লগইন রেজিস্ট্রেশন

সমালোচনায় তাবলিগ

লিখেছেন: ' সাদাত' @ বুধবার, মার্চ ৩১, ২০১০ (৩:৩৭ অপরাহ্ণ)

তাকওয়া ভালো, কিন্তু কখনও কখনও তা রোগের পর্যায়ে চলে যায়।
দেওবন্দি আকাবিরের আকিদা নিয়েও প্রশ্ন এসেছে।
তাবলিগের সমালোচনাও হয়েছে নানা আঙ্গিকে।

তাবলিগ বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে সফল এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারি একটি হক মেহনত।

এই মেহনতের সমালোচনা করার আগে কয়েকটি বই পড়ার জন্য ব্লগার ভাইদের অনুরোধ করছি।

http://banglakitab.com/BanglaBooks/QuestionAndAnswersAboutTabligh-S-M-Saleheen(ShaikhulHadithMaulanaShaukatAli).pdf

এতে পাবেন:
Image and video hosting by TinyPic
Image and video hosting by TinyPic

http://banglakitab.com/BanglaBooks/CriticismOfTablighJamatAndResponse-ShaikhulHadithMaulanaZakariahRA.pdf

http://banglakitab.com/BanglaBooks/(Why)WorldWideTablighIsMyWork-MaulanaUmarPalanpuri.pdf

কাউকে তাবলিগে যুক্ত করা আমার উদ্দেশ্য না।
আমার উদ্দেশ্য আমরা যেন অহেতুক এমন সমালোচনা থেকে বিরত থাকি, যা মানুষকে একটা হক মেহনত সম্পর্কে বিরূপ ধারণা দান করে।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১,২৫১ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৪.৩৩)

৩০ টি মন্তব্য

  1. “তাবলিগের প্রশ্নোত্তর” বইটি পড়লাম। ভালো লাগলো না। ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কেমন যেন স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন নিজের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য। নতুন কিছু জানতে পারলাম না। লিখক তাদের প্রতি অভিযোগের বেশীর ভাগই খন্ডন করতে পারেন নি।


    কিছু ভুল থাকা সত্বেয় বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাবলিগি জামাতের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না। এবং তাদেরকে না-হক্ব ও বলা যায় না।

    হাফিজ

    @দ্য মুসলিম, সহমত ।

    আসলে “দলগত” ভাবে তবলীগ বা দেওবন্দ কে আমি “নাহক” বলার ঘোরতর বিপক্ষে । আমার যেটা অভিযোগ তবলীগের অনেক সাথী বর্তমানে যেটা করে থাকেন সেটা তাদের মূর্খতা , কিন্তু এর জন্য আমি তবলীগকে না-হক বলব না ।

    আর আমি “তবলীগ” এবং “দেওবন্দ”কে আলাদা ভাবে দেখি । দুটো আমার কাছে সম্পূর্ন ভিন্ন জিনিস । দেওবন্দের অনেকেই হয়ত তবলীগ করতে পারে , কিন্তু তাদের ইসলামিক বিষয়ে পড়াশুনার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে ।

    আর দেওবন্দ সম্বন্ধে সিডো সালাফি, লা-মাজহাবীরা যে অভিযোগ করে থাকেন সেগুলোর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই । দেওবন্দের উপর যেসব অভিযোগ করা হয়ে থাকে সেগুলো সম্বন্ধে আমার ডিটেইলস পড়া আছে , সালাফীদের সেসব অভিযোগ সম্পূর্ন ভুয়া । কট্টর সালাফীদের আকীদায় সমস্যা আছে , দেওবন্দের না । কিন্তু এসব তর্কে জড়াতে চাই না , বিধায় আমি মেরিনার ভাইএর পোস্টে উত্তর দেইনি । কেননা আমার মতে এসব মাইনর ইসু । (যদিও তাদের মতে এগুলো মেজর ইসু ) এগুলো নিয়ে তর্ক না করে , আরো অনেক বিষয়ে যে আমাদের মধ্যে মিল আছে সেগুলো আলোচনা করাই যথেষ্ট ।

