তবলীগ জামাতের “আক্বীদাহ্” ও “মানহাজ”
লিখেছেন: ' মেরিনার' @ শনিবার, এপ্রিল ৩, ২০১০ (১০:১০ অপরাহ্ণ)
তবলীগ জামাতের “আক্বীদাহ্” [বা বিশ্বাস সমূহ বা set of beliefs] ও “মানহাজ” [বা পদ্ধতি বা methodology] সম্বন্ধে সহজে জানতে (কমবেশী) ১০মিনিট দৈর্ঘের ৭ টি ভিডিও-র সিরিজ: “স্বপ্নের ধর্ম” দেখুন এখানে:
www.youtube.com/watch?v=IR1dLUE1Ix0
এগুলোতে বক্তব্য রেখেছেন, “ইসলামিক কালচারাল সেন্টার, দামাম”-এর মতিউর রহমান মাদানী।
৪৬৪ বার পঠিত
এত ভিডিও ডাউনলোড করে দেখা সম্ভব নয়। প্রচলিত বিদাতের ৪টি ভিডিও ডাউনলোড করে দেখেছি। বেশ সুন্দর আলোচনা। এই ভিডিওগুলোর ডিভিডি কি কাটাবনে পাওয়া যাবে? না পাওয়া গেলে কোথায় পাব?
@মালেক_০০১, কোথাও কিনতে পাওয়া যায় বলে আমার জানা নেই! আপনার পোস্টাল ঠিকানা ই-মেইল করলে, পাঠানোর চেষ্টা করবো ইনশা’আল্লাহ! আমার ই-মেইল: mariner ডট chowdhury এট gmail ডট com।
@মেরিনার, ই-মেইল করেছি।
মতিউর রহমান সালাফী সাহেবের তাবলীগি পর্যালোচনাটা আমারো দরকার এই ঠিকানায় পাঠালে উপকৃত হতাম:
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
প্রযত্নে :
খতীব আব্দুর রহমান সালেহ
আলকর বাইতুর রহমত (চেয়ারম্যান মসজিদ)
১১২নং আল-করণ রোড
জি,পি,ও বক্স ৪০০০
চট্টগ্রাম-বাংলাদেশ।
প্রসংঙ্গ সূত্র হিসেবে আরেকটি পোস্ট ট্যাগিং করলাম।
আসসালামু আলাইকুম,
মতিউর রহমান সালাফী সাহেবের এই লেকচারগুলো ছাড়া ও আরো বেশ কিছু লেকচার পেতে আমার সাথে যোগাযোগ করুন।
@Abu Aaisha,আমার ই-মেইলঃ malekiut55@gmail.com ।কিভাবে যোগাযোগ করব?
@Abu Aaisha, আমারও দরকার। ০১৯২০-২৯৩৪৬৬ E-mail: mahmudjess@gmail.com
আমি অবাক হয়ে দেখলাম কেউ কেউ তাবলীগ জামাতের আকিদাহ ও কর্ম পদ্ধতি জানতে চান লেকচার শুনে। লেকচার শুনেতো এর কর্ম্পদ্ধতি বা আকিদাহ জানা যাবে না। এর প্রকৃত আকীদাহ ও কর্ম্পদ্ধতি জানার জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হল তাবলীগে লম্বা সময় লাগানো। এসমস্ত লেকচার গুলো সাধারণতঃ পক্ষপাত দুষ্ট হয়। বিশেষতঃ সালাফী আলেমগণের মূল উদ্দেশ্যই থাকে যারা তাদের মতাদর্শীনন তাদের ঢালাও ভাবে সমালোচনা করা। তারা কখনও সঠিক জিনিস পৌঁছানোর চেষ্টা করেন না। বরং তাদের মতাদর্শ বিরোধী যে কোন পক্ষ কে তুলোধুন করার জন্য তারা কখনো কোন হাদিসকে জাল বলেন, ঐ একই হাদীস কে কোথাও অতি সহীহ বলেন। কোন হাদীসের নিজেদের মত ব্যাখ্যা দেন। অন্যদের বক্তব্যকে বিকৃত করেন। তাবলীগ জামাত সম্পর্কেও একই টেকনিকের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকেন। বিভিন্ন আলীম ও কিতাবের ভাষাকে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করে থাকেন যেন বিরাট কোন অন্যায় করে ফেলেছেন।
তাই মেরিনার ভাইয়ের প্রতি আমার আহবান হল তাবলীগ জামাত সম্পর্কে জানতে হলে এই সব লেকচার ফেলে ৪ মাস সময় লাগান। প্র্রকৃত আকীদা জানা যাবে ইনশাআল্লাহ। মিষ্টির স্বাদ জানান জন্য লেকচার খেয়ে লাভ নেই। মিষ্টি খেতে হবে।
জাযাকাল্লহ
@Anonymous, ১০০% সহমত।
@Anonymous, ভাল বলেছেন।
@Anonymous,
সালাফী আলেমগণের মূল উদ্দেশ্যই থাকে যারা তাদের মতাদর্শীনন তাদের ঢালাও ভাবে সমালোচনা করা। তারা কখনও সঠিক জিনিস পৌঁছানোর চেষ্টা করেন না। বরং তাদের মতাদর্শ বিরোধী যে কোন পক্ষ কে তুলোধুন করার জন্য তারা কখনো কোন হাদিসকে জাল বলেন, ঐ একই হাদীস কে কোথাও অতি সহীহ বলেন। কোন হাদীসের নিজেদের মত ব্যাখ্যা দেন। অন্যদের বক্তব্যকে বিকৃত করেন।
