লগইন রেজিস্ট্রেশন

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা-২ (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাজির-নাযির)

লিখেছেন: ' তুষার (ﭡﺸر)' @ বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৯, ২০০৯ (৯:০৯ অপরাহ্ণ)

মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “(হে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি কি দেখেননি? আপনার রব আদ জাতির সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন।” (সূরা ফজর-৬)

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনা শরীফ-এর এক পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমদের উদ্দেশ্য করে বললেন, “আমি যা কিছু দেখি তোমরাও কি তা দেখো?” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, জ্বি না। তখন নূরে মুজাস্‌সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নিশ্চয়ই আমি পরবর্তীতে সংঘটিত ফিৎনাসমূহ বৃষ্টির ফোটার ন্যায় পড়তে দেখছি।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত)

অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হুজরা শরীফ-এ অবস্থান করেও দূর-দূরান্তে যা কিছু ঘটতো বা ঘটবে তাও দেখতে পেতেন।

    উল্লেখ্য যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু সমস্ত সৃষ্টির মূল ও প্রথমে নবী ও রসূল হিসেবেই সৃষ্টি হয়েছেন সেহেতু তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে দুনিয়াতে বাহ্যিকভাবে তাশরীফ আনা এবং বিছাল শরীফ পর্যন্ত সমস্ত দুনিয়ায় সংঘটিত সমস্ত কিছুই প্রত্যক্ষ করেছেন ও দেখেছেন।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার রব হস্তি বাহিনীর সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন?” (সূরা ফীল-১)

    আদ জাতির ধ্বংসের কাহিনী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সরাসরি যমীনে তাশরীফ আনার হাজার হাজার বছর আগেই সংঘটিত হয়েছে। আবার আবরাহা বাদশাহর হস্তি বাহিনীর ধ্বংসের ঘটনাও আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যমীনে তাশরীফ আনার কিছুদিন পূর্বের। অথচ উভয় ক্ষেত্রেই আল্লাহ পাক বললেন, “আপনি কি দেখেননি?” অর্থাৎ অবশ্যই আপনি দেখেছেন।
    সুতরাং এ আয়াত শরীফদ্বয় দ্বারা প্রতীয়মান হলো যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আরাইহি ওয়া সাল্লাম বাহ্যিকভাবে যমীনে তাশরীফ আনার পূর্বে আল্লাহ পাক-এর ক্বায়িনাতে সংঘটিত সমস্ত কিছুই আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখেছেন।

হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, “নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য সুপারিশকারী ও তোমাদের আমলের সাক্ষী। অবশ্যই তোমাদের সাথে আমার পরবর্তী সাক্ষাতের স্থান হলো হাউজে কাউছার যা আমি এ স্থানে অবস্থান করেই দেখতে পাচ্ছি।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত/৫৪৭)

    আর যেহেতু তিনি হায়াতুন্‌ নবী ও হাযির-নাযির। তাই তিনি বিছাল শরীফ-এর পর থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত উম্মতের সকল আমল ও সমগ্র ক্বায়িনাতে সংঘটিত সমস্ত কিছু রওযা মুবারকে অবস্থান করা সত্ত্বেও সরাসরি দেখেন।

যেমন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত মিনহাল ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন, এমন কোন দিন নেই যার প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে স্বীয় উম্মতের আমল পেশ করা হয়না (দেখানো হয়না) তখন তিনি সকলের নাম ও আমলসহ দেখে সকলকে চিনতে পারেন। আর এজন্যই তিনি সকলের সাক্ষী হবেন।” (মাফাহীম/২৫৮)

    অর্থাৎ বান্দা যত আমলই করুক না কেন তা যেমন খালিক্ব-মালিক আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-এর কুদরতী সৃষ্টির অন্তরালে করা সম্ভব নয় তেমনি সমগ্র সৃষ্টির মূল, যাঁর নূর মুবারক দ্বারাই সমস্ত ক্বায়িনাত সৃষ্টি, রহমতুল্লিল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরও নূরানী দৃষ্টি মুবারকের অন্তরালে কোন মাখলুক নেই। সুতরাং উনার নূরানী দৃষ্টি মুবারকের অন্তরালেও কোন কিছু করা সম্ভব নয়।