    বাংলা মৌলভী

    তাবলীগ জামাতের কাজই কেবল নয় বরং হক্ব পন্থী এমন আরো অনেক কার্যক্রম যা সময়ের প্রয়োজনে করতে হয়, তাকে যদি শরিয়তের মূল উত্সে খোজ করা হয় তবে তা বেদাত মনে হবে। সালাফী গভরনমেন্টের যে “হাইয়াতুল আমরি বিল মারুফ ওয়ান নাহ ই আনিল মুনকার” সত্কার্জের আদেশ-অসত্সকাজের নিষেধ কমিটি আছে তা নিয়েও যথেষ্ট আপত্তিকর গবেষণা দেখেছিলাম খোদ সৌদি সাধারণ মানুষের মধ্যে ।

    সৌদি সরকার তাদের মসজিদ মাদারেস ও জামেয়া- কোর্ট কাচারীতে কাজীদের যে বেতন ভাতা নির্ধারণ করেন এগুলোকে সরাসরি সুন্নাহের বিচারে নিয়ে আসলে এগুলোও বিদাতের অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং দেখতে হবে মৌলিক বিশ্বাসগত দিকটা। যেমন তাউহিদ, নবওয়ত, খেলাফত, আক্বীদাগত মৌলিক বিষয় ইত্যাদি, এর বাইরের কার্যাবলির ক্ষেত্রে কোন গোষ্ঠীকে বিচার করতে হলে তাদের সাম্যক বিষয়াবলীল ধারণা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে বিভ্রান্ত বলা যাবে না।

    সাদাত

    @দ্য মুসলিম,

    বেশ, বাকি দুটো বই ও কষ্ট করে পড়ুন।

    দ্য মুসলিম

    @সাদাত,

    ইনশাআল্লাহ।
    কারেন্টের যে অবস্হা, বই দুটো শেষ করতে কয়দিন লাগে আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।

    প্রশ্নোত্তরের বইটি আপনি পড়েছেন? পড়লে একটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা যেত।

    সাদাত

    @দ্য মুসলিম,

    আলোচনা করুন।

    দ্য মুসলিম

    @সাদাত,

    পয়েন্ট-১
    - মুল বইয়ের ১৭নং পৃষ্ঠায় বা পিডিএফ এর ১০নং পৃষ্ঠায় হিজরত করার প্রসঙ্গে যে আয়াতের উদৃতি দিয়েছেন তা কতটুকু যৌক্তিক মনে করেন?
    - মহান আল্লাহ তায়ালা কি আয়াত গুলো এপ্রসঙ্গে নাযিল করেছিলেন?
    - বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। (24)

    উপরোক্ত আয়াতে তিনি জেহাদ শব্দের আগে তাবলীগ শব্দটি যোগ করেছিলেন যা আমি কোন অনুবাদে পাইনি।
    পবিত্র কোরআনের অনুবাদে ইচ্ছাকৃত ভাবে এধরণের শব্দ যোগ করা কি শরীয়াতে জায়েয আছে?

    - তাফসীরে মারিফুল কোরআন আয়াতটির তাফসীর দেখলাম। লিখকে বর্ণিত পটভূমি এবং আয়াত নাজিলের পটভূমিতে আকাশ পাতাল ফারাক।

    ওভারঅল আমার মন্তব্য হলোঃ এভাবে কোরআনুল কারীমের ভূল ব্যাখ্যা করে লিখক মানুষকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এবং মুল প্রশ্নটি এখনো রয়ে গেছে- সেটি হলোঃ স্ত্রী ছেলে সংসার রেখে হিজরত করা কি যায়েয আছে? তাবলীগে যাওয়ার কারনে তাদের হক্ব নষ্ট হচ্ছে বা হতে পারে।
    পারলে এপ্রশ্নের বিষয়ে একটু আলোকপাত করবেন।

    সাদাত

    @দ্য মুসলিম,

    একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। সময় নিয়ে উত্তর দিতে হবে। হাতে এখন সময় খুবই কম। পারলে একটা প্রশ্নটা আমাকে একটু মেইল করে দেন।

    দ্য মুসলিম

    @সাদাত,

    সময় নিয়ে উত্তর দিন। সমস্যা নেই।
    প্রশ্নটি কপি-পেষ্ট করে দিলাম মেইল এ।

  2. তাবলীগ রাজনীতি না করলেও ইসলামবিরোধী দলকে ভোট দিতে কেন সরাসরি নিষেধ করে না তার কোন ব্যাখ্যা কিন্তু দেয়া হয়নি।