১০০% সহমত ।
তাবলীগ জামাতের কাজই কেবল নয় বরং হক্ব পন্থী এমন আরো অনেক কার্যক্রম যা সময়ের প্রয়োজনে করতে হয়, তাকে যদি শরিয়তের মূল উত্সে খোজ করা হয় তবে তা বেদাত মনে হবে। সালাফী গভরনমেন্টের যে “হাইয়াতুল আমরি বিল মারুফ ওয়ান নাহ ই আনিল মুনকার” সত্কার্জের আদেশ-অসত্সকাজের নিষেধ কমিটি আছে তা নিয়েও যথেষ্ট আপত্তিকর গবেষণা দেখেছিলাম খোদ সৌদি সাধারণ মানুষের মধ্যে ।
সৌদি সরকার তাদের মসজিদ মাদারেস ও জামেয়া- কোর্ট কাচারীতে কাজীদের যে বেতন ভাতা নির্ধারণ করেন এগুলোকে সরাসরি সুন্নাহের বিচারে নিয়ে আসলে এগুলোও বিদাতের অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং দেখতে হবে মৌলিক বিশ্বাসগত দিকটা। যেমন তাউহিদ, নবওয়ত, খেলাফত, আক্বীদাগত মৌলিক বিষয় ইত্যাদি, এর বাইরের কার্যাবলির ক্ষেত্রে কোন গোষ্ঠীকে বিচার করতে হলে তাদের সাম্যক বিষয়াবলীল ধারণা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে বিভ্রান্ত বলা যাবে না।
কয়েকটি সাধারন প্রশ্ন রইলো যার আলোকে আপনাকে বলতে হবে তাবলীগ জামাতই নয় বরং এ ধরনের অনেক জামাত যুদ্ধ-রাস্ট্রপরিচালনা, মিডিয়া প্রচারণাসহ আরো অনেক বিষয়ে তাদের নিজস্ব কায্রক্রম পরিচালনা করার এখতিয়ার রাখেন। যেমন বলা হলো : و لتكن منكم أمة يدعون إلي الخير و يأمرون الآية সালাফী গভমেন্ট বলছেন তাদের হাইয়াতুল আমরি বিল মারুফ এই আয়াতের আলোকে কাজ করছেন, প্রশ্ন হলো যা যা করছেন সবই তো প্রমান করতে পারছেন না( বিতর্কের জন্য আরবী মাকতুব ব্লগের এক সৌদি নারীর ব্লগ দেখতে পারেন) কিন্তু আমি বলবো নিজস্ব প্রয়োজনে এমন অনেক কিছু করতে হয়। এই হাইআর কার্যক্রম এর পূর্বে নিশ্চয় এ জামাতুল আমরি বিল মারুফ ছিল, আর তাদের কার্যক্রম বর্তমান হাইয়ার সাথে হুবহু মিলে না তাই এই র্পাথ্যক্যের কারনে আপনি কেউকে বিদাতি আখ্যা দেন না।
তাবলীগ জামাত তাদের যে কার্যক্রমের কথা বলেন তাকে কোরান ও সুন্নাহের আলোকে বিশ্লেষণ করার জন্য সব সময় মূল কেন্দ্র ভিত্তিক আলেমদেরকে গঠন মুলক আলোচনা এবং তাদের আলোচনার প্রেক্ষিতে কার্যক্রমের ইসলাহের কথা বলেন। এটা নিশ্চয় হেদায়েতের আলামত। আর আল্লাহর বানীও এমন যে ” و الذين جاهدوا فينا لنهدينهم سبلنا আর যারা আমার জন্য মোজাহাদা করবেন তাদেরকে অব্যশ্যই অবশ্যই আমি হেদায়ত দিব। আলেমগন বিশ্লেষণ করেছেন মাদ্রাসা-মকতব, জেহাদের ময়দান, কিতাবের মেহনত, মুয়াজ্জিনের আযান তথা শরিয়তে সরাসরি উল্লেখ্য এবং ইংঙ্গিত বহন করে এমন সকল মেহনতই এই আয়াতের শামিল । উদার মনষ্কতা হলো এই চরম বাসত্বতা কে মেনে নিয়ে
মুজাহিদ , মুকাতিল, মুবাল্লিগ মুয়াল্লিম সহ সকল হক্বপন্থীদের মেহনতকেই সাপোর্ট করা, নিজে করতে না পারলেও অন্তত ভাল ধারণা রাখা। অথচ খারাপ লাগে যখন দেখি এক গোষ্ঠি আরেকগোষ্ঠীর সত্যিকার ধারণা বিশ্লেষণ না করে এমন সব ধারণা করে যাকের কোরানের ” ইজতানিবু কাছিরাম মিনায যান ইন্না বাদাযযন্নি ইছম” বা অমুলক কলূষ ধারনাই বলা চলে। আল্লাহ আমাদেরকে বেচে থাকার তৌফিক দান করুন আমীন।
@বাংলা মৌলভী,
সৌদি সরকার তাদের মসজিদ মাদারেস ও জামেয়া- কোর্ট কাচারীতে কাজীদের যে বেতন ভাতা নির্ধারণ করেন এগুলোকে সরাসরি সুন্নাহের বিচারে নিয়ে আসলে এগুলোও বিদাতের অন্তর্ভুক্ত
ঠিক বলেছেন , সমস্যা হোলো তারা করলে সেটা বিদআত হয় না , কিন্তু অন্যরা করলেই বিদআত হয়ে যায় ।