কারো ব্যক্তিগত ফতোয়ার কারনে কেউ ইসলামকে খাটো করে দেখবেন না।
লিখেছেন: ' শাহরিয়ার' @ রবিবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০০৯ (১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ)
মাযহাবীদের মতবিরোধঃ
০১) যে কোন ভাষায় নামাযের সূরা (কেরআত) পড়লে ইমাম আবু হানিফার মতে উত্তম যদিও সে ব্যক্তি আরবী ভাষা জানে। কিন্তু ইমাম আবূ ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদের মতে তা নাজায়েয।
(হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ১০২ পৃঃ)
০২) আল্লাহ তা’আলা কুরআনে যে সকল মেয়েদেরকে বিবাহ করা হারাম করেছেন সে সকল মেয়েদেরকে কেউ বিবাহ করলে ও যৌন ুধা মিটালে ইমাম আবূ হানিফার মতে কোন হদ (শাস্তির) প্রয়োজন নাই। কিন্তু ইমাম আবূ ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদের মতে হদ দিতে হবে।
(হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ৫১৬ পৃঃ)
০৩) রোগ মুক্তির জন্য হারাম জানোয়ারের প্রস্রাব পান করা ইমাম আবূ হানিফার মতে হারাম কিন্তু ইমাম আবূ ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদের মতে হালাল।
(হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ৪২ পৃঃ)
০৪) কুয়ার ভিতর ইঁদুর পড়ে মরে গেলে ঐ কুয়ার পানি দ্বারা অযু করে নামায পড়লে ইমাম আবু হানিফার মতে নামা হবে কিন্তু শাগরেদদ্বয়ের মতে নামায হবে না।
(হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ৪৩ পৃঃ)
০৫) কোন ব্যক্তি যদি কো স্ত্রীর মল দ্বারে যৌন ুধা মিটায় তবে ইমাম আবূ হানিফার মতে কোন কাফফারার (শাস্তির) প্রয়োজন নেই। কিন্তু ইমাম মুহাম্মাদের মতে কাফফারা দিতে হবে।
(হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ৫১৬ পৃঃ)
০৬) ইমাম আবূ হানিফার মতে ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর হতে আসরের নামাযের সময় আরম্ভ হয় কিন্তু ইমাম আবূ ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদের মতে ছায়া একগুণ হওয়ার পর হতেই আসরের সময় আরম্ভ হয়।
(হিদায়ার ১২৯৯ হিঃ৯মোস্তফায়ী ছাপার ১ম খন্ডের ৬৪ পৃঃ)
০৭) ফারসি ভাষায় তাকবীর বলে নামায পড়া ইমাম আবূ হানিফা ও আবূ ইউসূফের মতে জায়েয, কিন্ত ইমাম মুহাম্মাদের মতে নাজায়েয।
(হিদায়ার ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ১০১ পৃঃ)
০৮) খেজুর ভিজানো পানি যাতে ফেনা ধরে গেছে এরূপ পানিতে অযু করা ইমাম আবূ হানিফার মতে জায়েজ কিন্তু ইউসুফের মতে হালাল নয়।
