সুদের সামাজিক কুফল ।
লিখেছেন: ' জাহিদ' @ শুক্রবার, নভেম্বর ৬, ২০০৯ (১১:২৮ অপরাহ্ণ)
আল্লাহ তালা সর্ব কালের সকল ধনী আদমের জন্র্য একদিকে যেমন ব্যাবস্যাকে বৈধ করেছেন , অন্যদিকে সুদ ও সুদভিত্তিক ব্যাবসা বা কার্যক্রমকে চিরতরে হারাম করেছেন । অর্থনীতিতে শোষনের অবসান ও জুলুমের বিলাপ সাধনের জন্য সর্ব প্রথম ও সর্ব প্রধান যে মোক্ষম আঘাতটি আসে তা হল সুদ । সুদের মত সমাজ বিধ্বংসী অথনৈতিক হাতিয়ার আর দুটি নেই । সুদের কুফলের প্রতি আমরা একটু লক্ষ করলেই বুঝতে পারবো সুদকে কেন চিরতরে হারাম করা হয়েছে । সুদের কুফল অত্যান্ত ব্যাপক ও সুদুর প্রসারী । এর আর্থ সামাজিক কুফল ধ্বংস কারিতা সব চাইতে বেশী ।
সুদ সমাজ শোষনের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম বা উপায়। একদল লোক বিনাশ্রমে অন্যের উপার্য়নে ভাগ বসায় । সুদের সাহায়্যে
ঋন গ্রহিতা যে কারনে ঋন নেয় , সে কাজে তার লাভ হোক বা না হোক মহাজনের সুদের অর্থ পরিশোধ করতেই হয় । এর ফলে বহু সময়ে ঋন গ্রহিতাকে স্হাবর অস্হাবর সম্পদ বিক্রি করে গলেও সুদ সহ সসকল প্োনা পরিশোধ করতে হয় । সুদ গ্রহিতা হচ্ছে সমাজের পরগাছা । এরা বিনাপরিশ্রমে অন্যের অন্যের উপাজন ও সম্পদে ভাগ বসিয়ে জীবন যাপন করে । উপরন্ত বিনাশ্রমে অর্থ লাভের ফরে সমাজের প্রতক্ষ অথনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের কোন অবদান থাকে না ।
সুদের কারনেই সমাজের দরিদ্র শ্রেনী আরও দরিদ্র এবং ধনী শ্রেনী আরও ধনিতে পরিনিত হয়, ফলে সামাজিক শ্রেনী বৈষম্য দিনের পর দিন বেড়েই চলে । দরিদ্র অবাব গ্রস্হ মানুষ প্রয়জনের সময়ে সাহায্যের কোন দরজা খোলা না পেয়ে, কোন উপায় অন্তর না পদেখে সুদে ঋন নিতে বাধ্য হয় । সে ঋন উৎপাদনশীল অনুৎপাদনশীল উভয় প্রকার কাজেই ব্যাবহার করে । বিশেষ করে অউৎপাদনশীল কাজে ঋনের অর্থ ব্যাবহারের ফলে তার ঋন পরিশোদের ক্ষমতাই লোপ পায় । পুঁজিপাতি সমাজে কর্জে হাসানার কোন সুযোগ না থাকায় অনুৎপাদনশীল খাতে ঋন তো দুরের কথা উৎপাদনশীল খাতেও বিনা সুদে ঋন মেলা ভার । বোঝার উপর শাকের আটির মতো তাকে সুদ পরিশোধ করতে হয় । এর ফলে সে তার শেষ সম্বল যা থাকে তা বিক্রি করে উত্তমর্নের ঋন শোধ করতে বাধ্য হয় । এ বাড়তি অর্থ পেয়ে আরও ধনী হয় উত্তমর্ন । একউ সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে সামাজিক শ্রেনী বৈষম্য ।
সুদ মানুষকে স্বার্থপর ও কৃপন করে । অর্থ লিপ্সা কার্পন্য ও স্বার্থপরতা সুদখোরদের অন্যতম চরিত্রিক বৈশিষ্ঠ । বিনাশ্রমে অর্থ উপার্যনের আকাঙ্খা ও অর্থ লিপ্সা হতেই সুদ প্রতার জন্ম । সুদের মাধ্যমে নিশ্চিত ও নির্ধারিত আয় প্রাপ্তির লোভ সুদখোরদের বিচার বিবেচনা আবেক অনুভৃতি , এমনকি বিবেককে পর্যন্ত নিঃসাড় করে দেয় ।সুদখোরদের মধ্যে লোভ লালসা কৃপনতা ক্রমে ক্রমে এতদুর পর্যন্ত প্রসার লাভ করে যে, তারা সমাজে ঘৃনিতজীবে পরিনিত হয় । এ কারনে মহান আল্লাহতালা সুদকে কঠিন ভাবে হারাম করেছেন ।
চমৎকার লেখা । এমন লেখাই দরকার যেটার মাধ্যমে গোনাহ থেকে বেচে থাকা যায় । ধন্যবাদ । তবে কিছু কোরআন হাদিসের রেফারেন্স থাকলে ভালো হতো ।
ভাই হাফিজ আচ্ছালামু আলাইকুম কেমন আছেন? আজকের দুনিয়াই গুনাহ থেকে বেচেঁ থাকা খুবই কঠিন ।