    হাফিজ

    @মালেক_০০১, ভাই, তারা সম্ভবত এসব প্রশ্নের উত্তরে বলে “আলেমদের থেকে জেনে নিন” । যদি এভাবে আমাদের জানতেই বলেন তাহলে তারা তো দোষের কিছু করছে না ।

    শুধু এটা না , আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর তারা এড়িয়ে চলে , কিন্তু তাদের কথা হোলো, এগুলো আলেমদের সাথে আলাপ করে করা উচিত।

    মালেক_০০১

    @হাফিজ, আমার কাছে এই এড়িয়ে চলাটা খুবই খুবই অস্বস্তিকর লাগে :(

    আল্লাহ আমাদের কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।

    হাফিজ

    @মালেক_০০১, জ্বী এটা আপত্তিকর আপনি বলতে পারেন । কেননা আমাদের প্রতি পদে পদে শরীয়তকে মাপকাঠি জেনে এগিয়ে চলা উচিত । এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই ।

    সাদাত

    @হাফিজ,
    দাওয়াতের ক্ষেত্রে হিকমাত খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
    দাওয়াতে কাজ সব মুছলমানদের নিয়ে, এখানে কোন ভেদাভেদ নাই। কাজেই কমন কোন মাসআলা এখানে আলোচিত হতে পারে। কিন্তু যেসব মাসআলায় আলেম টু আলেম, মুফতি টু মুফতি, মাযহাব টু মাযহাব ভ্যারি করে সেসব বিষয় নিয়ে টানাটানি করলে মেহনত শুরুতেই শেষ হয়ে যাবে।

    গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে সব আলেম কী একমত? না।
    কোন্ ইসলামিক দল সব আলেমদের কাছে একবাক্যে গ্রহণযোগ্য?
    কোন দলই যদি ইসলামিক না হয়, সে ক্ষেত্রে কোন দলকে ভোট দিতে হবে? এ ব্যাপারে সব আলেম কি একমত?
    একদিকে কোন তথাকথিত ইসলামিক দলের প্রার্থী যে অসৎ,মদখোর, জুয়ারি,ফাসেক; অন্যদিকে আরেকজন প্রার্থী যিনি সৎ, কিন্তু তিনি যে দল হতে প্রার্থী হয়েছেন যেটা ইসলামিক না। এক্ষেত্রে কাকে ভোট দিতে হবে, এ ব্যাপারে সব আলেম কি একমত?

    তাবলিগ এসব ব্যাপার ব্যক্তি পর্যায়ে ছেড়ে দেয়। যে ব্যক্তি যে আলেমকে হক মনে করে সে তার পরামর্শ মুতাবেক আমল করবে। এই হিকমাত ছাড়া উম্মতের ঐক্য সম্ভব না।

    হাফিজ

    @সাদাত, আপনি যেটা বললেন সেটা তবলীগের সিনিয়র মুরিব্বিরা করে থাকে , সেটা ঠিকই আছে । আর আমার আপত্তি হোলো তাদের সাথীরা এসব মানে না ।

    যেমন ধরুন , কিছুদিন আগে একজন তবলীগ ভাইকে দেখলাম , যে কোনোদিন কোনো ইসলামিক বই স্পর্শ করে নাই । সে দাড়িয়ে তালিম দিচ্ছে এবং অসংখ্য ভুল । এই ধরনের ব্যাপারগুলোতে আমার আপত্তি ।

    সাদাত

    @হাফিজ,

    তালিমের বই তো নির্দিষ্ট। এখানে তার মত দেবার কোন নিয়ম নাই।
    আপনি বোধ হয় বয়ান বুঝাচ্ছেন।

    তাবলিগের বয়ান সাধারণ লোকদের জন্য ৬টা পয়েন্টের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকার ব্যাপারে সবসময় জোর দেওয়া হয়। এবং হাদিস বলতে চাইলে মুন্তাখাব হাদিস থেকে বলতে বলা হয়।

    আমার বক্তব্য হল:
    ব্যক্তি পর্যায়ের ভুলকে ব্যক্তি পর্যায়েই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
    বলা উচিত “তাবলিগের অনেক সাথী এসব ভুল করে থাকেন। উনারা এসব ভুল শুধরে নিলে খুবই ভালো হত”

    অর্থাৎ সমালোচনা হতে হবে,
    আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, ভালোবাসার সাথে; দোষ চর্চার জন্য নয়, অভিযোগের সুরেও নয়।