তাই তিনি এরশাদ করেছেন, “হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার প্রতি জুমুয়ার দিনে তোমরা বেশি বেশি দুরূদ শরীফ পাঠ কর। নিশ্চয়ই এটা সাক্ষ্য হবে এবং ফেরেশ্‌তাগণও সাক্ষী হবেন। অবশ্যই কেউ আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পড়ে সে তা থেকে বিরত হতে না হতেই তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, (ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার বিদায়ের পরেও কি? উত্তরে তিনি বলেন, আমর বিদায়ের পরেও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক যমীনের জন্য নবীদের শরীর মুবারক ভক্ষণ করাকে হারাম করেছেন। সুতরাং আল্লাহ পাক-এর নবীগণ জীবিত, তাঁরা খাদ্যও খেয়ে থাকেন।” (বুখারী, ইবনে মাজাহ, আয্‌যাও য়ায়েদ)

হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, নূরে মুজাস্‌সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করে আমি তা সরাসরি শ্রবণ করি। আর যে কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে আমার প্রতি ছলাত-সালাম প্রেরণ করে তাও আমার কাছে প্রেরণ করা হয়।” (দারুকুতনী এটা বর্ণনা করেছেন।)
নাসাঈ শরীফ ও অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক আমার রওযা শরীফ-এর নিকটে একজন ফেরেশ্‌তা নির্ধারণ করেছেন যিনি আমার উম্মতের ছলাত ও সালাম আমার নিকটে পৌঁছে দেন।” (নাসায়ী, মাফাহীম, ইক্তেদাউ ছিরাতিল মুস্তাকিম)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। নূরে মুজাস্‌সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার হায়াতে ত্বয়্যিবাহ তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তোমরা কথা বলো এবং আমার হায়াত মুবারকও তোমাদের সাথে কথা বলে। আর আমার বিছাল শরীফও তোমাদের জন্য কল্যাণের কারণ। তোমাদের আমলসমূহ আমার কাছে পেশ করা হয়। যখন আমি (তোমাদের) উত্তম আমল দেখি তখন আল্লাহ পাক-এর প্রশংসা করি। আর যখন তোমাদের নিকৃষ্ট আমলগুলো দেখি তখন আল্লাহ পাক-এর নিকট ইস্তিগফার (তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) করি।” (আত্তাকরীব, মাজমাউয্‌ যাওয়ায়েদ, বাযযার, ফয়জুল ক্বাদির, শরহুশ শিফা)
হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক আমার রওযা মুবারকের নিকটে একজন ফেরেশ্‌তাকে মুক্বাররার করেছেন যার কাছে স্বয়ং আল্লাহ পাকই সমস্ত মাখলুকাতের নাম দিয়েছেন। ক্বিয়ামত পর্যন্ত কোন মাখলুক যখনই আমার প্রতি একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করে তখনই সেই ফেরেশ্‌তা দুরূদ শরীফ পাঠকারীর নাম ও তার পিতার নাম আমার সামনে পেশ করেন। অমুকের ছেলে অমুক আপনার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করেছেন।” (বাযযার, ইবনু হিব্বান, মাফাহীম/২৫৮)

“সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, আপনি কি তাদের দেখতে পান যারা দূর থেকে ও আপনার বিদায়ের পরে (ক্বিয়ামত পর্যন্ত) আপনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করবে? আপনার নিকট এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য কি? উত্তরে আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্‌সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার প্রতি যারা মুহব্বতের সাথে ছলাত ও সালাম পাঠ করে তা আমি সরাসরি শ্রবণ করি ও তাদেরকে দেখি ও চিনতে পারি। আর যারা মুহব্বত ব্যতীত পাঠ করে তাদের ছলাত ও সালামও আমার কাছে পৌঁছানো হয়।” (দালায়েলুল খইরাত)
অন্য হাদীছ শরীফ-এ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, “কোন ব্যক্তি যে কোন স্থানে বসে আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করলে তার আওয়াজ আমার কানে পৌঁছে থাকে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার বিদায়ের পরেও কি? উত্তরে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার বিদায়ের পরেও এ হুকুম বলবত থাকবে।” (জিলাউল ইফহাম)
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হে আমার উম্মতগণ! আমার বিদায়ের পরে প্রতি সোমবার ও প্রতি শুক্রবার আমার প্রতি বেশি বেশি করে দুরূদ শরীফ পাঠ করো। কেননা, আমি তোমাদের ছলাত ও সালাম বিনা মধ্যস্থতায় শুনতে পাই।” (জিলাউল ইফহাম, আনিসুল জালীস) অর্থাৎ

