্ন ব্লগারদের মন্তব্য বিশ্লেষন করে আমরা দুই ধরনের মত পেলাম ।
১) কেউ বলেছেন তাকে ব্যান করে ভালোই হয়েছে , কেননা তাকে ব্যান না করা হলে এমন অগ্রহনযোগ্য মতকে প্রতিষ্ঠিত করা হয় ।
২) কেউ বলেছেন তাকে ব্যান করা ভালো হয় নাই, কেননা ভিন্নমত হলেই যে তাকে ব্যান করতে হবে এমন কথা নাই ।
প্রথমে আমরা উপরের দুই পক্ষকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাদের সুচিন্তিত মতামত দেবার জন্য । তবে আমাদের নিজস্ব চিন্তাধরা আপনাদের কাছে পরিষ্কার করছি ।
১ # পয়েন্ট যে ব্লগাররা বলেছেন তাদেরকে বলছি, আমরা পিস ইন ইসলাম মডারেটররা সম্পূর্ন কোরান ও হাদিস কে ইসলামের দলীল হিসেবে গ্রহন করে থাকি । সুতরাং কোরান হাদীস কে যারা অস্বিকার করে তাদেরকে লিখার অধিকার দেওয়া মানে এই নয় যে তাদেরকে প্রমোট করছি ।
২# পয়েন্ট যে ব্লগাররা বলেছেন তাদেরকে বলছি, ভিন্নমত দেবার কারনে ফারুককে ব্যান করা হয় নাই , কারন হিসেবে যেটা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা আবার দেখুন :
কেউ জানার জন্য প্রশ্ন করলে তাকে আমরা উৎসাহ দিবো , কিন্তু কেউ একই প্রশ্ন বারবার করলে আমরা ধরেই নেবো তাকে বুঝানোর ক্ষমতা আমাদের নেই, কিংবা তার সত্য গ্রহন করার ইচ্ছে নেই ।
সুতরাং আবারো বলছি ভিন্নমতের কারনে ব্যান করা হয় নাই ।
আমরা বিচার বিশ্লেষন করে দেখলাম অনেকেই যেটা চাচ্ছেন ফারুকের সমগ্র বিশ্বাস বা ধ্যান ধারনাকে বিচার বিশ্লেসন করে এই ব্লগে উত্তর দিতে যাতে কয়েকটি বিষয়ে আমরা উপকৃত হতে পারি:
১) কোরান অনলি মতবাদের সমস্ত অভিযোগ এর উত্তর সবাই দিতে পারে
২) পিস ইন ইসলাম ব্লগে সমস্ত উত্তর আরকাইভ করা থাকলে অন্যান্য ব্লগে যারা ভ্রান্ত ধারনা ছড়াচ্ছে তাদেরকে এখান থেকে উত্তর সংগ্রহ করে সেখানে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া অনেকটা সহজ হবে ।
উপরিউক্ত দুটো যুক্তি আমাদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়েছে বিধায় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে “ফারুক”কে সাময়িকভাবে পুনরায় ব্লগিং করার সুবিধা দেয়ার জন্য ।
আপনাদের সবাইকে অনুরোধ প্রকৃত কোরান , হাদিসের দলীল দিয়ে ইসলামের প্রকৃত দিকটি ফুটিয়ে তুলুন এবং তার সমস্ত ভ্রান্ত ধারনার যথাযথ জবাব দিয়ে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলুন ।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ ।
ওয়াস-সালাম
কর্তৃপক্ষ [ পিস ইন ইসলাম ]
কোন বিষয়ে মতপার্থক্য হলে ধরে তৃতীয় নির্ভরযোগ্য কোন পক্ষকে দিয়ে সঠিক বিষয়টি ফায়সালা করতে হয় নতুবা আদালতের আইনের মত মামলা মুলতবী করতে হয়। সোজা সাপ্টা যে কোন ব্লগ পেইজের এডমিনরা নিজেদের কর্তৃত্ব মোতাবেক তার সাথে কেউ অতিরঞ্জিত, অবাঞ্ছিত তর্কে লিপ্ত হলে ব্যান্ড করতে বাধ্য থাকেন।
ইসলাম বিষয়ক ব্লগিং এর নীতিমালায় ফারুকের মত আরো ব্যক্তিরা ব্লগিং এর অধিকার হারায়, কারন ধর্মবিষয়ক ব্লগিং -যতটুকো জানি তাতে সাধারণ ব্লগিং – এর নীতিমালায়ও একটি কথা পরিষ্কার যে “নিজের মত প্রকাশ করতে গিয়ে কেউ যাতে পাবলিক সেন্টিমেন্ট, বিশেষ ধর্ম, ইজম ইত্যাদির ব্যাপারে অত্যুক্তি এবং অযাচিত কথা বার্তা না বলে”
ফারুকের ব্যাপক মহরম দহরম দেখেছিলাম আমারব্লাগ ডট কমে, সে এখানেও এসব চালাবে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, এবং ব্লগনীতির আওতায় বিচার করলে আমারব্লগেও তাকে ব্যান্ড করা উচিত।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।