আপনাদের সবার কাছে একটি অনুরোধ
লিখেছেন: ' তালহা তিতুমির' @ রবিবার, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১০ (১১:০৭ পূর্বাহ্ণ)
আমরা যারা ব্লগে আছি তাদের সবাই কম-বেশি শিক্ষিত এবং মাশাল্লাহ সবাই পড়তে পারি। আমাদের মাঝেই অনেকে দেশী-বিদেশী নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী নিয়েছি এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত । এ পর্যন্ত আসতে আমাদের প্রচুর পড়ালেখা করতে হয়েছে, বই পড়তে হয়েছে,যেগুলোর বেশীরভাগই ছিলো বৃহত কলেবরের। আবার বই পড়ার যাদের শখ ছিলো তাঁরা রবীন্দ্র-নজরুল-শরত-টলস্টয়-শেক্সপীয়র-জুলভার্ন-হুমায়ূন-মানিক-সুনীল-সমরেশ-ধর্ম-দর্শন-বিজ্ঞান সহ বভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন ভাষার হাজারো বই পড়েছি। সন্দেহ নেই এসব বই আমাদেরকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে এবং মননশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অবদান রেখেছে। কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাঁর রচিত গ্রন্থ কোরআনে কি বলতে চেয়েছেন ? ঘরের সবচেয়ে পবিত্রতম স্থানে কোরআন যত্ন করে রেখে দিলেই এর হক আদায় করা হয় না। আমাদের কাছে কোরানের হক হলো আমরা যেন কোরআন পড়ি, বুঝি এবং মেনে চলি। আমরা যারা শিক্ষিত আছি তাদের অন্তত কোরআন বুঝে তেলওয়াত করা উচিত যাতে অন্যদের কাছে কোরানের শিক্ষা পৌছাতে পারি। অনেকের ধারণা কোরআন শুধুমাত্র আরবী জানা লোকদের জন্যে কিংবা মাদ্রাসা ছাত্রদের জন্য, এর ভেতরে কি আছে আমাদের না জানলেও চলবে। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভূল। সকলের অনুধাবনের জন্যেই এই কোরান। আল্লাহতাআলা এ জন্যই ইরশাদ করেছেন-
” এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে। ” [ সুরা ছোয়াদ-২৯]
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেছেন-
” তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না ? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ ? ” [সুরা মুহাম্মদ-২৪]
সন্দেহপোষণকারীদের প্রতিও আল্লাহ কোরআনের দিকে আহ্বান করেছেন এই বলে -
” এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি ? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যাতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হতো, তবে এতে তারা অবশ্যই প্রচুর গরমিল পেতো। ” [সুরা নিসা-৮২]
তাছাড়া সাহিত্যকীর্তি হিসেবেও কোরআন একটি মাস্টারপীস । আর বিজ্ঞানীদের জন্যও এতে রয়েছে অসংখ্য তথ্য। তাই আসুন কোরআন তেলাওয়াতের সাথে সাথে কোরানের অনুবাদও পড়ি। বাংলা ভাষায় এখন অসংখ্য অনুবাদ বের হয়েছে, বেছে নেয়ার দায়িত্ব আপনার। আজ থেকেই শুরু করা যাক, যেন মৃত্যুর পূর্বে কখনো আফসোস না হয়- আল্লাহতাআলা কোরআনে কি বলেছেন জানা হলো না !!
মহানবী মুহাম্মদ [স:] এর হাদীস দিয়ে শেষ করছি -
” তোমাদের মধ্যে কেউ যদি আল্লাহর সাথে কথা বলতে চায়, তবে সে যেন বেশী বেশী কোরআন পড়ে। “
Processing your request, Please wait....












