লগইন রেজিস্ট্রেশন

ফারুক ভাই ও ক্বোরআন ওনলীদের প্রতিঃ

লিখেছেন: ' তামীম' @ বুধবার, নভেম্বর ৪, ২০০৯ (১:২৯ অপরাহ্ণ)

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।
সুরা নিসা আয়াত ৫৯।

“বলুন যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে (রসুলকে) অনুসরন কর” ( সুরাহ আল-ইমরান : ৩১ )

তাছাড়া সুরাহ আল-ইমরান : ৩২ টাও পড়ে দেখেন।

আমাদের রাসুলকে অনুসরন করতে হবে, এটা ক্বোরআনের আয়াত। আর আল-ক্বোরআন হল তা নাযিল হবার পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত সকলের উপর প্রযোজ্য।

এখন প্রশ্ন হল আমরা কিভাবে রাসুলকে অনুসরন করতে পারি? এই ১৪০০ বছর পর আমরা তার কথা বা চিন্তা চেতনার সাথে কিভাবে পরিচিত হব? অথচ আল-ক্বোরআনে স্পষ্টই আছেঃ
“যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর” তাহলে কি ক্বোরআনের এই আয়াত আমাদের জন্য ভুল? তা কেমন করে হয়? ক্বোরআন ভুল হবার কোনই সম্ভাবনা নেই। তাহলে রাসুলের চিন্তাচেতনার সাথে আমাদের কিভাবে পরিচয় ঘটতে পারে?

উত্তর একটাইঃ হাদিস। “হাদিস” শব্দটি পরিভাষা হিসেবে নিয়েছেন আমাদের আলেম উলামাগন। রাসুল সাঃ এর কর্ম, কথা, বক্তব্য ও বাণী, আদেশ, নির্দেশনার হুবহু, নির্ভুল বা অক্ষর, শব্দ, দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন ও যথাযথ ভাব সহ উল্লিখিত রূপকেই আভিধানিকভাবে হাদিস বলা হয়ে থাকে। সুতরাং হাদিসের মাঝেই রাসুল (সাঃ) এর চিন্তা চেতনার পরিচয় পাওয়া সম্ভব।

আপনি অন্য কোন উপায় থাকলে বলে দেন।

আর একটা প্রশ্ন হল, হাদিস তো লিপিবদ্ধ হয়েছে রাসুল (সাঃ) এর মৃত্যুর ২০০ বছর পর থেকে? আর শোনা যায় যে অনেকে তাদের মনগড়া কথাকে হাদিস বলে চালিয়ে দিয়েছে। তাহলে হাদিস যে নির্ভুল, এর সপক্ষে যুক্তি কি?
পৃথিবীতে সম্ভবত হাদিসের নির্ভুলতার নিদর্শন হিসেবে যে রেফারেন্সের বিশাল বিশাল দলীল আছে, অন্য কোন কিছুর এত বিশাল রেফারেন্স নেই। আমার এক আপন জন আমাকে একবার বলেছিল যে হাদিস মানুষের বানান, রাসুল (সাঃ) মৃত্যুর অনেক পরে এটা লেখা হয়েছে। আমি তখন দ্বিধাদ্বন্দে পড়েছিলাম। তারপর কয়েকজনকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করে আমার উত্তর জেনে নেই, দ্বিধা চলে যায়। আমি নিজে হয়ত আপনাকে ভাল ভাবে জিনিসটা বুঝাতে পারব না, তাই বিজ্ঞ কারো কাছে অনুরোধ করব হাদিসের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য যে যে পদক্ষেপ ও রেফারেন্স রাখা হয়েছে, যেগুলি নিয়ে একটা পোষ্ট দিতে। যাতে ফারুক ভাইদের পক্ষে বুঝা সহজ হয়ে যায়।

আর আবার ফারুক ভাইকে বলবঃ “যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর” এই আয়াতেই রাসুলের কথা/বাণী/চিন্তাচেতনা যে আমাদের কাছেও সহজলভ্য হবে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়া আছে। একটু চিন্তা করে দেখেন, সহজেই বুঝতে পারবেন। আর যদি স্বীকার করেন, তাহলে এই আয়াতটা যে সার্বজনীন, তথা, আমাদের যুগেও এই আয়াতটা কার্যকর, সেটাও বুঝতে পারবেন।

বি.দ্র. মর্দে মুমিন ভাইয়ের কমেন্টের খানিক অংশ আমি ব্যবহার করেছি।

হাফিজ ভাইকে অনুরোধ করব হাদিসের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য যে যে পদক্ষেপ ও রেফারেন্স রাখা হয়েছে, সেগুলি নিয়ে একটা পোষ্ট দিতে।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১৫১ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৬ টি মন্তব্য

