কতৃপক্ষ ও ব্লগারদের প্রতি খোলা প্রশ্ন।
লিখেছেন: ' ফারুক' @ মঙ্গলবার, নভেম্বর ১০, ২০০৯ (১২:৫৬ অপরাহ্ণ)
প্রথমে কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে সাময়িক অনুমতি দেয়ার জন্য।
আমার পরিচয় আমি একজন মুসলমান। আমার মনে যে প্রশ্ন জাগে ও যা সত্য বলে প্রতিভাত হয় , সেগুলো নিয়েই আমি ব্লগে লিখি। আমি নিজের বুদ্ধি বিবেচনার উপরেই নির্ভর করি। আমার কোন প্রত্যক্ষ গুরু নেই। জ্ঞানার্জনের জন্য আমি সব ধরনের লেখা পড়ে থাকি , এমনকি বিধর্মীদের লেখা ও। আপনাদের এখানে ব্লগিং করার উদেশ্যই হলো জ্ঞানার্জন ও নিজের ভুল সংশোধন করা। এখানে আমি কাউকে ধর্মান্তরিত করার মিশন নিয়ে ও আসিনি। আমি মনে করি ইসলাম সত্য ধর্ম। ইসলামকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। কাউকে ব্যন করে তার বক্তব্যকে না বলতে দেয়াকে আমি ভীরুতা হিসাবেই দেখি। ইসলাম এত ঠুনকো নয় যে আমার মতো কোথাকার কোন ফারুক বিকৃত করে ফেলবে। ইসলাম ছিল ও থাকবে। আমি খোলামেলা আলোচনার পক্ষপাতি। এতে আমি তো ভয়ের কিছু দেখি না।
তবুও যেহেতু ব্যান করার ক্ষমতা আপনাদের হাতে । একারনে সুনির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন থাকা উচিৎ , যেটা অতিক্রম করলে আপনারা ব্যান করার অধিকার সংরক্ষন করেন। এটা যদি না করেন তাহলে তো কিছুই লেখা যাবেনা, কারন আমি জানব না কখন না আবার ব্যান হয়ে যাই। আত্মপক্ষ সমর্থনের ও একটা বিধি থাকা উচিৎ। হাত পা বেধে সাতরাতে বল্লে যে অবস্থা হয় আর কি!! আমি রাজপ্রাসাদের বেতনভুক কবি বা সমালোচক হতে চাই না।
এই ব্লগের সকল ব্লগারকে খোলামনে আলোচনার জন্য ও মতামত দেয়ার অনুরোধ করছি।
ব্লগিং রুলস পড়ুন, অবশ্যই নিজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে অন্য কারো বিশ্বাসের প্রতি অবাঞ্ছিত কোন মন্তব্য,বিকৃতমত প্রকাশ, অবজ্ঞা তাচ্ছিল্য প্রকাশ করার আইন বহির্ভুত। এ্যাডমিনের পোস্টেও কিছু লেখা হয়েছে, বিষয়গুলো লক্ষকরে ব্লগিং করুন ব্যান হওয়ার কিছু নেই।
আর নইলে ব্লগিং কেন, আপনার মতামত উক্ত নিয়মবহির্ভুত কোন বিষয় নিয়ে বই আকারে বের করেন তাও নিষিদ্ধ হবে।
আন্তর্জাতিক ভাবে মতপ্রকাশের কিছু নিয়ম কানুন আছে, আমি আপনার Amarblog.com এর লেখায় যথেস্ট পরিমান ব্যতিক্রম পেয়েছিলাম এবং তা নিয়ে রিপোস্ট ও দিয়েছিলাম। আপনার একটা ধর্ম দেখেছি আপনি আমার যুক্তিগুলো পড়েন নাকি না পড়েই আবারো সেই একই বিষয়ে প্রশ্ন করেন তা পরিষ্কার হয় না।
আপনার ব্লগিংগুলো অবশ্যই আপমার মুসলিম জনসাধারনের বিশ্বাসের পরিপন্থি, পরিপন্থী হতেই পারে আপনি আপনার মত প্রকাশ করবেন তাও স্বাভাবিক, কিন্তু তাদের বিশ্বাস কে “মিথ” ভ্রান্ত ইত্যাদি আপত্তিকর শব্দ ব্যাবহার করা আইন বহির্ভুত। আপনার সংশোধন কামনা করি।
আপনি কোন নিকে যুক্তি দিয়েছিলেন? সেটা জানালে বুঝতে সুবিধা হতো।
আমি যে যে কারন দেখিয়ে মিথ বা ভ্রান্ত বলেছি তা যুক্তি দিয়ে খন্ডন করুন। আপনার যুক্তি যদি ব্লগারদের কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য হয় , তবে তাদের ঈমান আরো দৃঢ় হবে। আর আমার যুক্তি যদি বেশি গ্রহনযোগ্য হয় তাহলে ও ভ্রান্ত ধারনা মুক্ত হয়ে ব্লগারদের ঈমান আরো দৃঢ় হবে। এটা তো win win situation. আমি একা আপনার যুক্তি মানলাম কি মানলাম না তাতে কি কিছু আসে যায়?
যুক্তির ব্যাপারটা পরে আসুক, আগে বলতে হবে কারো সাথে তর্ক-বিরোধে জড়িত হলে তার বিশ্বাসকে আপনি ভ্রান্ত বলতে পারেন, কিন্তু ‘ইসলামিক মিথ’ এটা কেমন অর্থ দাড় করায়?
@ফারুক ,
Welcome Back.
একেবার বেশী নতুন মতবাদ না দিয়ে ধীরে ধীরে অল্প করে লেখা দ্যান , তাহলে সবার বুঝতে এবং আপনার সাথে আলাপ চালিয়ে যেতে সুবিধা হবে।
আর যদি আমাদের সবার সত্য গ্রহন করার মতো মন মানসিকতা থাকে তাহলে তো খুবই ভালো সংবাদ ।
Thank You.
আপনার সাথে একমত।