চাঁদের জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা যখন অনুপস্থিত, হুতুম পেঁচারা তখন চাঁদকে গালি দিবেই
লিখেছেন: ' guest' @ শনিবার, অক্টোবর ৬, ২০১২ (১১:০১ অপরাহ্ণ)
মহানবী স. অবমাননা আজকের নয়। সেই নবুয়তের জামানা থেকেই চলছে। কখনও বেশী কখনও কম। কিন্তু বন্ধ ছিল না। এই অবমাননা ভুলক্রমে নয় বা না জানার কারণেও নয়। কোন ষড়যন্ত্রও নয়। ইচ্ছাকৃত। বরং সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। এটা ওদের অভ্যাস। পড়ুন বদভ্যাস। বরং স্বভাব। উদ্দেশ্য আর কিছুই না। একটা হাঙ্গামা লাগানো। মুসলমানদের কষ্ট দেয়া। না হলে ওরাও জানে এর দ্বারা মুসলমানরা ইসলাম থেকে সরবে না। অথবা মুহাম্মাদ স. সম্পর্কে মুসলমানদের অন্তরে কোন খারাপ ধারণাও সৃষ্টি হবে না। মুহাম্মাদ স. এর ব্যাপারে মুসলমানদের ভালবাসারও কোন কমতি হবে না। বরং বাড়বে। আরও বাড়বে। এগুলো মুসলমানদের ঈমানই শুধু বৃদ্ধি করে। এর আর কোনও ফলাফল নেই।
এই ব্লগ সেই ব্লগ, বাংলা ব্লগ, ইংরেজী ব্লগ এমন কি আরবী ব্লগেও। এই পেপার সেই পেপার এমন কি আরব ভুমিতেও। ব্লগে, খবরে, নাটকে, সিনেমায়, উপন্যাসে, আড্ডায়, আলোচনায় সবখানে। কিন্তু কেন। এর দ্বারাতো মুসলমানদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। বরং উপকার হচ্ছে। তাদের ঈমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু না। কিছু লোকের ঈমান কমছে। কিছু মুসলমানের সন্তানও ওদের তালে দুলছে। আসলে ওরা মুসলমানের সন্তান। মুসলমানের সন্তান হলেই কিন্তু মুসলমান নয়। মুসলমান হতে হলে নবীজির অনুসরণ করতে হয়। নবীজির ভালবাসা আর নবীজির অনুসরণ কিন্তু সমার্থক নয়। নবীজিকে আবুতালেবও ভালবেসে ছিলেন। ভালবেসে ছিলেন আবু লাহাব আবদুল ওজ্জাও। আবদুল মুত্তালিব তো বটেই। আবদুল ওজ্জা যিনি আবু লাহাব নামে সমধিক পরিচিত, দুই ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন নবীজির দুই মেয়ের সাথে। নবীজির জন্ম তাকে এত খুশি করেছিল যে যে সংবাদ দিয়েছে তাকে আযাদ করার মুখ খোলার মত সময় ব্যয় করতেও রাজি হন নি। তার আগেই হাতের ইশারায়। কিন্তু এই মুহাব্বাতের কোন দাম নেই। অনুসরণ দরকার। যাকে সুন্নত বলে। আজ সুন্নত নেই। মুসলমানের জীবনে নবীজির শিক্ষা নেই। মুসলমানের ছেলেরা তাই নাস্তিক হচ্ছে। ওদের সুরে গান করছে। তাদের কত মুহাব্বাত করতেন নবীজি। কোন দরকার তাঁর ছিল না উম্মতের জন্য জীবন ক্ষয় করার। জীবনে দুই বেলা পেট ভরে খান নি। জীবনে কোন দিনও দুই তরকারী একত্রে দেখেন নি। ভাল একটা বাড়িও পান নি থাকার জন্য। কোন দরকার ছিল না এত কিছু করার উম্মতের জন্য। বড় উঁচু বংশের ছিলেন। বড় সম্মানী ছিলেন। কাবা ঘরের প্রতিবেশী ছিলেন। মোড়ল ছিলেন তাঁরা। কাবা ঘরের মুতাওয়াল্লী ছিলেন। আজীবন পায়ের উপর পা তুলে চির জীবন সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারতেন। সব ত্যাগ করেছেন উম্মতের জন্য। উম্মত আজ তার শিক্ষা থেকে দূরে। কাফের মুশরিক আর দুনিয়াদারদের শিক্ষায় জীবন গড়ছে। মুসলমানের সন্তানরা তাই নবীজিকে গালি দিচ্ছে।
কারণ কি?