  1. পুনঃ এর মৃত্যুর ২০০ বছর পর থেকে? আর শোনা যায় যে অনেকে তাদের মনগড়া কথাকে হাদিস বলে চালিয়ে দিয়েছে। তাহলে হাদিস যে নির্ভুল, এর সপক্ষে যুক্তি কি? এটাও একটা মিথ। অমুসলিম ঐতিহাসিক ইসলামিক হিস্ট্রির লেখক হিট্টি এই ধারণার প্রবক্তা। এরপর থেকে ইসলামের দুশমনরা অনবরত বিশ্ব প্রচার মাধ্যমে তাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের অনেক মুসলমানও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে।
    এর জন্য শুধু হিট্টি কিংবা অমুসলিমদের দোষ নয়। দোষ আছে আমাদেরও আমাদের এই যুগের উলামায়ে কেরামগণ এদের এই ভ্রান্ত প্রচারণার বিপক্ষে শক্তিশালী পাল্টা প্রচারণা চালান নাই এমন কি যত ধরণের ওয়াজ মহফিলে দান খয়রাত মিলাদ শরীফের ফজিলত নিয়ে যত ওয়াজ করা হয়েছে ততটুকু হাদিসের প্রামান্যতার পক্ষে সময় দেন নাই,তাই আজ খোদ মুসলমানের সন্তান হয়েও হাদিস হাসি তামাসা করে।
    আমি আমাদের আলেম সমাজকে আবেদন জানাচ্ছি, আর বছর দুই একের মধ্যে বাংলার গ্রামে গঞ্জে ইন্টারনেট চলে যাবে। যার ফলে কোটি কোটি অবুঝ তরুণরা আসবে ইন্টারনেটের আওতায়। তখন কিন্তু গজব হয়ে যাবে যদি আপনাদের চোখ এখনও না খোলেন। কারন বাংলা ভাষী তরুণদের জন্য ইসলামের পক্ষে লড়বার কোন অস্ত্র ইন্টারনেটে নাই কিন্তু মুসলমান যুবকদের বিভ্রান্ত করার জন্য অমুসলিমরা তৈরি করে বসে আছে বিশাল বিরূপ প্রচারণা মূলক ভান্ডার। তাই আসুন ফেরকা, ও সামান্য অমৌলিক বিষয়ে আপনারা নিজেদের মধ্যে বিরোধে লিপ্ত না হয়ে, আমাদের হাতে অমুসলিমদের ইসলাম বিদ্ধেসী প্রচারণার বিপক্ষে যুক্তির হাতিয়ার তুলে দিন।
    যুগের আহ্বান যে আলেমের কানে যায় না এবং এর জন্য প্রস্তুতি না নেন। তাহলে কাল হাশরের ময়দানে আল্লাহকে কি জবাব দিবেন?
    একটি কথা এই ব্লগে যারাইবা এখন পোষ্ট করছি বা পড়ছি কেউই কোন বিষয়ে আলোচনায় আসছিনা। যদি আলোচনা সমালোচনা আমাদের মধ্যে নাহয় তাহলে আমরা কি করে বুঝব আমরা কত টুকু সত্যের উপরে দাঁড়িয়ে আছি?
    পরিশেষে সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি বেয়াদবী হলে মাফ করে দিবেন। আল্লাহ হাফিদ।

    faruk

    @মর্দে মুমিন, সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা আছে কি? ইতিমধ্যে আমাকে ব্যন করার দাবী ও উঠেছে।
    যদিও আমি এখনো পর্যন্ত কাউকে অশালীন কোন কথা বলিনি , রসূল মুহাম্মদ কে তো নয়ই। মুহাম্মদ আমারো রসূল এবং কোরানের আদেশমতো আমি তাকে সম্মান করি।

    মর্দে মুমিন

    আপনি কেন এখানে অমুসলিমকেও ব্যান করা হবেনা যতক্ষণ ব্লগের নীতিমালার বিপক্ষে যায় এটাই আমার ধারণা।

  2. আর আবার ফারুক ভাইকে বলবঃ “যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর” এই আয়াতেই রাসুলের কথা/বাণী/চিন্তাচেতনা যে আমাদের কাছেও সহজলভ্য হবে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়া আছে। একটু চিন্তা করে দেখেন, সহজেই বুঝতে পারবেন। আর যদি স্বীকার করেন, তাহলে এই আয়াতটা যে সার্বজনীন, তথা, আমাদের যুগেও এই আয়াতটা কার্যকর, সেটাও বুঝতে পারবেন।

    বুঝতে পারলাম না দুঃখিত। মনে রাখা উচিৎ , মুহাম্মদ শুধু রসূল ও নবীই ছিলেন না , তিনি একাধারে শাসক , বিচারক , সেনাপতি ও নেতা ও ছিলেন। সুতরাং তার জীবদ্দশায় তাকে অনুসরন করা , তার বিচারকে মেনে নেয়া , তার কন্ঠস্বরের উচুতে কন্ঠ না তোলা , তার আনুগত্য করা , তার আহ্বানে সাড়া দেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। উপরের আয়াতগুলোতে এগুলোই মূলত বলা হয়েছে।

    এখন আমরা ইচ্ছা করলেও তার থেকে উচ্চস্বরে কথা বলতে পারব না , ইচ্ছা করলেও কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়লে তার বিচারের রায় পাব না (যদি পেতাম , তাহলে আর মুসলমানদের মাঝে এত দলাদলি থাকত না), ইচ্ছা করলেও তার নেতৃত্বে যুদ্ধে যেতে পারব না , ইচ্ছা করলেও যুদ্ধে লব্ধ গনীমতের মাল তাকে দিতে পারব না বা গনীমতের মাল তিনি আমাদের মাঝে ভাগ করে দিতে পারবেন না (যেমনটির বর্ননা দেয়া হয়েছে ৫৯:৭ আয়াতে), ইচ্ছা করলেও তার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে চুপিসারে সরে পড়তে পারব না। কারন – রসূল মৃত।

  3. (Y) (Y) (Y)
    তামীম সহমত। গুড জব ।