একেবারেই ভিন্নমত পোষণ করছি।
কি রকম উন্নতি রেখেছে সেটা আমাদের সমাজের আলোকিত মানুষদের দেখে বেশ বোঝা যায়, অন্যান্য ব্লগে মানুষের লেখা দেখে বোঝা যায়,ভাষার ব্যবহার দেখে বোঝা যায়। আল্লাহ শুধুমাত্র আপন অনুগ্রহে আমাদের সঠিক পথ দেখিয়েছেন নয়ত যা পড়েছি তাতে আমাদের অনেকেরই একেকজন সচল হবার কথা ছিল।
– প্রত্যকেটির প্রতি বইয়ে ইসলামের বিরোধিতা খুঁজে পাওয়া যাবে একভাবে বা অন্যভাবে।
তবে ক্বুরান এবং ক্লাসিকাল স্কলারদের লেখা পড়ার কোন বিকল্প নেই।
@আব্দুল্লাহ, সহমত।
@আব্দুল্লাহ, আসলে উনি বোঝাতে চেয়েছেন , অন্য বই এ উপকার কিছুটা পাওয়া গেলেও আমাদের মুসলিমদের “কোরান” পড়ার বিকল্প নেই ।
‘অসাধারণ’ শব্দটা মুছে দিলাম।
তবে আপনি যদি প্রথমেই অন্যান্য মতবাদ/লেখকের লেখাকে খারাপ বলেন তো শুরুতেই আপনি হেরে গেলেন কারণ তখন সবাই আপনাকে এক চক্ষুবিশিষ্ট হরিণ মনে করবে এবং না পড়েই আপনার দাওয়াত অস্বীকার করে ফেলবে।
সেকুলার শিক্ষাব্যবস্থায় খুব ভালো কিছু নেই ঠিক আছে কিন্তু খারাপটা না জানলে আপনি তার উত্তরও দিতে পারবেন না, তাদের দুর্বলতাও জানতে পারবেন না।
@তালহা তিতুমির,ভাই আমি তো না পড়ে খারাপ বলছি না, পড়েই বলছি। কিন্তু এই লেখাগুলোকে প্রশংশা করা ইসলামের দৃষ্টি থেকে অনুচিত কারণ এর মধ্যে অনেক বিষোয় আছে যা একজন মুসলিমের আকিদা বদলে দিতে পারে। যার ইসলামের জ্ঞান এবং বুঝ খুব স্বচ্ছ শুধু তাদেরই উচিত এসব বই পড়তে যাওয়া এবং তাও সমস্যা খুঁজার উদ্দেশ্যে, আলোকিত হবার উদ্দেশ্যে নয়। কেউ যদি বিনোদনের উদ্দেশ্যে পড়েও তবেও পুর্বশর্ত হল সে ইসলামকে আগে ভালোভাবে জেনে নিবে, নয়ত এই সব লেখকের দর্শন অজান্তে মনের মধ্যে স্থান করে নিতে পারে।
@আব্দুল্লাহ,সহমত!
মুসলিমদের মাঝে ব্যক্তিপূজা, ইজম, তন্ত্র, মন্ত্র আর philosphy-র সূত্রপাত এসব থেকেই। ১-১২ বছর বয়সে মাথায় যা ঢোকে, তা সহজে বের করা যায় না। আমাদের এই ব্লগে সাধারণভাবে সবার, আর বিশেষভাবে যারা সবচেয়ে বেশী তর্ক-বিতর্কে জড়ান – তাদের অবস্থা দেখে বোঝা যায়: মগজে আগে ইসলামের ভিত্তি তৈরী না হলে কি সমস্যা!
আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের মানদন্ডে পৃথিবীর সবকিছু বিচার করতে হবে! কাঁচুমাচু হয়ে inferiority complexবশত কাফিরের কাছে আল্লাহ বা তাঁর রাসূলকে justified করতে চাওয়া, নিজের ঈমানের জন্যই ক্ষতিকর। আর প্রচেষ্টা হিসবে তা হচ্ছে: A lost battle, even before it started!!
আপনাদের মতামতের সাথে আমিও একমত। তবে দাওয়াত দেয়ার শুরুতে সবসময় নম্র ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
@তালহা তিতুমির, সহমত । নম্র এবং হিকমার সাথে ।
@মেরিনার, সহমত ।