তার পরেও আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে নিজেকে যতটুকু সেফ রাখা যায় । ভাই পবিত্র কোরআন হাদিস সম্পর্কে আমার ধারনা খুবই নগন্য – এ কারনে আমি পবিত্র কোরআন হাদিসের রেফারেন্স দিতে ভয় পাই, যদি কোথায়ও ভুল করে ফেলি ।
ধন্যবাদ আল্লাহ আপনার সহায় হউন ।
জাহিদ ভাই সালাম। লেখা তো মূল্যবান কিন্তু ভাই আমরা যে সূদ ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে বসবাস! এর থেকে কেমন করে নিজকে হেফাজত করা যায় সে সম্পর্কে বিজ্ঞ কাউকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ রইল।
জাহিদ ভাই আরও লিখতে থাকুন।
ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত একান্টে সুদ না নিলেই কি ভালো না ? তাহলে অনেকটাই সমাধান হয়ে যায় ।
আচ্ছালামু আলাইকুম , হ্যাঁ ভাই ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার উপর সুদ না নিলেই আপনি দায়মুক্ত থাকবেন ।
ভাল থাকবেন ।
ধন্যবাদ ।
রাষ্ট্র যেখানে সুদে ঋণ গ্রহণ করে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক,আমেরিকা, ইউরোপও জাপান থেকে আমাদের দেশে ১০০ ভাগ বিদেশী সুদ নির্ভর সেখানে ব্যক্তির গত সুদ না গ্রহণে কোন ফারাক আছে কি?
হ্যা পার্থক্য আছে , রাষ্ট্র বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক,আমেরিকা, ইউরোপও জাপান থেকে সুদ নিলে রাষ্ট্র জবাবদিহি করবে আমি না । কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে সুদ দিলে , নিলে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে । দুইটার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য ।
মর্দে মুমিন আচ্ছালামু আলাইকুম , মুমিন ভাই আপনার মন্তব্যের উপর খুবশিঘ্রই আমি একটি পোষ্ট দিব ইনশাল্লাহ ।
আল্লাহ আপনার সহায় হউন ।
ধন্যবাদ ।
অপেক্ষায় আছি এই বিষয়ে আমি অনবিজ্ঞ।
আল্লাহ আপনারও সহায় হউন।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেষ্টা করবো ।
ভাল থাকবেন ।
ধন্যবাদ ।
সম্ভবত এখানে সুদ দাতা হবে।
চালিয়ে যান।
আচ্ছালামু আলাইকুম, সুদ গ্রহিতা হচ্ছে সমাজের পরগাছা – কথাটা ঠিক আছে সুদগ্রহিতা যে সুদ গ্রহন করে আর দাতা হচ্ছে যে সুদ দেয় ।
আমি সদ গ্রহিতার কথাই বলেছি ।
আল্লাহ আপনার সহায় হউন ।
ধন্যবাদ ।
হাদিস শরীফ অনুযায়ী , সুদ দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ই সমান পাপী ।
হ্যাঁ হাফিজ ভাই, সুদ দাতা এবং গ্রহিতা উভয়েই সমান অপরাধী কাল হাসরের মাঠে দুইজনকেই কঠিন বিচারের সম্মুখীন করা হবে ।
আল্লাহ আপনার সহায় হোন।
ধন্যবাদ্।
ধন্যবাদ মামুন ভাই ।
সুদের ভয়াবহতা দেখন : সুরা বাকারা ( ২: ২৭৯ )
“যদি তোমরা (সুদ) না ছাড় তবে আল্লাহ ও তার রসুলের সংগে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও” ।
তাহলে চিন্তা করুন যারা সুদের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধের আল্লাহ তাআলা যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন । আর হাদিস শরীফে আছে , সুদের সবচেয়ে নিম্নতম গোনাহ হলো আপন মায়ের সাথে “ব্যাভিচার” করা ।
অনেক বলে থাকে সুদ ও ব্যবসা একই । এটা আর এক কঠিন গোনাহ । আল্লাহ তাআলা এটা কোরান শরীফে উল্লেখ করেছেন ।
“কেননা তারা বলে “ব্যবসা বানিজ্য তো সুদের মতোই” , কিন্তু আল্লাহ বৈধ করেছেন ব্যবসা বানিজ্য আর নিষিদ্ধ করেছেন সুদ” ।
ধন্যবাদ ।
হাফিজ বাই