(হিদায়ার ১২৯৯ হিঃ মোস্তফায়ী ছাপার ১ম খন্ডের ৩০ পৃঃ)
০৯) ইমাম আবূ হানিফার মতে নামাযে সিজদার সময় নাক অথবা কপাল যে কোন একটি মাটিতে ঠেকালেই নামায হবে। কিন্তু মুহাম্মাদের মতে জায়েয হবে না। নাক কপাল দুটোকেই ঠেকাতে হবে।
(হিদায়ার ১২৯৯ হিঃ মোস্তফায়ী ছাপার ১ম খন্ডের ৯০ পৃঃ)
পাঠকগণ এমন ৬১ টি মতবিরোধ হিদায়া কেতাবে রয়েছে যাহা সব সময়ের অভাবে টাইপ করতে পারলাম না। এই মতবিরোধ থেকে বোঝা যায় ইমাম আবু হানিফা ভুলের উর্দ্ধে ছিলেন না। ওনাদের সময় সহীহ হাদীস সংকলন করা ছিল না তাই বেশীর ভাগ সমস্যাই ইজমা কেয়াস আর যুক্তি দ্বারা সমাধান করতেন। অবশেষে এ সংকটময় অবস্থায় চার ইমাম সাহেবই নিজ নিজ অনুসারীদেরকে বলেযান, “আমি যে ফয়সালা দিয়েছি ভবিষ্যতে যদি সহীহ হাদীস সংকলিত হয় এবং আমার ফয়সালা সহীহ হাদীসের পরিপন্থী হয়, তা হলে আমার ফয়সালা পরিত্যাগ করে সহীহ হাদীসের অনুসরণ করবে।”
এর পরেও যদি কেউ অন্ধ গোঁড়া স্বভাবের হয় তাহলে আবু হানিফার নিম্ন ফতোয়াগুলিও অরে মানবেন। কারণ এগুলো বিখ্যাত হিদায়া ও অন্যান্য ফতোয়ার বই হতে সংকলিত। এখানে ভুল হবার কোন আশংকা নাই। যদি এই ফতোয়াগুলো অস্বীকার করেন তাহলে হিদায়াকেই অস্বীকার করতে হবে অথচ হিদায়া সম্পর্কে এমন কথা বলা আছেঃ “নিশ্চয় হিদায়া কিতাবখানা নির্ভুল পবিত্র কুরআনের মত। নিশ্চয় এটা তার পূর্ববর্তী রচিত শরিয়তের সকল গ্রন্থরাজিকে রহিত (বাতিল) করে ফেলেছে।” (হিদায়া মোকাদ্দমা-আখেরাইন ৩য় পৃঃ, হিদায়া ৩য় খন্ড ২য় ভলিউম ৪পৃঃ আরবী, মাদ্রাসার ফাজেল কাসের পাঠ্য হিদায়া ভুমিকা পৃঃ ৬, আরাফাত পাবলিবেশন্স)
আসুন তাহলে এর পবিত্রতা যাচাই করিঃ
রাসূল (সাঃ)-এর হাদীস অনুযায়ী স্বামী ও স্ত্রী সঙ্গম করার উদ্দেশ্যে উভয়ের লিঙ্গ একত্র করে সামান্য অং প্রবেশ করলেও উভয়ের উপর গোসল ফরজ হয়, তাতে বীর্যপাত হোক বা না হোক। (সহীহ তিরমিযী) সহী হাদীসের বিপরীতমুখি যে সকল জঘন্যতম ফতওয়া এখনও মাযহাবীগণ চালু রেখেছেন তার কিছুটা নিচে তুলে ধরলামঃ
**** নিশ্চিত হিদায়া কিতাবখানা পবিত্র কুরআনের মত। নিশ্চয় এটা তার পূর্ববর্তী রচিত শরীয়তের সকল গ্রন্থরাজিকে রহিত (বাতিল) করে ফেলেছে। (হিদায়া মোকাদ্দমা-আখেরাইন ৩য় পৃঃ, হিদায়া ৩য় খন্ড ২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আরবী, মাদ্রাসার ফাজেল কাসের পাঠ্য হিদায়া ভ’মিকা পৃঃ ৬, আরাফাত পাবলিকেশনন্স)
০১) ইমাম আবূ হানিফার তরীকা অনুযায়ী চতুষ্পদ জন্তু, মৃতদেহ অথবা নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে সঙ্গম করার উদ্দেশ্যে উভয়ের লিঙ্গ একত্র হয়ে কিছু অংশ প্রবেশ করলেও অযু নষ্ট হবে না। শুধু পুং লিঙ্গ ধৌত করতে হবে। (দুররে মুখতার অযুর অধ্যায়)