    যে জাকারিয়া(রহ.) এর বই তাবলিগে তালিম দেওয়া হয়, তিনিও তাবলিগের অনেক ভুল ধরেছেন।
    আবার তাবলিগ বিরোধিদের জবাবও দিযেছেন।

    দ্য মুসলিম

    @সাদাত,

    বলা উচিত “তাবলিগের অনেক সাথী এসব ভুল করে থাকেন। উনারা এসব ভুল শুধরে নিলে খুবই ভালো হত”।
    ভালো বলেছেন। সমস্যা হলো তারা অন্য কাউকে আমলের মধ্যেই আনেনা। মানে তারা নিজেদেরকে ত্রুটি মুক্ত মনে করে থাকেন, যার কারনে উনাদের ভূল ধরিয়ে দিলেও শুধরে নেবেন এটা হয়তো নাও হতে পারে।

    অর্থাৎ সমালোচনা হতে হবে,
    আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, ভালোবাসার সাথে; দোষ চর্চার জন্য নয়, অভিযোগের সুরেও নয়।

    সহমত।

    হাফিজ

    @সাদাত,

    আমার বক্তব্য হল:
    ব্যক্তি পর্যায়ের ভুলকে ব্যক্তি পর্যায়েই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
    বলা উচিত “তাবলিগের অনেক সাথী এসব ভুল করে থাকেন। উনারা এসব ভুল শুধরে নিলে খুবই ভালো হত”

    অর্থাৎ সমালোচনা হতে হবে,
    আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, ভালোবাসার সাথে; দোষ চর্চার জন্য নয়, অভিযোগের সুরেও নয়।

    সাদাত , আমার কোনো বক্তব্য কি আপনি উপরের বক্তব্যের চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু পেয়েছেন । আমি কিন্তু সবসময় এটাই বলে এসেছি ।

    আমি সবসময় চাই , যতবেশী মুসলমানদের হক্ব বলা যায়, কাউকে পারতপক্ষে আমি বাতিল বলার পক্ষপাতী না ।

    মালেক_০০১

    @সাদাত, কাউকে যদি পছন্দ না হয় সেক্ষেত্রে নিজেরাই কেন রাজনীতিতে নামছেন না? নাকি নিজেদের সততা নিয়েও তারা সন্দিহান?

    তথাকথিত ইসলামিক দলের খারাপ লোক আর ইসলামবিরোধীদলের ভাল লোক, দুটোই কি খারাপ না? তাহলে দুটোকেই বাদ দিতে সমস্যা কি? তাবলিগের মুরুব্বী পর্যায়ের আলেমগণ কি নামাজের মাসয়ালা বর্ণনা করেন না? নামাজের মাসয়ালায় কি সব আলেম একমত?

    খারাপকাজে নীরব থেকে উম্মতের ঐক্য। কোরআন-সুন্নাহ কি তা সমর্থন করে? আমি এতকিছু বলছি কারণ, আমি নিজে ইসলামবিরোধী দল ও লোককে ভোট দিতে নিষেধ করি। হয় ভোট দানে বিরত না হয় “না” ভোট।

    আমি কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক চলতে চাই। আমি সরকারকে ট্যাক্স দিই। সুতরাং আমি বলবোই এসব কথা। আমার সাথে যে কেউ ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। আমার কোন সমস্যা নাই।

    আল্লাহ আমাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে কোরআন-হাদিস মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।

    মালেক_০০১

    হযরত আলী(রাঃ) ও হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) -এর মধ্যে যুদ্ধের সময় হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) ও তার সমর্থক সাহাবীগণ নীরব ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাবলীগের মুরুব্বীগণ হয়তো হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ)-এর মতকে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেন।

    কিন্তু, পরবর্তীতে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেছিলেন, হযরত আলী(রাঃ) কেই সাপোর্ট করা তার উচিত ছিল।

    দ্য মুসলিম

    @মালেক_০০১,

    হযরত আলী(রাঃ) ও হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) -এর মধ্যে যুদ্ধের সময় হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) ও তার সমর্থক সাহাবীগণ নীরব ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাবলীগের মুরুব্বীগণ হয়তো হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ)-এর মতকে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেন।

