পৃথিবীর ধ্বংস The end of earth (১১)
লিখেছেন: ' সাজ্জাদ' @ শুক্রবার, মার্চ ১৮, ২০১১ (১২:২১ পূর্বাহ্ণ)
১০। খারিজীদের আত্মপ্রকাশ (বের হওয়া)।(আলীর (র.) এর শসনামলে ঘটে)
কিয়ামতের নিদর্শনসমূহের অন্যতম হল এমন কিছু দলের উদ্ভব হবে যারা নবী (স) ও তাঁর সাহাবা কেরাম (র) এর পথ-পন্থার বিরধী হবে। আর সে দলসমূহের একটা দল হচ্ছে খারেজীদের দল। এটা আলী (র) এর ঐ দল যারা তাঁর সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং পরে তাঁর অনুগত্য থেকে বের হয়ে যায় যখন তাঁর ও হযরত মুয়াবিয়া (র) এর মাঝে মধ্যস্ততার কথা চলছিল। আর তারা সবাই “হারুরা” নামক একটি গ্রামে গিয়ে একত্রে থাকত।
তাদের আক্বীদা-বিশ্বাস
১। তারা কবীরা গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তিকে “কাফের” মনে করে (যেমন ব্যভিচার,মদ্যপান ইত্যাদি) এবং তারা সর্বদা জাহান্নামের আগুনে থাকবে (খারেজীদের মতে)। আর স্পষ্টতঃ তাদের এই মতবাদ পথভ্রষ্টতা ছাড়া আর কিছুই নই। সত্য হচ্ছে, যদি কোন মুসলিম কাবিরা গুনাহ করে তাহলে তাকে কাফের বলা যাবেনা। হ্যাঁ সে তার এই আচরণের ফলে অবাধ্য ও পাপাচার হবে। তার জন্য তাওবা করা ও পরবর্তীতে গুনাহ থেকে বিরত থাকা অবশ্যক।
২। তারা আলী,মুয়াবিয়াসহ আরো অনেক সাহাবাদের কাফের মনে করে যারা মধ্যস্ততায় রাজি হয়েছিল (رضي الله عنهم أجمعين) ।
৪। যে বিচারক তাদের কাফের হওয়া সম্পর্কে হ্যাঁ বলবে না তার বিরোদ্ধে (আক্রমনের উদ্দেশ্য) বের হয়।
তারা নিজে নিজে আলেম হওয়ার দাবি করবে আর নিজকে ইবাদত দ্বারা ব্যস্ত রাখবে। তারা আল্লাহর কিতাবের আহকাম ভুলে যাবে। তাদের একজন যুল খুওয়াইসরা যার সম্পর্কে নবী (স) বলেছেন, তারা দ্বীন-ধর্ম থেকে এমন চিটকে পড়বে যেভাবে তীর ধনুক থেকে বের হয়ে যায়। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,শেষ যুগে এমন এক গ্রুপ বের হবে যাদের নতুন বয়স (বয়সের দিক দিয়ে ছোট), আক্বল (জ্ঞান) কম হবে,তারা তো কোরান পড়বে কিন্তু তাদের সে পড়া তাদের গলা অতিক্রম করবেনা (অন্তরে যাবেনা যাতে তারা আমল করবে)। তারা কথা অনেক ভালো বলবে কিন্তু ধর্ম থেকে এমন বিচ্যুত হবে যেভাবে কামান থেকে তীর হয়।
খারেজীদের প্রকাশের প্রারম্ভ
সিফফীন যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইরাক এবং সিরিয়াবাসী যখন মধ্যস্ততার উপর ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আলী (র) কুফায় পত্যাবর্তন করেন। তখন খারেজীরা তাঁকে ছেড়ে স্বতন্ত্র দলে রূপ নেয়। তাদের দলের লোক সংখ্যা ছিল আট হাজার অন্য এক অভিমতানুযায়ী ষোল হাজার। এবং তারা “হারুরা” নামে গিয়ে অবস্থান নেয়।
অত’পর হযরত আলী (র),হযরত ইবনে আব্বাসকে পাঠালে তিনি তাদের সাথে তর্কে লিপ্ত হয় ফলে তাদের (খারেজীদের) কিছু খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত আলী (র) এর অনুগত্যে চলে আসে। আর বাকীরা ভ্রষ্টতারয় থেকে গেল। তারপর আলী (র) তাদের কুফার মসজিদে বক্তৃতা দিলেন। আর মসজিদের পার্শ্ব হতে তারা বলে উঠল (لا حكم الا لله) আল্লাহর হুকুম ছাড়া আর কারো হুকুম গ্রহন যোগ্য নয়। তারা আরো বলল,আপনি তাদের (মুয়াবিয়া র.) সাথে একত্রিত হয়ে মানুষদের (ইবনে আব্বাস ও আবু মূসা র.) সালিশ বানালেন অথচ কোরানকে বিচারক বানাননি। তখন আলী (র) তাদের উত্তরে বললেন,তোমাদের জন্য আমাদের উপর তিনটি দায়িত্ব ১. আমরা তোমাদের মসজিদ থেকে বাধা দিবনা। ২. তোমরা যা গণিমতের মাল পাও তা থেকে বঞ্চিত করা হবেনা। ৩. আমরা তোমাদের সাথে যুদ্ধ শুরু করবনা যতক্ষন না তোমরা কোন মন্দ করবে।
তারপর তারা তাদের পাশ দিয়ে যে মুসমান অতিক্রম করেছে তাদের হত্যা করে। অত’পর তারা আব্দুল্লাহ বিন খাব্বাব বিন আরতকে হত্যা করে এবং তাঁর বিবির পেট চিড়ে ফেলে। আলী (র) এ ব্যাপারে জানার পর তাদের জিজ্ঞাসা করলেন,তাদের কে হত্যা করেছে? তখন তারা বলল,আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে তাদের হত্যা করেছি। উত্তর শুনে আলী (র) তাদের বিরোদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলেন এবং “নেহরেওয়ান” নামক স্থানে যুদ্ধ হয়। আর তারা চরমভাবে পরাজিত হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে চালিয়ে যান।
@মুসাফির,
আপনাকেও
সাজ্জাদ ব্লগে আপনাকে খুব মিছ করতেছি । ফিরে আসুন এবং আপনার লেখা চালিয়ে যান।
@rasel ahmed,
সত্যি? তাহলে আমি ফিরে আসলাম।
ধন্যবাদ