০২) যদি কোন লোক মৃত স্ত্র লোকের অথবা চতুষ্পদ জন্তুর স্ত্রীর অংগে বা অন্য কোন দ্বারে রোযার অবস্থায় বালৎকার করে তাহলে তার রোযা নষ্ট হবে না। (শারহে বিকায়া, লèৌ-এরইউসুফী ছাপার ১ম জেলদের ২৩৮পৃঃ)
০৩) আল্লাহ ত’আলা কুরআনে যে সকল মেয়েদেরকে বিবাহ করা হারাম করেছেন। যথা- মাতা, ভগ্নি, নিজের কন্যা, খালা, ফুফু ইত্যাদি স্ত্রী লোককে যদি কোন ব্যক্তি বিবাহ করে ও তার সংগে যৌন সঙ্গম করে তাহলে ইমাম আবু হানিফার মতে তার উপর কোন হদ (শাস্তি) নেই। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ ছাপা ৫১৬ পৃঃ, আলমগিরী মিসরী ছাপা ২য় খন্ড ১৬৫ পৃঃ, বাবুল ওয়াতী ৪৯৫ পৃঃ)
০৪) বাদশাহ যদি কারো সাথে জোর পূর্বক জিনা করে তাহলে আবূ হানিফার মতে সেই ব্যক্তির উপর কোন শাস্তির প্রয়োজন নাই। কিন্তু বাদশাহ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি যদি জোর পূর্বক কারো সাথে জিনা করে তবে আবূ হানিফার মতে সেই ব্যক্তির উপর হদ জারী করতে হবে। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৫১৯ পৃঃ)
০৫) কোন ব্যক্তি যদি কারো সাথে জিনা (যৌন সঙ্গম) করতে থাকে এবঙ জিনার অবস্থায় যদি অন্য কেহ দেখে ফেলে আর জিনাকারী ব্যক্তি যদি মিথ্যা করে বলে এই মেয়েটি আমার স্ত্রী তাহলে উভয় জিনাকারীর উপরই হদের (শাস্তির) প্রয়োজন নেই। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৫১৯ পৃঃ)
০৬) রমযান মাসে রোযার অবস্থায় যদি কেউ মল দ্বারে সঙ্গম করে তবে ইমাম আবূ হানিফার মতে কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ২১৯ পৃঃ)
০৭) কেউ যদি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে কুকুর যবেহ করে তার মাংস বাজারে বিক্রয় করে তবে অবশ্যই তা জায়েয হবে। (শারহে বেকায়া ১ম খন্ড)
০৮) গম, যব, মধু, জোয়ার হতে যে মদ প্রস্তুত করা হয় তা ইমাম আবূ হানিফা’র মতে পান করা হালাল এবং এই সকল মদ পানকারী লোকের নেশা হলেও হদ (শাস্তি) দেয়া হবে না। (হিদায়ার মোস্তফায়ী ছাপা ২য় খন্ড ৪৮১ পৃঃ)
০৯) আঙ্গুলি ও স্ত্রীলোকের স্তন মল-মূত্র দ্বারা নাপাক হয়ে গেলে, তিনবার জিবদিয়ে চেটে দিলেই পাক হয়ে যাবে। (দুররে মোখতারের ৩৬ পৃষ্ঠায় বাবুল আনজাসে দেখুন)
১০) যদি কেউ তার পিতার কৃতদাসীর সাথে সহবাস (যৌন মিলন) করে তবে কোন শাস্তি নাই। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৫১৫ পৃঃ)