    এক্ষেত্রে উভয় পক্ষই তাদের যার যার দৃষ্টিকোণ থেকে হক্ব ছিলেন, আর তাই সাহাবাগণও নিরবতা অবলম্বন করেছিলেন। কিন্তু তারা কখনো ইসলাম বিরোধী কাফেরদের বিরুদ্ধে নিরবতা পালন করেননি। বর্তমানে তেমন কোন হক্ব নেই যে নিরবতা অবলম্বন করা যাবে। মুখে যদি কিছু নাও বলা যায়, অন্তত মন থেকে ঘৃণা করতে হবে। আর কোন দল হক্ব আর কোন দল না-হক্ব এটা ভালো ভাবে জানার জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে, যেক্ষেত্রে তাবলিগ কিছুটা উদাসীনতা প্রদর্শন করে থাকে।

    মনপবন

    @মালেক_০০১, আমিন। আপনার দৃষ্টিভংগী প্রশংসনীয়

    দ্য মুসলিম

    @সাদাত,

    তাবলিগ এসব ব্যাপার ব্যক্তি পর্যায়ে ছেড়ে দেয়। যে ব্যক্তি যে আলেমকে হক মনে করে সে তার পরামর্শ মুতাবেক আমল করবে। এই হিকমাত ছাড়া উম্মতের ঐক্য সম্ভব না।

    এটাতো কোন নফল ব্যপার নয় যে, যার যার ব্যক্তিগত ইচ্ছের উপর ছেড়ে দেবে। এবিষয়ে ওদেরকে প্রয়োজনীয় জ্ঞানদান করাও তো আবশ্যকিয়তার পর্যায়ে পড়ে।

    সাদাত

    @দ্য মুসলিম,

    কে কোন্ দলকে ভোট দেবে এটাও তাবলিগকে বলে দিতে হবে কেন?
    তাবলিগ যেটা শেখায় সেটা কি খুবই কম?
    তাবলিগের একটা গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে মাশোআরা।
    তাবলিগে শেখানো হয়,
    ঘরে বা জামাতে সব বিষয়ে মাশোআরা করে কাজ করা উচিত।
    মাশোআরার একজন আমীর বা জিম্মাদার থাকবেন যিনি মাশোআরা পরিচালনা করবেন। জিম্মাদার সুস্থ,বালেগ এবং পুরুষ হতে হবে।
    >>> এখানে কী শেখানো হলো বুঝেছেন?
    একটা ঘরের মাশোআরা জিম্মাদার যিনি হতে পারেন না, তাকে কিভাবে দেশের জিম্মাদার বানানো যায়?

    আবার শেখানো হয়,
    জিম্মাদার সব সাথীদের থেকে রায় নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন।
    জিম্মাদার ইচ্ছা করলে বেশিরভাগ সাথীর মতের ওপরও ফায়সালা দিতে পারেন, কম সংখ্যক সাথীর মতের ওপরও ফায়সালা দিতে পারেন, এমনকি এমন ফায়সালাও দিতে পারেন যার রায় কোন সাথীই দেন নাই।
    >>> এখানে কী শেখানো হলো বলুন তো?
    >>>> এটা কী গণতন্ত্রের সবক?

    হিকমাত যে শুধু নফলের ব্যাপারেই ব্যবহার করতে হবে, এটার ভিত্তি কি?
    ধরুন একজন মদ খাচ্ছে। হারাম কাজ। এখন আপনি গিয়ে তাকে বললেন, ভাই মদ খাচ্ছেন কেন? এটাতো হারাম। আর সেই ব্যাক্তি বলে বসল, কে বলেছে মদ হারাম? এখন আপনি কী করলেন? আপনি একটা ফরজ কাজ করলেন অসৎ কাজে নিষেধ করলেন। ফল কী হল। একজন ফাসেক, কাফের হয়ে গেল, হারামকে অস্বীকার করার কারণে।

    দ্য মুসলিম

    @সাদাত,

    ধরুন একজন মদ খাচ্ছে। হারাম কাজ। এখন আপনি গিয়ে তাকে বললেন, ভাই মদ খাচ্ছেন কেন? এটাতো হারাম। আর সেই ব্যাক্তি বলে বসল, কে বলেছে মদ হারাম? এখন আপনি কী করলেন? আপনি একটা ফরজ কাজ করলেন অসৎ কাজে নিষেধ করলেন। ফল কী হল। একজন ফাসেক, কাফের হয়ে গেল, হারামকে অস্বীকার করার কারণে।
    গুরুত্বপূর্ণ একটি উদাহরণ দিলেন। এভাবে কখনো চিন্তা করিনি। ধন্যবাদ।