কারণ আর কিছুই না। চাঁদের জ্যোৎস্না নেই। হুতুম পেঁচারা তাই ক্ষেপেছে। ওদের আজ মহা উৎসব। ধরুন নবীজি চাঁদ। যদিও তিনি অতুলনীয়। আল্লাহর পরেই তাঁর স্থান। চাঁদ সেখানে কিছুই না। ও তো তাঁর ইশারা দু টুকরো হতে পারলেই ধন্য। এরপরও ধরুন তিনি চাঁদ। জ্যোৎস্না তাঁর সুন্নত। হুতুম পেঁচা জ্যোৎস্না সহ্য করতে পারে না। এটাই ওদের বৈশিষ্ট্য। তাই জ্যোৎস্নার সময় ওদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। পালায়। জ্যোৎস্না চলে গেলে ওদের খুশির অন্ত থাকে না। বড় কর্কশ স্বরে ডাকে। বহু দূর পর্যন্ত শোনা যায় ঐ শ্রুতিকটু ডাক।
সুন্নত আজ মুসলমানের জীবনে নেই। তাই নবীজির ব্যাপারে কেউ কোন খারাপ কথা বললে, সাধারণ কারও যাচাইয়ের সুযোগ থাকে না। যদি থাকত? মানুষ যাচাই করতে পারত। বুঝত তাঁর অনুসারীদেরই এই জীবন যাপন। এই ১৪০০ বছর পরেও। তিনি না যেন কেমন ছিলেন! সেই সুযোগ কোথায়? মুসলমানই তো আজ কাফেরের অনুসরণ করে। ওদের নবী যদি এতই ভাল হত তাহলে তো ওরাই তাঁর অনুসরণ করত। ওরাই অনুসরণ করে না। নিশ্চয়ই তাহলে পেঁচারা যা বলে তাই ঠিক?
পেঁচাদের ডাকে আমাদের কষ্ট হয়। বুক ফেটে যায়। আগুন ধরে যায় সারা অঙ্গে। কারণ আমরা আমাদের নবীজি কে মুহাব্বাত করি। ভালবাসি। এই ভালবাসার প্রকাশ আমরা হিংসে দিয়ে করি না। আমরা ঘৃণা দিয়েও করি না। সহিংসতা দিয়েতো না-ই! আমরা তাঁকে মুহাব্বাত করি তাঁর অনুসরণের মাধ্যমে। আজ এই অবমানার যুগের সময় এসেছে তাঁর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করার। আমরা কারও ফাঁসি চাই না। আমরা চাই হেদায়েত। আমরা চাই তাঁর অনুসরণ। আমরা চাই পেঁচারাও মানুষ হোক। তাঁকে অনুসরণ করুক। সময় এসেছে তাঁকে আরও বেশি ভালবাসার। সময় এসেছে তাঁকে আরও বেশী অনুসরণ করার। সময় এসেছে তাঁর জীবনকে হুবহু আমার জীবনে স্থাপন করার। তাঁর জীবন ছিল দাওয়াতের। তাঁর জীবন ছিল ভালবাসার। মানুষের প্রতি দরদের। দিনের পর দিনে মানুষের কাছে কাছে যাওয়ার। রাতের পর রাত আল্লাহর দরবারে বান্দার জন্য ফরিয়াদ করার। তাঁর জীবন ছিল ত্যাগের। তাঁর জীবন ছিল দুনিয়ার অনাসক্তির, আর আখেরাতের প্রস্তুতি। সমস্ত মানুষ আখেরাতে প্রস্তুতি নিক। তাঁর জীবন ছিল অল্পে তুষ্টির। তাঁর জীবন ছিল একেবারেই সাদামাঠা, অনাড়ম্বর।
কে আছ ভাই তাঁকে তাঁর মতো করে, তাঁর দেখানো পদ্ধতি ভালবাসবে?
সুন্দর বিশ্লোষন।জাযাকাল্লাহ।
কে আছ ভাই তাঁকে তাঁর মতো করে, তাঁর দেখানো পদ্ধতি ভালবাসবে?
তাঁর দেখানো পদ্ধতি ভালবাসা থেকে শয়তান আমাদরেকে বিচ্যুত করে রেখেছে।
আল্লাহ আমাদরেকে বিচ্যুতি থেকে রক্ষা করুন ।