১১) কোন স্ত্রীর স্বামী মারা গেলে এবং মারা যাওয়ার দুই বৎসর পর সেই স্ত্রীর সন্তান হলে, তবে সেই সন্তান তার মৃত স্বামীরই হবে। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৩৩১ পৃঃ)
১২) স্বামী প্রবাসে রয়েছে, সুদীর্ঘকাল অতীত হয়েছে বহু বছর ধরে স্বামী ফিরেনি এই দিকে স্ত্রীর পুত্র সন্তান জন্ম হয়েছে তাহলেও এই ছেলে হারামী বা জারজ হবে না সেই স্বামীরই ঔরসজাত হবে। (বেহেস্তি জেওর ৪র্থ খন্ড ৪৪পৃঃ)
১৩) আবূ বকর বিন ইসকান বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কারো মাল চুরি ডাকাতি করে নিয়ে এসে চিবিয়ে চিবিয়ে খায় তাহলে ইমাম আবূ হানিফার মতে হালাল হবে। (কাজি খাঁ ৪র্থ খন্ড ৩৪৩ পৃঃ)
১৪) পিতার পে পুত্রের দাসীর সঙ্গে যৌন মিলন করা সর্বাবস্থায় হালাল। আরো যুক্তি দর্শান হয়েছে দাসী হচ্ছে পূত্রের সম্পদ আর পুত্রের সম্পদে পিতা পূত্র উভয় ব্যক্তিরই হক আছে। ফলে একই নারী দ্বারা উভয় নরের যৌন ুধা মিটানো হালাল। (নুরুল আনওয়ার ৩০৪পৃঃ)
১৫) কুরআন ও সহীহ হাদীসের স্পষ্ট বিরোধী মাসআলাহ- চার মাযহাব চার ফরয। হানাফী, শাফেঈ, মালেকী ও হাম্বলী এই চার মাযহাব। (বেহেস্তি জেওর স্ত্রী শিা ১০৪ পৃঃ দ্রঃ, আলহাজ্জ মৌলভী আব্দুর রহীম। কুরআন মঞ্জিল লইব্রেরী-বরিশাল)
১৬) যদি কোন ব্যক্তি পয়সরা বিনিময়ে কোন নারীর সাথে জিনা করে তবে আবূ হানিফার বিধান মতে কোনই হদ (শাস্তি) নেই। (অর্থাঃ সারা পৃথিবীতে যত বেশ্যাখানা রয়েছে সবই বৈধ।) (জাখীরাতুল উকবাও শারহে বিকায়ার হাশিয়া চাল্পিতে আছে। (বিস্তারিত দেখুন ‘আসায়ে মুহাম্মাদী’)
১৭) কুরআন ও সহীহ হাদীসকে পদাঘাত করে হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফতওয়ার কিতাবে চুরি, ডাকাতি, মাস্তানি, লুট, খুন বা হত্যা করাকে বৈধ করা হয়েছে। (দেখুন হিদায়া ২য় খন্ড ৫২৭ পৃঃ, ৫৩৭ পৃঃ, ৫৪০-৫৪২ পৃঃ, ৫৪৬ পৃঃ, ৫৫৭ পৃঃ, ৫৫৮ পৃঃ, হিদায়া ৩য় খন্ড ৩৫৬ পৃঃ, ৩৬৪-৩৬৫পৃঃ। হিদায়া ৪র্থ খন্ড ৫৪৭ পৃঃ, ৫৫০ পৃঃ)
১৮) পবিত্রতম সূরায়ে হৃদের ৮৪-৮৫ অর বিশিষ্ট ৪৪ নম্বর আয়াত পবিত্রতম সূরা মূলকের প্রায় ৪০ অর বিশিষ্ট পবিত্র শেষ আয়াতে কারীমাটি তাবীজরূরে ধারণ করলে শীঘ্র বীর্যপাত হবে না। (বেহেস্তি জেওর ৯ম খন্ডের ১৫৪পৃঃ)
এই হচ্ছে আমাদের ফেকাহর কিতাব! যাহা পূর্ববর্তী সকল কিতাবকে রহিত করেছে।
দুঃখিত আমি এই পোষ্টটি আংশিক তুলে ধরেছি। এখন ডিলিট করব কিভাবে তাহা জানাবেন।
পূর্ণ লেখা অন্য পোষ্টে আছে।