    পৃথিবীর যে কোন স্থানে বসে যে কোন ব্যক্তি যে কোন সময় ছলাত-সালাম পাঠ করলে তা অবশ্যই আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রবণ করেন।

উপরোক্ত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় হযরত আল্লামা শাইখ মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘নামাযে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করা হয়েছে। এটা যেন এ কথাই প্রকাশ পায় যে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মতদের মধ্যে নামাযীদের অবস্থা উনার কাছে এমনভাবে উদ্ভাসিত করেছেন যেন তিনি তাদের মধ্যে উপসি’ত থেকেই সবকিছু দেখতে পাচ্ছেন, তাদের আমলসমূহ অনুধাবন করছেন। এ সম্বোধনের আরো একটি কারণ হচ্ছে উনার এ উপসি’তির ধারণা অন্তরে অতিমাত্রায় বিনয় ও নম্রতার ভাব সৃষ্টি করা।’
আল্লামা হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “উম্মতের বিবিধ কর্মকাণ্ডের প্রতি দৃষ্টি রাখা, তাদের পাপরাশির ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করার জন্য দোয়া করা, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত আনাগোনা করা ও বরকত দান করা এবং নিজ উম্মতের কোন নেক বান্দার ওফাত হলে উনার জানাযাতে অংশগ্রহণ করা- এগুলোই হচ্ছে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সখের কাজ। কোন কোন হাদীছ শরীফ থেকে এসব কথার সমর্থন পাওয়া যায়।”

    উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা এটাই ছাবিত হলো যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আউয়ালুল খালাইক্ব, হায়াতুন্‌ নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ পাক-এর ক্বায়িনাতে সংগঠিত সমস্ত কিছু দেখে থাকেন।
Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৩৩২ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

২ টি মন্তব্য

  1. পৃথিবীর যে কোন স্থানে বসে যে কোন ব্যক্তি যে কোন সময় ছলাত-সালাম পাঠ করলে তা অবশ্যই আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রবণ করেন।

    ছলাত-সালাম পাঠ করলে ফেরেশতারা রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কাছে পৌছিয়ে দ্যান এটা শুনেছি । এটার বিস্তারিত “জাআল হক” কিতাবে আছে । কিন্তু তারপর আপনি যেটা বলেছেন :

    আর যেহেতু তিনি হায়াতুন্‌ নবী ও হাযির-নাযির। তাই তিনি বিছাল শরীফ-এর পর থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত উম্মতের সকল আমল ও সমগ্র ক্বায়িনাতে সংঘটিত সমস্ত কিছু রওযা মুবারকে অবস্থান করা সত্ত্বেও সরাসরি দেখেন।

    এটা তো আপনার নিজস্ব বক্তব্য । এটার কোনো দলীল দেয়া যাবে ? আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের কোনো গ্রহনযোগ্য আলেম বলেছে কিনা সেই রেফারেন্স দিলে ভালো হয় ।

    tusharzia

    আর যেহেতু তিনি হায়াতুন্‌ নবী ও হাযির-নাযির। তাই তিনি বিছাল শরীফ-এর পর থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত উম্মতের সকল আমল ও সমগ্র ক্বায়িনাতে সংঘটিত সমস্ত কিছু রওযা মুবারকে অবস্থান করা সত্ত্বেও সরাসরি দেখেন।- এই লাইটির উপরে রেফারেন্সগুলো পেশ করা হয়েছে।