    তাবলিগ যেটা শেখায় সেটা কি খুবই কম?
    না ভাই, কম নয়। কিন্তু এটাকে যথেষ্ট মনে করলে বিপাকে পড়তে হবে।
    আমরা জানি জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমার উপর হজ্বের আহকাম গুলো জানা ফরজ নয়, কারণ আমার উপর হজ্ব ফরজ হয়নি। সুতরাং বোঝা গেলো যে, কিছু মানুষের উপর সারাজীবন হজ্বের আহকাম জানা ফরজ নয়- অথচ হজ্ব হলো ইসলামের একটি ভিত্তি।
    আমি বোঝাতে চাইছি, একজন মানুষের উপর কোন বিষয়টি ফরজ আর কোনটি নফল সেটা নির্ভর করে পরিস্হিতির উপর। আমরা যেটা আলোচনা করছি সেটা সৌদিআরবের তাবলিগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় কারণ তাদের সে সমস্যা নেই। আর এই পরিস্হিতি বোঝার ন্যুনতম জ্ঞানটুকু আমাদের সবারই প্রয়োজন।

    ধন্যবাদ।

    মনপবন

    @সাদাত ভাই, ভালো যুক্তি দিয়েছেন তো। যে সুদ খাচ্ছে তাকে কিছু বলার দরকার নাই, যে ঘুষ খাচ্ছে কিছু বলার দরকার নাই , পাছে যদি সুদের হারামীকরণ অস্বীকার করে বসে!
    এই জন্য আমরা বার বার বলি – আগে আক্বীদার দাওয়াত দেন। কোন নফলে কত নেকি এই দাওয়াত দিয়ে লাভ নাই। বহু ছেলেকে দেখেছি যখন চিল্লায় যায় তখন নামাজ পড়ে, বাসায় এসে নামাজ বাদ, ডিশে হিন্দি চ্যানেল দেখছে। এটা তার দোষ না তার অজ্ঞতার দোষ।
    যে লোকটা হালাল-হারামের অর্থ বুঝে তাকে মদ হারামের দলিল দেখালেই হবে, সে যদি না মানে তাহলে সে তার পাপের বোঝা বহন করবে। কিন্তু একটা মানুষ জানতোনা যে মদ হারাম, আপনি তাকে “ফাযায়েলের” দাওয়াত দিলেন হারাম কি তা শিখালেননা তাহলে সে যদি কিয়ামাতে আপনাকে দায়ী করে তাহলে কি বলবেন?
    আমার কথা রুঢ় শোনালে দুঃখিত। আপনাদের চিন্তা ভাবনা পরিষ্কার – আপনারা যদি নাস্তিকদের মত যুক্তি দেন তাহলে খারাপ লাগে। ইসলাম শুরু হয়েছে “লা ইলাহা ইল্লালাহ” দিয়ে। – আগে অস্বীকৃতি তারপর স্বীকৃতি। ইসলামে হারামের স্থান সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার উপরে, কারণ স্বয়ং রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন –
    “আমি তোমাদের যা নিষেধ করি তা থেকে বিরত থাক, আর যা আদেশ করি তা সাধ্যমত পালন কর”

    Anonymous

    @মনপবন, ভাই বেয়াদবী মাফ করবেন। আপনি একটু মেহেরবানী করে এই বয়ান গুলো একটু পড়েন এরপর দেখেন তাবলীগের মুরুব্বীরা আসলে কিসের দাওয়াত দেন। আমার কাছে অডিও বয়ানগুলোও আছে। আপনি চাইলে আমি দিতে পারব।

    দ্য মুসলিম

    @হাফিজ,

    সহমত।

  3. আপনাকে ইবুকের লিঙ্ক দেবার জন্য ধন্যবাদ জানাই। (Y)

  4. মাত্র কিছু আগেই জয়েন করলাম। এইটাই প্রথম পড়লাম। পড়ছি বললে ভুল হবে। চোখ বুলিয়ে গেছি। মনে হল এই ভাবে তর্ক বিতর্ক থেকে আসলে কোন ফায়দা হয় না। অনেক আলোচনা হয় অনেক সমালোচনা হয় পক্ষে বিপক্ষে প্রচুর আলোচনা হয় কিন্তু কেউই পক্ষ ত্যাগ করে না। কেউই বলে না হ্যাঁ আমার ভুল ভাঙ্গল। আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে তাবলীগ সম্পর্কে যা বুঝি তাহল। তাবলীগ কোন দল বা সংঘঠন নয় বরং একটি আমাল। যেমন নামায, রোযা একেকটি আমাল। তবে তাবলীগ কোন ধরনের আমাল এইটা নিয়া অনেক কথা আছে। মোটামুটি ভাবে ফরযে কিফায়া বলা হয়ে থাকে। মাওলানা সা’দ সাহেব দামাত বারাকাতুহুম সব সময়েই ফরযে আইন হিসাবে বলে থাকেন। এখানে ওনার এবারের এস্তেমার বয়ান গুলোর কিছু অংশ আছে

    তাই দাওয়াত ও তাবলীগ যারা করবে তাদের সব ব্যাপারে নির্দেশনা থাকতে হবে এমন নয়। যেমন নামায মনে করুন। এক জন লোক আওয়ামী লীগ করে বা বিএনপি’র সাপোর্টার তাই বলে কি সে নামায পড়বে না? তাবলীগ তাই সবার জন্য। যারাই মুসলমান তারাই তাবলীগ করবে। সে বাংলাদেশি হোক বা আমেরিকান হোক। সাদা বা কালো হোক। নারী হোক বা পুরুষ। একই ভাবে আলেম হোক বা গায়ের আলেম। সুস্থ হোক বা অসুস্থ। একই ভাবে হানাফী, হাম্বালী, বা সালাফী ও আহলে হাদিস। এখন কথা হল প্রচলিত তাবলীগই করতে হবে কিনা। ফাযায়েলে তাবলীগের একেবারে প্রথম দিকেই বলা হয়েছে যে যে কোন ভাবে আল্লহ তায়া’লার দিকে ডাকবে সেই ঐ ফাযায়েলের অংশীদার হবে। কিন্তু উম্মতের হেদায়েতের জন্য তাবলীগ হতে হবে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছা কাছি। যে মেহনত যত বেশি যামানার কাছাকাছি হবে ঐ মেহনত থেকে অত বেশি ফায়দা পাবে। বর্তমান প্রচলিত অর্থে যে তাবলীগ আছে ঐ মেহনতই বর্তমানে প্রচলিত সকল মেহনতের মধ্যে সব চেয়ে বেশি ঐ যামানার কাছাকাছি। আরো বেশি কাছাকাছি নেয়ার জন্য নিরন্তর চেষ্টা হচ্ছে।

    মাওলানা সা’দ সাহাবের কথা গুলো একটু ধ্যান সহকারে শুনলেই বুঝা যাবে। পস্তী কা ওয়াহেদ এলাজের মধ্যেও এই ব্যাপারে যথেষ্ট কথা বলা আছে।

    কেউ তর্ক করতে চাইলে অনেক তর্ক করতে পারবেন। কিন্তু তর্কটাই যেন সার না হয়। তাবলীগের দোষ চর্চা অনেক পূর্বেও হয়েছে। এর অনেক উত্তরও আগেও দেয়া হয়েছে। তবুও মানুষ এখনও একই অভি্যোগ করে। আশা করি সামনেও করবে। জানেনইতো এই সমস্ত অভিযোগের মধ্যে কিছু হচ্ছে মিথ্যা,কিছু
    ভুল অভিযোগ, কিছু মর্ম বুঝতে না পারার কারণে অভিযোগ, কিছু আছে অতিরঞ্জন, কিছু আছে ব্যতিক্রমকে উদাহরণ হিসেবে ব্যাবহার অপচেষ্টা। আর কিছু কিছু ভুল আগে ছিলও যা সংশোধনের চেষ্টা হচ্ছেও। এরপরও এই সমালোচনা গুলোর উত্তর দিলে তাবলীগ যারা করছেন তাদের বিশ্বাস গাঢ় হতে পারে এই জন্য করতে পারেন। কিন্তু ভালো তো হয় দোয়া করলে। আল্লহ তায়া’লা যাকে চান সঠিক বুঝ দিবেন।

    যাই হোক ভুল হলে মাফ করে দিয়েন, আবার সংশোধন কইরাও দিয়েন।